৪১ নং-সুওয়াল: নামায কায়িম করা বলতে কি বুঝায়? আজকাল কিছু বেশরা, বেদাতী ভন্ড ফকির ধরণের লোক বলে থাকে, ‘মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে নামায কায়েম করার কথা বলেছেন কিন্তু পড়ার কথা বলেননি।


সুওয়াল: নামায কায়িম করা বলতে কি বুঝায়? আজকাল কিছু বেশরা, বেদাতী ভন্ড ফকির ধরণের লোক বলে থাকে, ‘মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে নামায কায়েম করার কথা বলেছেন কিন্তু পড়ার কথা বলেননি। 
জাওয়াব: পবিত্র ইসলামী শরীয়ত সম্পর্কে তারা নেহায়েতই অজ্ঞ এবং আশাদ্দুদ দরজার জাহিলও বটে। কারণ নামায কায়েম করার অর্থ হলো নিজে পড়া এবং অধীনস্থদের পড়ানো অর্থাৎ নামায প্রতিষ্ঠিত করা। যেমন পবিত্র সুরা ত্বোহা শরীফউনার ১৩২ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন, “আপনি আপনার পরিবারবর্গকে নামায পড়ার জন্য আদেশ করুন এবং তার মধ্যে ধৈর্যের সহিত কায়েম থাকার জন্য বলেন।যেমন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “তোমরা ঐভাবে নামায পড়, যে ভাবে আমাকে নামায পড়তে দেখ।
কাজেই পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি নামায সম্পর্কে কায়েম শব্দটাই বেশী ব্যবহার করলেও শুধু এ শব্দ দিয়েই যে নামাযের আদেশ করা হয়েছে তা নয় বরং অন্যান্য শব্দ দ্বারাও সরাসরি নামায পড়ার আদেশ করেছেন। আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে কায়েমের সাথে সাথে অন্য শব্দের মাধ্যমে সরাসরি নামায পড়ার জন্য আদেশ করা হয়েছে। কাজেই তাদের এসকল কথা অবান্তর ও বাতুলতার নামান্তর।
আবা-৬

0 Comments: