৭০৩ নং-সুওয়াল: জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা যাবে কি না ? অনেকে বলে যাবে ।

 

সুওয়াল : বর্তমানে বেশ কিছু দ্বীনী ও দুনিয়াবী শিক্ষিত লোক জন্ম নিয়ন্ত্রণের পক্ষে বলে থাকে। তারা এর সপক্ষে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দলীল উপস্থাপন করে কিছু বই-পুস্তকও প্রনয়ণ করে বলেছে যে, জন্ম নিয়ন্ত্রন পদ্ধতি সম্পূর্ণ ইসলাম সম্মত। আর বিভিন্ন প্রচার মাধ্যেমেও এর প্রয়োজনীয়তা ঢালাও ভাবে প্রচার করে জনগণকে এর প্রতি উদ্বুদ্ধও করা হয়ে থাকে। এখন আমার জানার বিষয় হলো- জন্ম নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে তাদের উক্ত বক্তব্য ও প্রচার সঠিক ও ইসলাম সম্মত কি? নির্ভরযোগ্য দলীল-আদিল্লার মাধ্যমে জানিয়ে ঈমান আমল হিফাযত করবেন।

জাওয়াব : আমাদের দেশে জন্ম নিয়ন্ত্রণকে বার্থ কন্ট্রোল বা ফ্যামিলী প্ল্যানিং শব্দ দ্বারাও বুঝানো হয়ে থাকে। জন্ম নিয়ন্ত্রণকে ম্যালথাসবাদও বলা হয় এবং কারণ স্বরূপ বলা হয় যে, ডঃ ম্যালথাস নামে ইংল্যান্ডের এক অর্থনীতিবিদ ১৭৯৮ সালে বিবৃতি দিয়েছিল- লোকসংখ্যা এভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে যে, একশত বছর পরে পৃথিবীতে লোকের জায়গার সংকুলান হবেনা। তার এ বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে কিছু লামায়ে সূ” (দুনিয়াদার আলেম) জন্ম নিয়ন্ত্রণের পক্ষে ফতওয়া দেয়।

এখন আমরা প্রথমে ডঃ ম্যালথাসের উপরোক্ত বিবৃতিকে আক্বলী দলীলের দ্বারা আলোচনা করবো যে, তা কতটুকু শুদ্ধ বা অশুদ্ধ।

ডঃ ম্যালথাস ১৭৯৮ সালে বিবৃতি দিয়েছিল- একশত বছর পরে পৃথিবীতে লোকের জায়গা ধরবে না। কিন্তু বর্তমানে একশত বছর অতিক্রম হয়ে প্রায় দুশত বছর হতে যাচ্ছে, (বর্তমান সন হচ্ছে- ১৯৯৬)। তারপরও দেখা যাচ্ছে জনসংখ্যা অনুযায়ী পৃথিবীর অনেক জায়গাই খালি রয়েছে।

উল্লেখ করা যেতে পারে যে, বর্তমানে সরকারী পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে লোক সংখ্যা হচ্ছে- প্রায় ১২ থেকে ১৪ কোটি। আর তার আয়তন হচ্ছে- প্রায় ৫৫ হাজার বর্গমাইল।

বর্তমানে পৃথিবীর লোক সংখ্যা আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রায় সাড়ে পাঁচশত থেকে পৌনে ছয়শত কোটি।

এখন যদি বাংলাদেশের আয়তন ও তার লোক সংখ্যা অনুযায়ী পৃথিবীর অন্যান্য দেশের আয়তন ও লোক সংখ্যার পর্যালোচনা করি, তাহলে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠবে।

যেমন- সৌদী আরব, যা একটি মুসলিম দেশ। যার আয়তন হচ্ছে- প্রায় ৮ লক্ষ বর্গমাইল। বাংলাদেশের আয়তনের হিসেবে প্রায় ১৬ গুণের কাছাকাছি। অথচ সৌদী আরবের লোক সংখ্যা হচ্ছে- তাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রায় দেড় কোটি মাত্র। বাংলাদেশের জনবসতি অনুযায়ী যদি সৌদী আরবের জনবসতি হিসাব করা হয়, তাহলে দেখা যাবে যে, এক সৌদী আরবেই প্রায় দুশত কোটি লোকের সংকুলান হবে।

এরূপ অষ্ট্রেলিয়া একটি মহাদেশ। যার আয়তন হচ্ছে- প্রায় ৩০ লক্ষ বর্গমাইল। আর যা বাংলাদেশের আয়তনের ৬০ গুণের কাছাকাছি। অথচ লোক সংখ্যা হচ্ছে- প্রায় মাত্র সোয়া কোটি (১ কোটি ২৫ হাজার প্রায়)। বাংলাদেশের জনবসতি অনুযায়ী এক অষ্ট্রেলিয়াতেই পৃথিবীতে বর্তমানে যে লোক সংখ্যা রয়েছে, তার সংকুলান হওয়ার কথা।

অনুরূপ আমেরিকা একটি মহাদেশ। যার আয়তন হচ্ছে- প্রায় ৩৬ লক্ষ বর্গমাইল। বাংলাদেশের আয়তনের প্রায় ৭২ গুণের কাছাকাছি। অথচ লোক সংখ্যা হচ্ছে প্রায় ২৪ কোটি। বাংলাদেশের জনবসতি অনুযায়ী এক আমেরিকাতেও পৃথিবীর সমস্ত লোক ধরেও কিছু জায়গা বাকী থাকার কথা।

আর যে রাশিয়া ভেঙ্গে টুকরা টুকরা হয়ে গেল, তার আয়তন ছিল- প্রায় ৮৬ লক্ষ বর্গমাইল। বাংলাদেশের আয়তন হিসেবে প্রায় দেড়শত গুণেরও বড়। যার লোক সংখ্যা ছিল- মাত্র প্রায় ২৮ কোটি। বাংলাদেশের জনবসতি অনুযায়ী এক রাশিয়াতেই বর্তমানে পৃথিবীতে যত সংখ্যক লোক রয়েছে, তার কয়েকগুণ লোক ধরার কথা। এ ছাড়াও রয়েছে, কানাডা, ইউরোপ, মিডিলইষ্ট, আরো রয়েছে- আফ্রিকা ইত্যাদি।

অতএব, উপরোক্ত পর্যালোচনা দ্বারা এটাই সাব্যস্ত হলো যে, ডঃ ম্যালথাসের বিবৃতি সম্পূর্ণ ভুল, অশুদ্ধ ও বিভ্রান্তিমূলক।

এখন আমরা নক্বলী দলীল অর্থাৎ পবিত্র কুরআন শরীফ উনার একখানা পবিত্র আয়াত শরীফ ও একখানা পবিত্র হাদীছ শরীফ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করবো।

উল্লেখ্য, যারা জন্ম নিয়ন্ত্রণকে জায়েয বলে, তারা দলীল স্বরূপ পেশ করে,        

انما اموالكم و اولاد كم فتنة.

পবিত্র আয়াত শরীফ উনার অর্থ তারা (যারা জন্ম নিয়ন্ত্রণকে জায়েয বলে) করে থাকে- অধিক সম্পদ এবং অধিক সন্তান বিপদের কারণ।” (পবিত্র সূরা তাগাবুন শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৫)

অথচ এ অর্থ ভুল। সঠিক অর্থ হলো- সম্পদসমূহ ও সন্তানসমূহ বিপদের কারণ বা পরীক্ষা স্বরূপ।

এখন যদি আমরা উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার অর্থ তাদের কথা মোতাবেক ভুলটাই ধরে নেই, তাহলে আরো একটি পবিত্র আয়াত শরীফ উল্লেখ করতে হয়। যাতে মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন,

افتؤمنون ببعض الكتاب وتكفرون ببعض فما جزاء من يفعل ذالك منكم الا خزى فى الحيوة الدنيا ويوم القيامة يردون الى اشدا العذاب.

অর্থ : তোমরা কি কিতাবের কিছু অংশ মানবে, আর কিছু অংশ অস্বীকার করবে? তোমাদের মধ্যে যারা এরূপ করবে (কিছু মানবে, কিছু অস্বীকার করবে), দুনিয়ায় তাদের বদলা বা শাস্তি হচ্ছে- লাঞ্ছনা-গঞ্জনা এবং ক্বিয়ামতের দিন তাদেরকে কঠিন শাস্তির দিকে ধাবিত করা হবে।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৮০)

অর্থাৎ কোন ঈমানদার কিতাবের বা পবিত্র কুরআন শরীফ উনার কিছু মানবে আর কিছু মানবে না, তা হবেনা, তাকে সম্পূর্ণটাই মানতে হবে। যদি সে খালেছ ঈমানদার হয়ে থাকে।

তাদের অর্থ মোতাবেক অধিক সন্তান ও অধিক সম্পদ বিপদের কারণ। এ বিপদ থেকে বাঁচার জন্য তারা সন্তান কমানোর জন্য পরামর্শ দিচ্ছে এবং সাথে সাথে ব্যবস্থাও নিচ্ছে। বিপদ থেকে বাঁচার জন্য যদি সন্তান কমানো হয়, তাহলে অনুরূপ বিপদ থেকে বাঁচার জন্য সম্পদও তো কমিয়ে দিতে হবে।

কাজেই যারা চাকুরী করে থকে, তারা ইন্ক্রিমেন্ট নিতে পারবে না। যারা ব্যবসা করে থাকে, তারা পুঁজি ও দোকান পাঠ বাড়াতে পারবে না এবং যারা চাষাবাদ করে থাকে, তারা জায়গা-জমি, বাড়ী-ঘর ইত্যাদি বাড়াতে পারবে না। বরং সবকিছু কমিয়ে দিতে হবে। কমাতে কমাতে একদিন দেখা যাবে যে, সে বা তারা সকলেই শুণ্য অর্থাৎ নিঃশেষ হয়ে যাবে।

অতএব, তাদের অর্থ সম্পূর্ণ ভুল। অর্থ হবে- সম্পদ সমূহ এবং সন্তান সমূহ বিপদের কারণ বা পরীক্ষা স্বরূপ।তা অল্প সম্পদও হতে পারে, বেশীও হতে পারে। আবার সন্তান একটাও হতে পারে, দশটিও হতে পারে।

আর তারা একখানা পবিত্র হাদীছ শরীফ বলে থাকে,

جهد اليلاء

(জাহাদুল বালা) এর অর্থ-

كشرة العيال- قلة المال.

অর্থাৎ অধিক সন্তান অল্প সম্পদ।

যারা জন্ম নিয়ন্ত্রণের পক্ষে বলে থাকে, তারা উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায় বলে থাকে- মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অধিক সন্তান ও অল্প সম্পদ থেকে পানাহ চেয়েছেন।

মূলত এর সহীহ বা সঠিক ব্যাখ্যা হচ্ছে- মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই দোয়া করেছেন এবং দোয়ার তরতীব শিক্ষা দিয়েছেন।

এখন যদি কারো সন্তান বেশী হয়, আর সম্পদ কম হয়, তাহলে সে যেন দোয়া করে- সম্পদ বেশী হওয়ার জন্য। কারণ সন্তান বেশী হলে আর সম্পদ কম হলে এটা তার জন্য কষ্টের কারণ।

উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার অর্থ জন্ম নিয়ন্ত্রণ নয়। অর্থ হচ্ছে- সর্বাবস্থায় মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে দোয়া করা ও মহান আল্লাহ পাক উনার মুখাপেক্ষী থাকা। যেমন অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে যে, “তোমরা, একটা জুতার ফিতার দরকার হলেও তার জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে চাও।

এখন আমরা এমন একটি আয়াত শরীফ উল্লেখ করবো, যে আয়াত শরীফ উনার তাফসীরে সকল ইমাম, মুজতাহিদ, আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এমনকি স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও একমত হয়েছেন। তা হলো- মহান আল্লাহ পাক বলেন,

الست بربكم؟ قالوا بلى.

অর্থ : আমি কি তোমাদের রব নই ? তারা (রূহ সম্প্রদায়) বললেন, হ্যাঁ (আপনি আমাদের রব)।” (পবিত্র সূরা আরাফ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৭২)

এ আয়াত শরীফ উনার মধ্যে কাদেরকে কখন সম্বোধন করা হয়েছে? তার তাফসীরে সমস্ত তাফসীরের কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, “মহান আল্লাহ পাক রোজ আযলে (সৃষ্টির শুরুতে) সকল রূহ সম্প্রদায়কে একসাথে সৃষ্টি করে সম্বোধন করে বলেছিলেন, “আমি কি তোমাদের রব নই?” তারা জবাব দিয়েছেলেন, “হ্যাঁ, আপনি আমাদের রব।অর্থাৎ সমস্ত রূহ্ একসাথে সৃষ্টি করে আলমে আরওয়াহতে (রূহ জগতে) অবস্থানের স্থান নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ রূহ সব একসাথে সৃষ্টি হয়েছে। রূহ আগে বা পরে সৃষ্টি হয়নি বা হয়না।

কাজেই যাদের রূহ সৃষ্টি হয়েছে, তারা তো আসবেই। আর যাদের রূহ সৃষ্টি হয়নি, তাদের তো আসার প্রশ্নই উঠেনা। আর মানুষ পৃথিবীতে আগে পরে এসে থাকে অর্থাৎ মানুষ আগে-পরে জন্ম গ্রহণ করে থাকে বা নতুন নতুন সৃষ্টি হয়ে থাকে।

অতএব, রূহ যদি সব একসাথে সৃষ্টিই হয়ে থাকে, আর নতুন করে সৃষ্টি না হয়, তবে জন্ম নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি অবলম্বন করে কি হবে?

মূলত জন্ম নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে- একটি আন্তর্জাতিক চক্রান্ত, যার মাধ্যমে মুসলমান মাদের চরিত্র নষ্ট করার সুক্ষ্ম পথ অবলম্বন করা হয়েছে। কারণ মাদের চরিত্র নষ্ট করতে পারলেই সহজেই সন্তানদের চরিত্রও নষ্ট করা যাবে।

অতএব, কেউ যদি থাকা, খাওয়া, পরার অভাব মনে করে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করে, তাহলে তা কুফরী হবে। কারণ থাকা, খাওয়া, পরা ইত্যাদি সবকিছুর মালিক হলেন, মহান আল্লাহ পাক। যা কুরআন শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে,

وما من دابة فى الارض الا على الله رزقها.

অর্থ : যমিনে যেসব প্রাণী রয়েছে, তাদের রিযিকের একমাত্র জিম্মাদার হলেন, মহান আল্লাহ পাক।

রিযিকের ব্যাখ্যা সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে যে, হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম, যাঁর সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

انا مدينة العلم وعلى بابها.

অর্থ : আমি হলাম ইলমের শহর, আর আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনি তার দরজা।

উনার নিকট রিযিকের ব্যাখ্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বললেন, “একটা মানুষের জন্মের পূর্ব থেকে মৃত্যুর পর পর্যন্ত যা যা দরকার সবই রিযিকের অন্তর্ভূক্ত। মানুষের আক্বল, বুদ্ধি এমনকি স্ত্রীর জন্য স্বামী এবং স্বামীর জন্য তার স্ত্রীও রিযিকের অন্তর্ভূক্ত।

আর যদি কেউ সাধারণভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করে, তাহলে তা হবে মাকরূহ তাহরীমী। কারণ এতে অপচয় করা হয়ে থাকে।

মহান আল্লাহ পাক বলেন,

ان المبدرين كانوا اخوان الشياطين.

অর্থ : নিশ্চয়ই অপচয়কারীরা হচ্ছে- শয়তানের ভাই।

অতএব, ঈমান, আক্বীদা ও আমল হিফাযতের উদ্দেশ্যে জন্ম নিয়ন্ত্রণ হতে প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীকে বিরত থাকা ফরয-ওয়াজিবের অন্তর্ভূক্ত।

(উল্লেখ্য এখানে জন্ম নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত জাওযাব দেয়া হলো। পরবর্তীতে এর বিস্তারিত ফতওয়া দেয়া হবে ইনশাআল্লাহ।

 আবা-৪০

0 Comments: