পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ,
মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ
ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল,
সাইয়্যিদাতুনা আমাদের-
হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা
আলাইহাস সালাম
উনার সীমাহীন
ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান,
মান-শান,
বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম
মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত
মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী
হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক ও শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ
অভ্যস্ততা
সূক্ষ্মদর্শী পুরুষ ওলীআল্লাহ উনারা
উনাদের তাক্বওয়া এবং অবস্থানগত অনুপম উৎকর্ষতার কারণে হিদায়েত ও নছীহতের উদ্দেশ্য
ব্যতীত বেদ্বীন, বদদ্বীন ও
ফাসিক-ফুজ্জারদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাতে অনীহাবোধ করেন। সূক্ষ্মদর্শী মহিলা
ওলীআল্লাহ উনারাও উনাদের তাক্বওয়া, শরয়ী-পর্দাপালন এবং অবস্থানগত উৎকর্ষতার কারণে বদকার মহিলাদের সঙ্গে
দেখা-সাক্ষাৎ করেননা, কোনো সংস্রব রাখেন না। একই
কারণে ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত সাইয়্যিদাহ দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি উনার সীমাহীন তাক্বওয়া-পরহেযগারী এবং
হাক্বীক্বী শরয়ী পর্দাপালনের দায়িমী অভ্যস্ততায় এতো শীর্ষ মাক্বামে অধিষ্ঠিতা
ছিলেন যে, বাইরের কোনো সাধারণ
মহিলাতো দূরের কথা, পাক দরবার শরীফে উনার
আখাছছুল খাছ খাদিমা ছাড়া সেখানের অগণিত মহিলা উনাদের মধ্যে কেউই উনাকে দেখতে
পাননি। অর্থাৎ তিনি কাউকেই দেখা-সাক্ষাতের অনুমতিদান করেননি। সুবহানাল্লাহ!
অনেক সুন্নত রয়েছে যেগুলো আপন ইচ্ছায়
জাহিরীভাবে পালন করা আদৌ সম্ভব নয়। বান্দা-বান্দির কোশেশ ও ক্ষমতা প্রয়োগে সেসব
সুন্নতপালন করার প্রশ্ন অবান্তর। ওই সুন্নত পালন মানুষের কোশেশ ও ক্ষমতা বহির্ভূত।
জীবন ও জগতের অনেক বিষয়ই ইচ্ছা ও আকাঙ্খার অন্তর্ভুক্ত হলেও হিম্মত ও অনুশীলনের
পর্যায়ভুক্ত নয়। এমনকি অনেক বিষয় রয়েছে, যা মানুষের আশা-আকাঙ্খারও পর্যায়ভুক্ত নয়। তবে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার
প্রিয়তম হাবীব, নূরে মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনাদের গায়েবী মদদ ও ইহসানে মাহবূব বান্দা-বান্দি উনাদের প্রত্যাশিত ও অপ্রত্যাশিত
অনেক সুন্নতই অনুশীলনের পর্যায়ে এসে যায়। এসব সুন্নত পালনকারীর পূর্ণতালাভের স্তর
সীমাহীন। পূর্ণতাপ্রাপ্তির অবারিত সম্ভারে নিগূঢ় নৈকট্যধন্য বান্দা-বান্দিগণ
বিশিষ্ট ওলীআল্লাহ অভিধায় অভিষিক্ত হয়ে থাকেন। ক্ষমতা বহির্ভূত সুন্নত পালনের
ক্ষেত্রে মনোনীত ওলীআল্লাহ, মুজাদ্দিদ উনাদের প্রতি
মহান আল্লাহপাক এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এটি আখাছছুল খাছ
বখশিশ। সুবহানাল্লাহ!
রহমতুল্লিল আলামীন, রউফুর রহীম, আকরামুল আউয়ালীন ওয়াল আখিরীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
পবিত্রতম “রগাইব শরীফ” সম্মানিত রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার প্রথম জুমুয়ার রাতে
সংঘটিত হয়। অর্থাৎ সম্মানিত রজবুল হারাম শরীফ মাসে “রগাইব শরীফ” সংঘটিত হওয়া হচ্ছে সুন্নত।
এ পবিত্র সুন্নতপালন মানুষের ক্ষমতা ও হিম্মত বহির্ভূত। লক্ষ্যস্থল বান্দা-বান্দি
উনাদেরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি এ মুবারক সুন্নতপালনের সুযোগদানে উনাদেরকে
নৈকট্যসুধায় ধন্য করে থাকেন।
ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম, সাইয়্যিদাতু নিসাইল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা
হযরত সাইয়্যিদাহ দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার লক্ষ্যস্থল মাহবূবা সূক্ষ্মদর্শী
ওলীআল্লাহ। তিনি হাবীবাতু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি
পঞ্চদশ হিজরী শতকের সুমহান মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে মাদারযাদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার মহা
সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
হাক্বীক্বী অনুসরণে মহান আল্লাহ পাক তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা
কা’বা আলাইহাস সালাম উনাকে পবিত্র “রগাইব শরীফ” উনার সুন্নত পালনের অনুপম সুযোগদানে মহিমান্বিতা করবেন, এটিইতো স্বাভাবিক ও সংগত।
আবা-২৩৩
0 Comments:
Post a Comment