হুযুরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র জীবনী মুবারক । (পর্ব- ৫৮৫-৭৫০) (ঞ)


فأرسل يبتغى قوما ليسألهم فجمع له حضرت أبو سفيان رضى الله تعالى عنه وأصحابه، فقال أخبرنى يا حضرتابا سفيان رضى الله تعالى عنه عن هذا الرجل الذى بعث فيكم، فلم يأل ان يصغر امره ما استطاع، قال ايها الملك لا يكبر عليك شأنه إنا لنقول هو ساحر ونقول هو شاعر ونقول هو كاهن. قال قيصر كذلك والذى نفسى بيده كان يقال للأنبياء عاليهم السلام قبله، أخبرنى موضعه فيكم، قال هو أوسطنا سطة. قال كذلك يبعث الله كل نبى من أوسط قومه.
এমন লোক খুঁজে আনতে সম্রাট সিরিয়ায় লোক প্রেরণ করলেন। অবশেষে হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে ও উনার সঙ্গী-সাথী উনাদেরকে রোম স¤্রাটের নিকট আনা হলো। (হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তখনও দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেননি।) স¤্রাট হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে প্রশ্ন করলেন, আপনাদের মধ্যে যে ব্যক্তি আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিসেবে প্রকাশ করেছেন উনার অবস্থা সম্পর্কে কি আপনার জানা রয়েছে? জানা থাকলে আমাদেরকে তা অবহিত করুন। হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিষয় কথা বলতে ত্রুটি করলেন না। তিনি বললেন, ¤্রাট আপনি আনুষ্ঠানিকভাবে নুবুওওয়াত প্রকাশকারী উনার মর্যাদা-মর্তবা খুব একটা উঁচু মনে করবেন না। আমরা উনাকে যাদুকর, অতীন্দ্রিয়বাদী ইত্যাদি বলি। একথা শুনে স¤্রাট বললেন, সেই ব্যক্তির ক্বসম! যাঁর হাতে আমার প্রাণ, উনার আগেও লোকেরা হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে এ ধরনের কথাই বলতো। স¤্রাট হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে বললেন, আপনাদের মধ্যে উনার যে পারিবারিক প্রভাব, সে সম্পর্কে অবহিত করুন। হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বললেন, তিনি আমাদের মধ্যে মধ্যবিত্ত পরিবারের অন্তর্ভুক্ত।
¤্রাট বললেন, সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ পাক তিনি এমনিভাবে প্রত্যেক হযরত নবী-রসূল, আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সুরতান মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে বিলাদত শরীফ লাভ করান।
أخبرنى عن أصحابه، قال غلماننا وأحدث أسنانهم والسفهاء، أما رؤساؤنا فلم يتبعه منهم احد قال اولئك والله أتباع الرسل. اما الملأ والرؤوس فتأخذهم الحمية. أخبرنى عن أصحابه هل يفارقونه بعدما يدخلون فى دينه. قال ما يفارقه منهم احد. قال فلا يزال داخل منكم فى دينه؟ قال نعم. قال ما تزيدوننى عليه إلا بصيرة، والذى نفسى بيده ليوشكن ان يغلب على ما تحت قدمى. يا معشر الروم. هلموا إلى ان نجيب هذا الرجل إلى ما دعا إليه
এখন আপনি উনার অনুসারী তথা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সম্পর্কে বলুন। হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বললেন, আমাদের কওমের মধ্যে যারা অপেক্ষাকৃত অল্প বয়স্ক ও জ্ঞানবান উনারাই উনার অনুসরণকারী। আমাদের মধ্যে যারা নেতৃস্থানীয় কেউ উনার অনুসরণ করেনি। স¤্রাট বললেন, এ ধরনের লোকজনই হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের অনুসারী হয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয় লোকদের সামনে তিনি একটি বড় বাধা থাকে এবং সেটা হচ্ছে উনার সুমহান মর্যাদা-মর্তবা এবং উনার বেমেছাল শ্রেষ্ঠত্বতা। স¤্রাট বললেন, আচ্ছা বলুন দেখি, উনার অনুসারী উনার ধর্মে দাখিল হওয়ার পর আবার তা পরিত্যাগ করেন কি? হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বললেন: না, উনাদের কেউ এ ধর্ম ত্যাগ করেন না। স¤্রাট বললেন, উনার ধর্মে প্রতিদিনই কিছু লোক দাখিল হচ্ছেন কি? হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি জবাবে বললেন, হ্যাঁ।
¤্রাট বললেন, সেই সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে তোমরা আমার জ্ঞান চক্ষু উন্মীলিতই করে যাচ্ছো। খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! যাঁর হাত মুবারক-এ আমার প্রাণ। সেদিন বেশি দূরে নয়, তখন তিনি আমার পায়ের তলার এ দেশের উপরও প্রাধান্য বিস্তার করবেন। হে রোমকরা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ধাবিত হও। এসো আমরা উনার দাওয়াতকে কবুল করে নেই।
ونسأله الشام ان لا يوطىء علينا أبدا فإنه لم يكتب قط نبى من الأنبياء علسهم السلام إلى ملك من الملوك يدعوه إلى الله فيجيبه إلى ما دعاه ثم يسأله غيرها مسألة إلا أعطاه مسألته ما كانت. فأطيعونى، قالوا لا نطاوعك فى هذا ابدا. قال حضرت أبو سفيان رضى الله تعالى عنه والله ما يمنعنى من أن أقول عليه قولأ أسقطه من عينه إلا أنى أكره ان اكذب عنده كذبة يأخذها على ولا يصدقنى حتى ذكرت قوله ليلة أسرى به قلت ايها الملك ألا أخبرك عنه خبرا تعرف انه قد كذب. قال وما هو؟ قلت انه يزعم لنا انه خرج من أرضنا أرض الحرم فى ليلة، فجاء مسجدكم هذا مسجد إيلياء، ورجع إلينا فى تلك الليلة قبل الصباح،
এরপর আমরা উনার নিকট সিরিয়ার জন্যে আবেদন করবে, যাতে আমাদের সময়ই সিরিয়া পদদলিত না হয়। কেননা কোনো স¤্রাট কোনো হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের দাওয়াত কবুল করার পর হযরত নবী-রসূল আলাইহিস সালাম উনার কাছে যে আবেদন করেছে হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনারা তা কবুল করেছেন। আমি যা বলি রোমকরা তোমরা তাই করো। রোমকরা উত্তেজিত হয়ে বললো, আমরা কখনো আপনার কথা মেনে নেবো না।
হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে স¤্রাটের দৃষ্টিতে হেয় করার এছাড়া কোনো বাধা আমার সামনে ছিলো না। যদি আমি রোমক স¤্রাটের সামনে কোনো মিথ্যা কথা বলি তবে এজন্য তিনি আমাকে পাকড়াও করবেন এবং আমাকে সত্যবাদী মনে করবেন না। তাই আমি মি’রাজ শরীফ উনার বিষয় উপস্থাপন করে বললাম, মহামান্য স¤্রাট, আমি কি আপনাকে এমন একটি বিষয় সম্পর্কে অবহিত করবো না; যা দ্বারা আপনি উনার মিথ্যা কথা সহজেই অনুমান করতে পারবেন। নাঊযুবিল্লাহ! স¤্রাট জিজ্ঞাসা করলেন, সেটি কি? আমি বললাম, সেই আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্প্রতি বলতে শুরু করেছেন যে, তিনি পবিত্র মক্কা শরীফ উনার হারাম শরীফ থেকে ছফর করে এক রাতের মধ্যেই আপনাদের মসজিদে ইলিয়ার (মুকাদ্দাস) পর্যন্ত সেখান থেকে খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাক্ষাৎ মুবারক লাভ করেছেন। ভোর হওয়ার পূর্বেই আবার মক্কা শরীফ উনার দিকে ফিরে গেছেন।
قال وبطريق إيلياء عند رأس قيصر، قال البطريق قد علمت تلك الليلة. قال فنظر قيصر وقال ما علمك بهذا؟ قال إنى كنت لا أبيت ليلة حتى أغلق ابواب المسجد، فلما كانت تلك الليلة أغلقت الأبواب كلها غير باب واحد غلبنى قاستعنت عليه عما لى، ومن يحضرنى كلهم، فعالجته فلم نستطع ان نحركه، كأغما نزاول به جبلا، فدعوت النجاجرة فنظروا إليه، فقالوا هذا باب قد سقط عليه النجاف أو البنيان فلا نستطيع ان نحركه حتى نصبح، فننظر من أين أتى عليه، فرجعت وتركته مفتوحا، فلما اصبحت غدوت فاذا الحجر الذى من زاوية الباب مثقوب، وإذا فيه اثر مربط الدابة، فقلت لأصحابى ما حبس هذا الباب الليلة إلا على نبى، وقد صلى الليلة فى مسجدنا،
রাবি বলেন, এ সময় ইলিয়ার প্রধান পাদ্রী স¤্রাটের সন্নিকটেই উপস্থিত ছিলো। সে বললো, আমি সে রাত সম্পর্কে জানি। স¤্রাট তার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি সেই রাত সম্পর্কে কি জানেন? পাদ্রী বললো: আমি রাতে পবিত্র বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ উনার দরজা বন্ধ না করা পর্যন্ত শয্যা গ্রহণ করতাম না। সে রাতে আমি মসজিদের সকল দরজা বন্ধ করে দেই, কিন্তু একটি দরজা কিছুতেই বন্ধ করা গেলো না। সেটি বন্ধ করার জন্যে আমি সকল কর্মচারী ও উপস্থিত লোকদের সাহায্য নেই। কিন্তু সকলেই সম্মিলিত প্রচেষ্টার পরও দরজা এক ইঞ্চিও নাড়ানো গেলো না। মনে হচ্ছিলো যেনো আমরা পাহাড়কে নাড়া দেয়ার চেষ্টা করছি। এরপর কাঠ মিস্ত্রিদেরকে ডাকা হলো। তারা দেখে বললো, এর উপর দরজার চৌকাঠ পড়ে গেছে কিংবা উপর দিককার প্রাচীর ভেঙে পড়েছে। সকাল হলে আমরা আবার চেষ্টা করে দেখবো। এরপর আমি দরজাটি খোলা রেখেই চলে গেলাম। সকালে উঠে আমি দরজায় রক্ষিত পাথরের গায়ে একটি ছিদ্র দেখলাম এতে কোনো সওয়ারীকে বাঁধার চিহ্ন ছিলো। আমি আমার সহকর্মীদেরকে বললাম, গত রাতে কোনো সুমহান ব্যক্তির কারণেই হয়তো এ দরজা আটকে দেয়া হয়েছিলো। আমার বিশ্বাস এ রাতেই সেই সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের মসজিদে নামায আদায় করেছেন।
فقال قيصر يا معشر الروم أليس تعلمون ان بين حضرت عيسى عليه السلام وبين الساعة نبيا بشركم به حضرت عيسى عليه السلام، وهذا هو النبى الذى بشربه حضرت عيسى عليه السلام، فأجيبوه إلى ما دعا إليه، فلما رأى نفورهم. قال يا معشر الروم دعاكم مليككم يختبركم كيف صلابتكم فى دينكم فشتمتموه وسببتموه وهو بين أظهر كم فخروا له سجدا.
এ কথা শুনে স¤্রাট বললেন, রোমকরা! তোমরা জান যে, হযরত ঈসা রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনিও ক্বিয়ামতের মাঝখানে যিনি খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মত হয়ে আসবেন। হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম তিনি তোমাদেরকে সেই আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুসংবাদ দিয়েছেন। আমার মনে হয় তিনি সেই আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যাঁর সুসংবাদ হযরত ঈসা রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি দিয়েছেন। অতএব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে ধর্মের দাওয়াত দেন। তোমরা তা কবুল করে নিবে। কিন্তু ইতিমধ্যেই রোমকরা ঘৃণা ও ক্ষোভের উন্মত্ত হয়ে উঠলো। নাঊযুবিল্লাহ! সেই কাফির, মুশরিক, ইহুদী, নাছারারা সমস্বরে চিৎকার ও হৈ চৈ করতে লাগলো। স¤্রাট রোমকদের এই দুঃখজনক কুফরীমূলক ব্যবহার দেখে চিন্তা-ফিকির করলেন এবং কৌশল অবলম্বন করে কথার মোড় ঘুরিয়ে বললেন, রোমকরা! শান্ত হও। খ্রিস্ট ধর্মের প্রতি তোমাদের নিষ্ঠা ও দৃঢ়তা যাচাই করার জন্যেই আমি তোমাদের ডেকেছি এবং এসব কথা বলেছি। এ শুনে রোমকরা সকলেই স¤্রাটের সামনে মাথা নত হয়ে গেলো।
উপরোক্ত দলীলভিত্তিক আলোচনা থেকে সুস্পষ্টভাবে জানা গেলো যে, আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার দীদার মুবারক-এ গিয়েছেন জিসমানীভাবে। পবিত্র মি’রাজ শরীফ সত্য এতে কোনো বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই এবং এর সংশ্লিষ্ট সর্বপ্রকার মু’জিযা শরীফ তথা ঘটনাসমূহও সত্য। বিশেষ করে সিনা মুবারক চাক, খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার দিদার মুবারক ইত্যাদি সবই হক্ব বা সত্য।
উল্লেখ্য যে, মি’রাজ শরীফ উনার আলোচনা করতে গিয়ে অনেকে উনার সম্পর্কে বদ আক্বীদা প্রকাশ করে থাকে। নাঊযুবিল্লাহ! অথচ আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শরীর মুবারক উনার ভিতর যা কিছু রয়েছে তা মূলত পবিত্র থেকে পবিত্রতম এবং এরও ঊর্ধ্বে। মেছালস্বরূপ বলা যায়, আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যাঁরা সহধর্মিনী তথা উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান মুবারক উনার সম্পর্কে খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই ইরশাদ মুবারক করেন,
إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا
অর্থ” “হে (মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার) পবিত্র আহলে বাইত শরীফগণ! মহান আল্লাহ পাক তিনি চান আপনাদের থেকে (সর্বপ্রকার) অপবিত্রতা, অশালীনতা দূর করতে। তিনি আপনাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করতে চান।” অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি করেছেন। (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ- ৩৩)
অর্থাৎ উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে পবিত্র আহলে বাইত শরীফ তথা হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে কোনো প্রকার অপবিত্রতা রয়েছে যা থেকে উনাদেরকে পবিত্র করবেন তা নয়। বরং উনার হাক্বীক্বী অর্থ হচ্ছে, মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বয়ং স্বীয় ভাষায় পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে উনাদের পবিত্রতার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছেন। অর্থাৎ পবিত্র আহলে বাইত শরীফ তথা হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা সর্বপ্রকার দোষ-ত্রুটি, অপবিত্র, অশালীনতা থেকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র থেকে পবিত্রতম। সুবহানাল্লাহ!
এজন্য উনাদের একখানা লক্বব মুবারক হচ্ছে-
ازواج مطهرات
তথা “পূত-পবিত্রা আহলিয়া আলাইহিন্নাস সালামগণ।”
এখন হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের যদি এতো বেমেছাল পূত-পবিত্রতার কথা স্বয়ং খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ঘোষণা করলেন। তাহলে যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কত বেমেছাল পূত-পবিত্রতা রয়েছে তা ফিকিরের বিষয়। তাহলে কি করে বলা যেতে পারে যে, মি’রাজ শরীফ উনার রজনীতে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সিনা মুবারক চাক করে নাপাকি ফেলে দেয়া হয়েছে। নাঊযুবিল্লাহ! মূলত এরূপ আক্বীদা পোষণ করা কাট্টা কুফরী।
আরো স্মরণীয় যে, সমস্ত ইমাম মুজাতাহিদ, আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের মধ্যে পবিত্র ইজমা শরীফ হয়েছে, যেটা বিশ্ববিখ্যাত রদ্দুল মুহতার (শামী) কিতাবে-এর বাবুয যিয়ারাহ বর্ণিত রয়েছে,
ان التربة التى اتصلت الى اعظم النبى صلى الله عليه وسلم افضل من الارض والسماء حتى العرش العظيم
অর্থ: “নিশ্চয়ই যে মাটি মুবারক সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শরীর মুবারক উনার সাথে লেগেছে, তা যমীন ও আসমানের সমস্ত কিছু থেকে ফযীলতপূর্ণ। এমনকি সুমহান আরশে আযীম মুবারক থেকেও ফযীলতপূর্ণ।” সুবহানাল্লাহ!
