=================================================
অনেকে বলে ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি পালন নাকি অমুসলিমদের অনুকরণ। নাউযুবিল্লাহ!!
মূলত যারা এ ধরনের আজগুবি কথা বলে, তারা নিজেরাই বিভ্রান্ত। কারন জম্মদিন উপলক্ষে কিছু করা যদি অমুসলিমদের রীতি হত তাহলে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কখনো জম্মদিন উপলক্ষে রোযা রাখতেন না। রোযা রাখার মাধ্যম দিয়ে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দেখিয়ে দিলেন এটি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মূল বিষয়ের সাথে সাংঘর্ষিক না এবং এটি শরীয়ত উনার অন্তর্ভূক্ত বিষয়, যা জায়েজ।
এই ধরনের মূল বিষয়গুলো সাংঘর্ষিক তখন হয় যখন পদ্ধতি বা নিয়মনীতি কাফেরদের সাথে মিলে যায়। পদ্ধতি যদি শরীয়ত সম্মত হয় তাহলে কখনোই তা শরীয়ত বিরুধী হয় না। যেমন, বিবাহ করা সব ধর্মেই আছে এখন ইহুদী খ্রিস্টানরা বিয়ে করে তাই বলে তো বিয়ে ইসলামে হারাম হয়ে যাবে না। বরং কোন রীতিতে করা হবে তার উপর ফায়সালা।
কেউ বলতে পারে, কোন হারাম কাজ অনুসরণ করে এই দিবস পালন করা ঠিক নয়। তাই বলে পুরোটা হারাম বলে কিভাবে ? কারণ ঐ মাহফিলে তো অনেকে কুরআন তিলওয়াত করে, দুরুদ সালাম পেশ করে, যা সওয়াবের কাজ। পাশাপাশি আল্লাহ তায়ালা যেটা আদেশ করেছেন সেটা হারাম বলা স্পষ্ট কুফরী।