৪২ নং-সুওয়াল: গুটলীওয়ালা কোনাবন্ধ সুন্নতী জামা পরিধান করলে কোন কোন মাদ্রাসার লোকেরা এই বলে হাস্য বিদ্রুপ করে যে এটা মহিলাদের পোশাক। পবিত্র শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে এটার ফয়সালা কি?


সুওয়াল: গুটলীওয়ালা কোনাবন্ধ সুন্নতী জামা পরিধান করলে কোন কোন মাদ্রাসার লোকেরা এই বলে হাস্য বিদ্রুপ করে যে এটা মহিলাদের পোশাক। পবিত্র শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে এটার ফয়সালা কি? জাওয়াব: কোন পবিত্র সুন্নত মুবারক উনাকে ঠাট্টা তামাসা করা, হাস্য বিদ্রুপ করা কুফরী। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “জাহান্নামীদের জিজ্ঞেস করা হবে তোমরা কেন জাহান্নামে গেলে? তারা বলবে আমরা নামায পড়ি নাই, গরীব মিসকিনকে খাদ্য খাওয়াই নাই। আর যারা পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদেরকে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করেছে আমরা তাদের সাথে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করেছি। এবং পরকাল অস্বীকার করেছি মৃত্যু আসা পর্যন্ত।
উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ এবং আরও অন্যান্য পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি যারা পবিত্র কুরআন শরীফ ও  পবিত্র সুন্নাহ শরীফ নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করে তাদের সম্পর্কে কঠোর শাস্তির কথা উল্লেখ করেছেন।
আকাইদে নসফী শরীফ এবং অন্যান্য আকাইদ উনাদের কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কেউ যদি সুন্নত মুবারক উনাদেরকে অবজ্ঞা বা ইহানত করে সে কুফরী করলো। যেমন কদু বা লাউ খাওয়া সুন্নত। যদি কেউ বলে আমি কদু বা লাউ পছন্দ করি না তাহলে সে কুফরী করল বা কাফির হলো।
কাজেই যে সমস্ত লোক সুন্নতী কোর্তাকে মহিলাদের পোশাক, আর ফাঁড়া লুঙ্গীকে হিন্দুদের ধূতি, রূমালকে মহিলাদের ওড়না, পাগড়ীকে শিখদের পাগড়ী ইত্যাদি বলে সুন্নতী আমলকে হাস্য বিদ্রুপ ঠাট্টা-তামাসা করে থাকে তারা কুফরী করলো। সুতরাং তাদের উচিত তওবা করা এবং এ সমস্ত আমল নিজেদেরও করা।
আবা-৬

0 Comments: