=================================================
বিভিন্ন বাতিল ও গোমরাহ ফেরকার লোকেরা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরুধীতা করতে গিয়ে বলে থাকে, রোযা নাকি ঈদ এর বিপরীত এবং নবীজি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি উনার জম্মদিনে রোযা রেখেছেন আর আমরা ঈদ পালন করাই নাকি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরুধীতা করি !!
প্রকৃত বিষয় হল, সাওম বা রোযা ঈদের বিপরীত এ ধরনের কোন কথা সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার বিধানে নেই। তাই রোযা রেখে যেমন ঈদ পালন করা যায়, তেমনি রোযা না রেখেও ঈদ পালন করা যায়। অর্থাৎ ‘ঈদ ও রোযা কখনো এক সাথে হয় না’ -এ ধরনের বক্তব্য কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
পবিত্র ৯ যিলহজ্জ শরীফ (যা ইয়াওমুল আরাফাহ বা পবিত্র আরাফা উনার দিন ) সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَمَّارِ بْنِ اَبِـي عَمَّارٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰـى عَنْهُ قَالَ قَرَاَ حَضْرَتْ اِبْنُ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰـى عَنْهُ (اَلْيَوْمَ اَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَاَتْـمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِيْ وَرَضِيْتُ لَكُمُ الْاِسْلاَمَ دِيْنًا) وَعِنْدَهٗ يَهُوْدِيٌّ فَقَالَ لَوْ اُنْزِلَتْ هٰذِهٖ عَلَيْنَا لَاتَّـخَذْنَا يَوْمَهَا عِيْدًا. قَالَ حَضْرَتْ اِبْنُ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰـى عَنْهُ فَاِنَّـهَا نَزَلَتْ فِيْ يَوْمِ عِيْدٍ فِيْ يَوْمِ جُـمُعَةٍ وَيَوْمِ عَرَفَةَ.
অর্থ : “হযরত আম্মার ইবনে আবূ আম্মার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি একদা ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণ করে দিলাম। …. (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩)’ এ আয়াত শরীফ খানা শেষ পর্যন্ত তিলাওয়াত করলেন। তখন উনার নিকট এক ইয়াহূদী ছিল, সে বলে উঠলো, যদি এমন আয়াত শরীফ আমাদের ইয়াহূদী সম্প্রদায়ের প্রতি নাযিল হতো, আমরা আয়াত শরীফ নাযিলের দিনটিকে ঈদের দিন হিসেবে ঘোষণা করতাম। এটা শুনে হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বললেন, এ আয়াত শরীফ সেই দিন নাযিল হয়েছে যেদিন ঈদ ছিলো- (১) জুমুয়ার দিন এবং (২) আরাফার দিন!” (তিরমিযী শরীফ : হাদীছ শরীফ ৩৩১৮)
উপরোক্ত হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত যে, পবিত্র আরাফা উনার দিবস মুসলমানদের জন্য ঈদের দিন। কিন্তু ঈদের দিবস হওয়া সত্ত্বেও পবিত্র আরাফা উনার দিবসে রোযা রাখার ফযীলত সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَبـِى قَتَادَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صِيَامُ يَوْمِ عَرَفَةَ اَحْتَسِبُ عَلَى اللهِ اَنْ يُكَفّرَ السَّنَةَ الَّتِى قَبْلَهٗ وَالسَّنَةَ الَّتِى بَعْدَهٗ.
অর্থ : “হযরত আবূ ক্বাতাদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আরাফাহ দিবসে রোযা রাখবে তার পিছনের এক বছরের এবং সামনের এক বছরের গুনাহখতা ক্ষমা করে দেয়া হবে।” সুবহানাল্লাহ! (মুসলিম শরীফ : কিতাবুছ ছিয়াম : বাবু ইসতিহ্বাবি ছিয়ামি ছালাছাতি আইয়্যামিন মিন কুল্লি শাহরিন ওয়া ছওমি ‘আরাফাতা ওয়া ‘আশূরায়া ওয়া ইছনাইনি ওয়া খ¦মীস : হাদীছ শরীফ নং ১১৬২; আবূ দাঊদ শরীফ : কিতাবুছ ছাওম : বাবু ফী ছাওমিদ্ দাহ্রি তাত্বওউ‘য়া : হাদীছ শরীফ নং ২৪২৫; তিরমিযী শরীফ : কিতাবুছ ছাওম : বাবু মা জায়া ফী ফাদ্বলি ইয়াওমি আরাফাহ : হাদীছ শরীফ নং ৭৪৯; ইবনে মাজাহ শরীফ : কিতাবুছ ছিয়াম : হাদীছ শরীফ নং ১৭৩০)
পবিত্র ৯ যিলহজ্জ শরীফ (যা ইয়াওমুল আরাফাহ বা পবিত্র আরাফা উনার দিন ) সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَمَّارِ بْنِ اَبِـي عَمَّارٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰـى عَنْهُ قَالَ قَرَاَ حَضْرَتْ اِبْنُ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰـى عَنْهُ (اَلْيَوْمَ اَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَاَتْـمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِيْ وَرَضِيْتُ لَكُمُ الْاِسْلاَمَ دِيْنًا) وَعِنْدَهٗ يَهُوْدِيٌّ فَقَالَ لَوْ اُنْزِلَتْ هٰذِهٖ عَلَيْنَا لَاتَّـخَذْنَا يَوْمَهَا عِيْدًا. قَالَ حَضْرَتْ اِبْنُ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰـى عَنْهُ فَاِنَّـهَا نَزَلَتْ فِيْ يَوْمِ عِيْدٍ فِيْ يَوْمِ جُـمُعَةٍ وَيَوْمِ عَرَفَةَ.
অর্থ : “হযরত আম্মার ইবনে আবূ আম্মার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি একদা ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণ করে দিলাম। …. (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩)’ এ আয়াত শরীফ খানা শেষ পর্যন্ত তিলাওয়াত করলেন। তখন উনার নিকট এক ইয়াহূদী ছিল, সে বলে উঠলো, যদি এমন আয়াত শরীফ আমাদের ইয়াহূদী সম্প্রদায়ের প্রতি নাযিল হতো, আমরা আয়াত শরীফ নাযিলের দিনটিকে ঈদের দিন হিসেবে ঘোষণা করতাম। এটা শুনে হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বললেন, এ আয়াত শরীফ সেই দিন নাযিল হয়েছে যেদিন ঈদ ছিলো- (১) জুমুয়ার দিন এবং (২) আরাফার দিন!” (তিরমিযী শরীফ : হাদীছ শরীফ ৩৩১৮)
উপরোক্ত হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত যে, পবিত্র আরাফা উনার দিবস মুসলমানদের জন্য ঈদের দিন। কিন্তু ঈদের দিবস হওয়া সত্ত্বেও পবিত্র আরাফা উনার দিবসে রোযা রাখার ফযীলত সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَبـِى قَتَادَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صِيَامُ يَوْمِ عَرَفَةَ اَحْتَسِبُ عَلَى اللهِ اَنْ يُكَفّرَ السَّنَةَ الَّتِى قَبْلَهٗ وَالسَّنَةَ الَّتِى بَعْدَهٗ.
অর্থ : “হযরত আবূ ক্বাতাদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আরাফাহ দিবসে রোযা রাখবে তার পিছনের এক বছরের এবং সামনের এক বছরের গুনাহখতা ক্ষমা করে দেয়া হবে।” সুবহানাল্লাহ! (মুসলিম শরীফ : কিতাবুছ ছিয়াম : বাবু ইসতিহ্বাবি ছিয়ামি ছালাছাতি আইয়্যামিন মিন কুল্লি শাহরিন ওয়া ছওমি ‘আরাফাতা ওয়া ‘আশূরায়া ওয়া ইছনাইনি ওয়া খ¦মীস : হাদীছ শরীফ নং ১১৬২; আবূ দাঊদ শরীফ : কিতাবুছ ছাওম : বাবু ফী ছাওমিদ্ দাহ্রি তাত্বওউ‘য়া : হাদীছ শরীফ নং ২৪২৫; তিরমিযী শরীফ : কিতাবুছ ছাওম : বাবু মা জায়া ফী ফাদ্বলি ইয়াওমি আরাফাহ : হাদীছ শরীফ নং ৭৪৯; ইবনে মাজাহ শরীফ : কিতাবুছ ছিয়াম : হাদীছ শরীফ নং ১৭৩০)
সুতরাং পবিত্র আরাফা উনার দিবস মুসলমানদের জন্য ঈদের দিন হওয়া সত্ত্বেও এ দিবসে রোযা রাখার বিধান সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার মধ্যে রয়েছে। তাহলে সাওম বা রোযা হল ঈদের বিপরীত। সাওম বা রোযা পালন করলে ঈদ পালন করা যায় না, ঈদ ও সাওম কখনো এক সাথে হয় না। এই কথাগুলো কত বড় মিথ্যাচার ও পবিত্র হাদীছ শরীফ অস্বীকারের নামান্তর তা সহজেই বোধগম্য।
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার বিধান অনুযায়ী বছরে ৫ দিন রোযা রাখা হারাম।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
قد منع صيام خـمسة ايام يوم عيد الفطر وعيد الاضحى وثلاثة ايام بعده.
অর্থ : “বছরের পাঁচদিন রোযা রাখা নিষেধ। তা হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিত্বর উনার দিন, পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উনার দিন। আর পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উনার পরের তিন দিন।”
এখন উপরোক্ত হাদীছ শরীফ অনুযায়ী পবিত্র কুরবানী উনার দিন ও পরবর্তী ৩ দিন অর্থাৎ পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ উনার ১০, ১১, ১২ ও ১৩ তারিখ রোযা রাখা হারাম
আবার পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ اَبِىْ هُرَيْرَةَ رَضِىىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا مِنْ اَيَّامٍ اَحَبُّ اِلٰى اللهِ اَنْ يَّتَعَبُّدَ لَهُ فِيْهَا مِنْ عَشْرِ ذِى الْـحِجَّةِ يَعْدِلُ صِيَامُ كُلّ يَوْمٍ مِنْهَا بِصِيَامِ سَنَةٍ وَ قِيَامُ كُلّ لَيْلَةٍ مِنْهَا بِقِيَامِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ.
অর্থ : “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, দিনসমূহের মধ্যে এমন কোন দিন নেই যে দিন সমূহের ইবাদত মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস উনার প্রথম দশ দিনের ইবাদত অপেক্ষা অধিক প্রিয় বা পছন্দনীয়। পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস উনার ১ম দশ দিনের প্রতি দিনের পবিত্র রোযা উনার ফযীলত হচ্ছে ১ বছর রোযা রাখার সমপরিমাণ এবং প্রতি রাতের ইবাদত উনার ফযীলত হচ্ছে পবিত্র ক্বদরের রাত উনার ইবাদতের সমপরিমাণ।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ : কিতাবুছ ছওম : বাবু মা জায়া ফীল ‘আমালি ফী আইয়্যামিল ‘আশর : হাদীছ শরীফ নং ৭৫৮)
অত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস উনার ১ম দশ দিনের, প্রতি দিনের পবিত্র রোযা উনার ফযীলত ১ বছর রোযা রাখার সমপরিমাণ। কিন্তু পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস উনার ১০ম তারিখ হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আদ্বহা। তাহলে সে দিন রোযা রাখা যায় কিভাবে? সে দিন রোযা রাখা হারাম।
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার বিধান অনুযায়ী বছরে ৫ দিন রোযা রাখা হারাম।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
قد منع صيام خـمسة ايام يوم عيد الفطر وعيد الاضحى وثلاثة ايام بعده.
অর্থ : “বছরের পাঁচদিন রোযা রাখা নিষেধ। তা হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিত্বর উনার দিন, পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উনার দিন। আর পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উনার পরের তিন দিন।”
এখন উপরোক্ত হাদীছ শরীফ অনুযায়ী পবিত্র কুরবানী উনার দিন ও পরবর্তী ৩ দিন অর্থাৎ পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ উনার ১০, ১১, ১২ ও ১৩ তারিখ রোযা রাখা হারাম
আবার পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ اَبِىْ هُرَيْرَةَ رَضِىىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا مِنْ اَيَّامٍ اَحَبُّ اِلٰى اللهِ اَنْ يَّتَعَبُّدَ لَهُ فِيْهَا مِنْ عَشْرِ ذِى الْـحِجَّةِ يَعْدِلُ صِيَامُ كُلّ يَوْمٍ مِنْهَا بِصِيَامِ سَنَةٍ وَ قِيَامُ كُلّ لَيْلَةٍ مِنْهَا بِقِيَامِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ.
অর্থ : “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, দিনসমূহের মধ্যে এমন কোন দিন নেই যে দিন সমূহের ইবাদত মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস উনার প্রথম দশ দিনের ইবাদত অপেক্ষা অধিক প্রিয় বা পছন্দনীয়। পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস উনার ১ম দশ দিনের প্রতি দিনের পবিত্র রোযা উনার ফযীলত হচ্ছে ১ বছর রোযা রাখার সমপরিমাণ এবং প্রতি রাতের ইবাদত উনার ফযীলত হচ্ছে পবিত্র ক্বদরের রাত উনার ইবাদতের সমপরিমাণ।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ : কিতাবুছ ছওম : বাবু মা জায়া ফীল ‘আমালি ফী আইয়্যামিল ‘আশর : হাদীছ শরীফ নং ৭৫৮)
অত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস উনার ১ম দশ দিনের, প্রতি দিনের পবিত্র রোযা উনার ফযীলত ১ বছর রোযা রাখার সমপরিমাণ। কিন্তু পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস উনার ১০ম তারিখ হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আদ্বহা। তাহলে সে দিন রোযা রাখা যায় কিভাবে? সে দিন রোযা রাখা হারাম।
পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উনার দিন খাদ্য গ্রহণের নিয়ম সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ بُرَيْدَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنْ اَبِيْهِ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ لاَ يَـخْرُجُ يَوْمَ الْفِطْرِ حَتَّى يَأْكُلَ وَكَانَ لاَ يَأْكُلُ يَوْمَ النَّحْرِ حَتَّى يَرْجِعَ.
অর্থ : “হযরত ইবনে বুরাইদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি উনার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র ঈদুল ফিত্বর উনার দিন কিছু না খেয়ে বের হতেন না, আর পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উনার দিন পবিত্র হুজরা শরীফ উনার মধ্যে ফিরে না আসা পর্যন্ত কিছু খেতেন না।” (ইবনে মাজাহ শরীফ : কিতাবুস সিয়াম : হাদীছ শরীফ নং ১৮২৮)
অন্য বর্ণনায় বর্ণিত রয়েছে- “হযরত বুরাইদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উনার দিন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র কুরবানীর গোশত দিয়ে খাদ্য গ্রহণ করার আগ পর্যন্ত অন্য কিছু খেতেন না।” (মুস্তাদরিকে হাকিম : হাদীছ শরীফ নং ১১২৭; বাদায়িউছ ছানায়ে ১/৩২৪; বাহরুর রায়িক ২/১৬৩)
উপরোক্ত হাদীছ শরীফ উনার মাধ্যমে প্রমাণিত হলো যে, পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উনার দিন পবিত্র কুরবানীর গোশত দিয়ে দিনে খাদ্য গ্রহণ শুরু করার দ্বারাই ১টি পূর্ণ রোযা রাখার ফযীলত হাছিল করা যায়। তাহলে দেখা যাচ্ছে পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উনার দিনেও রোযার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ بُرَيْدَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنْ اَبِيْهِ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ لاَ يَـخْرُجُ يَوْمَ الْفِطْرِ حَتَّى يَأْكُلَ وَكَانَ لاَ يَأْكُلُ يَوْمَ النَّحْرِ حَتَّى يَرْجِعَ.
অর্থ : “হযরত ইবনে বুরাইদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি উনার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র ঈদুল ফিত্বর উনার দিন কিছু না খেয়ে বের হতেন না, আর পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উনার দিন পবিত্র হুজরা শরীফ উনার মধ্যে ফিরে না আসা পর্যন্ত কিছু খেতেন না।” (ইবনে মাজাহ শরীফ : কিতাবুস সিয়াম : হাদীছ শরীফ নং ১৮২৮)
অন্য বর্ণনায় বর্ণিত রয়েছে- “হযরত বুরাইদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উনার দিন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র কুরবানীর গোশত দিয়ে খাদ্য গ্রহণ করার আগ পর্যন্ত অন্য কিছু খেতেন না।” (মুস্তাদরিকে হাকিম : হাদীছ শরীফ নং ১১২৭; বাদায়িউছ ছানায়ে ১/৩২৪; বাহরুর রায়িক ২/১৬৩)
উপরোক্ত হাদীছ শরীফ উনার মাধ্যমে প্রমাণিত হলো যে, পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উনার দিন পবিত্র কুরবানীর গোশত দিয়ে দিনে খাদ্য গ্রহণ শুরু করার দ্বারাই ১টি পূর্ণ রোযা রাখার ফযীলত হাছিল করা যায়। তাহলে দেখা যাচ্ছে পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উনার দিনেও রোযার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
সুতরাং এটা প্রমাণিত হলো যে, সাওম বা রোযা ঈদের বিপরীত নয়। অর্থাৎ সাওম পালন করলেও ঈদ পালন করা যায়। ঈদ ও সাওম কখনো এক সাথে হয় আবার কখনো এক সাথে হয় না। তাই পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের দিবস উপলক্ষ্যে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি রোযা রেখেছেন বিধায় উক্ত মহান দিনে ঈদ পালন করা যাবে না- এর স্বপক্ষে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের কোন বিধানই নেই। বরং উপরোক্ত আলোচনা হতে প্রমাণিত যে, ঈদের দিনেও রোযা রাখা যায় এবং রোযা রেখেও ঈদ পালন করা যায় এবং ঈদ পালন করাটা কখনোই হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরুধীতা নয়। আর সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার বিধান যেখানে যেভাবে বলা হয়েছে সেখানে সেভাবেই মানতে হবে। নিজের মনগড়া মত প্রদান করার কোন সুযোগ নেই।
কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اَفَتُؤْمِنُوْنَ بِبَعْضِ الْكِتَابِ وَتَكْفُرُوْنَ بِبَعْضٍ ۚ فَمَا جَزَاءُ مَن يَفْعَلُ ذٰلِكَ مِنْكُمْ اِلَّا خِزْيٌ فِي الْـحَيَاةِ الدُّنْيَا ۖ وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ يُرَدُّوْنَ اِلٰى اَشَدّ الْعَذَابِ ۗ وَمَا اللهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُوْنَ ◌
অর্থ : “তোমরা কী কিতাবের কিছু মানবে আর কিছু অস্বীকার করবে? যারা এরূপ করে, পার্থিব জীবনে দূর্গতি ছাড়া তাদের আর কোনই পথ নেই। কিয়ামতের দিন তাদের কঠিন শাস্তি দেয়া হবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের কাজ-কর্ম সম্পর্কে বে-খবর নন।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৮৫)
কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اَفَتُؤْمِنُوْنَ بِبَعْضِ الْكِتَابِ وَتَكْفُرُوْنَ بِبَعْضٍ ۚ فَمَا جَزَاءُ مَن يَفْعَلُ ذٰلِكَ مِنْكُمْ اِلَّا خِزْيٌ فِي الْـحَيَاةِ الدُّنْيَا ۖ وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ يُرَدُّوْنَ اِلٰى اَشَدّ الْعَذَابِ ۗ وَمَا اللهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُوْنَ ◌
অর্থ : “তোমরা কী কিতাবের কিছু মানবে আর কিছু অস্বীকার করবে? যারা এরূপ করে, পার্থিব জীবনে দূর্গতি ছাড়া তাদের আর কোনই পথ নেই। কিয়ামতের দিন তাদের কঠিন শাস্তি দেয়া হবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের কাজ-কর্ম সম্পর্কে বে-খবর নন।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৮৫)