৩৫৪ নং- সুওয়াল -কাঁকড়া বিক্রী করে পয়সা নেয়া জায়েয হবে কিনা? উত্তরঃ- একমাত্র শুকর ছাড়া এমন সকল জীব-জন্তুই যদ্বারা মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উপকৃত হয়, সে সবেরই ক্রয়-বিক্রয় জায়েয। এ উত্তরটি সঠিক হয়েছে কিনা, জানাবেন।

সুওয়াল - মাসিক মদীনা, মার্চ-১৯৯৫ ঈসায়ী নিম্নোক্ত প্রশ্নোত্তর ছাপানো হয়। 
প্রশ্নঃ- কাঁকড়া বিক্রী করে পয়সা নেয়া জায়েয হবে কিনা?
উত্তরঃ- একমাত্র শুকর ছাড়া এমন সকল জীব-জন্তুই যদ্বারা মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উপকৃত হয়, সে সবেরই ক্রয়-বিক্রয় জায়েয। 
এ উত্তরটি সঠিক হয়েছে কিনা, জানাবেন। 

জাওয়াব - মদীনার উপরোক্ত উত্তরটি শুদ্ধ হয়নি। কারণ আমাদের হানাফী মায্হাব মোতাবেক কাঁকড়া খাওয়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী এবং তার বেচা-কেনা বা তার ব্যবসা করাও মাকরূহ্ তাহ্রীমী। যেমন-বিড়ি, সিগারেট, হুক্কা পান করা মাকরূহ্ তাহ্রীমী, তার ব্যবসা করাও মাকরূহ্ তাহরীমী। 
শরীয়তের উসুল হচ্ছে- “যা খাওয়া হারাম, তা বিক্রি করে পয়সা গ্রহণ করাও হারাম। আর যা খাওয়া মাকরূহ্, তার বিক্রিও মাকরূহ্।”
অনেকে বলতে পারেন যে- হাতি, সাপ গৃহপালীত গাধা ইত্যাদী অনেক প্রাণী খাওয়া হারাম, অথচ এর বেচা-কেনা জায়েয আছে। হ্যাঁ, এ সকল প্রাণীও বেচা-কেনা করা হারাম, যখন এগুলি খাওয়ার জন্য বিক্রি করা হয়। কিন্তু এ সমস্ত প্রাণী যেমন-হাতী বেচা-কেনা করা হয় সওয়ার হওয়ার জন্য, যুদ্ধ-জ্বিহাদের জন্য। আর হাতী মারা গেলে তার চামড়া, হাড়, দাঁত ইত্যাদি দ্বারা নানা প্রকার দ্রব্য-সামগ্রী তৈরী করা হয়। যেমন স্বয়ং  হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হাতীর হাড় ও দাঁতের চিরুণী ব্যবহার করেছেন। তদ্রূপ অন্যান্য প্রাণীরও একই হুকুম। 
মদীনার সম্পাদক সহীহ্ বুখারী শরীফের হাদীছ শরীফ-এর বিরুদ্ধে ফতওয়া দিয়েছে। 
কারণ বুখারী শরীফে শুধু শুকর বেচা-কেনার পয়সাকেই হারাম বলা হয়নি, অর্থাৎ শুকরের পয়সা তো অবশ্যই হারাম, সাথে সাথে বুখারী শরীফের অন্য হাদীছ শরীফে কুকুর বেচা-কেনার পয়সাকেও হারাম বলা হয়েছে।
যেমন হাদীছ  শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে- 
عن ابن مسعود رضى الله تعالى عنه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم نهى عن ثمن الكلب ومهرا لبغى وخلوان الكاهن.
অর্থঃ- হযরত ইবনে মাসউদ  রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত-  হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, “কুকুর বিক্রীর মাধ্যমে অর্জিত পয়সা হারাম, দেহ ব্যবসার মাধ্যমে অর্জিত পয়সা হারাম এবং গণকের পারিশ্রমিক গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন বা হারাম ঘোষণা করেছেন।” (বুখারী শরীফ, শরহে বেকায়া, আইনুল হেদায়া, ফতহুল বারি, উমদাতুল ক্বারী)
আবা-২৪

0 Comments: