পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার
সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা
আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের-
হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম
উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত
মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা
হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক ও শরয়ী পর্দা পালনের
একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা
আমল, অর্থাৎ ইবাদত-বন্দেগী হলো ইখলাছপূর্ণ আনুগত্যতায় আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক নির্দেশপালন এবং হাক্বীক্বীভাবে উনার অনুসরণ ও
অনুকরণ। সম্মানিত সুন্নতবিহীন কোনো অনুভব, কথা, কাজ ও আমল ইবাদত-বন্দেগীর ছূরত হলেও তা’ অবাধ্যতা
ও গুমরাহী। মূল যা কথা তা’ হলো, সাইয়্যিদুল
মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যথার্থ অনুসরণ ও অনুকরণই প্রকৃত
ইবাদত। সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত
সুন্নত উনার হাক্বীক্বী অনুসরণে যে আমল সম্পাদিত হয়, প্রকৃতভাবে
তাই আমলকারীকে তার ইন্তিকালে, কবরে, হাশরে-নশরে, মিযানে, পুলসিরাতে ফায়দা দিয়ে থাকে।
সম্মানিত সুন্নত উনার সঙ্গে সম্পৃক্ত খুলুছিয়তপূর্ণ এমন আমলই মহান আল্লাহ পাক
সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এবং উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে
মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের
রিযামন্দি- সন্তুষ্টি, তায়াল্লুক-নিসবত, মুহব্বত-মা’রিফাত অর্জনের একমাত্র মাধ্যম।
সুবহানাল্লাহ!
এ মর্মে
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন:
عن حضرت ابى هريرة رضى الله
تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا مات الانسان انقطع عنه عمله
الا من ثلاثة الا من صدقة جارية او علم ينتفع به او ولد صالح يدعو له.
অর্থ: “হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত।
তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন: “মানুষ যখন ইন্তিকাল করে, তখন তার
সমস্ত আমল বন্ধ হয়ে যায় তিনটি ব্যতীত। যথা: ১. ছদক্বায়ে জারিয়া, ২. ফায়দাদানকারী ইলিম, ৩. নেক
সন্তান, যিনি কবরবাসী পিতা-মাতার জন্য দুআ’ করেন।” সুবহানাল্লাহ!
ছদক্বায়ে
জারিয়া:- ছদক্বায়ে জারিয়া হলো, হক্কুল ইবাদ উনার পরিপূরক আমল।
যেমন: দরবার শরীফ ও খানকা শরীফের জন্য যায়গাদান। মসজিদ, মাদরাসা, ঈদগাহ, কবরস্থান, রাস্তাঘাট
নির্মাণ, পানির ব্যবস্থা করাসহ যাবতীয়
জনকল্যাণমূলক কাজ সম্পাদন। এসবের মাধ্যমে মানুষের দুনিয়া ও আখিরাতের প্রভূত
উপকারসাধিত হয়ে থাকে। ছদক্বায়ে জারিয়া, অর্থাৎ
জীবদ্দশায় মানুষের কল্যাণসাধনজনিত হক্কুল ইবাদ প্রতিপালনের কারণে সংশ্লিষ্ট
কবরবাসী নিরন্তর অপরিমেয় নেকীলাভ করতে থাকেন। সুবহানাল্লাহ!
উপকারী
ইলিম:- জীবদ্দশায় মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এবং উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের
তায়াল্লুক-নিসবত, রিযামন্দী-সন্তুষ্টি, মুহব্বত-মা’রিফাত হাছিলজনিত যে ইলিম শিক্ষাদান
করা হয় এবং তদনুযায়ী সিলসিলা পরম্পরায় ওই আমলে মানুষ অভ্যস্ত হয়ে উঠে, তাই ফায়দাজনক (উপকারী) ইলিম। মুবারক এ কাজটি সম্পাদিত হয় শিক্ষক
কর্তৃক মাদরাসা-মক্তবে অথবা বিকল্প কোনো পন্থায় ছাত্রকে শিক্ষাদানের মাধ্যমে।
কামিলে মুকাম্মিল পীর ছাহিব কর্তৃক আপন মুরীদকে ইলিম, তা’লীম-তরবিয়ত শিক্ষাদান এবং
ফায়িজ-তাওয়াজ্জুহদানের মাধ্যমে। পবিত্র ইলিম ও আমল চর্চা ও প্রতিপালনের মুবারক
ধারাবাহিকতা যতোদিন অব্যাহত থাকে, ততোদিন সংশ্লিষ্ট কবরবাসী অপরিমেয়
নেকী হাছিল করতে থাকেন। মুবারক এ নিয়ামত ও নেকীলাভের ক্রমধারা কখনোই ব্যাহত হয় না।
সুবহানাল্লাহ! (চলবে)
আবা-২৪৪
0 Comments:
Post a Comment