প্রত্যেক ঈমানদারদের জন্য ফরজ ওয়াজিব হচ্ছে সার্বক্ষন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রশংসা মুবারক ও উনার সুমহান শান মুবারক এ ছলাত ও সালাম মুবারক পাঠে মশগুল থাকা।

Related imageপ্রত্যেক ঈমানদারদের জন্য ফরজ ওয়াজিব হচ্ছে সার্বক্ষন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রশংসা মুবারক ও উনার সুমহান শান মুবারক এ ছলাত ও সালাম মুবারক পাঠে মশগুল থাকা।
=================================================
পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরবিরুধীতা কারীরা বলে থাকে,আলাদা করে নাকি প্রশংসা করার জন্য ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার দরকার নেই”
মূলত আযান, ইক্বামত, খুতবায় যেমন মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারক উচ্চারিত হওয়ার পরও আলাদাভাবে নামায আদায় করতে হয়, যিকির-আযকার করতে হয়, তাসবীহ-তাহলীল পাঠ করতে হয়। ঠিক তেমনিভাবে আযান, ইক্বামত, খুতবায় মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারক উচ্চারিত হওয়ার পরপরই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক উচ্চারিত হয়, এর পরও মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক-এ আলাদাভাবেই অনন্তকাল ধরে দুরূদ শরীফ পাঠ করতে আদেশ মুবারক করেছেন।
একইভাবে নামাযের মধ্যে দুরূদ শরীফ পাঠ করা সত্ত্বেও নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক-এ আলাদাভাবেই অনন্তকাল ধরে দুরূদ শরীফ পাঠ করতে মহান আল্লাহ পাক আদেশ মুবারক করেছেন।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اِنَّ اللهَ وَمَلَائِكَتَهٗ يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِيّ ۚ يَا اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا صَلُّوْا عَلَيْهِ وَسَلّمُوْا تَسْلِيْمًا ◌
অর্থ : “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম উনার শান মুবারক-এ ছলাত শরীফ পেশ করছেন। হে ঈমানদারগণ! তোমরাও উনার খিদমত মুবারক-এ ছলাত শরীফ পেশ করো এবং সেই  সাথে যথাযথ সম্মানে সালাম মুবারক পেশ করো।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৬)
এই ছলাত শরীফ-সালাম শরীফ কতক্ষণ পেশ করতে হবে তা মহান আল্লাহ পাক তিনি স্পষ্ট করে উল্লেখ করেননি। তবে পবিত্র আয়াত শরীফ উনার প্রথমেই যেহেতু মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই ছলাত শরীফ পাঠ করছেন বলে উল্লেখ রয়েছে। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি হচ্ছেন অনন্ত-অনাদি। তাই তিনি অনাদিকাল থেকে অনন্তকালের জন্যই উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ছলাত শরীফ পাঠ করছেন। আর হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা সৃষ্টি হওয়ার পর থেকেই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ছলাত শরীফ-সালাম শরীফ পেশ করছেন। সুতরাং মানুষের জন্যও ফরয হচ্ছে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অনন্তকাল ধরে ছলাত শরীফ-সালাম শরীফ পেশ করা। যদিও নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক তারা আযান, ইক্বামত, খুতবায় উচ্চারণ করুন না কেন।
অধিকন্তু মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اِنَّا اَرْسَلْنَاكَ شَاهِدًا وَمُبَشّرًا وَّنَذِيْرًا ◌ لّتُؤْمِنُوْا بِاللهِ وَرَسُوْلِه وَتُعَزّرُوْهُ وَتُوَقّرُوْهُ وَتُسَبّحُوْهُ بُكْرَةً وَّاَصِيْلًا ◌
অর্থ : “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! নিশ্চয়ই আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি সাক্ষ্যদাতা, সুসংবাদদাতা ও ভয় প্রদর্শনকারীরূপে। অতএব, তোমরা (উম্মতরা) মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রতি ঈমান আনো এবং তোমরা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারক করো, সম্মান মুবারক করো ও সকাল-সন্ধ্যা অর্থাৎ সদা-সর্বদা উনার ছানা-ছিফত মুবারক করো।” (পবিত্র সূরা ফাত্হ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৮-৯)
সুতরাং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছানা-ছিফত মুবারক অনন্তকাল ধরেই করতে হবে, উনাকে অনন্তকাল ধরেই সম্মান মুবারক করতে হবে, উনার খিদমত মুবারক অনন্তকাল ধরেই করতে হবে।
অর্থাৎ অনন্তকাল ধরেই উনার প্রতি ছলাত শরীফ-সালাম শরীফ পেশ করতে হবে। এমনকি হযরত আম্বিয়া ওয়া মুরসালূন আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে নুবুওওয়াত-রিসালাত মুবারকও হাদিয়া করা হয়েছে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে রসূল হিসেবে মেনে নেয়ার এবং সর্ব বিষয়ে উনার খিদমত মুবারক করার শর্তে।
যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَاِذْ اَخَذَ اللهُ مِيْثَاقَ النَّبِيّيْنَ لَمَا اٰتَيْتُكُم مّنْ كِتَابٍ وَحِكْمَةٍ ثُـمَّ جَاءَكُمْ رَسُوْلٌ مُّصَدّقٌ لّمَا مَعَكُمْ لَتُؤْمِنُنَّ بِه وَلَتَنصُرُنَّه ۚ قَالَ اَاَقْرَرْتُـمْ وَاَخَذْتُـمْ عَلٰى ذٰلِكُمْ اِصْرِيْ ۖقَالُوْا اَقْرَرْنَا ۚ قَالَ فَاشْهَدُوْا وَاَنَا مَعَكُم مّنَ الشَّاهِدِيْنَ ◌
অর্থ: “(হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি স্মরণ করুন সেই সময়ের কথা) যখন মহান আল্লাহ পাক তিনি আলমে আরওয়াহতে সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের কাছ থেকে ওয়াদা নিয়েছিলেন যে, আপনাদেরকে আমি কিতাব ও হিকমত দান করবো। অতঃপর আপনাদেরকে সত্য প্রতিপাদনের জন্য আখিরী নবী, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রেরণ করবো। আপনারা উনাকে হযরত নবী ও রসূল হিসেবে মেনে নিবেন এবং সর্ববিষয়ে উনার খিদমত মুবারক করবেন। আপনারা কি এই ওয়াদার কথা মেনে নিলেন? উত্তরে সকলে বললেন, হ্যাঁ! আমরা এই ওয়াদা স্বীকার করলাম। তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, আপনারা সাক্ষী থাকুন, আমিও আপনাদের সাথে সাক্ষী হয়ে গেলাম।” (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৮১)
অতএব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আলাভাবে খিদমত মুবারক করার অর্থাৎ উনার প্রতি ছলাত শরীফ-সালাম শরীফ পেশ করার শর্তেই যেখানে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে নুবুওওয়াত-রিসালাত মুবারকও হাদিয়া করা হয়েছে। সেখানে আলাদা করে প্রশংসা করার জন্য পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার দরকার নেই বলা কতবড় কুফরী তা সহজেই বুঝা যায়।
মূলত নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিদ্বেষীদের পক্ষেই এ ধরনের উক্তি করা সম্ভব।
অথচ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দায়িমী ছলাত শরীফ আদায় করার জন্য বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত উবাই ইবনে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি আরজু পেশ করার প্রেক্ষিতে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ الطُّفَيْلِ بْنِ اُبَـىّ بْنِ كَعْبٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنْ اَبِيهِ قَالَ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِذَا ذَهَبَ ثُلُثَا اللَّيْلِ قَامَ فَقَالَ‏ يَا اَيُّهَا النَّاسُ اذْكُرُوا اللهَ اذْكُرُوا اللهَ جَاءَتِ الرَّاجِفَةُ تَتْبَعُهَا الرَّادِفَةُ جَاءَ الْمَوْتُ بِـمَا فِيْهِ جَاءَ الْمَوْتُ بِـمَا فِيْهِ‏.‏ قَالَ اُبَىٌّ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنّـِي اُكْثِرُ الصَّلَاةَ عَلَيْكَ فَكَمْ اَجْعَلُ لَكَ مِنْ صَلَاتِـي فَقَالَ‏ مَا شِئْتَ‏.‏ قَالَ قُلْتُ الرُّبُعَ‏.‏ قَالَ مَا شِئْتَ فَاِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ‏.‏ قُلْتُ النِّصْفَ.‏ قَالَ‏ مَا شِئْتَ فَاِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ‏.‏ قَالَ قُلْتُ فَالثُّلُثَيْنِ.‏ قَالَ مَا شِئْتَ فَاِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ‏.‏ قُلْتُ اَجْعَلُ لَكَ صَلَاتِـي كُلَّهَا.‏ قَالَ اِذًا تُكْفَى هَـمُّكَ وَيُغْفَرُ لَكَ ذَنْبُكَ‏.‏ قَالَ اَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيْثٌ حَسَنٌ‏.‏
অর্থ : “হযরত তুফাইল ইবনে উবাই ইবনে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনার পিতা থেকে বলেন, একদা রাতের দুই তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হওয়ার পর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খুতবা মুবারক প্রদান করার জন্য দাঁড়ালেন এবং ইরশাদ মুবারক করলেন, হে মানুষেরা! মহান আল্লাহ পাক উনাকে স্মরণ করুন। মহান আল্লাহ পাক উনাকে স্মরণ করুন। ভূমিকম্প এসেছে, তার সাথে মহামারীও এসেছে, যেভাবে মৃত্যু আসার সেভাবে মৃত্যুও এসেছে। হযরত উবাই ইবনে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনার জন্য ছলাত মুবারক, সালাম মুবারক, ছানা-ছিফত মুবারক বেশি বেশি করতে চাই। কত সময় ধরে আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনি যতটুকু সম্ভব করুন। তাহলে চার ভাগের এক ভাগ (অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় ৬ ঘণ্টা) আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এটা শুনে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনি যতটুকু সম্ভব করুন, তবে এর চাইতে আরো বৃদ্ধি করতে পারলে আরো উত্তম হবে। তিনি বললেন, তাহলে অর্ধেক সময় (২৪ ঘণ্টায় ১২ ঘণ্টা) আপনার আমি ছানা-ছিফত মুবারক করবো ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তাহলে কি হবে? নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনার যতটুকু সম্ভব আপনি করুন, তবে এর চাইতে আরো বৃদ্ধি করতে পারলে আরো উত্তম হবে। সুবহানাল্লাহ! তাহলে তিন ভাগের দুই ভাগ (২৪ ঘণ্টায় ১৬ ঘণ্টা) আমি আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তাহলে কি হবে? শুনে স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনি যতটুকু ইচ্ছা পারেন করুন, তবে এর চাইতে আরো বৃদ্ধি করতে পারলে আরো উত্তম হবে।
তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তাহলে আমি আমার জিন্দেগীর সমস্ত সময় (২৪টা ঘণ্টাই) আমি আপনার ছানা-ছিফত মুবারক উনার মধ্যে ব্যয় করবো। সুবহানাল্লাহ! এটা শুনে স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খুশি হয়ে গেলেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি খুশি হয়ে ইরশাদ মুবারক করলেন, খুব উত্তম! আপনি যদি এটা করতে পারেন তাহলে আপনার জিন্দেগীর যত নেক মকছুদ সবগুলো পুরা করে দেয়া হবে। সুবহানাল্লাহ! এবং আপনার জিন্দেগীর যত গুনাহ-খাতা রয়েছে সব ক্ষমা করে দেয়া হবে।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ : কিতাবু ছিফাতিল ক্বিয়ামাতি ওয়া রিক্বাক্ব ওয়া ওয়ারা : হাদীছ শরীফ নং ২৪৫৭; মুস্তাদরকে হাকিম শরীফ ২/৪২১; শু‘য়াবুল ঈমান শরীফ ৩/১৩৮; জামিউল আহাদীছ শরীফ ৩২/৩৭৩; জামিউল উছূল শরীফ ১১/৮৪৬৭; রিয়াদুছ ছলিহীন ১/৩৪৭)
সুতরাং আলাদাভাবে মীলাদ শরীফ-দুরূদ শরীফ আদায়ের বিরোধিতা করা মহান আল্লাহ পাক উনাকে কটুক্তি করার শামিল। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দা-বান্দিকে দায়িমীভাবেই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি দুরূদ শরীফ পাঠ করতে আদেশ মুবারক করেছেন।