দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া ( ৪ নং )


দাড়ী ও গোঁফের শরয়ী আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া
গবেষণা কেন্দ্র : মুহম্মদীয়া জামিয়া শরীফ
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

[সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন উনার এবং অসংখ্য দরূদ ও সালাম মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্নাবয়্যিীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি। মহান আল্লাহ পাক উনার অশেষ রহমতে আমাদের গবেষণা কেন্দ্র, “মুহম্মদীয়া জামিয়া শরীফ উনারফতওয়া বিভাগের তরফ থেকে বহুল প্রচারিত, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, বাতিলের আতঙ্ক মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফপত্রিকায় যথাক্রমে টুপির ফতওয়া, অঙ্গুলী চুম্বনের বিধান, নিয়ত করে মাজার শরীফ জিয়ারত করা, ছবি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় হারাম হওয়ার ফতওয়া, জুমুয়ার নামায ফরযে আইন ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফতওয়া, মহিলাদের মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া মাকরূহ্ তাহরীমী সম্পর্কে ফতওয়া, কদমবুছী ও তার প্রাসঙ্গকি বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া, তাহাজ্জুদ নামায জামায়াতে পড়া মাকরূহ্ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ্ এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া, ফরয নামাযের পর মুনাযাত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া, ইনজকেশন নেয়া রোযা ভঙ্গের কারণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া, তারাবীহ্ উনার নামাজে বা অন্যান্য সময় পবিত্র কুরআন শরীফ খতম করে উজরত বা পারিশ্রমিক গ্রহণ করা ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া এবং তারাবীহ্ নামায বিশ রাকায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া প্রকাশ করার পর ৩০তম সংখ্যা থেকে ত্রয়োদশ ফতওয়া হিসাবে দাড়ী ও গোঁফের শরয়ী আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া প্রকাশ করে আসতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার দরবার শরীফ-এ অসংখ্য শুকরয়িা।]
ভূমিকায় বর্ণিত আলোচনা দ্বারা সুস্পষ্টভাবেই দাড়ী ও গোঁফের শরয়ী আহকাম প্রমাণিত হয়েছে। এরপর আলাদাভাবে দলীল পেশ করার যদিও প্রয়োজন নেই, তথাপি সহীহ্ সমঝ ও ফতওয়ার মজবূতীর জন্যে আলাদাভাবে দাড়ী ও গোঁফ সম্পর্কিত বিষয়ে নির্ভরযোগ্য ও বিশ্ববখ্যিাত কতিাবসমূহ হতে অকাট্য ও নির্ভরযোগ্য দলীলসমূহ পেশ করা হলো।
কমপক্ষে একমুষ্ঠি পরিমাণ দাড়ী রাখা ফরয/ওয়াজিব, আর এর চেয়ে কমে কাটা ও মুণ্ডন করা হারাম হওয়ার অকাট্য দলীলসমূহ
পবিত্র কালামুল্লাহ্ শরীফ উনার পবিত্র আয়াত শরীফ দ্বারাও দাড়ী রাখার আবশ্যকতা ও দাড়ী কাটার নিষিদ্ধতা প্রমাণিত হয়। যেমন- মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা নিসা শরীফ উনার১১৯নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
ولامرن هم فليغيرن خلق الله- الخ
অর্থ : “(ইবলিসের অঙ্গিকার) আর আমি তাদেরকে আদেশ করবো, যাতে তারা মহান আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টিতে বিকৃতি বা পরিবর্তন ঘটাবে। ............উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার তাফসীরে (ব্যাখ্যায়) মুফাসসিরীনে কিরাম উনারা বলেন,
 (1) وخص من تغير خلق الله تعالى ........ وخضب للحية وقص مازاد منها على السنة ونـحو ذالك. (تفسير روح الـمعانى ج 3 صفه 15 ........ وتغير فطرة الله تعالى التى هى الاسلام
অর্থ : মহান আল্লাহ পাক উনার ফিৎরাতের পরিবর্তন মূলত পবিত্র ইসলাম উনারাই পরিবর্তন ......... এবং বিশেষ করে মহান আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টির পরিবর্তনের মধ্যে ........ দাড়ীতে (কালো) খেজাব ব্যবহার করা এবং এক মুষ্ঠির কমে দাড়ী কাটা ইত্যাদিও অন্তর্ভুক্ত।” (তাফসীরে রুহুল বয়ান ৩য় জিঃ পৃষ্ঠা-১৫০)
(2) ومنها التنمص وهو نتف شعورالوجه. (تفسير روح البيان ج 6 صفه 688)..........(ولامر نهم فلغيرن خلق الله)
অর্থ : মহান আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টির পরিবর্তন করার মধ্যে (التنمص) তানাম্মুছও অন্তর্ভুক্ত। আর তা হচ্ছে চেহারার লোম উৎপাটন করা, অর্থাৎ দাড়ী কেটে ফেলা।” (তাফসীরে রুহুল বয়ান, ২য় জিঃ পৃষ্ঠা-২৮৮)

(৩) (র্উদু হবে) (ولامرنهم فييغرن خلق الله) اور ايت مين هرتغير

অর্থ : আর উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার দ্বারা প্রত্যেক পরিবর্তনেক গুণাহের কারণ বলা উদ্দেশ্য নয়। বরং যে সকল পরিবর্তন ফিৎনার কারণ, সেটাই গুণাহের কারণ। যেমন- দাড়ী চেঁছে ফেলা। ....” (তাফসীরে কামালাঈন ফী শারহিল জালালাঈন, ২য় জিঃ পৃষ্ঠা-১০৬)

(৪) (র্উদু হবে)

অর্থ : “(ইবলিস বলেছিল) আমি আরো শিক্ষা দিব, যদ্বারা মানুষ মহান আল্লাহ পাক উনার দেয়া আকৃতিকে বিকৃত করবে। মূলত এগুলো ফাসিকী কাজের অন্তর্ভুক্ত। যেমন- দাড়ী মুন্ডন করা, শরীরে উল্কি উৎপন্ন করা ইত্যাদি।” (তাফসীরে বয়ানুল ক্বুরআন, ২য় জিঃ পৃষ্ঠা-১৫৯)

(৫) (র্উদু হবে)
অর্থ : উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার দ্বারা এটাই বুঝানো হয়েছে যে, মানুষের পরিবর্তনীয় বিষয় এই যে, জীবিত থাকার আশায় কান অথবা নাক ছিদ্র করতো, মহিলারা সৌন্দর্য্যের জন্যে খোপায় সোনা চান্দির অলংকার ব্যবহার করতো, রেত দিয়ে দাঁতসমূহ পাতলা করতো, পুরুষদেরকে খাশি করাতো .............. এর মধ্যে দাড়ী মুন্ডন করাও এসে যায়। অর্থাৎ দাড়ী মুন্ডন করাও আকৃতি বিকৃত হওয়ার অন্তর্ভুক্ত।” (তাফসীরে হক্বানী ৫ম জিঃ পৃষ্ঠা-৫৯)

(৬-৭) (র্উদু হবে)
অর্থ : “(আকৃতি বিকৃত করার) মধ্যে যেহেতু দাড়ী মুন্ডন করাও অন্তর্ভুক্ত, সেহেতু প্রমাণিত হলো যে, যে তরীক্বার মধ্যে দাড়ী মুণ্ডন করাকে শিয়ারবানানো হয়েছে, সেটা শয়তানী তরীক্বা।যদিও মূর্খ লোকেরা এটার নাম রেখেছে তরীক্বায়ে কলন্দরিয়া।” (তাফসীরে কামালাঈন ফী শারহিল জালালাঈন, ১ম জিঃ পৃষ্ঠা-১০৭, অনুরূপ তাফসীরে বয়ানুল ক্বুরআন উনার মধ্যে উল্লেখ আছে) সূরা নিসা শরীফ” উনার উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার দ্বারা এটাই প্রমাণিত হলো যে, এক মুষ্ঠির কমে দাড়ী মুন্ডন করা বা ছাটা শয়তানী নির্দেশ পালন করার নামান্তর, যেটা শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম। আর শরীয়ত উনার উসূল হলো- ماادى الى الحرام فهو حرام অর্থাৎ যে জিনিস হারামের দিকে নিয়ে যায়, তাও হারাম।
কাজেই দাড়ী মুণ্ডন করার কারণে যেহেতু ইবলিসের নির্দেশ পালন করা হয়, যেটা ইসলামী শরীয়ত উনার আলোকে হারাম। সেহেতু দাড়ী মুন্ডন করা বা এক মুষ্ঠির কমে দাড়ী ছাটাও হারাম। আর হারাম থেকে বেঁচে থাকা ফরয/ওয়াজিবের অন্তর্ভুক্ত।
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা আম্বিয়া শরীফউনার ৭৪নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
ونـجيناه من القرية التى تعمل الخبائث- الخ-
অর্থ : আমি হযরত লূত আলাইহিস সালাম উনাকে অসৎ কার্যে লিপ্ত ক্বওম থেকে মুক্তি দিয়েছেন। আর অসৎ কার্যে লিপ্ত ক্বওমকে ধ্বংস করে দিয়েছেন।
পবিত্র সূরা আম্বিয়া শরীফউনার উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার তাফসীরে মুফাসসিরীনে কিরাম উনারা বলেন,
() فقد اخرج اسحاق بن بشر والخطيب وابن عساكر عن الحسن قال رسول الله صلى الله عليه وسلـم- عشر خصال عملتها قوم لوط بها هلكوا اتيان الرجال بعضهم بعضا ..................... شرب الخمور وقص اللحية وطول الشارب ................... ولباس الحرير. (تفسير روح الـمعانى ج صفه৭২)
অর্থ : হযরত ইসহাক ইবনে বুশর, খতীব এবং ইবনে আসাকরি, হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম তিনি বর্ণনা করেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, যে দশটি বদ স্বভাব বা আমলের কারণে লূত সম্প্রদায়কে ধ্বংস করা হয়েছে, তা হচ্ছে বলৎকার, ......... শরাব পান, দাড়ী কর্তন, গোঁফ লম্বাকরণ ......... ও রেশমী কাপড় পরিধান করা।” (তাফসীরে রুহুল মায়ানী, ৯ম জিঃ পৃষ্ঠা-৭২)
(৯) (র্উদু হবে)
অর্থ : আর হযরত লূত আলাইহিস সালাম উনাকে নুবুওওয়াত ও ফাহমে সালীম দান করেছি এবং সুদুম বস্তি হতে মুক্তি দিয়েছেন। যে বস্তির বাসিন্দারা মন্দ, মন্দ কাজে লিপ্ত ছিল। যেমন- কবুতর বাজী, গান-বাজনা, দাড়ী কাটা ইত্যাদি, যা বর্তমান যামানার বিশেষ সংস্কৃতি।” (তাফসীরে ইবনে আব্বাস, ৪র্থ জিঃ পৃষ্ঠা-২৪)

(১০) (র্উদু হবে)
অর্থ : এবং হযরত লূত আলাইহিস সালাম উনাকে আমি হিকমত ও ইলম (হযরত নবী আলাইহমিুস সালাম উনাদের জন্যে যে শান প্রযোজ্য) দান করেছি। আর আমি উনাকে এরূপ বস্তি হতে মুক্তি দিয়েছি, যে বস্তির বাসিন্দারা মন্দ কাজ করতো, এর মধ্যে সবচেয়ে মন্দ কাজ ছিল বলৎকার।তাছাড়া অন্যান্য আরো মন্দ কাজের তারা অভ্যস্ত ছিল। (যেমন) ঢিল ছোঁড়া, কবুতর বাজী, গান-বাজনা, শরাব পান করা, দাঁড়ী কাটা ও মোছ লম্বা করা ....... ইত্যাদি।(তাফসীরে বয়ানুল কুরআন, ৭ম জিঃ পৃষ্ঠা-৫৪)
মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন, “পবিত্র সূরা হাশর শরীফ উনার৭নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
وما اتاكم الرسول فخذوه وما نهاكم عنه فانتهوا
অর্থ : নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তোমাদেরকে যা দান (আদেশ) করেন, তা আঁকড়িয়ে ধর এবং যার থেকে বিরত থাকতে বলেন, তার থেকে বিরত থাক।উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় মুফাসসিরীনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারা বলেন,
(১১) واماثقب الاذن فمباح للنساء لاجل التزبين بالقرط والحرام على الرجل كحلق اللحية = (تفسير روح البيان ج صفه৪২৯)
অর্থ : মহিলাদের সৌর্ন্দয বৃদ্ধির জন্যে কান ছিদ্র করা জায়িয। কিন্তু পুরুষের জন্যে তা হারাম, যেমন পুরুষের জন্যে দাড়ী মুন্ডন করা হারাম।(তাফসীরে রুহুল বয়ান, জিঃ ৯ পৃষ্ঠা-৪২৯)
সুতরাং উপরোক্ত পবিত্র কুরআন শরীফ উনার তিনখানা পবিত্র আয়াত শরীফ ও উনার তাফসীর বা ব্যাখ্যা দ্বারা এটাই প্রমাণিত হলো যে, ১। দাড়ী মুণ্ডন করা আকৃতি বিকৃত করা ও শয়তানের নির্দেশ পালন করার নামান্তর। ২। দাড়ী মুণ্ডন করা মহান আল্লাহ পাক উনার আযাব-গযব তথা অসন্তুষ্টি লাভের কারণ। যেমন দাড়ী মুণ্ডন করার কারণে ক্বওমে লূতের উপর মহান আল্লাহ পাক উনার আযাব-গযব ও অসন্তুষ্টি অবর্তীণ হয়েছিল। ৩। দাড়ী মুণ্ডন করা মূলত মহান আল্লাহ পাক ও সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নির্দেশ অমান্য করার শামিল, যেটা স্পষ্টতঃ হারাম। অতএব, পুরুষের জন্যে দাড়ী মুন্ডন করা এবং এক মুষ্ঠির কমে দাড়ী ছাটা, কাটা সম্পূর্ণ হারাম।
(১২-১৩) وقد قام الدليل على وجوب اعفاء اللحية وقص الشارب وهو مارواه احمد والنسائى والترمذى وقال حديث صحيح عن زيد بن ارقم رضى الله عنه قال- قال رسول الله صلى الله عليه وسلـم- من لـم ياخذ شاريه فليس منا- وعن ابى هريرة رضى الله عنه قال- قال رسول الله صلى الله عليه وسلـم- جزوا الشوارب وارخوا اللحى خالفوا الـمجوس رواه احمد ومسلـم وعن ابن عمر عن النبى صلى الله عليه وسلـم- خالفوا الـمشر كين وفروا اللحى واحفوا الشوارب (متفق عليه) زادالبخارى وكان ابن عمر اذا حج اواعتمر قبض على الحيته فما فضل اخذ- وكذا فى النيل الاوطار--১১১ والامر للوجوب كما تقرر فى الاصول= (تفسير احكام القران للضشفيع ج صفه৬৫)
অর্থ : দাড়ী লম্বা করা ওয়াজিব হওয়া ও মোঁছ ছোট করার দলীল এই যে, যা আহমদ শরীফ, নাসাঈ শরীফ, তিরমিযী শরীফ উনাদের মধ্যে যায়িদ ইবনে আরক্বাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে সহীহ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “যে নিজ মোঁছ ছোট করেনা, সে আমার দলভূক্ত নয়।আর হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “গোঁফ ছোট কর, দাড়ী লম্বা কর, মজুসীদের বিপরীত কর।ইহা আহমদ ও মুসলিম বর্ণনা করেন। হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করেন, “মুশরিকদের বিরোধিতা কর, দাড়ী লম্বা কর, গোঁফ ছোট কর।” (মুত্তাঃ আলাইহি) ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি ইহা বাড়িয়ে বর্ণনা করেন যে, হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু যখন পবিত্র হজ্জ ও উমরাহ্ পালন করতেন, তখন নিজ দাড়ি মুবারক মুষ্ঠিতে আবদ্ধ করে অতিরিক্তগুলো ছেটে ফেলতেন। অনুরূপ নাইলুল আওতার ১ম জিঃ পৃষ্ঠা-১১১তে উল্লেখ আছে। আর (امر) আদেশটা ওয়াজিবের জন্যে ব্যবহৃত হয়, যা উসূলের কিতাবে বর্ণিত রয়েছে।(তাফসীরে আহকামুল কুরআন লিশ শফী, ১ম জিঃ পৃষ্ঠা-৬৫)
(১৪-১৬)  من تنقيح الفتاوى الحامدية ج صفه ৩৬৯- ولـما بعث باذان اليمن كتاب كسرى الى النبى صلى الله عليه وسلـم مع قهر مانه وبعث معه رجلا اخر من الفرس- فلـما قدما عليه صلى الله عليه وسلـم الـمدينة وكانا على ذى الفرس من الحاهم واعفاء شواربهم كره رسول الله صلى الله النظر اليهما- ثم قال لهما ويلكما من امر كما بهذا قالا امرنا ربنا يعينان كرى- فقال رسول الله صلى الله عليه وسلـم- ولكن امرنى ربى باعفاء لحيتى وقص شاربى= (كذا فى السيرة الحلبية ج صفه= وفيه دلالة واى دلالة على انه صلى الله عليه وسلـم كره ذالك للكفار فضلا عن الـمسلـمين وكره النظر الى من حلق للحية ووفر الشوارب. (تفسير احكام القران للشفيع ج صفه৬৬)
অর্থ : ফতওয়ায়ে হামিদিয়াহ ১ম জিঃ ৩৬৯ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে যে, যখন কিসরা বাদশা ইয়ামেনের গভর্ণর বাজানেক অন্য একজন পারস্য লোকসহ চিঠি দিয়ে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দরবার শরীফ উনার মধ্যে পাঠাল। তারা উভয়ে যখন পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মুখে উপস্থিত হলো- মূলত তারা ছিল পারস্যের অধিবাসী, তাদের দাড়ী ছোট ছিল ও মোঁছ দীর্ঘ ছিল। (তাই) নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাদের দিকে দৃষ্টি করতে অপছন্দ করলেন। অতঃপর বললেন, তোমাদের সর্বনাশ হোক, তোমাদেরকে এ আকৃতি ধারণ করতে কে নির্দেশ দিয়েছেতারা বললো, আমাদের প্রভূ কিসরা বাদশা আমাদেরকে এ আকৃতি ধারণ করতে নির্দেশ দিয়েছে। (একথা শুনে) সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, কিন্তু আমার রব আমাকে দাড়ী লম্বা করার ও মোঁছ ছোট করার নির্দেশ দিয়েছেন। (অনুরূপ সীরতে হালবিয়াতে উল্লেখ আছে) উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দাঁড়ী কেটে ফেলা ও মোঁছ লম্বা করাকে কাফিরের জন্যেও অপছন্দ করেছেন। যা মুসলমানদের জন্যে আরো বেশি অপছন্দের কারণ। (শুধু তাই নয়) যারা দাঁড়ী মুণ্ডন করেছে ও মোঁছ লম্বা রেখেছে, তাদের প্রতি দৃষ্টপিাত করতওে অপছন্দ করেছেন।(তাফসীরে আহকামুল কুরআন লিশ শফী ১ম জিঃ পৃষ্ঠা-৬৬)
 (১৭-১৮) وقال العلائى فى كتاب الصوم من الدر قبيل فضل
 العوارض- ان الاخذ من اللحية وهى دون القبضة كما يفعله بعضى الـمغاربة ومحنثة الرجال لـم بيحه احد- واخذ كلها فعل يهود والهنود ومجوس الاعاجم. (تفسير احكام القران ج صفه৬৬)
অর্থ : হযরত আলাঈ রহমতুল্লাহি আলাইহি দুরের কবীল ফাছলুল আওয়ারজি হতে কিতাবুছ ছওমে উল্লেখ করেন, নিশ্চয় এক মুষ্ঠির কমে দাঁড়ী কাটা, যেমন কিছু পশ্চিমা ও নপুংষকরা করে থাকে, কেউ এটাকে জায়িয বলেননি। আর দাড়ী সম্পূর্ণ মুণ্ডন করে ফেলা ইহুদী, হিন্দু ও মজুসীদের কাজ।(তাফসীরে আহ্কামুল কুরআন, ১ম জিঃ পৃষ্ঠা-৬৬)
(১৯)  فاما قص الشارب واعفاء اللحية فمخالفة للاعاجم فانهم يقصون لحاهم ويوفرون شواربهم اويوفرون هما معا. (تفسير احكام القران ج صفه৬৫)
অর্থ : সুতরাং মোছ ছোট করা ও দাড়ী লম্বা রাখা মূলত মজুসীদের বিরোধিতা করারই নামান্তর। কেননা মজুসীরা তাদের দাড়ী ছোট রাখে ও মোছ অধিক লম্বা রাখে। অথবা দাড়ী ও মোছ উভয়টাই অধিক লম্বা রাখে।(তাফসীরে আহ্কামুল কুরআন, ১ম জিঃ পৃষ্ঠা-৬৫)
 (২০-৩৬)  عن عائثة رضى الله عنها قالت- قال رسول الله صلى عليه وسلـم عشر من الفطرة- قص الشارب واعفاء اللحية والسواك والاستنشاق بالـماءقص الاظفار وغسل البراجم ونتف الابط وحلق العانة وانتقاص الـماء يعنى الاستن ......... ضمضة (رواه ابوداود وكذا فى الـمسلـم واحمد والترمذى وابن ماجه= واحكام القران للجصاص واحكام القران للجعفر العثمانى، سئن الكبرى للنساثى ج صفه .، بذل الـمجهود، عون الـمعبود، مشكوة شريف، مرقاة الـمفاتيح، مرأة الـمناجيح، شرح الطيبى، اشعة اللـمعات، مظاهر حق، التعليق الصبيح)
অর্থ : হযরত আয়িশা ছিদ্দীকা আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, দশটি জিনিস ফিৎরাতের অন্তর্ভুক্ত- (১) মোঁছ ছোট করা, (২) দাঁড়ী লম্বা করা, (৩) মিসওয়াক করা, (৪) নাকে পানি দেয়া, (৫) নখ কাটা, (৬) অঙ্গুলীর সন্ধিস্থলসমূহ ধৌত করা, (৭) বগল তলের লোম পরিস্কার করা, (৮) নাভীর নীচের লোম কাটা, (৯) পানি দ্বারা পবিত্রতা হাসিল করা, (১০) .....কুলি করা(আবূ দাউদ শরীফ, অনুরূপ- মুসলিম শরীফ, আহমদ শরীফ, তিরমিযী শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফ, আহকামুল কুরআন লিল জাসসাস, আহকামুল কুরআন লিল ওসমানী, সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ-৫ম জিঃ পৃঃ-৪০৫, বযলুল্ মাজহুদ, আওনুল মাবূদ, মিশকাত শরীফ, মিরকাতুল মাফাতীহ্, মিরআতুল মানাজীহ্, শরহুত্ ত্বীবী, আশয়াতুল লুময়াত, মুযাহিরে হক্ব, তালীকুছ্ ছবীহ)
 (37) عن ابن عمر رضى الله عنه- قال رسول الله صلى الله عليه وسلـم- انهكوا الشوارب واعفوا اللحى = (رواه البخارى ج صفه৮৭৬)
অর্থ : হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, মোঁছ ভালরূপে ছোট কর এবং দাড়ী লম্বা কর।(পবিত্র বুখারী শরীফ, ২য় জিঃ পৃ:ষ্ঠা-৮৭৫)
 (৩৮-৪১)  عن ابى هريرة رضى الله عنه قال- قال رسول الله صلى الله عليه وسلـم- جزوا الشوارب وارجوا اللحى خالفوا الـمجوس= (رواه الـمسلـم ج) صفه১২৮-১২৯= واحمد وكذا فى احكام القران للجعفر العشمانى= ونيل الاوطارج صفه১২৯)
অর্থ : হযরত আবূ হুরায়রাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক ফরমান, মোঁছ ছোট কর এবং দাঁড়ী ছেড়ে দাও অর্থাৎ লম্বা কর মজুসীদের বিরোধিতা কর।(সহীহ্ মুসলিম শরীফ, ২য় জিঃ পৃষ্ঠা-১২৮-১২৯, আহমদ শরীফ, অনুরূপ আহকামুল কুরআন লিল উসমানী, নাইলুল আওতার ১ম জিঃ পৃষ্ঠা-১২৯)
(৪২-৪৩)  عن ابن عمر رضى الله عنهما- عن النبى صلى الله عليه وسلـم انه امر باحفاء الشوارب واعفاء الحية= (رواه الـمسلـم ج وكذا فى الطحاوى)
অর্থ : হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মোঁছ ভালভাবে ছোট করার এবং দাঁড়ী লম্বা করার নির্দেশ দিয়েছেন।(মুসলিম শরীফ, অনুরূপ তাহাবী শরীফ উনাদের মধ্যে উল্লেখ আছে)
(৪৪)  عن ابن عمر رضى الله عنهما قال- قال رسول الله صلى الله عليه وسلـم- خالفوا الـمشركين احفوا الشوارب واوفواللحى= (رواه الـمسلـم)
অর্থ : হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, মুশরিকদের বিপরীত কর, মোঁছ ছোট কর, দাঁড়ী লম্বা কর।(পবিত্র মুসলিম শরীফ)
(৪৫-৫১)  عن ابن عمر عن النبى صلى الله عليه وسلـم- خالفوا الـمشركين وفرواللحى واحفوا الشوارب وكان ابن عمر اذا حج اوعتمر قبض على لحيته فما فضل اخذه= (رواه البخارى ج صفه ৮৭৫، والـمسلـم= وكذا فى النيل الاوطار ج صفه১২৯= نصب الراية ج صفه৪৫، عمدة القارى، فتح البارى، ارشاد السارى)
অর্থ : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ‍তিনি বর্ণনা করেন- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, মুশরিকদের বিরোধিতা কর, দাড়ী লম্বা কর, মোঁছ ছোট কর।(হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি এক মুষ্ঠির অতিরিক্তগুলো কেটে ফেলতেন) (বুখারী শরীফ, ২য় জিঃ পৃষ্ঠা-৮৭৫, মুসলিম শরীফ, অনুরূপ নাইলুল আওতার, ১ম জিঃ পৃষ্ঠা-১২৯, নছবুর রাইয়াহ্ ২য় জিঃ পৃষ্ঠা-৪৫৭, ওমদাতুল ক্বারী, ফতহুল বারী, ইরশাদুসসারী)
(৫২-৫৩) عن ابن عمر رضى الله عنهما- عن النبى صلى الله عليه وسلـم قال- احفوا الشوارب واعفوا اللحى= (رواه الـمسلـم= وكذا فى سنن الكبرى للنسائى ج صفه৬৬)
অর্থ : হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, মোঁছ ছোট কর এবং দাঁড়ী লম্বা কর।” (মুসলিম শরীফ, অনুরূপ সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ ১ম জিঃ পৃষ্ঠা-৬৬)
  (৫৪)  عن ابى هريرة قال- قال رسول الله صلى الله عليه وسلـم من فطرة الاسلام اخذ الشارب واعفاء اللحى فان الـمجوس تعفى شواربها وتحفى لحاها فخالفواهم خذوا شواربكم واعفوا لحاكم= (رواه ابن حبان)
অর্থ : হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, মোঁছ খাট করা ও দাঁড়ী লম্বা করা পবিত্র ইসলামী ফিৎরাতের অন্তর্ভুক্ত। কেননা মজুসীরা মোঁছ লম্বা রাখে ও দাঁড়ী কেটে ফেলে। সুতরাং তোমরা তাদের বিরোধিতা কর, তোমাদের মোঁছ ছোট কর ও দাঁড়ী লম্বা কর।(ইবনে হাব্বান)
(৫৫)  عن نافع عن ابن عمر عن النبى صلى الله عليه وسلـم قال- احفوا اى اقطعوا الشوارب واعفوا اللحى خالفوا الـمجوس= (نصب الراية لتخريج احاديث الهداية ج صفه৪৫৭)
অর্থ : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন- মোঁছ কাট অর্থাৎ ছোট কর, দাঁড়ী লম্বা কর, মজুসীদের বিরোধিতা কর।” (নাছবুর রাইয়াহ্ লি তাখরীজে আহাদসিলি হদোয়াহ্ ২য় জিঃ পৃষ্টা-৪৫৭)
(৫৬)  عن طلق بن حبيب قال- عشرة من السنة السواك وقص الشارب والـمضمضة والاستنشاق وتوفير اللحية وقص الاظفار نتف الابط والختان وحلق العانة وغسل الدبر= (سنن الكبرى للنسائى ج صفه .)
অর্থ : হযরত তলক্ব ইবনে হাবীব উনার থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, দশটি আমল পবিত্র সুন্নত উনার অন্তর্ভুক্ত। মিসওয়াক করা, মোঁছ ছোট করা, কুলি করা, নাকে পানি দেয়া, দাঁড়ী লম্বা করা, নখ কাটা, বগলরে নীচের লোম কাটা, নাভীর নীচের লোম কাটা, পায়খানার রাস্তা ধৌত করা।” (সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, ৫ম জিঃ পৃষ্ঠা-৪০৫)
(৫৭) عن ابن عمر ان رسول الله صلى الله عليه وسلـم قال- الفطرة قص الاظفار وحلق العانة واحفاء الشارب واعفاء اللحى= (سنن الكبرى للنسائى ج صفه৬৫)
অর্থ : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, নখ কাটা, নাভীর নীচের লোম কাটা, মোঁছ ছোট করা ও দাঁড়ী লম্বা করা ফিৎরাতের অন্তর্ভুক্ত।(সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, ১ম জিঃ পৃঃ-৬৫)
(৫৮) روى الترمذى عن عمروبن شعيب عن ابيه وعن جده ان النبى صلى الله عليه وسلـم ياخذ من لحيته من طولها ومن عرضها. (حاشية البخارى ج صفه৮৭৫)
অর্থ : ইমাম তিরমিযী রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত আমর ইবনে শোয়াইব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে তিনি উনার পিতা হতে ও উনার দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজ দাড়ী মুবারক দৈর্ঘ্য-প্রস্থে ছেটে রাখতনে। (এক মুষ্ঠির অধিকগুলো)।(হাশয়িায়ে বুখারী শরীফ ২য় জিঃ পৃষ্ঠা-৮৭৫)
(৫৯-৬১)
رواه ابن ابى شيبة فى "مصنفة" حدثنا على بن هاشم ووكيع عن ابن ابى ليلى عن نافع عن ابن عمر انه كان يقبض على لحيته ثم ياخذ ماجاوز القبضة. (رواه ابن السعد فى الطبقات ج صفه১৩১ = وكذا فى نصب الراية ج صفه৪৫৮)
অর্থ : মুছান্নিফ ইবনে আবী শায়বায়বর্ণিত আছে যে, ............... হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নিজ দাঁড়ী মুবারক মুষ্ঠিতে আবদ্ধ করতেন, অতঃপর এক মুষ্ঠির অতিরিক্তগুলো কেটে ফেলতেন। (তাবাক্বাতে ইবনে সাদ ৪র্থ জিঃ পৃষ্ঠা-১৩১, অনুরূপ নাছবুর রাইয়াহ্ ২য় জিঃ ৪৫৮ পৃষ্ঠাতে উল্লেখ আছে)
(৬২-৬৩)
 عن ابى زرعة قال- كان ابو هريرة يقبض على لحيته مافضل عن القبضة. (رواه فى مصنف بن ابى شيبة= وكذا فى نصب الراية ج صفه৪৫৮)
অর্থ : হযরত আবূ যুরয়াহ্ উনার থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নিজ দাঁড়ী মুবারক মুষ্ঠিতে আবদ্ধ করে, মুষ্ঠির অতিরিক্তগুলো কেটে ফেলতেন।(মুছান্নফে ইবনে আবী শায়বা, অনুরূপ নাছবুর রাইয়াহ্ ২য় জিঃ ৪৫৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে)
(৬৪-৬৫)
 رواه محمد بن الحسن فى "كتاب الاثار" اخبرنا ابوحنيفة رحمة الله تعالى عن الهيثم بن ابى الهيثم عن ابن عمر انه كان يقبض على لحيته ثم يقبض ماتحت القبضة. نصب الراية ج صفه৪৫৮)
অর্থ : মুহম্মদ ইবনুল হাসান রহমতুল্লাহি আলাইহি কিতাবুল আছার” এ বর্ণনা করেন- ইমামে আযম, হযরত আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হাইছাম ইবনে আবুল হাইছাম থেকে বর্ণনা করেন, হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নিজ দাঁড়ী মুবারক মুষ্ঠিতে আবদ্ধ করতেন। অতঃপর মুষ্ঠির নীচ থেকে অতিরিক্তগুলো ছেটে ফেলতেন।(নাছ্বুর রাইয়াহ্ ২য় জিঃ পৃষ্ঠা-৪৫৮)
(৬৬-৬৭)
 وقص اللحية من صنع الاعاجم وهو اليوم شعار كثير من الـمشركين كالافرنـج والهنود ومن لاخلاق له فى الدين من الطائفة القلندرية (الـمرقاة الـمفاتيح شرح مشكوة الـمصابيح ج صفه وكذا فى مجمع البحار)
অর্থ : দাড়ী কাটা আজমী তথা মুজুসীদের আমল। আর বর্তমানে অধিকাংশ মুশরিক-বেদ্বীন, যেমন- ফিরিঙ্গি, হিন্দু, তাছাড়া ধর্মের সাথে সর্ম্পকহীন কলন্দরীয়া ফিরকার বিশেষ আমল হলো- দাঁড়ী কাটা।(মিরকাতুল মাফাতীহ্ শরহে মিশকাতুল মাছাবীহ্ ২য় জিঃ পৃষ্ঠা-৪, অনুরূপ মাজমাউল বিহারে উল্লেখ আছে)
(৬৮)
 ما استخف عقولهم طولوا الشوارب واحفوا اللحى اعكس ما عليه فطرة جميع الامم قدبدلوا فطرة هم نعوذ الله. (كرمانى شرح البخارى)
অর্থ : মুসলমানদের সর্বসম্মত নীতি বা ফিৎরাত পরিত্যাগ করে, দাঁড়ী মুণ্ডন করা ও গোঁফ লম্বা রাখা কতইনা নিরবুদ্ধিতা। (নাউযুবিল্লাহ্ মিন যালিক)” (করেমানী শরহে সহীহ্ বুখারী)
(৬৯)
 حلق كردن لحيه حرام است و روش افرنـج وهنود وجولقيان است- كه ايشان را قلندريه كويند (اشعة للـمعات شرح الـمشكوة ج صفه৬৬৮)
অর্থ : দাড়ী মুণ্ডন করা হারাম। এটা ফিরিঙ্গী, হিন্দু ও যোগী ইত্যাদি সম্প্রদায়ের জাতীয় আমল বা রীতি। কেউ কেউ দাড়ী মুণ্ডন করাকে তরীক্বায়ে কলন্দরীয়া বলে থাকে (এটা সর্ম্পণূই বাতিল তরীক্বা)।” (আশয়্যাতুল লুময়াত শরহে মিশকাত ১ম জিঃ পৃষ্ঠা-২২৮)
(৭০-৭১)
 واعفو اللحى= واعلـم انهم اجتلفوا فى اللحية مالافضل فيها؟ فقيل تقصير مازادت على القبضة كما فى "كتاب الاثارلـمحمد" وقيل بل اعفاء افضل مطلقا- اما قطع مادون ذالك فحرام اجماع بين الائمة رحمهم الله تعالى= (فيض البارى شرح صحيح اليخارى ج صفه. ৩৮)
অর্থ : দাঁড়ী লম্বা করপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এ নির্দেশের ব্যাপারে হযরত ইমাম উনাদের মধ্যে মতভদে রয়েছে। অর্থাৎ দাঁড়ী কতটুকু লম্বা করা উত্তম? কারো মতে এক মুষ্ঠির অতিরিক্তগুলো কাটা উত্তম (কিতাবুল আছার)। আর কারো মতে স্বাভাবিকভাবে লম্বা হতে দেয়াই উত্তম। মূলত এক মুষ্ঠির কমে দাঁড়ী কাটা হযরত ইমাম উনাদের ঐক্যমতে হারাম।(ফায়জুল বারী শরহে সহীহ্ বুখারী, ৪র্থ জিঃ পৃষ্ঠা-৩৮০)
(৭২-৭৪)
 (قوله ارخوا اللحى) وقد حصل من مجموع الاحاديث خمس روايات- اعفوا، واوفوا، وارخوا، واوجوا ووفروا- ومعناها كلها تركها على حاله ..... (خالفوا الحجوس) قد سبق انه كان من عادة الفرس قص اللحية- فنهى الشرع عن ذالك= (نيل الاوطار ج صفه ১৩১ = وكذا فى شرح الـمسلـم لنووى صفه১৪৯ عون الـمعبود الحل ابى داود ج صفه. )
অর্থ : (দাঁড়ী লম্বা কর) পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার সমষ্টি দ্বারা পাঁচটি বর্ণনা প্রমাণিত হলো- ১। اعفوا ২। اوفوا ৩। ارخوا ৪। ارجوا ৫। وفروا উল্লেখিত প্রত্যেকটির অর্থই হলো- দাঁড়ীকে নিজ অবস্থায় ছেড়ে দেয়া। (কাট, ছাট প্রভৃতির পিছু না নেয়া) ............. (মজুসীদের বিপরীত কর, এর ব্যাখ্যা হলো) পূর্বেই বর্ণিত হয়েছে যে, দাঁড়ী কাটা বা মুণ্ডন করা মজুসীদের নীতি। তাই শরীয়ত দাঁড়ী মুণ্ডন করতে বা কাটতে নিষেধ করেছেন। (কেননা দাঁড়ী মুণ্ডন করায় বা কাটায় মজুসীদের অনুসরণ করা হয়।) (নাইলুল আওতার ১ম জিঃ পৃষ্ঠা-১৩১, অনুরূপ মুসলিম লনি নববী ২য় জিঃ পৃষ্ঠা-১৪৯, আওনুল মাবুদ ১ম জিঃ ২০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে)
(৭৫)
 (اعفاء اللحى) اى تركها من غير حلق ولانتف ولاقص ........... (ارشاد السارى شرح صحيح البخارى ج صفه ৪৬৪)
অর্থ : দাঁড়ী লম্বা করাঅর্থাৎ দাঁড়ী না চেঁছে, না উঠিয়ে, না কেটে, নিজ অবস্থায় ছেড়ে দেয়া। ........ (ইরশাদুস্ সারী শরহে সহীহ্ বুখারী ৮ম জিঃ পৃষ্ঠা-৪৬৪)
(৭৬)
 وكزاشتن ان بقدر قبضة واجب است وان انكه ان را سنت كويند يمعنى طريقهء مسلوكه دردين اسث يابجهت انكه ثبوت ان بسنت است جنانكه نمار عيدرا سنت كفته اند. (اشعة اللـمعات شرح الـمشكوة ج صفه২১২)
অর্থ : দাঁড়ী কমপক্ষে একমুষ্ঠি পরিমাণ লম্বা করা ওয়াজিব। যারা দাঁড়ী রাখাকে পবিত্র সুন্নত বলেছেন, তাদের এরূপ বলার কারণ এই যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যাবতীয় কাজকেই পবিত্র সুন্নত বলা হয়। অথবা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে দাড়ী রাখার কথা উল্লেখ আছে বিধায় এটাকে সুন্নত বলা হয়। যেমন ঈদের নামাযকে পবিত্র সুন্নত বলা হয়। (অথচ ঈদের নামায ওয়াজিব) (আশয়্যাতুল লুময়াত শরহে মিশকাত ১ম জিঃ পৃষ্ঠা-২১২)
(৭৭)
 وقص اللحية كان من صنيع الاعاجم وهواليوم شعار كثير من الـمشركين كالافرنـج والهنود ومن لاخلاق له فى الدين من الفرق الـموسومة بالقلندرية (شرح الطيبى على مشكوة الـمصابيح ج ص৫৬)
অর্থ : দাঁড়ী কাটা আজমীদের (মজুসী) বদ্ আমলের অন্তর্ভুক্ত। আর বর্তমানে ইহা অধিকাংশ মুশরিক তথা ফিরিঙ্গী, হিন্দু এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম হতে সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন কলন্দরিয়া নামক বাতিল ফিরকার জাতীয় আমল।(শরহুত্ তীবী আলা মিশকাতলি মাছাবীহ, ২য় জিঃ পৃষ্ঠা-৫৬)

(৭) র্উদু হবে
অর্থ : দাঁড়ী চার আঙ্গুল তথা একমুষ্ঠি পরিমাণ লম্বা করা ওয়াজিব। এর চেয়ে বেশি লম্বা করাও জায়িয, তবে অধিক লম্বা করা (যেমন সীনার নীচ পর্যন্ত) মাকরূহ্। চার আঙ্গুল বা একমুষ্ঠির কমে দাঁড়ী কাটা ও মুণ্ডন করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধি ও হারাম। সাথে সাথে হিন্দু ও খৃষ্টানদের তরীক্বা বা আমল।(মিরআতুল মানাজীহ্ শরহে মিশকাতুল মাছাবীহ্ ১ম জিঃ পৃষ্ঠা-২৭৬)

(৭৯) র্উদু হবে
অর্থ : দাঁড়ী মুণ্ডন করা এবং একমুষ্ঠি হওয়ার পূর্বে কাট-ছাট করা হারাম। আর তা ইংরেজ, হিন্দুদের ন্যায় অধিকাংশ মুশরিক বা বেদ্বীনদের আমল। তাছাড়া পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার সাথে সর্ম্পকহীন কলন্দরিয়া ফিরকার বিশেষ আমল। দাড়ী কমপক্ষে একমুষ্ঠি পরিমাণ লম্বা করা ওয়াজিব।(মুযাহিরে হক্ব শরহে মিশকাত ১ম জিঃ পৃষ্ঠা-১৩২)
(৮০)
 وقث اللحية من سنن الاعاجم وهو اليوم شعار كثير من الـمشركين والافرئج والهنود ومن لاخلاق له فى الدين ........... وكذا يحرم على الجل قطع لحيته. (بذل الـمجهود فى حل ابى داود ج صفه৩৩)
অর্থ : দাঁড়ী কাটা আজমীদের (মজুসী) নীতি। আর বর্তমানে ইহা মুশরিক, ফিরিঙ্গী, হিন্দু এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার সাথে সর্ম্পকহীন অধিকাংশ বাতিল সম্প্রদায়ের শেয়ার বা জাতীয় আমলে পরিণত হয়েছে ..............। অনুরূপ পুরুষের জন্যে তার নিজ দাঁড়ী কাটা হারাম করা হয়েছে।(বযলুল মাজহুদ ফী হল্লে আবী দাউদ ১ম জিঃ পৃষ্ঠা-৩৩)
(৮১-৮২)
 الاخذ من اللحية وهى مادون القبضة كما يفعله بعض الـمفاربة وفحشة الرجال فلـم يبحه احد= (بحر الرائق شرح كنزالدقائن ج صفه. ২৮، وكذا فى درر الغرار)
অর্থ : একমুষ্ঠির কমে দাঁড়ী কর্তন করা বা কাটা, যেমন- কতেক পশ্চিমা ও দুশ্চরিত্র লোকেরা করে থাকে, এটাকে কেউ জায়িয বলেননি।(বাহরুর রায়কে শরহে কানযুদ্ দাক্বায়কে ২য় জিঃ পৃষ্ঠা-২৮০, অনুরূপ দুরারুর গোরারে উল্লেখ আছে।
(৮৩)
 اما الاخذ منها وهى دون ذالك فلـم يبحه احد (فتح القدير ج صفه. ২৬)
অর্থ : একমুষ্ঠির কমে দাঁড়ী কাটাকে কেউ জায়িয বলেননি।অর্থাৎ দাঁড়ী একমুষ্ঠি হওয়ার পূর্বে কাটা বা ছাটা সকলের মতেই নাজায়িয বা হারাম। (ফাতহুল ক্বাদীর ২য় জিঃ পৃষ্ঠা-২৬০)
(৮৪)
 واما الاخذ من اللحية هى دون القبضة كما يفعله بعض الـمغاربة ومخنثة الرجال فلـم بيحه احد واخذ كلها فعل الـمجوس الاعاجم واليهود وبعض اجناس الافرج- (شرنبلاليا صفه২৯৮)
অর্থ : পশ্চিমা ও নপুংষকদের ন্যায় দাঁড়ী একমুষ্ঠি হওয়ার পূর্বে কাটাকে কেউ জায়িয বলেননি। অর্থাৎ সকলের মতে উহা নাজায়িয। আর দাঁড়ী সম্পূর্ণ চেঁছে ফেলা বা মুণ্ডন করা মজুসী, ইহুদী ও ফিরিঙ্গীদের জাতীয় আমল।(শরাম্বলালয়িা পৃষ্ঠা-২৯৮)
(৮৫) لا يحل لرجل ان يقطع اللحية= (نصاب الاحتساب)
অর্থ : পুরুষের জন্যে দাঁড়ী কাটা বা কর্তন করা হালাল নয়, অর্থাৎ হারাম।(নেছাবুল ইহতেসাব)
(৮৬)
هو فعل مجوس الاعاجم من حلق لحاهم كما يشاهد فى الهنود وبعض اجناس افرغ= (تبيين الحقائق صفه ৩৩২)
অর্থ : যারা নিজ দাঁড়ী মুণ্ডন করলো, তারা মূলত মজুসীদের আমল অনুসরণ করলো। যেরূপ হিন্দু ও কতিপয় ফিরিঙ্গী জাতীয় লোকদের মধ্যে পরিলক্ষিত হয়।(তাবয়ীনুল হাক্বায়িক পৃষ্ঠা-৩৩২)
(অসমাপ্ত) (পরর্বতী সংখ্যার অপক্ষোয় থাকুন)

0 Comments: