৬৮ নং-সুওয়াল: শরীয়তে মোছ রাখা জায়িয আছে কি? যদি জায়িয থাকে তবে কতটুকু রাখতে হবে? অনেকেই বলে থাকেন মোছ ভিজানো পানি পান করা হারাম। তবে কি মোছ রাখা হারাম? সঠিক ফয়সালা কোনটি তা জানতে ইচ্ছা পোষণ করি?

সুওয়াল: শরীয়তে মোছ রাখা জায়িয আছে কি? যদি জায়িয থাকে তবে কতটুকু রাখতে হবে? অনেকেই বলে থাকেন মোছ ভিজানো পানি পান করা হারাম। তবে কি মোছ রাখা হারাম? সঠিক ফয়সালা কোনটি তা জানতে ইচ্ছা পোষণ করি?

জাওয়াব: হ্যাঁ শরীয়তের দৃষ্টিতে মোছ রাখা জায়িয আছে এবং মাপ মতো মোছ রাখা সুন্নত। হযরত আব্দুল হক মুহাদ্দেস দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি আশআতুল লুমআত কিতাবে উল্লেখ করেছেন চোখের ভ্রু যেরূপ, সেরূপ মাপের মোছ রাখতে হবে। এটা হযরত ইমাম আযম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মত। অনেকে বলে থাকেন মোছের পানি পান করা হারাম এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট, মনগড়া, কাল্পনিক। মূলত: শরীয়তে এটার কোন দলীল নেই। এটা মূর্খলোকদের কুসংস্কার এবং বদআকীদা। মোছ রাখা হারাম নয় বরং মোছ চেছে ফেলাটা মাকরূপ তাহরীমী। এটা আশআতুল লুমআত, মেরকাতে উল্লেখ করা হয়েছে। আর গায়তুল আওতারে উল্লেখ করা হয়েছে, চেছে ফেলাটা বিদআত। কাজেই মোছ কেচী দিয়ে ছোট ছোট করে রাখতে হবে। যাতে উপরের ঠোটের প্রান্তভাগ প্রকাশ পায়। গায়তুল আওতার ও মুজতবা ইত্যাদি কিভাবে উল্লেখ করা হয়েছে এটা সর্ববাদীসম্মতমতে সুন্নত। আর নীচের ঠোটের নীচের পশমগুলি বা নিমদাড়ি কাটাও বিদআত। এটা আলমগীরা, শামী, গরোইব ইত্যাদি কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আবা-১০

0 Comments: