৩৫৭ নং- সুওয়াল - আমাদের গ্রামের জামে মসজিদে একজন দাতা একটি আধুনিক দেয়াল ঘড়ি দান করেছেন। এই ঘড়ি প্রতি ঘন্টায় ঘন্টায় প্রায় অর্ধমিনিট কাল পর্যন্ত বিভিন্ন ধরণের বাদ্য-বাজনার সূরে সমস্ত মসজিদকে মুখরীত করে তোলে, আমার এবং আমাদের এলাকার ইমামগণ ও আলেম সমাজের প্রশ্ন এই যে, উক্ত ঘড়ি মসজিদে রাখা জায়েয হবে কিনা, দলীলসহ জানায়ে বাধিত করবেন।

সুওয়াল - আমাদের গ্রামের জামে মসজিদে একজন দাতা একটি আধুনিক দেয়াল ঘড়ি দান করেছেন। এই ঘড়ি প্রতি ঘন্টায় ঘন্টায় প্রায় অর্ধমিনিট কাল পর্যন্ত বিভিন্ন ধরণের বাদ্য-বাজনার সূরে সমস্ত মসজিদকে মুখরীত করে তোলে, আমার এবং আমাদের এলাকার ইমামগণ ও আলেম সমাজের প্রশ্ন এই যে, উক্ত ঘড়ি মসজিদে রাখা জায়েয হবে কিনা, দলীলসহ জানায়ে বাধিত করবেন।

জাওয়াব - যে সব ঘড়ি বাদ্য-যন্ত্রের ন্যায় আওয়াজ করে, তা অবশ্যই মসজিদে ব্যবহার করা জায়েয নেই। শুধু মসজিদেই নয়, বরং এমন ঘড়ি ঘর-বাড়ীতেও ব্যবহার করা জায়েয নেই। কেননা  হাদীছ শরীফে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, 
بعشت لكسر المزامير والاسنام.
অর্থ- “আমি বাদ্যযন্ত্র ও মূর্তিসমূহ ধ্বংস করার জন্য প্রেরিত হয়েছি।” 
কিতাবে আরও উল্লেখ আছে, বাদ্য-যন্ত্রতো অবশ্যই হারাম। বরং কেউ যদি বাজনার উদ্দেশ্যে কাঠের উপর আঘাত করে, তবে সেটাও নাজায়েয। কাজেই যে সমস্ত ঘড়িতে বাদ্য-যন্ত্রের মত আওয়াজ হয়, সে সমস্ত ঘড়ি কি করে মসজিদে ব্যবহার করা জায়েয হতে পারে? বরং যে সমস্ত ঘড়ি বাদ্য-যন্ত্রের মত আওয়াজ করে না, কিন্তু ঘন্টার মত আওয়াজ করে, সেটাও ব্যবহার করা অনুচিৎ। (হিদায়া, নিহায়া, ইনায়া)
আবা-২৪

0 Comments: