হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম
উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত,
বুযূর্গী-সম্মান,
মান-শান,
বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম
মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত
মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই
সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক ও শরয়ী
পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা
মাহবূব
ওলীআল্লাহ উনাদের পবিত্র হায়াত মুবারক এবং উনাদের পবিত্র বিছাল শরীফ উনার মধ্যে
কোনোই পার্থক্য নেই। পার্থক্য শুধু পর্দার আড়াল হওয়া। দুনিয়া ও আখিরাত, উভয় জগতে উনারা মহাসম্মানে অভিষিক্ত হয়ে থাকেন। উনারা যে
মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনাদের কাছে হাক্বীক্বীভাবে সমাদৃত ও ক্ববুলকৃত, পবিত্র বিছাল শরীফ উনার পর উনাদেরকে দেখেই তা উপলব্ধি করা যায়। এ বিষয়ে পবিত্র
কালামুল্লাহ শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে মুবারক বর্ণনা রয়েছে। পবিত্র
বিছাল শরীফ উনার পর প্রকাশিত মুবারক আলামত দেখে এবং উনাদের প্রতি সকলের
স্বতঃস্ফূর্ত সম্মান প্রদর্শন ও ছানা-ছিফতে আম মানুষেরও বুঝতে কষ্ট হয় না যে, উনারা নিগূঢ় নৈকট্যধন্য সূক্ষ্মদর্শী মাহবূব ওলীআল্লাহ।
সুবহানাল্লাহ!
পক্ষান্তরে
বিদায়াতী, উলামায়ে ‘সূ’ এবং বদ আক্বীদাসম্পন্ন ভ-
ও প্রতারকদের বিকৃত আকৃতি, বীভৎস চেহারা এবং
আনুষঙ্গিক বদ আলামত দেখে বুঝতে কারোই কষ্ট হয় না যে, ইবলিসের দোসর এরা মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এবং উনার প্রিয়তম
হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনাদের কোপানলগ্রস্ত জাহান্নামের কীট! মহান আল্লাহ পাক এবং আকরামুল আউওয়ালীন ওয়াল
আখিরীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের শত্রুদের মরণকালে আকৃতি বিকৃতির ধারা নুতন নয়। এ ধারা
পূর্ব থেকেই চলে এসেছে। নাউযুবিল্লাহ!
নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনাকে উপহাস করায়, উনার প্রতি কটূক্তি করায়, উনাকে অবর্ণনীয় কষ্ট দেয়ায় কাট্টা কাফির ওলীদ বিন মুগীরার
নাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি কলঙ্কদাগ লাগিয়ে দিয়েছেন। এ মর্মে মহান আল্লাহ পাক তিনি
পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন:
سنسمه على الـخرطوم
অর্থ: “অচিরেই আমি তার (ওলীদ বনি মুগীরা) নাসিকার উপর দাগ লাগিয়ে
দিব।” (পবিত্র সূরা কলম শরীফ: পবিত্র আয়াত
শরীফ-১৬) ওই কলঙ্ক দাগ দেখেই সকলে বুঝে ফেলতো ওলীদ বিন মুগীরা বদকার, সে কাট্টা কাফির।
পবিত্র
কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ওলীদ বিন মুগীরা এবং তার সমগোত্রীয় কাফিরদের অনেকগুলো
জঘন্য দোষ বর্ণনা করা হয়েছে।
যেমন:
ولا تطع كل حلاف مهين.
هماز مشاء بنميم. مناع للخير معتد اثيم. عتل بعد ذلك زنيم
উপরোক্ত
পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে বোঝা যায় যে, ওলীদ বিন মুগীরা “১. সে মিথ্যা শপথকারী ২. সে অপমানিত ৩. সে নিন্দাকারী ৪. সে পরের দোষ
বর্ণনাকারী ৫. সে চোগলখোর ৬. সে সৎকাজে নিষেধকারী ৭. সে সীমালঙ্ঘনকারী ৮. সে পাপে
আকন্ঠ নিমজ্জিত ৯. সে বদচরিত্রের অধিকারী ১০. অধিকন্তু সে অবৈধ সন্তান।” নাউযুবিল্লাহ! (পবিত্র সূরা কলম শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ
১০-১৩)
কাট্টা
কাফির ওলীদ বিন মুগীরার ঘটনা থেকে উপলব্ধি করা অত্যন্ত সহজ যে, রহমতুল্লিল আলামীন, রউফুর রহীম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শত্রু উলামায়ে ‘সূ’সহ সমগোত্রীয় সকলের মধ্যে
বর্ণিত সবগুলো দোষ অথবা কিছু সংখ্যক দোষ থাকা অত্যন্ত জরুরী। ওই জঘন্য দোষের
জন্যইতো উলামায়ে ‘সূ’ এবং তথাকথিত প্রগতিবাদীরা সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
বিরোধিতা করে থাকে। উনাকে অনুসরণ করার পরিবর্তে উনার বিরুদ্ধে তারা সমালোচনা করে, কুৎসা রটনা করে। নাউযুবিল্লাহ! (চলবে)
আবা-২৪০
0 Comments:
Post a Comment