৩৯ নং-সুওয়াল: জনৈক পীর ছাহেব উনাকে উনার বাড়ীর বার্ষিক মাহফিলে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, কোন কোন তরীকার মুরীদরা যিকির করার সময় নিয়ত করে যে, ‘আমি আমার ক্বালবের দিকে মুতাওয়াজ্জেহ আছি, আমার ক্বালব জনাব পীর ছাহেব কিবলা উনার ক্বালবের দিকে মুতাওয়াজ্জেহ আছে।’ এরূপ নিয়ত করা সঠিক কিনা? উত্তরে তিনি বললেন, ‘যদি মুরীদ এরূপ নিয়ত করে এবং সে সময় পীর সাহেব পায়খানায় থাকেন তখন পীর ছাহেবের ক্বলব কোথায় থাকে এবং তখন মুরীদের কি অবস্থা হবে?’


সুওয়াল: জনৈক পীর ছাহেব উনাকে উনার বাড়ীর বার্ষিক মাহফিলে প্রশ্ন করা হয়েছিল যেকোন কোন তরীকার মুরীদরা যিকির করার সময় নিয়ত করে যে, ‘আমি আমার ক্বালবের দিকে মুতাওয়াজ্জেহ আছি, আমার ক্বালব জনাব পীর ছাহেব কিবলা উনার ক্বালবের দিকে মুতাওয়াজ্জেহ আছে।এরূপ নিয়ত করা সঠিক কিনা? উত্তরে তিনি বললেন, ‘যদি মুরীদ এরূপ নিয়ত করে এবং সে সময় পীর সাহেব পায়খানায় থাকেন তখন পীর ছাহেবের ক্বলব কোথায় থাকে এবং তখন মুরীদের কি অবস্থা হবে?’
এর সঠিক উত্তর কি জানতে বাসনা রাখি।
জাওয়াব: উপরোক্ত জবাব যে ব্যক্তি দিয়েছে মনে হয় সে নেহায়েতই মূর্খ। শুধু তাই নয়, বক্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে আশাদ্দুদ দরজার জাহেলও বটে এবং তাকে পীর নামে সম্বোধন করলে পীর নামের কলঙ্ক হবে। কোন হক্কানী পীর ছাহেব এধরণের কথা বলতে পারেন না কেননা এটা বলা নাজায়েয। কারণ পীর ছাহেব যখন ইস্তেঞ্জাখানায় যান তখন তিনি তার ক্বলব কি বাইরে রেখে যান? মূলত তা নয় বরং ক্বলবসহই ইস্তেঞ্জাখানায় প্রবেশ করেন আর পীর ছাহেবই-ইস্তেঞ্জাখানায় গেলেই উনার বেলায়েতের কোন ত্রুটি হয় না। সেখানেও তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী থাকেন।
কাজেই ইস্তেঞ্জাখানায় গেলেই যদি বেলায়েতের ত্রুটি হতো তাহলে কোন আউলিয়ায়ে কিরামগণই ইস্তেঞ্জাখানায় যেতেন না এবং শুধুমাত্র হযরত আউলিয়ায়ে কিরামই নন সমস্ত হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম এবং স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও ইস্তেঞ্জাখানায় গিয়েছেন। কাজেই ইস্তেঞ্জাখানায় গেলেই বেলায়েতের বা নবুওয়াতের কোন ত্রুটি হয় না। বরং ইস্তেঞ্জাখানায় হাজত পুরা করার জন্য যাওয়াও একটি ইবাদত। কারণ ইসলামের প্রত্যেকটি ইবাদতের মূল হলো তাহারাত। তাহারাত ছাড়া কোন ইবাদতই কবুল হবে না। আর ইস্তেঞ্জাখানা ব্যতীত তাহারাত হাসিল করা সম্ভব নয়।
এজন্যই কিতাবে উল্লেখ করা হয়, হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনারা নবীই থাকেন যদিও উনারা শিশু হন অথবা যে কোন স্থানে থাকেন না কেন। আর ওলীগণ উনারা ওলীই থাকেন যদিও উনারা শিশু হন অথবা যে কোন স্থানে অবস্থান করেন না কেন।
উপরোক্ত সুওয়ালে বর্ণিত আমি আমার ক্বলবের দিকে মুতাওয়াজ্জেহ আছি, আমার ক্বালব হযরত পীর ছাহেব কিবলা উনার ক্বলব মোবারক উনার দিকে মুতাওয়াজ্জেহ আছে অথবা আমার ক্বালব হযরত পীর ছাহেব কিবলা উনার ক্বলব মোবারক উনার ওসীলায় নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ক্বলব মোবারক উনার দিকে মুতাওয়াজ্জেহ আছে অথবা হযরত পীর ছাহেব কিবলা উনার ক্বলব মোবারক উনার ওসীলায় মহান আল্লাহ পাক উনার দিকে মুতাওয়াজ্জেহ আছে ইত্যাদি নিয়মে নিয়ত করা ইসলামী শরীয়ত সম্মত ও কিতাবের দ্বারা প্রমানিত। হযরত মুজাদ্দিদে আলফে সানী  রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি দ্বিতীয় হাজারের মুজাদ্দিদ। তিনি উনার মকতুবাত শরীফকিতাব উনার মধ্যে, হযরত শাহ ওয়ালীউল্লাহ্ মুহাদ্দিস দেহলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি একাদশ শতকের মুজাদ্দিদ তিনি উনার আল কাওলুল জামীল’, ‘শেফাউল আলীইত্যাদি আরও অনেকে কিতাবে উপরোক্ত নিয়মে নিয়ত করার কথা উল্লেখ করেছেন।
আবা-৬

0 Comments: