৭০১ নং- সুওয়াল : আমি৭/৮ বছর বয়সে নিয়মিতভাবে নামায পড়তে থাকি। পরবর্তীতে নামায ফরয হওয়ার পর অনেক নামায তরক করেছি। এখন ঐ পরিত্যাক্ত নামায কিভাবে আদায় করবো? আর ফরয হওয়ার আগে যে নামায পড়েছিলাম, তা কোন উপকারে আসবে কি?

 

সুওয়াল : আমি৭/৮ বছর বয়সে নিয়মিতভাবে নামায পড়তে থাকি। পরবর্তীতে নামায ফরয হওয়ার পর অনেক নামায তরক করেছি। এখন ঐ পরিত্যাক্ত নামায কিভাবে আদায় করবো? আর ফরয হওয়ার আগে যে নামায পড়েছিলাম, তা কোন উপকারে আসবে কি?

জাওয়াব : পুরুষ ও মহিলা যখন বালেগ ও বালেগা হয়, তখন তার প্রতি নামায রয হয়। সুতরাং কারো উপর নামায ফরয হওয়ার পর তা যদি সে তরক করে, তবে তার জন্য তা আদায় করা ফরয, যাকে ক্বাজা বলে। এই কাজ্বা দুপ্রকার- (১) ক্বাজায়ে আদা, (২) ক্বাজায়ে উমরী।

ক্বাজায়ে আদা: যে নামায ক্বাজা হয়েছে, তা যদি নিশ্চিতরূপে জানা থাকে, তাকে ক্বাজায়ে আদা বলে।

ক্বাজায়ে উমরী: যে নামায ক্বাজা হয়েছে, তা যদি নিশ্চিতরূপে জানা না থাকে, তাকে ক্বাজায়ে উমরী বলে।

ক্বাজায়ে আদা ও ক্বাজায়ে উমরী পড়ার নিয়ম হলো- দৈনন্দিন পাঁচ ওয়াক্ত এবং বিতরকে এক ওয়াক্ত ধরে মোট ছয় ওয়াক্ত হিসাবে আদায় করতে হবে।

উল্লেখ্য, ক্বাজায়ে উমরী যা নিশ্চতরূপে জানা নেই, তার হিসাব অনুমান করে ঠিক করে নিবে এবং যতদিনের নামায ক্বাজা হয়েছে বলে মনে হয়, ততদিনের ক্বাজা আদায় কতে থাকবে। যখন ক্বাজা আদায়কারী নিশ্চিত হবে যে, তার জিম্মায় আর ক্বাজা নামায নেই, তখন সে উক্ত নামায পড়া বন্ধ করে দিবে।

এখানে বিষভাবে উল্লেখ্য যে উমরী ক্বাজার ক্ষেত্রে মাগরিব ও বিতর নামায তিন রাকায়াতের স্থলে চার রাকায়াত পড়বে। অর্থাৎ তিন রাকায়াত যথারীতি পড়ার পর, অতিরিক্ত আরেক রাকায়াত পড়বে।

আর উক্ত নামায আদায়কারী নিয়ত করার সময় এভাবে নিয়ত করবে যে, যে সকল নামায ক্বাজা হয়েছে, তার প্রথম ফযর বা প্রথম যুহর আদায় করছি। এভাবে যে নামায পড়বে, সে নামাযের নিয়ত করবে।

আর নামায ফরয হওয়ার পূর্বে যে নামায পড়া হয়েছে, তার ফযীলত পাওয়া যাবে।

 আবা-৩৯

 

0 Comments: