১৮৭ নং- সুওয়াল : কোন কোন নামধারী ইসলামী দল দেখা যায়, বেপর্দাভাবে মেয়েদেরও মিছিল বের করছে, এ সম্পর্কে মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার হুকুম কি?


সুওয়াল : কোন কোন নামধারী ইসলামী দল দেখা যায়, বেপর্দাভাবে মেয়েদেরও মিছিল বের করছে, এ সম্পর্কে মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার হুকুম কি?
জাওয়াব : পর্দা করা ফরজ। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক ফরমান,
وقرن فى بيوتكن ولا تبرجن تبرج الجاهلية الاولى
অর্থঃ- তোমরা ঘরের মধ্যে অবস্থান করবে। জাহেলী যুগের মত নিজেদেরকে (বেপর্দা করে) সৌন্দর্য্য প্রদর্শন করো না।(পবিত্র সুরা আহযাব শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৩)
          বিভিন্ন পবিত্র তাফসীর শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে, মেয়েদের জন্য আমভাবে ঘরের ভিতর অবস্থান করা, ঘর থেকে বের না হওয়া ওয়াজিব। তবে প্রয়োজনে বের হওয়া যাবে। প্রয়োজনীয় বা আবশ্যকীয় কারণ কি, তাই বিচার্য বিষয়।  পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র তাফসীর শরীফ ও পবিত্র ফিক্বাহ শরীফ উনার কিতাবসমূহে প্রয়োজনের বিভিন্ন পরিস্থিতি সম্পর্কে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। কিন্তু তাতে কোথাও মেয়েদের মিছিলের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করা হয়নি। কারণ, এটা মহাসম্মানিত ইসলাম উনার জন্য অপরিহার্য্য নয় বরং সম্পূর্ণ হারাম। মেয়েদের এ হারাম কাজের বেপর্দা ছবি বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় দেখা গিয়েছে। অথচ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন,
          لعن الله الناظر والمنظور اليه.
অর্থঃ- যে পুরুষ কোন মহিলাকে দেখলো বা কোন মহিলা নিজেকে দেখালো উভয়ের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার লানত।
          কাজেই এ মিছিল করে পবিত্র কুরআন শরীফ   পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের খেলাফ কাজ করা হয়েছে। যাতে হাজার হাজার পুরুষ- মহিলাদেরকে দেখেছে এবং মহিলারা নিজেদের সৌন্দর্য্য পুরুষদের দেখিয়েছে, যা সম্পূর্ণ হারাম। এজন্য দেখুন তাফসীরে রুহুল মাআনী, তাফসীরে কুরতুবী, তাফসীরে কবির, সিহাহ্ সিত্তাসহ অন্যান্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের কিতাব। ফতহুল ক্বাদীর, কাজিখান, আলমগীরী, বাহরুর রায়েক, দুররুল মোখতার ইত্যাদি।
          মূলত এটা ইরানী শিয়াদের প্রবর্তিত পদ্ধতি। আর এ (খোমেনীবাদী শিয়া) সম্প্রদায় আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের ফতওয়া মোতাবেক মুসলমানদের অন্তর্ভূক্ত নয়। কারণ স্বয়ং খোমেনী তার নিজের লিখিত কিতাব আল হুকুমাতুল ইসলামিয়া ও বিলায়েতে ফক্বিহ ইত্যাদিতে উল্লেখ করেছে, তাদের ইমামদের মর্যাদা নবী-রাসূল আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের থেকেও বেশী। তাতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা করতে পারেননি, তাদের শেষ ইমাম এসে তা করতে পারবেন। নাউযুবিল্লাহ! এ ধরণের আরো অনেক কুফরী কথা তাতে রয়েছে।
          কাজেই শিয়াদের অনুসরণ করে মেয়েদের মিছিল করা আহ্লে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের ফতওয়া মোতাবেক সম্পূর্ণ হারাম।
 ্আবা-১৭

0 Comments: