২৩০ নং- সুওয়াল : পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার মধ্যে পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ নিয়ে দ্বন্দ্ব কেন? আমরা বুঝি দাঁড়িয়ে পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ করা মানে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মান দেয়া। কিন্তু অন্য এক দল বলছে যে, দাঁড়িয়ে পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ করলে নাকি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহান আল্লাহ তায়ালা উনার থেকে বড় মনে করা হয়। এ সম্পর্কে সঠিক জবাব কি হবে?


সুওয়াল : পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার মধ্যে পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ নিয়ে দ্বন্দ্ব কেন?আমরা বুঝি দাঁড়িয়ে পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ করা মানে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মান দেয়া। কিন্তু অন্য এক দল বলছে যে, দাঁড়িয়ে পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ করলে নাকি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহান আল্লাহ তায়ালা উনার থেকে বড় মনে করা হয়। এ সম্পর্কে সঠিক জবাব কি হবে?
জাওয়াব : পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার মধ্যে পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ উনার মধ্যে অর্থাৎ দাঁড়িয়ে সালাম পাঠ করা হয়, আদবের জন্য। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত উনার আক্বীদা হচ্ছে- মহান আল্লাহ পাক তিনি সৃষ্টিকর্তা, সমস্ত আলমের প্রতিপালক। আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন- সমগ্র আলমের রহমদত স্বরূপ এবং হিদায়াতকারী আর সমস্ত সৃষ্টির মূল। কেননা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি করা না হলে কোন কিছুই সৃষ্টি করা হতোনা। মহান আল্লাহ পাক উনার চাইতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বড় মনে করা সর্বাবস্থায়ই কুফরীর অন্তর্ভূক্ত। নিয়ম হচ্ছে- প্রত্যেককেই স্বীয় মর্যাদা অনুযায়ী সম্মান দেয়া বা প্রত্যেকের সাথে উনার মর্যাদা অনুযায়ী ব্যবহার করা। যেমন- কোন ব্যক্তির মা, বোন, স্ত্রী ও মেয়ে রয়েছে। তাদের প্রত্যেকের সাথে ব্যবহারের নিয়ম নীতি আলাদা রয়েছে। কোন ব্যক্তি যদি মা, বোন, স্ত্রী ও মেয়ে সকলের সাথে একই ব্যবহার করে, তবে সে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক কাফির হয়ে যাবে। তদ্রুপ মহান আল্লাহ পাক উনার ও নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, অন্যান্য হযরত আম্বিয়া আলাইহিস সালাম, হযরত ছাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম ও হযরত আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনাদের প্রত্যেককেই উনাদের মর্যাদা অনুযায়ী সম্মান দিতে হবে, অন্যথায় কুফরী হবে। যেমন- তাওহীদের বর্ণনা করতে গিয়ে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অসম্মানজনক মনোভাব পোষণ করা হবে কুফরী। তদ্রুপ পবিত্র রিসালত উনার বর্ণনা করতে গিয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার অবস্থানকে খাটো করাও হবে কুফরীর অন্তর্ভূক্ত। পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ করার অর্থ যারা মহান আল্লাহ পাক উনার চাইতে বড় মনে করা হয় মনে করে, তাদের এ মনে করাটা দুরারোগ্য ব্যধি ভাবতে হবে। বরং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি আদব ও সম্মান প্রকাশের জন্যই পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ করা হয়। মূলকথা হলো- পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার মধ্যে ক্বিয়াম শরীফ করার দ্বারা কখনোই মহান আল্লাহ পাক উনার চাইতে বড় মনে করা হয় না। (তাসাওউফ তত্ত্ব)
          আমরা অতি শীঘ্রই মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ পত্রিকায় পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ উনার সম্পর্কে বিস্তারিত ফতওয়া প্রকাশ করবো ইনশাআল্লাহ।
আবা-১৮

0 Comments: