সুওয়াল: একদিন রাত দশ ঘটিকায় জনৈক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে কোন কারণ
বশতঃ মারতে চাইলে স্ত্রী দরজা খুলে বের হয়ে স্বামীর ছোট ভাই ও চাচাতো ভাইদের ডেকে
আনে। এসময় স্বামী রাগ করে দরজা বন্ধ করে দেয়, তখন স্বামীর ভাইয়েরা ঘরের দরজায়
লাথি ও ধাক্কা মেরে ঘরে ঢুকতে চাইলে সে দরজা খুলে দেয়। তারা ঘরে প্রবেশ করে
স্ত্রীর পক্ষ হয়ে স্বামীকে গালী-গালাজ ও ধমক দিতে থাকে, এমনকি এক
পর্যায়ে মারামারির উপক্রম হয়। তখন স্বামী রাগান্বিত হয়ে স্ত্রীকে বলে- এক তালাক, দুই
তালাক, তিন তালাক, চার তালাক, পাঁচ তালাক, এসময় স্ত্রী স্বামীর সম্মুখে ছিলনা এবং স্বামী স্ত্রীর নাম এবং তার পিতার নাম
উল্লেখ করেছে কিনা স্মরণ নেই। স্বামীর নাকি স্বেচ্ছায় তার স্ত্রীকে ছাড়ার কোন
ইচ্ছাই ছিলনা। কারণ বর্তমানে তার স্ত্রী ছয় মাসের গর্ভবতী। এ অবস্থায় শরয়ী ফয়সালা
কি হবে? বিস্তারিত জানায়ে বাধিত করবেন।
জাওয়াব: উপরোক্ত বক্তব্য মোতাবেক স্ত্রীর উপর তিন তালাক পতিত হয়েছে।
কোন স্বামীই তার স্ত্রীকে খুশিতে তালাক দেয়না এবং কোন স্বামী বিবাহ করার সময় বা
তার পূর্বে তালাক দেয়ার নিয়ত করে বিবাহ করেনা। আর যদি কেউ তালাক দেয়ার নিয়ত করে
বিবাহ করে, তবে সেটা নিকাহে মু’তা হবে। যা আমাদের আহ্লে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের ফতওয়া মোতাবেক হারাম। তালাক
দেয়ার সময় স্ত্রী সামনে থাকা শর্ত নয়। এক স্ত্রী থাকলে স্ত্রীর এবং তার পিতার নাম
উল্লেখ করা শর্ত নয়। হ্যাঁ যদি কারো একাধিক স্ত্রী থাকে, আর সে
যদি তালাক দিতে চায়,
তখন সে যেই স্ত্রীকে তালাক দিতে চায়, তার নাম
উল্লেখ করতে হবে। আর একাধিক স্ত্রী থাকা সত্বেও নাম উল্লেখ ছাড়াই তালাক বর্তাবে
যদি স্ত্রী সামনে উপস্থিত থাকে এবং তার প্রতি ইশারা করে তালাক দেয়। (ফতওয়ায়ে আলমগীরি, ফতওয়ায়ে শামী)
আবা-২১
0 Comments:
Post a Comment