৬৪৭ নং- সুওয়াল : নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একটি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে পড়লাম “মানুষের সাথে শুধুমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার ওয়াস্তে ভালবাসা, বন্ধুত্ব স্থাপন, এবং মহান আল্লাহ পাক উনার ওয়াস্তে শত্রুতা পোষণ কর, এখন আমার প্রশ্ন হলো- “এ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার সঠিক ব্যাখ্যা অর্থাৎ কোন ধরণের লোকের সঙ্গে ভালবাসা এবং কোন ধরণের লোকের সঙ্গে শত্রুতা পোষণ করতে হবে, বিস্তারিত জানালে খুশি হব।


সুওয়াল : নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একটি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে পড়লাম মানুষের সাথে শুধুমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার ওয়াস্তে ভালবাসা, বন্ধুত্ব স্থাপন, এবং মহান আল্লাহ পাক উনার ওয়াস্তে শত্রুতা পোষণ কর, এখন আমার প্রশ্ন হলো- এ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার সঠিক ব্যাখ্যা অর্থাৎ কোন ধরণের লোকের সঙ্গে ভালবাসা এবং কোন ধরণের লোকের সঙ্গে শত্রুতা পোষণ করতে হবে, বিস্তারিত জানালে খুশি হব।


জাওয়াব : আপনার পঠিত পবিত্র হাদীছ শরীফখানা যা আবু দাউদ শরীফ ও তিরমিযী শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে। মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন,          
من احب لله وابغض لله واعطى لله ومنع لله فقد استكمل الايمان.
অর্থ : যে ব্যক্তি মুহব্বত করে মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য, বিদ্বেষ পোষণ করে মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য, আদেশ (দান) করে মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য এবং নিষেধ করে মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য, সে ঈমানে পরিপূর্ণ।
উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ খানা আল্লাহওয়ালা উনাদের শানে বর্ণনা করা হয়েছে। অর্থাৎ আল্লাহওয়ালা উনাদের চারটা গুণ বর্ণনার সাথে সাথে ঈমান পূর্ণতার কারণও বর্ণনা করা হয়েছে। যিনি খালিছ আল্লাহওয়ালা হবেন, তিনি কখনো নফসের পায়রবী করবেন না এবং বেদ্বীন ও বদদ্বীনদেরও অনুসরণ ও অনুকরণ করবেন না। সর্বাবস্থায় মহান আল্লাহ পাক উনার মতে মত এবং মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পথে পথ থাকবেন। আর যে ব্যক্তি উনার খিলাফ করবে, সে কখনও আল্লাহওয়ালা হতে পারবে না। অর্থাৎ যাঁরা ইসলামী শরীয়াহ তথা পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র সুন্নাহ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস উনাদের মুয়াফিক (অনুযায়ী) হবেন, উনাদের সাথে মুহব্বত রাখতে হবে। আর যারা উনার খিলাফ (বিপরীত) হবে, তাদের সাথে মুহব্বত রাখা যাবে না। অর্থাৎ যে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ ও বিরোধীতা করে, তার সাথে বিদ্বেষ পোষণ করতে হবে।
আবা-৩৫

0 Comments: