৫৮১ নং- সুওয়াল : হারামকে যে ব্যক্তি হালাল বলে ফতওয়া দেয়, শরীয়ত মুতাবিক তার হুকুম কি?


সুওয়াল : হারামকে যে ব্যক্তি হালাল বলে ফতওয়া দেয়, শরীয়ত মুতাবিক তার হুকুম কি?

জাওয়াব : কোন হারামকে হালাল অথবা কোন হালালকে হারাম বলা কুফরী। (সমূহ আক্বাইদের কিতাব)

মুহম্মদ আব্দুল কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
সুওয়াল : অনেকে বলে থাকে, হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার মাতা হযরত মরিয়ম আলাইহাস সালাম উনার বিবাহ হয়েছিল। উনার স্বামীর নাম ছিল হযরত ইউসুফ, অর্থাৎ হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার পিতার নাম ইউসুফ ছিল। এটা কি মুসলমানী আক্বীদা?
জাওয়াব : হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরতে বিনা পিতায় পয়দা হয়েছিলেন। এটা পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস তথা আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের আক্বীদা। কেউ যদি বিশ্বাস করে যে, হযরত মরিয়ম আলাইহিস সালাম উনার বিবাহ হয়েছিল এবং উনার স্বামী অর্থাৎ হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার পিতার নাম ইউসুফ, তাহলে সে কাফির হবে।
নবী দাবীদার কাট্টা কাফির মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী ও তার দল উপরোক্ত কুফরী আক্বীদা পোষণ করে থাকে।
ইহুদীরা হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনাকে অবৈধ সন্তান এবং হযরত মরিয়ম আলাইহাস সালাম উনাকে দোষী হিসেবে অপবাদ দেয়, সে অপবাদ খণ্ডন করার জন্য খৃষ্টানরা ইউসুফ নামক এক সুত্রধরকে হযরত মরিয়ম আলাইহাস সালাম উনার স্বামী ও হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার পিতা হিসেবে উল্লেখ করে। যা ডাহা মিথ্যার অন্তর্ভুক্ত।
হযরত মরিয়ম আলাইহাস সালাম তিনি হলেন মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ বান্দী, উনার শানে স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন,
ليس الذكر كالانثى.
অর্থ : হযরত মরিয়ম আলাইহাস সালাম তিনি এমন মর্যাদা সম্পন্ন মহিলা যার সমকক্ষ কোন পুরুষও হয়না।
আর হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম তিনি হলেন মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ বান্দা। যিনি উলুল আযম রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। উনার প্রতি মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি ইঞ্জিল কিতাব অবতীর্ণ করেছিলেন। যিনি আখিরী যামানায় নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মত হিসেবে আসবেন। তিনি এসে হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম উনাকে সাহায্য করবেন এবং দাজ্জালকে হত্যা করবেন। (সমূহ আকাইদের কিতাব, তাফসীরে কবীর, রুহুল মায়ানী, মাযহারী ইত্যাদি)

মসজিদ কমিটির পক্ষে-  মুহম্মদ আব্দুল আউয়াল ভুঁইয়া,
গ্রাম-কাশিপুর, জেলা- নোয়াখালি।

সুওয়াল : আমাদের  গ্রামের  মসজিদখানা প্রায় ৮০-৮৫ বছর পূর্বে তৈরী করা হয়েছে। যে স্থানে মসজিদ অবস্থিত, খতিয়ানে তা মসজিদ বাড়ি হিসেবে উল্লেখ রয়েছে। মসজিদ বাড়িতে মসজিদের দক্ষিণ ও পশ্চিম পাশে ১০০ বছরের পুরাতন বহু কবর রয়েছে। বর্তমানে মসজিদে মুসল্লিদের জায়গা হয়না, বিধায় আমরা বর্তমান মসজিদ ভিটার অর্ধেক অংশসহ উত্তর দিকে সরিয়ে নির্মাণ করতে চাচ্ছি। দক্ষিণ দিক দিয়ে মসজিদ ভিটার যে জায়গা খালি থাকবে, তা কবরস্থান হিসেবে ব্যবহার করা যাবে কিনা তা জানালে বাধিত হবো।
জাওয়াব : মসজিদ হওয়ার জন্য ওয়াকফ শর্ত। আর ওয়াকফের জন্য যদি কোন জমি, স্থান বা ঘরের মালিক মৌখিকভাবে বলে- আমি উক্ত জমি, স্থান বা ঘর মসজিদের জন্য দিয়ে গেলাম। অতঃপর কেউ সেখানে আযান দিল এবং কিছু লোক একত্রিত হয়ে সেখানে জামায়াতে নামায আদায় করলো, তাহলে সে স্থান মসজিদ হিসেবে গণ্য হবে, তার ওয়াকফ গ্রহণযোগ্য হবে এবং ওই স্থানটি ওয়াকফ হিসেবে গণ্য হবে।
আপনার কথিত স্থান মৌখিকভাবে তো ওয়াকফ হয়েছে-ই, তারপর লিখিতভাবেও ওয়াকফ করা হয়েছে। অতএব ওই স্থানের উপর ওয়াকফকৃত স্থানের হুকুম বর্তাবে।
মসজিদের জন্য ওয়াকফকৃত স্থানে কবরস্থান হিসেবে ব্যবহার করা জায়িয নেই। মসজিদ সরিয়ে নেয়ার পর যে জায়গা খালি হয়েছে, তা মসজিদ সংশ্লিষ্ট কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।
অতএব, আপনার উপরোক্ত খালি করা স্থান, যা মসজিদের জন্য ওয়াকফ করা হয়েছে, তাতে কবরস্থান করা জায়িয নেই। (সমূহ ফিক্বাহর কিতাব)

আবা-৩৩

0 Comments: