৪০ নং-সুওয়াল: কদমবুছী করা জায়িয কিনা? অনেকে বলে থাকে কদমবুছী করা শিরেক এবং হারাম। এটা কতটুকু সত্য দলীলসহ জানতে বাসনা রাখি।


সুওয়াল: কদমবুছী করা জায়িয কিনা? অনেকে বলে থাকে কদমবুছী করা শিরেক এবং হারাম। এটা কতটুকু সত্য দলীলসহ জানতে বাসনা রাখি।
জাওয়াব: আজকাল কিছু লোক আছে যারা কিল্লতে ইলম ও কিল্লতে ফাহম বা কম জ্ঞান কম বুঝের কারণে ইসলামী শরীয়ত উনার অনেক মাসআলা সম্পর্কে ভুল ফতওয়া দিয়ে থাকে। এর মধ্যে একটি হলো কদমবুছী। মূলতঃ কদমবুছী জায়িয ও সুন্নত। কেননা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম  রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কদমবুছী করেছেন।
তিরমিযী শরীফ, আবু দাউদ শরীফ, ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার আদাবুল মুফরাদ, হাকিম, বুখারী শরীফ কিতাব উনার শরাহ ফাতহুল বারী, ফেৃকহুস সুনান, ফতোয়ার কিতাব, ফতোয়ায়ে শামী, দুরুল মুখতার ইত্যাদি আরও বহু কিতাবে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ছাহাবায়ে কিরাম  রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুগণ উনারা, ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুগণ উনাদেরকে সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুগণ উনারাও কদমবুছী করেছেন বলে প্রমাণিত আছে।
আরও উল্লেখ্য যে, মাওলানা রশীদ আহমেদ ছাহেব তিনি ফতোয়ায়ে রশীদিয়াকিতাবে পীর ছাহেব-ওস্তাদ, মাতা-পিতা ও মুরুব্বীগণকে কদমবুছী করা জায়েয বলেছেন।
{বিশেষ দ্রষ্টব্য: বর্তমানে যা করা হয় তা কদমবুছী নয় দস্তবুসী। কদমবুছী শব্দের অর্থ হলো সরাসরি মুখ দিয়ে পায়ে চুমা দেয়া। আর দস্তবুসী শব্দের অর্থ হলো হাত দিয়ে পা স্পর্শ করে হাতে চুমা দেয়া। কাজেই বর্তমানে প্রচলিত দস্তবুসী জায়েয ও সুন্নত।
আবা-৬

0 Comments: