৩৩৯ নং- সুওয়াল - নামায পড়াকালে কি ধরণের মন-মানসিকতা হওয়া দরকার? নামাযে দাড়ালে বিভিন্ন ধরণের চিন্তা-ভাবনার উদ্রেক হয়, তা নিরসনের কোন উপায় আছে কি? জানায়ে উপকৃত করবেন।

সুওয়াল - নামায পড়াকালে কি ধরণের মন-মানসিকতা হওয়া দরকার? নামাযে দাড়ালে বিভিন্ন ধরণের চিন্তা-ভাবনার উদ্রেক হয়, তা নিরসনের কোন উপায় আছে কি? জানায়ে উপকৃত করবেন।


জাওয়াব  -  হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে,
لا صلوة الا بحضور القلب.
অর্থঃ- হুযূরী ক্বালব (খুশু খুজু) ব্যতীত নামায সুরতান আদায় হবে, যার কারণে সে শরীয়তের শাস্তি থেকে বাঁচতে পারবে কিন্তু হাক্বীক্বতান তার  নামায হবেনা। অর্থাৎ আল্লাহ পাক উনার কাছে তার  নামায মকবুল হবেনা।
নামায পড়াকালে প্রত্যেক  নামাযীর দু’টি অবস্থার একটি অবশ্যই হওয়া দরকার। যেটা  হাদীছ শরীফে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইহসানের সংজ্ঞায় বলেছেন যে,
ان تعبد الله كانك تراة فان لم تكن تراه فاته يراك.
অর্থঃ- “তুমি এভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত কর, যেন তুমি উনাকে দেখতে পাচ্ছ। আর যদি দেখতে না পাও, তবে এ ধারণা কর যে, তিনি তোমাকে দেখছেন।”
যে অন্তর দুনিয়ার মহব্বতে গরক্ব, সে অন্তর নিে  নামায পড়লে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় বিভিন্ন ধরণের চিন্তা-ভাবনার উদ্রেক হওয়াটাই স্বাভাবিক। কেননা  হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে,
حب الدنيا راس كل خطيئة.
অর্থঃ- “দুনিয়ার মুহব্বত সকল গুণাহের মূল।”
কাজেই অন্তর থেকে দুনিয়ার মহব্বত দূর করে দিয়ে একমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত পয়দা করতে হবে। আর মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত অর্জন করতে হলে, মহান আল্লাহ্ ওয়ালাগণ উনাদের ছোহবত এখতিয়ার করে ক্বালব ইসলাহ্ করতে হবে। কারণ হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ করা হয়েছে,
الشيطن جاثم على قلب بنى ادم اذا ذكر خنس واذا غفل وسوس.
অর্থঃ- “শয়তান আদম সন্তানের ক্বাল্বের উপর বসে। যখন সে যিকির করে, তখন শয়তান পালিয়ে যায়। আর যখন সে যিকির থেকে গাফিল থাকে, তখন শয়তান ওয়াসওয়াসা দিতে থাকে।”
অতএব, শায়খ বা পীর ছাহেবের হাতে বাইয়াত গ্রহণ করে ইলমে তাসাউফ হাসিলের মাধ্যমে দীল ইসলাহ্ করতে হবে। দীল ইসলাহ্ হলেই  হুযূরী বা খুশু-খুজুর সাথে নামায আদায় করা সম্ভব এবং তখনই দুনিয়ার কোন খেয়াল তার অন্তরে উদিত হবেনা। এ অবস্থায় মহান আল্লাহ পাক উনার ধ্যানে, খেয়ালে উনার জন্য নামায আদায় করা সম্ভব। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন,
الصلوة معراج المؤمنين.
অর্থঃ- “নামায হলো মু’মিনদের জন্য মি’রাজ স্বরূপ।”
আবা-২৩

0 Comments: