৫৭৯ নং- সুওয়াল : বিতর নামাযে দোয়ায়ে কুনূত ভুলে গেলে এবং সিজদায়ে সাহু ছাড়াই নামায শেষ করে ফেললে বিতর আদায় হবে না পুণরায় পড়তে হ


সুওয়াল : মাসিক মদীনা ফেব্রুয়ারি/৯৬ সংখ্যায় নিন্মোক্ত প্রশ্নোত্তর ছাপানো হয়-
প্রশ্ন : বিতর নামাযে দোয়ায়ে কুনূত ভুলে গেলে এবং সিজদায়ে সাহু ছাড়াই নামায শেষ করে ফেললে বিতর আদায় হবে না পুণরায় পড়তে হবে।
উত্তর : দোয়ায়ে কুনূত এবং সিজদায়ে সাহু ভুলবশতঃ ছুটে গেলে নামায আদায় হয়ে যাবে, পুণরায় পড়তে হবেনা।
এখন প্রশ্ন হলো- মদীনার উপরোক্ত উত্তর সঠিক হয়েছে কি? দলীলসহ সঠিক জাওয়াব দিয়ে বাধিত করবেন।

জাওয়াব : মদীনার উপরোক্ত উত্তর সঠিক হয়নি, বরং সম্পূর্ণ মনগড়া, অজ্ঞতাসূচক ও বিনা তাহক্বীকে লেখা হয়েছে, যা সমাজে ফিৎনা সৃষ্টির কারণ। অথচ বিনা তাহক্বীকে কথা বলা বা মাসয়ালা-মাসায়েল বর্ণনা করার পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ। কারণ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
وعن ابى هريرة رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلـم من افتى بغتى بغير علـم كان اثمه على من افتاه. (رواه ابوداود)
অর্থ : হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তিকে ইলম ব্যতীত ফতওয়া দেয়া হয়েছে, অতঃপর সে তদানুযায়ী কাজ করেছে, তার গুণাহ্ যে তাকে ফতওয়া দিয়েছে তার উপরই পড়বে।(আবূ দাউদ শরীফ)
সুতরাং বিনা তাহক্বীকে ও দলীলবিহীন বক্তব্য পেশ করা সম্পূর্ণ শরীয়ত বিরোধী, যার থেকে বেঁচে থাকা সকলের জন্যে ওয়াজিব।
মূলকথা হলো- সিজদায়ে সাহু সম্পর্কে মদীনার উপরোক্ত বক্তব্য সম্পূর্ণ ভুল হয়েছে, যা দলীলবিহীন এবং ফিক্বাহ্ শাস্ত্রের বক্তব্যের সম্পূর্ণ বিপরীত। কারণ ফিক্বাহের কিতাবে সুস্পষ্টভাবেই উল্লেখ আছে যে, সিজদায়ে সাহু ইচ্ছাকৃতভাবেই হোক অথবা ভুলবশতই হোক তরক করলে নামায দোহরায়ে পড়তে হবে।
কাজেই মদীনা পত্রিকার প্রশ্নে বর্ণিত অবস্থায় বিতর নামায অবশ্যই দোহরায়ে পড়তে হবে, নচেৎ ওয়াজিব তরকের গুণাহে গুণাহগার হবে। (দুরুল মুখতার, রদ্দুল মুহতার, আলমগীরী, ফতহুল ক্বাদীর, ফতওয়ায়ে দেওবন্দ, বেহেস্তী জিওর ইত্যাদি)

আবা-৩৩

0 Comments: