৬৫৪ নং- সুওয়াল : الا الله (ইল্লাল্লাহ) যিকির করা জায়িয আছে কি? আমাদের এলাকার কতক মাওলানা এ যিকির করা ঠিক নয় বলেছেন, তাই এ বিষয়ে ফেৎনা দেখা দিয়েছে। সঠিক সমাধান কি হবে দয়া করে জানাবেন।


সুওয়াল : الا الله  (ইল্লাল্লাহ)  যিকির   করা জায়িয আছে কি? আমাদের এলাকার কতক মাওলানা এ  যিকির করা ঠিক নয় বলেছেন, তাই এ বিষয়ে ফেৎনা দেখা দিয়েছে। সঠিক সমাধান কি হবে দয়া করে জানাবেন।

জাওয়াব : ইল্লাল্লাহযিকির, ক্ষেত্র বিশেষে জায়েয রয়েছে, আবার ক্ষেত্র বিশেষে নাজায়েযও বটে। মুলত ইল্লাল্লাহ যিকির, ইলমে তাসাউফ হাছিলের জন্য মানুষ যেসব তরীক্বা মশক করে থাকে, যেমন- কাদেরীয়া, চিশতীয়া, নকশবন্দীয়া, মুজাদ্দেদীয়া ইত্যাদি তরীক্বার ছবক সমূহের একটি ছবকের অন্তর্ভূক্ত। যদি কেউ শুধু ইল্লাল্লাহ’ (মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত) অর্থ খেয়াল করে এ যিকির করে, তাহলে তা শুদ্ধ হবেনা। এ যিকির সম্পর্কে তাসাউফের কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে- যখন কেউ ইল্লাল্লাহযিকির করবে, তখন প্রকাশ্যে সে ইল্লাল্লাহবলবে  এবং   পুশিদা  বা  গুপ্তভাবে لااله  (লা-ইলাহা) অর্থ- নাই কোন ইলাহ (মাবুদ) খেয়াল করবে। তখন অর্থ দাড়াবে- “মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ বা মাবুদ নেই। এছাড়া চিশতীয়া নিজামীয়া তরীক্বার ছবকসমূহের একটি ছবক রয়েছে, যার নাম ইসবাতে মুজাররাদ।  ছবকে- 
اللهم يا حنان يامنان يا ذاالجلال والاكراما شهدان كل معبود من دون عرشك الى منتهى قرار الارضينباطل.
অর্থ : হে মহান আল্লাহ পাক! হে আরজি পুরণকারী, ইহসানকারী, হে গৌরবাম্বিত, হে মহিমাম্বিত, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আরশ থেকে জমিনের সর্ব নিম্নস্তর পর্যন্ত যত মাবুদ আছে আপনি ব্যতীত সবই বাতিল। এই বাক্যটি এক শ্বাসে পড়ে তার অর্থ দিলের মধ্যে রেখে অপর এক শ্বাস নিয়ে ইল্লাল্লাহ (মহান আল্লাহ পাক ব্যতীত) শব্দকে কালবে জরব দিতে হয়। আর চিশতিয়া ছাবেরীয়া তরীক্বার ও ছবক সমূহের একটি ছবক হলো ইল্লাল্লাহ যিকির।
অতএব, ইল্লাল্লাহ (মহান আল্লাহ তিনি ব্যতীত) শব্দের যিকির যখন যেভাবেই করুক না কেন, সব অবস্থাতেই লা-ইলাহা (নেই কোন মাবুদ)-এর অর্থ অন্তরে পুশিদাভাবে রেখে বা খেয়াল করে যিকির করতে হবে। (সমূহ তাসাউফের কিতাব দ্রঃ)।
আবা-৩৬

0 Comments: