২৩২ নং- সুওয়াল : সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নাকি ১৪০০ হিজরীর পর দুনিয়াতে কি হবে, না হবে কোন রকম ভবিষ্যত বাণী বলতে পারেননি। (অর্থাৎ ১৪০০ হিজরী পর্যন্ত উনার জানা ছিল) উপরোক্ত কথাটি কতটুকু সত্য, বিস্তারিত দলীলসহ আমাকে অবগত করবেন।


সুওয়াল : সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নাকি ১৪০০ হিজরীর পর দুনিয়াতে কি হবে, না হবে কোন রকম ভবিষ্যত বাণী বলতে পারেননি। (অর্থাৎ ১৪০০ হিজরী পর্যন্ত উনার জানা ছিল) উপরোক্ত কথাটি কতটুকু সত্য, বিস্তারিত দলীলসহ আমাকে অবগত করবেন।
জাওয়াব : উক্ত কথা সম্পূর্ণই বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছিলেন জামিউল উলুম। মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টির শুরু হতে শেষ পর্যন্ত সমস্ত ইলম দান করেছেন। ক্বিয়ামতের দিন কার কি শাস্তি হবে ও কে জান্নাতী হবে তার ভবিষ্যত বাণীও করে গিয়েছেন। যে সম্বন্ধে বর্ণনা বিভিন্ন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে। ক্বিয়ামতের আলামত প্রসঙ্গে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন,    
عن حذيفة بن اسيدن الغفارى قال الطلح النبى صلى الله عليه وسلم علينا ونحن نتذاكر فقال ما تذكرون قالوا نذ كر الساعة قال انها لن تقوم حتى تروا قبلها عشر ايات فذكر الدخان والدجال والدابة وطلوع الشمس من مغربها ونزول عيسى ابن مريم وياحوج وما حوج وثلثة خسوف خسف بالمشرق وخضف بالمغرب وخسف بجزيرة العرب واخر ذالك نار تحرج من اليمن تطرد الناس الى محشرهم.
অর্থঃ- হযরত হুযাইফা বিন উসাইদিনিল গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার হতে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের নিকট আসলেন এমতাবস্থায় যে, আমরা পরস্পর আলোচনা করছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কোন বিষয়ে কথা-বার্তা বলছিলো, উনারা বললেন, আমরা ক্বিয়ামত সম্বন্ধে আলাপ করছিলাম। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, ক্বিয়ামত কখনোই সংঘটিত হবে না, যে পর্যন্ত না তোমরা দশটি নিদর্শন দেখবে। (এ দশটি নিদর্শন হলো- ধুয়াঁ, দাজ্জালের আবির্ভাব, দাব্বাতুল র্আদ, পশ্চিম দিক থেকে সূর্য উঠা, হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার আগমন, ইয়াজুয মাযুযের অভ্যূদ্বয়, তিনটি স্থানে ভূমিধ্বস, পূর্ব প্রান্তে পশ্চিম প্রান্তে এবং আরব উপদ্বীপে, সর্ব শেষে ইয়েমেন থেকে একটি আগুন বের হবে, যা মানুষকে হাশরের দিকে নিয়ে যাবে।(মুসলিম শরীফ)
          ক্বিয়ামতের আলামতসমূহ যা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বর্ণনা করেছেন ও ভবিষ্যত বাণী করেছেন। অনুরূপ আরো বিস্তারিত বর্ণনা বিভিন্ন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে এবং তা বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, আবূ দাউদ শরীফ, তিরমিযী শরীফ, মুসনদে আহমদ শরীফ ইত্যাদি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের কিতাবে উল্লেখ রয়েছে। জাওয়াবের কলেবর বৃদ্ধি হওয়ার আশঙ্কায় তা উল্লেখ করা হলো না। তাই যারা বলে ১৪০০ হিজরীর পর কি হবে না হবে সে বিষয়ে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কোন ভবিষ্যত বাণী করেননি, একথা যে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, তা উল্লিখিত পবিত্র হাদীছ শরীফ হতেই বুঝা যাচ্ছে।
আবা-১৮

0 Comments: