৩০৯ নং- সুওয়াল: ইতিকাফ-এর আহকাম সম্বন্ধে জানালে কৃতজ্ঞ হবো?


সুওয়াল: ইতিকাফ-এর আহকাম সম্বন্ধে জানালে কৃতজ্ঞ হবো?
জাওয়াব: ইতিকাফ-এর অর্থ হলো (১) গুণাহ হতে বেঁচে থাকা, (২) অবস্থান করা, (৩) নিজেকে কোন স্থানে আবদ্ধ রাখা, কোণায় অবস্থান করা, আর ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় পবিত্র রমযান শরীফ মাস উনার শেষ দশদিন দুনিয়াবী যাবতীয় কার্যকলাপ ও পরিবার পরিজন হতে ভিন্ন হয়ে আলাদাভাবে পুরুষের জন্য জামে মসজিদে ও মহিলাদের জন্য ঘরে ইবাদত কার্যে মশগুল থাকাকে ইতিকাফ বলে। ইতিকাফ তিন প্রকার- (১) ওয়াজিব, (২) সুন্নাতে মুয়াক্বাদাহ, (৩) নফল। যিনি ই’তিকাফ করেন, তাকে বলে মুতাকিফ। পবিত্র রমযান শরীফ উনার শেষ দশদিন ইতিকাফ করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ্ ক্বেফায়া। প্রতি মসজিদে এলাকার তরফ হতে একজন মুতাকিফ হলেই সকলের আদায় হয়ে যাবে, আর যদি কেউ ইতিকাফ না করে, তাহলে সকলেরই সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ তরক করার গুণাহ্ হবে।
          ইতিকাফের শর্ত তিনটি (১) পুরুষের জন্য মসজিদে, মহিলাদের জন্য ঘরের প্রকোষ্ঠে। (২) ইতিকাফের জন্য নিয়ত করা, হদসে আকবর হতে পাক হওয়া। (৩) রোজা রাখা, ই’তিকাফের জন্য বালেগ হওয়া শর্ত নয়। ই’তিকাফ অবস্থায় জাগতিক ফায়দাদায়ক কাজ করা অবস্থাভেদে হারাম ও মাকরূহ্ তাহরীমী হবে। মুতাকিফ ব্যক্তি মসজিদে এসে কোন বেহুদা কথা বা কাজ করবে না বা চুপ করে বসে থাকবে না। বরং ঘুম ব্যতীত বাকী সময় ইবাদত কার্যে মশগুল থাকতে হবে। যেমন নফল নামায, কুরআন শরীফ তিলাওয়াত, যিকির, ইলম অর্জন ইত্যাদি। ই’তিকাফকারী বাইরে বের হওয়ার দুটি জরুরত হতে পারে (১) শরয়ী, (২) তবঈ।
শরয়ী জরুরত হলো- যে মসজিদে ইতিকাফ করছে সেখানে জুময়া হয় না, অন্য কোন মসজিদে যেখানে জুময়া হয়, সেখানে জুমআর নামায পড়তে যাওয়া এবং নামায পড়ে চলে আসা। মুতাকিফ যদি অহেতুক এক সেকেন্ডের জন্য মসজিদের বাইরে অবস্থান করে, তাহলে ই’তিকাফ ভঙ্গ হয়ে যাবে। দ্বিতীয় তবঈ জরুরত হলো- পায়খানা, প্রস্রাব ইত্যাদির জন্য বের হওয়া এবং কাজ সেরে চলে আসা। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে উল্লেখ আছে, “যে ব্যক্তি পবিত্র রমযান শরীফ উনার শেষ দশদিন ই’তিকাফ করবে, সে দুহজ্ব ও দুওমরার সমপরিমাণ সওয়াব পাবে। (যাবতীয় ফিক্বহের কিতাব দ্রষ্টব্য)
আবা-২১ 

0 Comments: