৭১৫ নং- সুওয়াল : আমরা উলামায়ে দেওবন্দের অনেক কিতাবেই দেখতে পাই যে, তারা ফতওয়া দিয়েছে- তারাবীহর নামাজে বা অন্যান্য সময়ে পবিত্র কুরআন শরীফ খতম করে উজরত বা পারিশ্রমিক গ্রহণ করা হারাম।

 

সুওয়াল : আমরা লামায়ে দেওবন্দের অনেক কিতাবেই দেখতে পাই যে, তারা ফতওয়া দিয়েছে- তারাবীহ নামাজে বা অন্যান্য সময়ে পবিত্র কুরআন শরীফ খতম করে উজরত বা পারিশ্রমিক গ্রহণ করা হারাম।

এখন আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে যে, লামায়ে দেওবন্দের উপরোক্ত ফতওয়া কতটুকু গ্রহণযোগ্য, দয়া করে বিস্তারিত জানাবেন।

জাওয়াব : পবিত্র কুরআন শরীফ খতম বা তিলাওয়াত করে উজরত গ্রহণ করা সম্পর্কিত লামায়ে দেওবন্দের উক্ত ফতওয়া অসম্পূর্ণ ও অশুদ্ধ। কারণ উজরত গ্রহণ করা শর্ত সাপেক্ষে জায়েয, আবার শর্ত সাপেক্ষে নাজায়েয। অর্থাৎ সময় অথবা স্থান নির্ধারণ করে দেয়া হলে, পবিত্র কুরআন শরীফ খতম বা তিলাওয়াত করে উজরত গ্রহণ করা জায়েয। আর সময় অথবা স্থান নির্ধারণ করা না হলে, উজরত গ্রহণ করা জায়িয নেই। এর উপরই লামায়ে  মুতাআখখেরীনগণ উনাদের ফতওয়া এবং এটাই গ্রহণযোগ্য ও ফতওয়াগ্রাহ্য মত। (বাহরুর রায়েক, ফতওয়ায়ে আলমগিরী, ফতওয়ায়ে তাতার খানিয়া, ফতওয়ায়ে আযিযী, দুররুল মোখতার, আশবাহু ওয়ান নাজায়ের, ফতওয়ায়ে আলী আফেন্দী, জাওহারাতুন নাইয়্যারাহ, কাশফুল গুম্মাহ, ফতওয়ায়ে ফয়জী, তাফসীরে আজিজী, তাফসীরে ইক্লীল)

তারাবীহ নামাজে বা অন্যান্য সময় কোরআন শরীফ খতম বা পাঠ করে উজরত বা পারিশ্রমিক গ্রহণ করা জায়েয হওয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে, আমাদের মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকার ২৩ ও ২৪তম সংখ্যা পাঠ করুন। সেখানে ৫১টি নির্ভর যোগ্য কিতাবের দলীল পেশ করা হয়েছে।

আবা-৪১

তারাবীহ্ নামাযে বা অন্যান্য সময় কুরআন শরীফ খতম করে উজরত বা পারিশ্রমিক গ্রহণ করা ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া

. https://khawajarazi.blogspot.com/2018/10/blog-post_89.html

. https://khawajarazi.blogspot.com/2018/10/blog-post_23.html

0 Comments: