৬৬৮ নং- সুওয়াল :“তাখাল্লাক্বু বি আখলাক্বিল্লাহ” অর্থাৎ আল্লাহ পাক উনার চরিত্রে চরিত্রবান হওয়া বলতে কি বুঝায়, জানিয়ে বাধিত করবেন।


সুওয়াল :তাখাল্লাক্বু বি আখলাক্বিল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহ পাক উনার চরিত্রে চরিত্রবান হওয়া বলতে কি বুঝায়, জানিয়ে বাধিত করবেন। 

জাওয়াব :তাখাল্লাক্বু বি আখলাক্বিল্লাহ”-এর অর্থ এক কথায় হচ্ছে- মহান আল্লাহ পাক উনার গুণে গুণান্বিত হওয়া। যেমন আল্লাহ পাক দয়ালু বা রহমান ও রহীম, তদ্রুপ বান্দাহজন্য দয়ালু হওয়া বা দয়ার গুণ অর্জন করা। মহান আল্লাহ পাক সাত্তার, অর্থাৎ দোষ গোপনকারী, তদ্রুপ বান্দার জন্য দোষ গোপণ করার গুণটি অর্জন করা। আল্লাহ পাক গাফ্ফার অর্থাৎ ক্ষমাশীল, তদ্রুপ বান্দার জন্য ক্ষমার গুণটি অর্জন করা। এরূপ মহান আল্লাহ পাক উনার যতগুলি ছিফতী নাম মুবারক রয়েছে, প্রত্যেকটি নাম মুবারকের যে বৈশিষ্ট্য রয়েছে, সে বৈশিষ্ট্যসমূহ অর্জন করাই হচ্ছে তাখাল্লাক্বু বি আখলাক্বিল্লাহ্।যা মৌখিক শুনে বা কিতাবাদি বা বই-পুস্তক পড়ে হাছিল করা কস্মিণকালেও সম্ভব নয়।এ গুণসমূহ হাছিল বা অর্জন করতে হলে, যিনি মহান আল্লাহ পাক উনার গুণাবলীর পূর্ণ মেছদাক, নমুনা বা নকশা হয়েছেন অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবিয়্যীন,নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহহুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সূক্ষাতিসূক্ষ্ম, পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসরণ- অনুকরণ করতে হবে। কারণ পবিত্র কালামে পাক উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
من يطع الرسول فقد اطاع الله.
অর্থ :যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাকছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইতায়াত বা আনুগত্যতা অথবা গুণে গুণান্বিত হলো, সেই মূলতমহান আল্লাহ পাক উনার ইতায়াত বা আনুগত্যতা অথবা গুণে গুণাণি¦ত হলো।” (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ ৮০)
এখন যেহেতু মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সরাসরি পাওয়া যাবেনা, সেহেতু যারা মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ ওয়ারীশ বা নায়েব ও আউলিয়ায়ে কিরাম রয়েছেন, উনাদের পূর্ণ অনুসরণের মাধ্যমেই মহানআল্লাহ পাক উনার গুণে গুণান্বিত হওয়া সম্ভব। (ফতহুল গয়ব, মকতুবাত শরীফ)   অর্থাৎ এ সমস্ত গুণসমুহ অর্জন একমাত্র পীরানে তরীক্বত বা বুযুর্গানে দ্বীনগণের নিকট বাইয়াত হয়ে ইলমে তাসাউফ চর্চার মাধ্যমেই সম্ভব। (ফতহুল গায়েব, মকতুবাত শরীফ)
আবা-৩৭

0 Comments: