পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, দুনিয়াতে কেউ যদি ‘মুহম্মদ’ ও ‘আহমদ’ নাম রাখে তা হলে ওই ব্যক্তিকে জাহান্নামের আগুন পোড়াবে না। অর্থাৎ সে জান্নাতী হবে। সুবহানাল্লাহ!
হযরত আবু উমামা আল বাহিলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যদি কোনো ব্যক্তির ছেলে সন্তান হয় অতঃপর সে ব্যক্তি যদি আমার মুহব্বতে এবং আমার নামের বরকতের জন্য তার ছেলে সন্তানের নাম ‘মুহম্মদ’ রাখে তাহলে সে ব্যক্তি এবং তার ছেলে উভয়েই জান্নাতী হবে।” সুবহানাল্লাহ!
উপরোক্ত হাদীছ শরীফগুলো দ্বারা সহজেই বুঝা যায় যে, যদি কোনো মুসলমান উনার নাম মুহম্মদ বা আহমদ রাখে তবে তিনি অবশ্যই জান্নাতী হবেন। আমাদের মুসলমান সমাজে এই হাদীছ শরীফ গুলো জেনেই হোক বা না জেনেই হোক সন্তান-সন্ততির নাম মুহম্মদ বা আহমদ রাখেন । কিন্তু নাম গুলো লিখার সময় শুদ্ধ উচ্চারণ লিখা হয় না বা সংক্ষেপে লিখা হয়। (নাউযুবিল্লাহ)।
যেমনঃ মুহম্মদ (MUHAMMAD) নাম মুবারককে মোঃ, মো., মুঃ ,মোহঃ,মুহঃ , মোহাং, এম, ম, মোহাম্মদ, মোহাম্মাদ, মুহম্মাদ, md, m, mohd, mohammad ইত্যাদি লিখা হয়।
অন্যদিকে আহমদ (AHMAD) নাম মুবাররকে আহাং, আহম্মদ, আহাম্মদ, আহমেদ ,আহেম্মদ আহেম্মেদ, ahmed, Ahammad Ahammed, ahmod ইত্যাদি লিখা হয়।
একটি কথা এখানে উল্লেখ্য যে, সম্মানিত বিষয়কে সম্মান করলে যেমন ফযীলত পাওয়া যায় তেমনি ইহানত করলে বিপরীতটাও রয়েছে। তাই নাম মুবারক দুটি লিখার সময় সংক্ষিপ্ত করে বা ভুল উচ্চারণ পরিহার করে মুহম্মদ (MUHAMMAD) বা আহমদ (AHMAD) লিখতে হবে।
0 Comments:
Post a Comment