অর্থাৎ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জিসিম মুবারক উনার স্পর্শ মুবারক উনার কারণে মাটি মুবারক উনার যদি এতো বেমেছাল শান-মান হয়ে থাকে তাহলে উনার জিসিম মুবারক উনার মধ্যে যে সমস্ত বিষয়গুলো রয়েছে উনাদের ফযীলত, মর্যাদা-মর্তবা, পূত-পবিত্রতা কত বেমেছাল তা ফিকিরের বিষয়।
এজন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ ও সীরতগ্রন্থসমূহে বর্ণিত রয়েছে,
عن حكيمة بنت اميمة بنت دقيقة عن امه انها قالت كان النبى على الله عليه وسلم يبول فى قدح عيدان ثم يرفع تحت سريره فبال فيه ثم جاء فاراده فاذا القدح ليس فيه شيىء فقال لامرأة يقال لها بركة كانت تخدم ام حبيبة جائت بها من ارض الحبشة اين البول الذى كان فى القدح قالت شربته، فقال لقد احتظرت من النار بحظار-
অর্থ : “হযরত হাকীমা বিনতে আমীমা বিনতে দাক্বীক্বা রহমতুল্লাহি আলাইহা উনার মাতা হযরত আমীমা বিনতে দাক্বীক্বা রহমতুল্লাহি আলাইহা উনার থেকে বর্ণনা করেছেন। নিশ্চয়ই তিনি বলেছেন, একদা হযরত ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একটি পাত্র মুবারক উনার মধ্যে পেশাব মুবারক রাখলেন। অতঃপর চকি মুবারক উনার নিচে রেখে দিলেন। এরপর উনার একটা ব্যবস্থা করার ইচ্ছা করলে এসে দেখলেন পাত্রের মধ্যে কিছু নেই। তখন তিনি বারাকা নামের এক মহিলা, যিনি হাবশা হতে উম্মুল মু’মিনীন হযরত উম্মু হাবীবা আলাইহাস সালাম উনার খাদিমা হিসেবে এসেছিলেন, উনাকে জিজ্ঞাসা করলেন, পাত্রের মধ্যে যে পবিত্র পেশাব মুবারক ছিল তা কোথায় গেল? উত্তরে তিনি বললেন, আমি উহা পান করে ফেলেছি। তখন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, অবশ্যই আপনি আপনাকে জাহান্নাম থেকে নিরাপদ রাখলেন।” সুবহানাল্লাহ!
(দালাইলুন নুবুওওয়াহ ২য় জিঃ ৬৫৪, ৬৫৫ পৃষ্ঠা, আত ত্ববারানী ফিল মু’জামিল কবীর ২৪ জিঃ ১৮৯ পৃষ্ঠা, ২৫ জিঃ ৮৯ পৃষ্ঠা, আবূ দাঊদ শরীফ, নাসায়ী শরীফ, ইবনু হাব্বান হাদীছ নং ১৪১৩, আল মুসতাদরিক লিল হাকিম ১ম জিঃ ২৭২ পৃষ্ঠা ৫৯৩ নং হাদীছ ৪র্থ জিঃ ৭১ পৃষ্ঠা ৬৯১২ নং হাদীছ শরীফ, আদদারু কুতনী, আবূ ইয়ালা, মুসনাদে আব্দুর রাযযাক, আল খাছায়িছুল কুবরা লিস সুয়ূতী ১ম জিঃ ১২২ পৃষ্ঠা)
অনুরূপ খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রক্ত মুবারক পান করা সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে যে, পবিত্র উহুদ যুদ্ধে হযরত মালিক বিন সিনান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রক্ত মুবারক পান করায় তিনি বলেছিলেন, তোমার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে গেল তথা জাহান্নাম হারাম হয়ে গেল। যেমন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
فقال عليه الصلاة والسلام من مس دمى لم تصبه النار
অর্থ : “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, আমার পবিত্র রক্ত মুবারক যার রক্তের সাথে মিশেছে, উনাকে জাহান্নামের আগুন কখনো স্পর্শ করবেনা।” সুবহানাল্লাহ! (আলমাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়াহ বিল মিনাহিল মুহম্মদিয়া লিল আল্লামাতিল কুসত্বলানী ২য় জিঃ ৪২৬ পৃষ্ঠা)
“শরহুল আল্লামাতিয যারক্বানী আলাল মাওয়াহিবিল লাদুন্নিয়াহ” নামক কিতাবের ২য় জিলদ ৪২৬ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে,
فقال له اتشرب الدم فقال نعم يا رسول الله صلى الله عليه وسلم (فقال عليه الصلاة والسلام من مس دمى لم تصبه) وفى رواية لم تمسه (النار، وسيأتى ان شاء الله تعالى حكم دمه عليه الصلاة السلام) وهو الطهارة على الراجح-
অর্থ : সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত মালিক বিন সিনান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে বললেন, আপনি কি আমার পবিত্র রক্ত মুবারক পান করে ফেলেছেন? তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! জি, আমি পান করে ফেলেছি। (তখন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, আমার পবিত্র রক্ত মুবারক যাঁর রক্ত উনার সাথে মিশেছে উনাকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবেনা) অন্য বর্ণনায় আছে, উনাকে স্পর্শ করতে পারবেনা (জাহান্নামের আগুন)। ইনশাআল্লাহু তায়ালা! অচিরেই আমরা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র রক্ত মুবারক উনার হুকুম আলোচনা করব) আর সে আলোচনা হচ্ছে, প্রাধান্যপ্রাপ্ত বিশুদ্ধ মতে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র রক্ত মুবারক পাক, পূত-পবিত্র বা পবিত্রতম।”
অতএব, দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্ট যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র ইস্তিঞ্জা মুবারক, পবিত্র রক্ত মুবারক পান করা জাহান্নাম হারাম হওয়ার এবং জান্নাত ওয়াজিব হওয়ার কারণ। সুবহানাল্লাহ! কেননা উনার পবিত্র রক্ত মুবারক পূত-পবিত্র, পবিত্রতম। এটাই প্রসিদ্ধ, ছহীহ ও প্রাধান্যপ্রাপ্ত মত।
তাই বিশ্বখ্যাত ফতওয়ার কিতাব “দুররুল মুখতার” কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, “মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র দেহ মুবারক উনার সবকিছুই পবিত্র থেকে পবিত্রতম এবং যার ভিতরে প্রবেশ করেছে বা করবে তার জন্য জাহান্নাম হারাম হয়ে জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে। এ ফতওয়ার উপরই উলামায়ে কিরাম পবিত্র ইজমা শরীফ বা ঐকমত্য পোষণ করেছেন।
কাজেই পবিত্র মি’রাজ শরীফ-এর রাত্রি মুবারকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র সিনা মুবারক চাক করা হয়েছে। তা মূলতঃ উনার বেমেছাল মর্যাদা-মর্তবা প্রকাশের আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। আর পবিত্র মি’রাজ শরীফ সম্পর্কে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের ছহীহ আক্বীদা পোষণ করতে হলে, যামানার সুমহান মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, হুজ্জাতুল ইসলাম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ছোহবত তথা সংস্পর্শে আসতে হবে, যা সমস্ত মুসলমান উনাদের জন্য ফরয-ওয়াজিব। খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সকলকে কবুল করুন। আমীন।

0 Comments: