৫৭ নং- সুওয়াল - কোন কোন আলেম রুমাল পরতে নিষেধ করেন। কারণস্বরূপ তারা বলে, ‘এটা মেয়েদের পোশাক।’ আবার কেউ কেউ বলে, ‘রুমাল পরা জায়েয বা সুন্নত; তবে এটা পাগড়ীর সাথে পরা উচিত নয় বা মাকরূহ তাহরীমী।’ এটার সঠিক ফয়সালা জানালে বাধিত হবো ?

সুওয়াল - কোন কোন আলেম রুমাল পরতে নিষেধ করেন। কারণস্বরূপ তারা বলে, ‘এটা মেয়েদের পোশাক।’ আবার কেউ কেউ বলে, ‘রুমাল পরা জায়েয বা সুন্নত; তবে এটা পাগড়ীর সাথে পরা উচিত নয় বা মাকরূহ তাহরীমী।’ এটার সঠিক ফয়সালা জানালে বাধিত হবো ?

 জাওয়াব ঃ ‘কিল্লতে ইলম কিল্লতে ফাহম’ অর্থাৎ কম জ্ঞান কম বুঝই ফিৎনার মূল। আর এই কম জ্ঞান কম বুঝের কারণেই বিভিন্নজন ভুল ফতওয়া দিয়ে থাকেন। মূলতঃ রুমাল পরা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভূক্ত। এটা আমারা বিভিন্ন সীরাতগ্রন্থে উল্লেখ দেখতে পাই। এছাড়া পাগড়ীর সাথে রুমালের ব্যবহারও আমরা কিতাবে উল্লেখ দেখতে পাই। কাজেই বিনা তাহকীকে কোন কথা বলা ঠিক নয়। মেয়েদের জন্য ছেলেদের পোশাক এবং ছেলেদের জন্য মেয়েদের পোশাক পরা জায়েয নেই। এবং যদি বলা হয় নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মেয়েদের পোশাক পরেছেন তাহলে এটা কুফরী হবে। এবং এটার থেকে খালেছ তওবা করা উচিত। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, জাহান্নামীদের জিজ্ঞেস করা হবে, তোমরা কেন জাহান্নামে গেলে? তারা বলবে- আমরা নামায পড়িনি, গরীব-মিসকিনকে খাদ্য খাওয়াইনি, আর যারা পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদেরকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করেছে আমরা তাদের সাথে পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করেছি। এবং পরকাল অস্বীকার করেছি মৃত্যু আসা পর্যন্ত। উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ এবং আরও অন্যান্য পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি যারা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করে তাদের সম্পর্কে কঠোর শাস্তির কথা উল্লেখ করেছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র ‘সুরা হুজরাত’ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন, হে ঈমানদারগণ! তোমাদের কাছে যদি কোন সংবাদ আসে তবে তাহকীক করে গ্রহণ করো। আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, কোন ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা জানে তাই বলে। সুতরাং আমাদের তাহক্বীক্ব না করে কোন কথা বলা উচিত নয় এবং যারা তাহক্বীক্ব না করে কথা বলে তাদের কথাও গ্রহণ করা উচিত নয় (বুখারী শরীফ, আরবাঈন, আল মুর্শিদুল আমিন)
আবা-৮

0 Comments: