পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল,
ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস
সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা
আমাদের-
হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম
উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান,
বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত
মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা
হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক ও শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ
অভ্যস্ততা
আকৃতি বিকৃতির
অব্যাহত ধারায় সম্প্রতি বাংলাদেশের তথাকথিত পীর, দরবেশ, আমীর, মুফতী, মুহাদ্দিছ, ইসলামী চিন্তাবিদদের মরণকালের অন্তিম দশায়
তাদের চেহারায় যে বিকৃতিসাধণ এবং আনুষঙ্গিক বদ আলামতের উদ্ভব হয়েছে, তা বর্ণনার ভাষা সষ্টি হয়নি। এ কারণে মরণের পরে এদের পঁচা দুর্গন্ধযুক্ত লাশ
কাউকেই দেখতে দেয়া হয়নি। অথচ একজন সাধারণ মুসলমান, যিনি কখনোই
নিজেকে পীর, দরবেশ, আমীর, মুফতী, মুহাদ্দিছ, ইসলামী চিন্তাবিদ
হিসেবে দাবী করেননি, তাঁর চেহারা ও সুন্দর আলামত দেখে সহজেই অনুমান
করা যায়, তিনি ঈমানের সঙ্গে ইন্তিকাল করেছেন। মহান আল্লাহ পাক
সুবহানাহু ওয়া তায়ালা উনার অনুগ্রহ ও ক্ষমায় তিনি জান্নাতী হবেন। সুবহানাল্লাহ!
জীবনে ও
মরণে উলামায়ে ‘সূ’ এবং মাহবূব পুরুষ অথবা মহিলা ওলীআল্লাহ উনাদের
মধ্যে আকাশ-পাতাল ব্যবধান বিদ্যমান। দৃশ্যমান মুবারক আলামত ছাড়াও নৈকট্যধন্য ওলীআল্লাহ
উনাদের পবিত্র বিছাল শরীফ উনার অব্যবহিত পূর্বে ও অব্যবহিত পরে অনেক মুবারক ঘটনা ও
আলামতের উদ্ভব হয়, যা ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে
‘সূ’ তো দূরের কথা, সাধারণ মুসলমান উনাদেরও
বোধগম্য নয়। মাহবূব ওলীআল্লাহ উনারা যে কী মহানতম শান-মান, মর্যাদা
ও মাক্বামের অধিকারী, তা মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহু ওয়া তায়ালা
উনার এবং উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের শত্রুরা বুঝবে
কী করে?
পবিত্র
বিছাল শরীফ উনার পর সূক্ষ্মদর্শী ওলীআল্লাহ উনাদের প্রতি কায়িনাতবাসীর ছানা-ছিফত আরো
ক্রমবর্ধিষ্ণু হয়। অনেক বিষয়ের মধ্যে এতেও প্রমাণিত হয়, উনারা মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এবং ছাহিবুল কাউছার,
ছাহিবু কা’বা কাউছানী আও আদনা, ছাহিবুল ওহী, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের কতো নৈকট্যভাজন, কতো রিযামন্দি-সন্তুষ্টিভাজন!
সুবহানাল্লাহ! সে কারণেইতো ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল,
উম্মু সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদিল আ’যম আলাইহিস সালাম, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত উম্মু
রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল
আলামীন, হযরত সাইয়্যিদা দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করেন পবিত্র বিছাল শরীফ উনার পূর্বে।
তিনি পাক-পবিত্র হয়ে যিকিররত অবস্থায় মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র দীদারে গমন করেন।
সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র
বিছাল শরীফ গ্রহণের পর উনার পবিত্র চেহারা মুবারক নূরে নূরাণী হয়ে উঠে। পবিত্র জান্নাতী
নূরে উনার পুরো অবয়ব মুবারক দ্বীপ্তিময় হয়। আমাদের মা, বোন, আহলিয়া, নিকট
আত্মীয়া (যাঁরা সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনাকে দেখেছেন এবং উনার মুবাকর ছোহবত ইখতিয়ার করেছেন) উনাদের
নিকট শুনেছি, পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণের
পর দেখে মনে হয়েছে উনার বয়স মুবারক মাত্র পঁচিশ/ত্রিশ বছর। মনে হয়েছে দু’চোখ মুবারক বন্ধ করে ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি অবিচ্ছেদ্য নৈকট্য-সংযোগে মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহু ওয়া
তায়ালা উনার এবং নূরে মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পবিত্র
দীদার মুবারকে মশগুল রয়েছেন। যে ছাহিবে নিয়ামত হাছিলের জন্য আয়াসসাধ্য আয়োজনে মুবারক
জীবনের এতোগুলো দিনকে তিনি সযতেœ গুছিয়ে তুলেছেন, মুবারক হায়াতে সে নিয়ামত
তিনি পুরোপুরি হাছিল করেছেন। আজ পবিত্র বিছাল শরীফে প্রত্যক্ষভাবে সে পবিত্র নিয়ামত
হাছিলের অনুপম মুহূর্তে তিনি কতো ইতমিনান! সুবহানাল্লাহ! (চলবে)
আবা-২৪১
0 Comments:
Post a Comment