“হানাফী মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের ঊাশাক তথা রুমাল, পাগড়ী, ঊার্তা, লুঙ্গি, চাদর ইত্যাদি পরিধান বা ব্যবহার করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” ঊঊকরতে পারায় মহান আল্লাহ পাক-এর দরবারে অসংখ্য ঊরিয়া।
হানাফী মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের ঊাশাক তথা রুমাল, পাগড়ী, ঊার্তা, লুঙ্গি, চাদর ইত্যাদি পরিধান বা ব্যবহার করা হারাম ও তার
সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া ঊয়ার উঊশ্য
সুন্নতের পথিকঊ, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, দ্বীন ইসলামের নির্ভীক ঊনিক, সারা জাহান ঊকে কুফরী, শিরকী ও বিদ্য়াতের মূলোৎপাটনকারী, বাতিলের আতঙ্ক এবং আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদায় বিশ্বাসী একমাত্র দলীলভিত্তিক তাজদীদী মুখপত্র- “মাসিক আল বাইয়্যিনাত” পত্রিকায় এ যাবৎ যত ঊখা বা ফতওয়াই প্রকাশ বা পত্র¯ঊহয়েছে এবং ইনশাআল্লাহ হবে তার প্রতিটিরই উঊশ্য বা মাকছূদ খালিছ হক্ব মত-পথ তালাশ করা বা ছহীহ ও সুন্নতী আমলের মাধ্যমে আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ঊজামন্দি বা সন্তুিঊহাছিল করা। অর্থাৎ “মাসিক আল বাইয়্যিনাতে” এমন সব ঊখাই পত্র¯ঊ হয়, যা মানুষের ছহীহ আক্বীদা লাভ ও আমলসমূহ পরিঊ করণে বিশেষ সহায়ক।
প্রসঙ্গতঃ ‘মাসিক আল বাইয়্যিনাতে’ “হানাফী মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের ঊাশাক তথা রুমাল, পাগড়ী, ঊার্তা, লুঙ্গি, চাদর ইত্যাদি পরিধান বা ব্যবহার করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” ঊয়ার মাকছুদ এবং উঊশ্যও ঠিক তাই।
স্মর্তব্য ঊ, মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কালামে পাকে ‘সূরা মায়িদা’র’ ৮২নং আয়াত শরীফে ইরশাদ করেন,
لتجدن اشد الناس عداوة للذين امنوا اليهود والذين اشر كوا.
অর্থঃ-“ঊামরা ঊামাদের সবচেয়ে বড় শত্রঊহিসেবে পাবে ইহুদীদেরকে। অতঃপর যারা মুশরিক তাদেরকে।”
বিশেষতঃ বর্তমানে ইহুদীদের এজেন্ট হিসেবে মুসলমানদের ঈমান আমলের সবচেয়ে ঊশী ক্ষতি করছে যারা, তারা হলো- উলামায়ে ‘ছু’। উল্লেখ্য, ইহুদীদের এজেন্ট বাতিল মতাবলম্বী উলামায়ে ‘ছূ’রা হারাম টিভি চ্যানেল, পত্র-পত্রিকা, কিতাবাদি ও বক্তব্য বা বিবৃতির মাধ্যমে একের পর এক হারামকে হালাল, হালালকে হারাম, জায়িযকে নাজায়িয, নাজায়িযকে জায়িয বলে প্রচার করছে।
ঊমন, তারা প্রচার করছে- ফরয নামাযের পর মুনাজাত করা বিদয়াত ও হারাম, নিয়ত করে রওযা শরীফ ও মাযার শরীফ যিয়ারত করা শিরক, কদমবুছী করা নাজায়িয ও শিরক, মাযহাব মানার ঊান প্রয়োজন ঊই, পীর-মুরীদী শরীয়ত বিরোধী প্রথা, ঈদে মীলাদুন্ নবী পালন করা বিদ্য়াত, মীলাদ ক্বিয়াম করা র্শিক-বিদ্য়াত। শবে বরাত পালন করা বিদ্য়াত। তারাবীহ নামায জরুরী ঊান নামায নয়, আট রাকায়াত তারাবীহ পড়লেই চলে ইত্যাদি ইত্যাদি। (নাঊযুবিল্লাহ)
অথচ উল্লিখিত প্রতিটি বিষয়ই কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ তথা শরীয়তসম্মত এবং তন্মধ্যে ঊানটা সুন্নত আবার ঊানটা ফরয।
পক্ষান্তরে উলামায়ে ‘ছূ’ তথা দুনিয়াদার মাওলানারা ইসলামের নামে ছবি, ঊলিভিশন, সিনেমা, নাটক, ঊাবেল, হরতাল, ঊপর্দা হওয়া, নারী ঊতঊ¡ মানা, ঊাট ঊয়া, ঊাযা অবস্থায় ইনজেকশন ঊয়া, মহিলাদের জামায়াতের জন্যে মসজিদে যাওয়া, মহিলাদের বাইরে ঊর হওয়ার সময় হাত ও মুখ ঊালা রাখা, হরতাল করা, লংমার্চ করা, গণতন্ত্র ও ঊাট-নির্বাচন করা, ব্লাসফেমী আইন চাওয়া, ঊৗলবাদী দাবী করা, কুশপুত্তলিকা দাহ করা, টিভি চ্যানেলে ঊ্রাগ্রাম বা অনুষ্ঠান করা ইত্যাদি নাজায়িয কাজগুলোকে জায়িয বলে প্রচার করছে। (নাঊযুবিল্লাহ) অর্থাৎ তাদের উঊশ্য হচ্ছে, মুসলমানদেরকে ইসলাম ঊকে সরিয়ে, ইবাদত ঊকে সরিয়ে অনৈসলামিক ও হারাম কাজে মশগুল করে দিয়ে ঊঈমান করে ঊয়া।
উল্লেখ্য, ইহুদীদের এজেন্ট, বাতিল মতাবলম্বী দাজ্জালে কায্যাব তথা উলামায়ে ‘ছূ’রা উল্লিখিত বিষয়গুলোর ন্যায় ‘লাল রংয়ের ঊাশাক বা রুমাল’ সম্পর্কেও সমাজে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
তারা বিভিনঊপত্র-পত্রিকা, কিতাবাদী ও বক্তব্যের মাধ্যমে প্রচার করে ঊড়াচ্ছে ঊ, ‘পুরুষের জন্য লাল রংয়ের ঊাশাক পরিধান বা ব্যবহার করা জায়িয।’ (নাউযুবিল্লাহ)
অথচ অসংখ্য, নির্ভরযোগ্য ও অকাট্য দলীলের দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত ঊ, হানাফী মাযহাবের মুখতার বা গ্রহণযোগ্য ও ফতওয়াগ্রাহ্য মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের ঊাশাক পরিধান বা ব্যবহার করা হারাম তথা নিষিদ্ধ। অর্থাৎ সম্পূর্ণটা লাল হলে হারাম, অধিকাংশ লাল হলে মাকরূহ তাহরীমী ও কম লাল হলে মাকরূহ তানযীহী। আর ঊহেতু হানাফী মাযহাব মতে লাল রংয়ের ঊাশাক পরিধান করা পুরুষের জন্য হারাম। তাই এখন যারা তা পরিধান করবে তারা দায়িমীভাবেই হারাম কাজে লিপ্ত থাকবে। অর্থাৎ তারা হারাম কাজ করার গুণাহে গুণাহ্গার হবে। সাথে সাথে ‘সাদা রংয়ের রুমাল ব্যবহার করা খাছ সুন্নত” এ মহান সুন্নতের আমল ঊকে সম্পূর্ণ মাহরূম হয়ে যাবে। অথচ সুন্নতের ইত্তিবাই হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর খাছ ঊযামন্দী বা সন্তুিঊলাভের একমাত্র মাধ্যম।
অতএব, যারা লাল রংয়ের ঊাশাক বা রুমাল সম্পর্কে ভুল, মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর ফতওয়া দিয়ে মুসলমানদের ঈমান-আমল ধ্বংস করছে তাদের ঊই ঈমান-আমল বিধ্বংসী ফতওয়া ঊকে সাধারন মুসলমানদের ঈমান-আমল হিফাজতের লঊ ও লাল রুমাল সম্পর্কিত সঠিক ও দলীলভিত্তিক ফায়ছালা তুলে ধরার উঊশ্যেই মাসিক আল বাইয়্যিনাতে “হানাফী মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের ঊাশাক তথা রুমাল, পাগড়ী, ঊার্তা, লুঙ্গি, চাদর ইত্যাদি পরিধান বা ব্যবহার করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” ঊয়া হলো। যাতে করে লাল রংয়ের ঊাশাক বা রুমাল সম্পর্কিত সঠিক ও দলীলভিত্তিক ফায়ছালা অবগত হয়ে ঊ অনুযায়ী আমল করে আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সন্তুিঊলাভ করতে পারে। সাথে সাথে যারা লাল রংয়ের ঊাশাক বা রুমাল নিয়ে বিভ্রান্তিতে রয়েছে তারা বিভ্রান্তি ঊকে ঊঁচে হক্বের উপর দায়িম-ক্বায়িম থাকতে পারে।
হানাফী মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের ঊাশাক নিষিদ্ধ হওয়ার প্রমাণ ও সিলেট খারিজী মাদ্রাসার ‘তথাকথিত মুফতী!’ ছাহেবের মনগড়া বক্তব্যের খন্ডনমূলক জাওয়াব
“আমাদের হানাফী মাযহাব মতে, পুরুষের জন্য সম্পূর্ণ বা অধিকাংশ লাল রংয়ের রুমাল বা কাপড় পরিধান করা হারাম ও মাকরূহ তাহরীমী, আর লালের ভাগ কম হলে মাকরূহ তানযীহী”- বাতিলের আতঙ্ক, যামানার তাজদীদী মুখপত্র মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর এ ফতওয়াই ছহীহ, গ্রহণযোগ্য, দলীলভিত্তিক ও কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসসম্মত।
বলার অপেক্ষাই রাখে না ঊ, মাসিক আল বাইয়্যিনাত ঊকে সংকলিত ফতওয়াটিই ছহীহ যা গ্রহণযোগ্য, দলীলভিত্তিক। অর্থাৎ কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসসম্মত। কারণ উক্ত ফতওয়ায় নিজস্ব ঊান মত ঊশ করা হয়নি। বরং মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর বক্তব্যই হুবঊসংকলন করা হয়েছে মাত্র।
পক্ষান্তরে সিলেট কাসেমুল উলূম খারিজী মাদ্রাসার তথাকথিত মুফতী (!) ‘লাল রং’ সম্পর্কিত উক্ত ফতওয়াটি খণ্ডন করতে গিয়ে ঊ বক্তব্য ঊশ করেছে তা সম্পূর্ণরূপে অঊ, বিভ্রান্তিকর, দলীলবিহীন ও জিহালতপূর্ণ হয়েছে।
কথিত মুফতী ছাহেব ঊত্র বিশেষে নিজের মনগড়া মতকে ছাবেত করার লঊ্য ঊান ঊান হাদীছ শরীফ ও কিতাবের ইবারতের মনগড়া ও ভুল তরজমা ও ব্যাখ্যা দিয়েছে। অর্থাৎ তথাকথিত উক্ত মুফতী ছাহেব তার উক্ত ফতওয়ার মাধ্যমে ঊাকা ও প্রতারণার চরম দঊান্ত স্থাপন করেছে।
মূলত: তথাকথিত উক্ত খারিজী মুফতী (!) ছাহেব লাল রং সম্পর্কিত আরবী শঊর সঠিক অর্থ ও তাহক্বীক্ব সম্পর্কে অবগত না হওয়ার কারণে এবং হাদীছ শরীফ ও কিতাবের ইবারতসমূহের সঠিক ব্যাখ্যা ও মর্ম অনুধাবনে ব্যর্থ হওয়ার কারণেই লাল রং সম্পর্কে এরূপ অঊ ও বিভ্রান্তিকর ফতওয়া প্রদান করেছে এবং আল বাইয়্যিনাতে প্রদত্ত লাল রং সম্পর্কিত ছহীহ ও দলীলভিত্তিক ফতওয়াটি ঊয়ঙ্গম করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের ১২শ বক্তব্য
সিলেট খারেজী মাদরাসার তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব আল্লামা মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর একখানা বক্তব্য খণ্ডন করতে গিয়ে মনগড়া এলোমেলো ও স্ববিরোধী কিছু বক্তব্য দিয়েছে। অর্থাৎ ঊ ঊাড়া-তালি দিয়ে প্রমাণ করার ব্যর্থ প্রয়াস চালিয়েছে ঊ, মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মতে লাল রংয়ের কাপড় পরিধান করা মাকরূহ তানযীহীও নয়।”
তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের
১২শ বক্তব্যের খণ্ডনমুলক জবাব
অথচ ঊ নিজেই তার তথাকথিত ও বিভ্রান্তিকর ফতওয়াতে স্বীকার করেছে ও লিখেছে ঊ, “... লাল কাপড় .... ঊহ ঊহ মাকরূহে তাহরীমীও বলেছেন। মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহিও তাঁদের মধ্যে একজন। .....।”
এর একটু পরে তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব আরো লিখেছে, “মোট কথা সর্ব প্রকার লাল কাপড়কে ঊ সব আলিম মাকরূহ তাহরীমী বলেছেন তাদের মধ্যে মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহিও একজন। ”
তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের উপরোক্ত স্বীকারোক্তি এটাই প্রমাণ করে ঊ, সর্ব প্রকার লাল রংয়ের কাপড় পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী এটাই মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর চুড়ান্ত অভিমত। যদি তাই হয়ে থাকে তবে তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের উদ্ধঊ-
لو سلم ........ او لبيان الجواز.
‘জামউল ওসায়েলের’ উপরোক্ত বক্তব্যের কি গুরত্ব থাকতে পারে? তাছাড়া উক্ত ইবারতে স্পষটভাবেই উল্লেখ আছে ঊ, “যদি ঊনে ঊয়া হয়” অর্থাৎ "حلة حمراء" দ্বারা যদি “লাল ঊাড়া” ঊনে ঊয়া হয়।”
কিন্তু মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি ঊা "حلة حمراء দ্বারা লাল ঊাড়া ঊনে ঊননি।” বরং তিনি "حلة حمراء" এর তা’বীলী অর্থ গ্রহণ করেছেন। ঊমন এ প্রসঊ ‘মিরকাত শরীফ’-এর ৮ম জিঃ ২৪৩ পঊায় উল্লেখ আছে,
[৩৫৮]
قلت: هو موول عند ابى حنييفة واصحابه بانها منسو جة بخطوط حمر كما هو شان البر ود اليما نية.
অর্থঃ- আমি (মুল্লা আলি ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি) বলি, ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি ও তাঁর অনুসারীগণের অভিমত হলো "حلة حمراء" সম্পর্কিত হাদীছ শরীফ খানা তা’বীলযোগ্য বা ব্যাখ্যা স্বাপেক্ষ। ঊ মতে, "حلة حمراء" হলো ঊানালী বা গন্ধম রংয়ের ঊখা বিশিঊএক ঊাড়া ঊাষাক। এটাই ইয়ামানী ঊাষাকের বিশেষ ঊশিষ্ট।”
“শামায়িলে তিরমিযীর শরাহ জামউল ওয়াসায়িল”-এর ১ম জিঃ ১১৫ পঊায় উল্লেখ আছে,
[৩৫৯-৩৬০]
المراد بالحلة الحمراء فى الحد يث بردان يما نيان منسو جان بخطوط حمر مع سود كسائر البرود اليمانية ... والا فلا حمر البحت منهى عنه ومكروه لبس لحديث اخرجه ابوداود من حديث عبد الله بن عمرو.
অর্থ “হাদীছ শরীফে বর্ণিত "حلة حمراء" এর অর্থ হলো ঊানালী বা গন্ধম রংয়ের সাথে কালো রংয়ের ঊখা বিশিঊএক ঊাড়া ইয়ামানী ঊাষাক। ইয়ামানী সমস্ত ঊাষাকগুলো এরূপই হয়ে থাকে। অর্থাৎ যা কখনোই লাল হয়না ঊননা “আবূ দাঊদ শরীফে’ বর্ণিত হযরত আবদুল্লাহ বিন আমর রদ্বিয়াল্লাঊতায়ালা আনহুম-এর হাদীছ শরীফ দ্বারা সম্পূর্ণ লাল রংয়ের কাপড় পরিধান করা নিষিদ্ধ ও মাকরূহ তাহরীমী প্রমাণিত হয়।”
অতএব, প্রমাণিত হলো ঊ, লাল রংয়ের ঊাষাক পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী এটাই হযরত মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর চুড়ান্ত অভিমত। আর এ ব্যাপারে তাঁর দলীল হচ্ছে, আবূ দাঊদ শরীফে বর্ণিত হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর রদ্বিয়াল্লাঊতায়ালা আনঊএর হাদীছ শরীফ। ঊমন তিনি উক্ত হাদীছ শরীফের ব্যাখ্যায় “মিরকাত শরীফের’ ৮ম জিঃ ২৫৭ পঊায় লিখেন,
[৩৬১]
فهذا دليل صريح على تحريم لبس الشوب الاحمر للرجال.
অর্থঃ (হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর রদ্বিয়াল্লাঊতায়ালা আনঊহতে বর্ণিত) এ হাদীছ শরীফখানা পুরুষদের জন্য লাল রংয়ের ঊাশাক হারাম বা নিষিদ্ধ হওয়ার সুস্পষ্ট দলীল।”
কাজেই হযরত মুল্লা আলী কারী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর এ চুড়ান্ত অভিমতকে যদি রদ করতে হয় তবে তার বিপরীতে এরূপ সুস্পষ্ট বক্তব্য বা ইবারত উল্লেখ করতে হবে। “যদি ঊনে ঊয় হয়।” এরূপ অস্পষ্ট ও স¿দহজনক বক্তব্য দ্বারা উপরোক্ত সুস্পষ্ট ও চুড়ান্ত বক্তব্য কখনোই রদ হতে পারেনা। সুতরাং তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব যদি সত্যবাদী হয়ে থাকে তবে ঊ মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর এরূপ একটি বক্তব্য উল্লেখ করুক ঊখানে সুস্পষ্টভাবে একথা উল্লেখ আছে ঊ, মুল্লা আলী ক্বারীর মতে লাল রংয়ের ঊাষাক পরিধান করা জায়িয। মুলতঃ তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব তা ঊান দিনও পারবেনা। আর পারবেনা বলেই ঊ স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে ঊ, “মোট কথা সর্ব প্রকার লাল কাপড়কে ঊসব আলিম মাকরূহ তাহরীমী বলেছেন তাদের মধ্যে মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহিও একজন।
তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের ১৩শ বক্তব্য
তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের বক্তব্য হলো- উল্লেখিত ফতওয়ায় ইচ্ছে করেই মনে হয় ....... আল্লামা শামীর মন্তব্যগুলো এড়িয়ে ঊলেন। ........ তাছাড়া তানবীরুল আবছারের উল্লিখিত ইবারত দ্বারাও মুফতী (!) ছাহেবের উঊশ্য সাবিত হচ্ছে না। ঊননা তার দাবী মতে সর্ব প্রকার লাল রংয়ের কাপড় পুরুষের জন্য মাকরূহে তাহরীমী। অথচ উক্ত ইবারতে সর্ব প্রকার লাল রং-এর কথা বলা হয় নাই। বরং উসফুর ও জাফরান দ্বারা রঙানো লালের কথা বলা হয়েছে।”
তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের
১৩শ বক্তব্যের খণ্ডনমূলক জবাব
উল্লেখিত ফতওয়ায় ‘তানবীরুল আবছারের’ ইবারতে ঊাটেও কারচুপি করা হয়নি। এটা তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের একটি মিথ্যা অভিযোগ ঊ কিছুই নয়। কারণ ঊ তার ফতওয়ায় প্রমাণ করতে পারে নাই ঊ, তানবীরুল আবছারের ঊান ঊান বক্তব্য কারচুপি করা হয়েছে।
মুলতঃ ঊ ঊরূপ ঊ অপরকেও তদ্রুপ মনে করে থাকে। অর্থাৎ তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব ঊহেতু ইবারত কারচুপিতে বিশেষভাবে পারদর্শি তাই ঊ অপরকেও এরূপ ভাবছে। হাক্বীক্বত তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবই তার তথাকথিত ফতওয়ায় “দুররুল মুখতারের” বক্তব্য উল্লেখ করেছে ঠিকই কিন্তু আল্লামা শামীর চুড়ান্ত ফায়সালাকে ইচ্ছে করেই কারচুপি করে ঊাপন ঊখেছে। কারণ তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব ভাল করেই জানে ঊ, আল্লামা শামীর শর্বশেষ বা চুড়ান্ত ফায়ছালা যদি তুলে ধরা হয় তবে তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের তথাকথিত ফতওয়ার ঊান ভিত্তিই থাকেনা এবং তার লাল রংকে জায়িয করার মত হীন স্বার্থ চরিতার্থ করারও ঊান উপায় থাকেনা। কাজেই তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব ঊন তার হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার ঊান সুযোগ না পায়। তাই তার কারচুপি মূলক ঊহারাটি জনসম্মুখে উঊ§াচন করে ঊয়া হলো।
তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব উদ্ধঊ ‘দুররুল মুখতারের’ ইবারতটি হলো-
(كره لبس المعصفر والمزعفر الا حمر والا صفر للر جال) مفاده انه لايكره للنساء (ولاباس بسا ئر الالوان) وفى المجتبى والقهستانى وشرح النفايه لابى المكا رم لا باس بلبس الثوب الا حمراه ومفاده ان الكراهة تتريهية لكن صرح فى التحفة بالجهة فافاد انها تحر يمية وهى المحمل عند الاطلاق قاله المصنف قلت: وللشر نبلالى فيه رسالة نقل ثمانية اقوال منها انه مستحب. (الدر المختار على هامش الرد ج 2ص 358)
ফিক্বাহের বিখ্যাত ‘রদ্দুল মুহতার” এর ৯ম জিঃ ৫১৬ পঊায় আল্লামা শামী লাল রং সম্পর্কে বিভিনঊজনের বিভিনঊমত উল্লেখ করার পর চুড়ান্ত ফায়ছালা দিয়ে বলেন,
[৩৬২-৩৬৭]
اقمرل ولكن جل الكتب على الكراهة كالسراج والمحيط والاختيار المنتقى والذ خيرة وغيرها وبه افتى العلامة قاسم.
অর্থঃ- “(লাল রং সম্পর্কে যদিও অনেক অনেক মত ঊশ করেছে) কিন্তু আমি বলছি, বড় বড় (হানাফী ফিক্বাহের) কিতাব ঊমন, সিরাজুল ওয়াহহাজ, মুহীত, ইখতিয়ার, মুনতাক্বা, জখীরাসহ আরো অন্যান্য কিতাব সমূহে মাকরূহ তাহরীমী হওয়ার ব্যাপারেই ফতওয়া ঊয়া হয়েছে। আর (হানাফী মাযহাবের বিখ্যাত ফক্বীহ) আল্লামা কাসিম রহমতুল্লাহি আলাইহি এর উপরই ফতওয়া দিয়েছেন।”
অর্থাৎ আল্লামা শামীর মতে, লাল রং সম্পর্কে অনেকে অনেক মত ঊশ করলেও বিঊ বা ফতওয়াগ্রাহ্য ও মুখতার মত হলো লাল রংয়ের ঊাষাক পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী। তথাকথিত মুফতী(!) ছাহেব দুররুল মুখতার ও শামী কিতাব ঊকে লম্বা লম্বা দুটি ইবারত উল্লেখ করল। কিন্তু ফতওয়ায়ে শামীর এ ইবারতটি ঊাপন করলো ঊন? আশা করি তা স্পষ্ট করে বলার ঊানই প্রয়োজন ঊই।
দ্বিতীয়তঃ উল্লেখিত ফতওয়ায় সর্বপ্রকার লাল রংয়ের ঊাষাক মাকরূহ তাহরীমী একথা প্রমাণ করার জন্যে ঊুমাত্র তানবীরুল আবছারের ইবারতই উল্লেখ করা হয়নি। বরং সাথে সাথে খুলাছাতুল ফতওয়া ও ফতওয়ায়ে বাজ্জাজিয়ার ইবারতও উল্লেখ করা হয়েছে। আর উল্লিখিত তিনখানা কিতাবের বক্তব্য দ্বারা সর্ব প্রকার লাল রং অবশ্যই মাকরূহ প্রমাণিত হয়। ঊমন ‘তানবীরুল আবছারের’ ইবারতে উল্লেখ আছে,
[৩৬৮]
وكره لبس المعصفر والمز عفر الا حمر والاصفر للرجال.
অর্থঃ- “পুরুষের জন্য কুসুম বা উছফুর দ্বারা রঙানো লাল, জাফরানী লাল রং ও হলুদ রংয়ের ঊাষাক পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী।” অর্থাৎ এ ইবারতে উছফুর দ্বারা রঙানো লাল ও জাফরানী লাল রংয়ের কথা উল্লেখ আছে।
আর ‘খুলাছাতুল ফতওয়ার’ ইবারতে উল্লেখ আছে,
[৩৬৯]
ويكره ان يلبس الثياب المصبو غة بالعصفر او الزعفران او الورس.
অর্থঃ কুসুম বা উছফুর দ্বারা রঙানো লাল, জাফরানী লাল ও ওয়ারস দ্বারা রঙানো লাল রংয়ের কাপড় পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী। এ ইবারতে ورس বা সাধারণ লাল রংয়ের উল্লেখ আছে।
ফতওয়ায়ে বাজ্জাজিয়ার ইবারতে উল্লেখ আছে,
[৩৭০]
ويكره الثياب المصبوغة بالز عفران والعصفر والورس
অর্থঃ- জাফরান দ্বারা রঙিত, উছফুর দ্বারা রঙিত ও ওয়ারস বা সাধারণ লাল রং দ্বারা রঙিত কাপড় পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী। অনুরূপ ফতওয়ায়ে কাজীখানেও” উল্লেখ আছে।
অতএব, উল্লিখিত কিতাব সমূহের বক্তব্য দ্বারা মুলতঃ সর্বপ্রকার লাল রং ঊমন- উছফুর দ্বারা রঙানো লাল, জাফরানী লাল ও ওয়ারস বা সাধারণ লাল রংয়ের ঊাষাক পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী প্রমাণিত হয়।
তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব এখানে আরেকটি প্রতারণা ও জালিয়াতি করেছে। ঊ ঊু মাত্র ‘তানবীরুল আবছারের’ ইবারত উল্লেখ করেছে। খুলাছাতুল ফতওয়া, কাজীখান ও বাজ্জাজিয়ার ইবারতগুলো উল্লেখ করেনি। কারণ ঊ জানে ঊ, ঊগুলো উল্লেখ করলে এবং সঠিক অর্থ ও ব্যাখ্যা করলে তার হাক্বীক্বত জাহির হয়ে যাবে। তাই ঊ এরূপ প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে।
তাছাড়া উক্ত ফতওয়ায় উল্লিখিত ইবারতগুলো উল্লেখ করার পর ‘জামউল ওসায়েল’ ঊকে নিম্নোক্ত ইবারত উল্লেখ করা হয়েছে,
[৩৭১]
والتحقيق فى هذا المقام ان النهى عن لبس الثوب الاحمر.
অর্থঃ- এঊঊ সঠিক তাহক্বীক্ব বা ফয়সালা হলো লাল কাপড় পরিধান করা সম্পূর্ণই নিষিদ্ধ।” সুবিধাবাদী তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব উক্ত ইবারতের ব্যাপারে ঊান কথাই বলেনি। বরং সম্পূর্ণ পাশ ঊটে ঊছে। কারণ উক্ত ইবারতটি তার সকল বক্তব্যের মূলে কুঠারাঘাত করেছে।
তবে তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব ‘ফতওয়ায়ে মাহমূদিয়ার’ ইবারতের ব্যাপারে কিছু বললেও উক্ত ইবারতের ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছে। ঊ বলেছে “উক্ত কিতাবে খালেছ লাল কাপড় পুরুষদের জন্য মাকরূহ বলা হয়েছে অন্য বর্ণ মিশ্রিত লাল কাপড়কে নিষিদ্ধ বলা হয়নি।”
তথাকথিত মুফতী ছাহেবের নিকট আমাদের প্রশঊ‘ফতওয়ায়ে মাহমূদিয়ার” ঊাথায় উল্লেখ আছে অন্য বর্ণ বিশ্রিত লাল কাপড় মাকরূহ নয়? যদি ঊ সত্যবাদিই হতো তবে উক্ত বক্তব্যের পঊ দলীল ঊশ করলো না ঊন?
মুলতঃ ফতওয়ায়ে মাহমুদিয়ার উক্ত ইবারতে অন্য বর্ণ মিশ্রিত লাল কাপড় জায়িয একথা বলা হয়নি। বরং খালিছ লাল রংও ঊ নিষিদ্ধ ঊটাই বুঝানো হয়েছে।
তথাকথিত মুফতি (!) ছাহেবের ১৪শ বক্তব্য
সিলেট খারেজী মাদরাসার তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব উক্ত ফতওয়ায় প্রদত্ত “দলীলসমূহ” শিরোনামের সমালোচনা করতে গিয়ে লিখেছে- “আমরা চ্যালেঞ্জ সহকারে বলতে পারি ঊ, তাঁর ঊয়া তালিকার ঊান একটি কিতাব দ্বারা অন্য রং মিশ্রিত লাল কাপড়কে পুরুষের জন্য মাকরূহ তানযীহী প্রমাণ করতে পারবে না।
বরং মজার ব্যাপার হচ্ছে ঊ, তিনি তার তালিকায় এমন কটি কিতাবের নাম উল্লেখ করেছেন ঊগুলোতে নিরেট লাল কাপড়কেও পুরষের জন্য জায়িয বলা হয়েছে।
তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের
১৪শ বক্তব্যের খণ্ডনমূলক জবাব
সিলেট খারেজী মাদরাসার তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব নিজেকে যতটুকু চালাক বা চতুর ভাবে আসলে ঊ ঊ এর ঊয়েও ঊশী ঊাকা ঊটা হয়ত তার জানা ঊই। মুলতঃ তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব উপরোক্ত বক্তব্যের দ্বারা ঊ ঊু নিজেকে ঊাকাই প্রমাণ করেছে তা নয় বরং সাথে সাথে নিজেকে চরম জাহেল হিসেবেও প্রমাণ করেছে।
স্মর্তব্য ঊ, উল্লিখিত কিতাব সমূহ “অন্য রং মিশ্রিত লাল কাপড় মাকরূহ” প্রমাণ করার জন্যে দলীল হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি। বরং সর্ব প্রকার লাল কাপড় পুরুষের জন্য নিষিদ্ধ ও গন্ধম বা ঊানালী রংয়ের কাপড় জায়িয তা প্রমাণ করার জন্যেই তা উল্লেখ করা হয়েছে। আর উল্লিখিত কিতাব সমূহে অবশ্যই তা উল্লেখ আছে। ঊমন উল্লিখিত দলীলসমূহ-
(ক) প্রথম দলীল হচ্ছে “বুখারী শরীফ” এ কিতাবে বর্ণিত حلة حمراء “হুল্লাতুল হামরা” সম্পর্কিত হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে ঊ, পুরুষের জন্য গন্ধম বা ঊানালী রংয়ের কাপড় পরিধান করা জায়িয তাছাড়া উক্ত বুখারী শরীফ ২য় জিঃ ৮৭০ পঊায় ১নং টিকায় উল্লেখ আছে,
[৩৭২-৩৭৩]
الثوب الا حمر اختلف فى لبس الثياب المصبوغة احمر بالعصفر او غيره فاباحها جماعة من الصحابه والتا بعين وبه قال الشافعى منعهما اخرون مطلقا قال الببيهقى والصواب تحريم المعصفر عليه للاحاديث الصحيحة التى لوبلغت الشافعى لقال بها وقد اوصا الناس العمل بالحد يث الصحيح ذكر ذالك فى الروضة.
অর্থঃ- “উছফুর বা অন্য রং দ্বারা রঞ্জিত লাল রংয়ের কাপড় পরিধান করার ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে। ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লািহ আলাইহি-এর মতে ছাহাবী ও তাবেয়ীদের এক জামায়াত তা মুবাহ বলেন। ছাহাবী ও তাবেয়ীদের অপর জামায়াত مطلقا বা আমভাবে সর্বপ্রকার লাল কাপড় নিষিদ্ধ হওয়ার মত ঊশ করেন। হযরত ইমাম বাইহাক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, সঠিক ও বিঊ মত হচ্ছে অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ দ্বারা উছফুর দ্বারা রঞ্জিত লাল কাপড় হারাম প্রমাণিত হয়। ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর নিকট যদি এ বর্ণনাগুলো ঊৗঁছতো তবে তিনিও তা হারাম ফতওয়া দিতেন। ঊহেতু তিনি আমাদেরকে ছহীহ হাদীছ শরীফের উপর আমল করার ব্যাপারে ওছীয়ত করেছেন। অনুরূপ ‘রওযা’ কিতাবেও উল্লেখ আছে।
সুতরাং তথাকথিত মুফতী ছাহেব ঊ লিখেছে, ‘বুখারী শরীফের’ হাদীছ দ্বারা লাল কাপড় জায়িয প্রমাণিত হয়, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভুল প্রমাণিত হলো। সাথে সাথে এটাও প্রমাণিত হলো ঊ, উল্লিখিত দলীল সমূহের প্রথম দলীল ‘বুখারী শরীফ’ দলীল হিসেবে সঠিকই রয়েছে।
(খ) এরপর তাঁর উল্লিখিত দলীল সমূহের মধ্যে ১৮নং দলীল হচ্ছে ফিক্বাহের কিতাব ‘মুলতাক্বাত”। তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব উক্ত কিতাবে বর্ণিত ইবারতের মনগড়া ও ভুল অর্থ করেছে। ঊমন ফতওয়ায়ে শামী ও আলমগীরীতে “মুলতাক্বাত”-এর বরাতে লিখা হয়েছে,
[৩৭৪-৩৭৬]
عن ابى حنيفة لاباس بالصبغ الا حمر والاسود
আমাদের হানাফীদের মতে উক্ত ইবারতের সঠিক ও গ্রহণযোগ্য অর্থ হলো, “হযরত ইমাম আবূ হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি ঊকে বর্ণিত গন্ধম বা ঊানালী ও কালো রংয়ের ঊাষাক পরিধান করতে ঊান অসুবিধা ঊই।
সুতরাং দলীল হিসেবে মুলতাক্বাত কিতাবও সঠিক রয়েছে বলে প্রমাণিত হলো।
(গ) ‘শরাম্বুলালী’ তাঁর উল্লিখিত দলীলসমূহের মধ্যে ২২নং দলীল। শরাম্বলালী احمر ‘আহমার’ এর ব্যাপারে ৮টি মত ঊশ করেছেন। তন্মধ্যে মাকরূহ হওয়ার মতও উল্লেখ আছে। আর উক্ত কিতাবে احمر ‘আহমার’ মুস্তাহাব হওয়ার ঊ মত মনগড়া অর্থ করেছে। ঊমন উক্ত কিতাবে উল্লেখ আছে,
[৩৭৭]
للشر نبلالى فيه رسالة نقل ثما نية اقوال. منها انه مستحب.
আমাদের হানাফীদের মতে উক্ত ইবারতের সঠিক ও গ্রহণ ঊাগ্য অর্থ হলো শরাম্বুলালী একটি ঊসালা লিখেছেন। ঊখানে احمر ‘আহমার’ সম্পর্কে ৮টি মত উল্লেখ করেছেন। তন্মধ্যে একটি মত হলো ঊানালী বা গন্ধম রং অর্থে احمر ‘আহমার’ মুস্তাহাব।
হানাফীগণ ঊ সকল বর্ণনা দ্বারা احمر ‘আহমার’ ঊধ প্রমাণিত হয়। ঊ সকল বর্ণনাগুলো তা’বীলী অর্থে গ্রহণ করেছেন। ঊননা احمر শব্দটি লাল ছাড়াও গন্ধম ঊানালী বা অন্য অর্থেও ব্যবঊ হয়। ঊহেতু হানাফী মাযহাবে সর্ব প্রকার লাল রং নিষিদ্ধ। আর গন্ধম বা ঊানালী রং জায়িয। তাই ঊ সকল বর্ণনায় احمر নাজায়িয বলা হয়েছে ঊখানে احمر অর্থ হচ্ছে ‘লাল’। আর ঊখানে احمر ঊ ঊধ বলা হয়েছে, ঊখানে احمر অর্থ হচ্ছে গন্ধম বা ঊানালী রং। সুতরাং দলীল হিসেবে “শরাম্বুলালী’-এর নাম উল্লেখ করাও সঠিকই রয়েছে।
(ঘ) ‘মুজতবা’ উল্লিখিত দলীল সমূহের মধ্যে ২৪ নং দলীল ঊমন-
[৩৭৮]
وفى المجتبى ...... لاباس بلبس الثوب الاحمر
উক্ত ইবারতের সঠিক ও গ্রহণযোগ্য অর্থ হলো, মুজতবা কিতাবে বর্ণিত আছে, “গন্ধম বা ঊানালী রংয়ের কাপড় পরিধান করতে ঊান অসুবিধা ঊই।”
কাজেই তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব উক্ত ইবারতে বর্ণিত আহমার "احمر" শঊর ‘লাল’ অর্থ করে চরম প্রতারণা করেছে। সুতরাং উল্লিখিত অর্থে ‘মুজতবা’ কিতাবের নাম দলীল হিসেবে সঠিকই রয়েছে।
(ঙ) তাঁর ১৫ নং দলীল হচ্ছে, ‘বযলুল মাজহুদ।” ‘বজলুল মাজহুদের’ ৬ঊজিঃ ৪৯ পঊায় উল্লেখ আছে,
[৩৭৯]
وعند الاخرين مطلق الحمرة سواء كان من العصفر اوغيره مكروه.
অর্থঃ অপরাপর ফক্বীহগণের মতে সর্ব প্রকার লাল রং এর ঊাষাক পরিধান করাই মাকরূহ তাহরীমী।”
উক্ত খঊর উক্ত পঊায় আরো উল্লেখ আছে,
[৩৮০]
وعلى ان للرجل لبس الاحمر على تحريم صريح وحذا دبيل.
অর্থঃ পুরুষের জন্য লাল রংয়ের ঊাষাক পরিধান করা সুস্পষ্ট হারাম। (توبان احمران) এ হাদীছ শরীফই তার দলীল।”
অতএব, প্রমাণিত হলো ঊ, “বযলুল মাজহুদে” লাল কাপড় নিষিদ্ধ বা মাকরূহ হওয়ার বর্ণনা রয়েছে।
তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব এ ঊঊ বযলুল মাজহুদ ঊকে ঊ ইবারত উল্লেখ করেছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। ঊননা কিতাবে তার বিপরীত মতও উল্লেখ আছে। ঊমন “জামউল ওয়াসায়িল”-এর ১ম জিঃ ১৪৪ পঊায় উল্লেখ আছে,
[৩৮১]
وتحقيق القول فيها ان كا نت من حرير غير حمراء فاسعملها ممنوع لا جل انها من الحرير استعمال الحرير للر جال حرام لا سيما ان كانت مع ذالك حمراء وان كانت غير حرير فالنهى فيها.
অর্থঃ- এ ব্যাপারে মুল তাহক্বীক্বী ফায়ছালা হলো, যদি কাপড় লাল রং ব্যতীতই ঊশমী হয় তবে তা ঊশমী হওয়ার কারণে হারাম। ঊহেতু পুরুষের জন্য ঊশমী কাপড় হারাম। একই ভাবে যদি লাল রং সহ ঊশমী কাপড় হয় তবেও হারাম। অনুরূপভাবে যদি ঊশমী ছাড়া ঊু লাল রংয়ের কাপড় হয তবে তাও নিষিদ্ধ বা হারাম।”
কাজেই তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব ‘বযলুল মাজহুদের’ বরাতে ঊ লিখেছে, লাল কাপড় যদি ঊশমী না হয় ... ... তাহলে হানাফীদের মতে জায়িয। তা সঠিক ও গ্রহণযোগ্য নয় বলে প্রমাণিত হলো সুতরাং দলীল হিসেবে ‘বযলুল মাজহুদের’ নাম উল্লেখ করাও সঠিক বলে প্রমাণিত হলো।
(চ) তাঁর উল্লিখিত একত্রিশটি কিতাবের মধ্যে ১৪নং কিতাব হচ্ছে, ‘আউনুল মা’বূদ’।
উক্ত কিতাবে লাল রং মাকরূহ হওয়ার বর্ণনা উল্লেখ আছে। ঊমন ‘আউনুল মা’বূদ’ এর ৪র্থ জিঃ ৯২ পঊায় উল্লেখ আছে,
[৩৮২]
احتج بهذا الحد يث القائلون بكرا هة لبس الا حمر.
অর্থাৎ (ثوبان احمران) এ হাদীছ শরীফের উপর ভিত্তি করে ফক্বীগণ ফতওয়া ঊন ঊ, লাল রংয়ের কাপড় পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী।
অনুরূপভাবে উল্লিখিত ৩১টি কিতাবের প্রতিটিতেই লাল রং হারাম বা মাকরূহ তাহরীমী হওয়ার প্রমাণ রয়ে ঊছে। এবার আপনারাই বলুন “ধাপ্পাবাজ ঊ?” “ধাপ্পাবাজ” তথাকথিত মুফতী ছাহেব এতে ঊানই স¿দহ ঊই। কারণ ঊ ধাপ্পাবাজী করে মিথ্যা দিয়ে সত্যকে ঢাকার ঊষ্টা করেছিল।
মূল কথা হলো, দলীল হিসেবে ঊ ৩১টি কিতাবের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, দলীল হিসবে তা ঠিকই রয়েছে। কারণ উল্লিখিত ‘দলীল সমূহ’ আমভাবে লাল রং মাকরূহ বা নিষিদ্ধ হওয়ার ঊঊই উল্লেখ করা হয়েছে। খাছ করে “অন্য রং মিশ্রিত লাল কাপড়”-এর ঊঊ তা দলীল হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি। যদি তাই হয়ে থাকে তবে তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের ঊাক ঊখানো চ্যালেঊর কি মূল্য থাকতে পারে? মুলতঃ উক্ত চ্যালেঞ্জ প্রদান করাও তার আরেকটি প্রতারণা ও ধাপ্পাবাজী।
পক্ষান্তরে তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের প্রতি “চ্যালেঞ্জ” ছুড়ে দিয়ে বলছি যদি ঊ সত্যবাদী হয়ে থাকে তবে প্রমাণ করুক ঊ, অন্য রং মিশ্রিত লাল রং এর ঊঊ উল্লিখিত “দলীলসমূহ” উল্লেখ করা হয়েছে।
তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের
চরম প্রতারণা ও ঊাঁকাবাজী
তথাকথিত মুফতী ছাহেব তার তথাকথিত ও মিথ্যায় ভরপূর ফতওয়ার ঊষে ‘কিতাবের ঊফারেন্স’ শিরোনামে পাইকারী হারে আরবী ও বাংলা ভাষায় ২৮টি কিতাবের নাম উল্লেখ করে চরম জালিয়াতী ও ঊাঁকাবাজী” করেছে। জানিনা কিতাবের নামগুলো ঊ ঊন উল্লেখ করেছে। তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব সম্ভবতঃ অন্যদেরকে নিজের মতই ঊাকা ভাবছে ঊ, আবরী বাংলায় লিখিত কয়েকটি কিতাবের নাম ঊখলেই ঊাকেরা তার মনগড়া, মিথ্যা ও সাজানো ফতওয়াটি সঠিক ও সত্য বলে ঊনে নিবে। বস্তুতঃ এ কাজটিও ঊ তার জালিয়াতী ও ঊাকাবাজী তা বলার অপেক্ষাই রাখেনা। তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের ভালরূপে স্মরণ রাখা দরকার ঊ, আজকালের জনগণ তার মত জাহিল ও ঊাকা নয়। বরং তারা ‘আল বাইয়্যিনাত’ পড়ার কারণে অনেক বিজ্ঞ ও সতর্ক। জাহিল ও প্রতারকদের ঊাকাবাজী, জালিয়াতী ও প্রতারণা তারা সহজেই বুঝে ঊলে।
ولوكان بعضهم لبعض ظهيرا.
মজার ও হাস্যকর ব্যাপার হলো তথাকথিত মুফতী ছাহেব ঊ সকল কিতাবগুলোর নাম উল্লেখ করেছে তার প্রায় প্রতিটিতেই পুরুষের জন্য লাল রংয়ের কাপড় অর্থাৎ উছফুর দ্বারা, জাফরান দ্বারা, ওয়ারস দ্বারা রঙ্গানো লাল, ঊালাপী লাল, ঊু লাল রংয়ের কাপড় পরিধান করা মাকরূহ বা নিষিদ্ধ বলা হয়েছে। ঊমন
(ক) “বুখারী শরীফ” তথাকথিত মুফতী ছাহেবের তালিকার ১ম কিতাব। অথচ উক্ত বুখারী শরীফ ২য় জিঃ ৮৭০ পঊায় ১নং টিকায় উল্লেখ আছে,
[৩৮৩-৩৮৪]
الثوب الاحمر اختف فى لبس الثياب المصبوغة احمر بالعصفر اوغيره فا باحها جما عة من الصحا به والتا بعين وبه قال الشا فعى منعهما اخر ون مطلقا فال الببيهقى والصو اب تحريم المعصفر عليه للا حاديث الصحيحة التى لوبلغت الشا فعى لقال بها وقد اوصا ناس العمل بالحد يث الصحيح ذكر ذالك فى الر وضفة.
অর্থঃ- “উছফুর বা অন্য রং দ্বারা রঞ্জিত লাল রংয়ের কাপড় পরিধান করার ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে। ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লািহ আলাইহি-এর মতে ছাহাবী ও তাবেয়ীদের এক জামায়াত তা মুবাহ বলেন। ছাহাবী ও তাবেয়ীদের অপর জামায়াত مطلقا বা আমভাবে সর্বপ্রকার লাল কাপড় নিষিদ্ধ হওয়ার মত ঊশ করেন। হযরত ইমাম বাইহাক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, সঠিক ও বিঊ মত হচ্ছে অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ দ্বারা উছফুর দ্বারা রঞ্জিত লাল কাপড় হারাম প্রমাণিত হয়। ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর নিকট যদি এ বর্ণনাগুলো ঊৗঁছতো তবে তিনিও তা হারাম ফতওয়া দিতেন। ঊহেতু তিনি আমাদেরকে ছহীহ হাদীছ শরীফের উপর আমল করার ব্যাপারে ওছীয়ত করেছেন। অনুরূপ ‘রওযা’ কিতাবেও উল্লেখ আছে।
(খ) “আবূ দাঊদ শরীফ” তালিকার ৩য় কিতাব। অথচ ‘আবূ দাঊদ শরীফ’-এর ২য় জিঃ ২০৮ পঊার ২নং হাশিয়ায় উল্লেখ আছে,
[৩৮৫-৩৮৬]
وقال على القارى فى المرقاة فهذا اى قوله صلى الله عليه وسلم فلم يرد عليه دليل صريح على تحريم لبس الثوب الاحمر للر جال. وعلى ان مر تكب المنهى حال التسليم لايستحق الجواب والتسليم. وروى الطبرانى عن عمران ابن حصين مرفوعا اياكم والحمرة فانها احب الزينة الى الشيطان.
অর্থঃ হযরত আল্লামা মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর লিখা মিশকাত শরীফের শরাহ ‘মিরক্বাত শরীফে’ বলেছেন, “হুযূর পাক ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বাণীঃ তিনি লাল ঊাশাক পরিহিত ব্যক্তির সালামের জাওয়াব ঊননি।” এই হাদীছ শরীফখানা এই মাসয়ালার স্পষ্ট নির্ভরযোগ্য দলীল। মাসয়ালা হচ্ছে, পুরুষদের জন্য লাল কাপড় পরিধান করা হারাম। নিশ্চয়ই সালামের সময় হারাম কাজে মশগুল ব্যক্তি সালামের জাওয়াব পাওয়ার ও সালাম পাওয়ার হক্বদার নয়। হযরত ইমাম ত্ববারানী রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত ইমরান ইবনে হুছাইন রদ্বিয়াল্লাঊতায়ালা আনঊঊকে ‘মারফু’ সনদে বর্ণনা করেছেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ঊামরা লাল রং ঊকে ঊঁচে থাক। ঊননা নিশ্চয়ই ইহা শয়তানের কাছে অধিক পছন্দনীয় ঊাশাক।
(গ) “তিরমিযী শরীফ” তালিকার ৪র্থ কিতাব। অথচ ‘তিরমীযী শরীফে’ বর্ণিত ثوبان احمران হাদীছ শরীফ দ্বারাই হানাফীগণ লাল রং মাকরূহ বা নিষিদ্ধ প্রমাণ করেছেন। ঊমন এ প্রসেঙ্গ হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে,
[৩৮৭-৩৯০]
عن عبد الله بن عمرو رضى الله عنه قال مر رجل وعليه ثوبان احمران فسلم على النبى صلى الله عليه وسلم فلم يرد عليه النبى صلى الله عليه وسلم السلام. هذا حد يث حسن. غريب من هذا الوجه.
অর্থঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাঊতায়ালা আনঊঊকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা লাল বর্ণের দু’টি কাপড় (ইযার ও চাদর) পরিহিত এক ব্যক্তি হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে সালাম দিল। কিন্তু হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম তার সালামের জাওয়াব ঊননি। হযরত আবূ ঈসা তিরমিযী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, এ হাদীছ শরীফখানা হাসান এবং উপরোক্ত সনদে গরীব। (আবূ দাউদ শরীফ, মিশকাত শরীফ, নাইলুল আওতার)
উক্ত হাদীছ শরীফের ব্যাখ্যায় মুসলিম শরীফের শরাহ ‘ফতহুল্ মুলহিম লিত্তক্বী উছমানী’ ৪র্থ জিঃ ৫৫৩, ৫৫৪ পঊায় উল্লেখ আছে,
[৩৯১-৩৯২]
وقد استدل به من ذهب الى جواز لبس الاحمر للرجال وهو قول الشا فعية والما لكية وجماعة من الحنفية، والمشهور عند الحنفية انهم يكرهون لبس الا حمر الخالص للر جال. وذلك لما اخرجه ابو داؤد والنر مذى وحسنه.
অর্থঃ- উক্ত হাদীছ শরীফ দ্বারা দলীল ঊয়া হয় ঊ, পুরুষদের জন্য লাল ঊাশাক জায়িয। ইহা শাফিয়ী, মালিকী ও হানাফী মাযহাবের একটি দলের অভিমত। কিন্তু মাশহুর মতে, হানাফীগণের নিকট পুরুষদের জন্য খালিছ লাল রংয়ের ঊাশাক মাকরূহ তাহরীমী। ঊমনটি হাসান সনদে আবূ দাঊদ শরীফ ও তিরমিযী শরীফে বর্ণিত আছে। (অনুরূপ আউনুল মা’বুদ কিতাবেও বর্ণিত আছে)
[৩৯৩-৩৯৫]
قال الشوكانى فى النيل: قد احتج بهذه الاحاديث من قال بجواز لبس الاحمر وهم الشا فعية والمالكية وغيرهم ...... وذهبت الحنفية الى الكراهة واحتجوا بحد يث عبد الله بن عمرو قال مر بالنبى صلى الله عليه وسلم رجل وعليه ثوبان احمران فسلم عليه فلم يرد عليه اخرجه الترمذى وابو داؤد.
অর্থঃ- হযরত শাওকানী তাঁর ‘নাইলুল্ আওতার’ কিতাবে বলেছেন, যারা পুরুষদের জন্য লাল ঊাশাক জায়িয বলেন, তাঁরা হচ্ছেন শাফিয়ী, মালিকী ও অন্যান্যগণ। حلة حمراء সম্পর্কিত হাদীছ শরীফ তাঁদেরই দলীল। .......... কিন্তু হানাফী মাযহাবে পুরুষদের জন্য লাল ঊাশাক পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী। তারা দলীল ঊশ করে থাকেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাঊতায়ালা আনঊএর হাদীছ শরীফকে। তিনি বলেছেন, একদা এক ব্যক্তি দুটি লাল কাপড় পরিহিত অবস্থায় হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে সালাম ঊয়, কিন্তু তিনি তার সালামের জাওয়াব ঊননি। হাদীছ শরীফখানা তিরমিযী শরীফ ও আবূ দাঊদ শরীফে বর্ণিত আছে।
(ঘ) ‘বযলুল মাজহুদ’ তালিকার ১৩ তম কিতাব। অথচ ‘বযলুল মাজহুদের’ ৬ঊজিঃ ৪৯ পঊায় উল্লেখ আছে,
[৩৯৬]
وعند الاخرين مطلق الحمرة سواء كان من العصفر اوغيره مكروه.
অর্থঃ অপরাপর সকল ফক্বীহগণের মতে সর্ব প্রকার লাল রং এর ঊাষাক পরিধান করাই মাকরূহ তাহরীমী।”
উক্ত খঊর উক্ত পঊায় আরো উল্লেখ আছে,
[৩৯৭]
وعلى ان للرجل لبس الاحمر على تحريم صريح وهذا دليل.
অর্থঃ পুরুষের জন্য লাল রংয়ের ঊাষাক পরিধান করা সুস্পষ্ট হারাম। (ثوبان احمران) এ হাদীছ শরীফই তার দলীল।”
(ঙ) ফতহুল বারী ও উমদাতুল কারী তথা কথিত মুফতী (!) ছাহেবের তালিকার ৬ ও ৭ নং কিতাব। অথচ “ফতহুল বারীতে ও উমদাতুল কারীতে” উল্লেখ আছে,
[৩৯৮-৪০০]
يشيرال الجواز، والخلاف فى ذلك مع الحنفية فانهم قالوا يكره وتاولوا حد يث الباب بانهم كا نت حلة من برود فيها خطوط حمر، ومن ادلتهم ما اخرجه ابوداؤد من حديث عبد الله بن عمرو قال مر بالنبى صلى الله عليه وسلم رجل وعليه ثوبان احمران فسلم عليه فلم يرد عليه.
অর্থঃ- এই হাদীছ শরীফ লাল ঊাশাক জায়িযের ব্যাপারে ইঙ্গিত করে (ইহা শাফিয়ী মাযহাবের মত) এতে হানাফীগণের বিপরীত মত রয়েছে, ঊননা তাঁরা বলেন, লাল ঊাশাক পুরুষদের জন্য মাকরূহ তাহরীমী। তাঁরা অত্র হাদীছ শরীফের ব্যাখ্যা করেন ঊ, حلة ‘হুল্লাহ’ এমন ঊাশাক যাতে গন্ধম বা ঊানালী রংয়ের ঊখা থাকে।
তাঁদের (হানাফীগণের) দলীল হচ্ছে; যা হযরত ইমাম আবূ দাঊদ রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত আব্দুল্লাহ ইবেন আমর রদ্বিয়াল্লাঊতায়াল আনঊএর হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, একদা দু’টি লাল ঊাশাক পরিহিত এক ব্যক্তি হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে সালাম ঊয় কিন্তু হুযূর পাক ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম তার সালামের জাওয়াব ঊননি। (অনুরূপ উমদাতুল ক্বারী ও ফতহুল্ মুলহিম লিশ্ শিব্বীর আহমদ উছমানী কিতাবে বর্ণিত রয়েছে।)
(চ) ‘আউনুল মা’বুদ’ তালীকার ১৪ নং কিতাব। উক্ত ‘আউনুল মা’বুদ’-এর ৪র্থ জিঃ ৯২ পঊায় উল্লেখ আছে,
[৪০১]
احتج بهذا الحديث القائلون بكر اهة لبس الاحمر.
অর্থঃ- “এই হাদীছ শরীফকে ভিত্তি করে উলামায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ ফতওয়া দিয়েছেন ঊ, লাল কাপড় পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী।
(ছ) “তুহফাতুল আহওযায়ী” তার তালিকার ১৫নং কিতাব। অথচ ‘তুহফাতুল আহওয়াযী’ ৮ম জিঃ ৯১ পঊায় উল্লেখ আছে,
[৪০২-৪০৩]
احتج بهذا الحديث القائلون بكر اهة لبس الاحمر.
অর্থঃ- এই হাদীছ শরীফকে ভিত্তি করে উলামায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ ফতওয়া দিয়েছেন ঊ, লাল কাপড় পরিধান করা মাকরূহে তাহরীমী। (অনুরূপ ‘নাইলুল আওতার’-এ আছে)
(ঝ) ‘জামউল ওয়াসাইল’ তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব প্রদত্ত তালিকার ১৯ নং কিতাব। এতে উল্লেখ আছে,
[৪০৪]
والتحقيق فى هذا المقام ان النهى عن لبس الثوب الاحمر.
অর্থঃ- এঊঊ সঠিক তাহক্বীক্ব বা ফয়সালা হলো লাল কাপড় পরিধান করা সম্পূর্ণই নিষিদ্ধ।”
(ঞ) “ইলাউস সুনান” তার তালিকার ২১নং কিতাব। উক্ত কিতাবে উল্লেখ আছে,
[৪০৫-৪০৭]
لكن صرح فى التحفة بالحرمة فافاد انها تحريمة وهى المحمل عند الا طلاق، قاله المصنف.
অর্থঃ- ‘তুহফাহ্’ কিতাবে লাল রং হারাম হওয়ার ব্যাপারে স্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে। এতে বুঝা যায় মাকরূহ দ্বারা মাকরূহ তাহরীমী উঊশ্য। আর সাধারণতঃ মাকরূহ বলতে মাকরূহ তাহরীমীই বুঝায়। উহাই ‘তানবীরুল আবছার’-এর মুছান্নিফ বলেছেন। অর্থাৎ তিনি লাল রংয়ের ঊাশাক পুরুষদের জন্য মাকরূহ তাহরীমীই ফতওয়া দিয়েছেন।
(ট) ‘আশয়াতুল লুময়াত’ সিলেট খারেজী মাদরাসার তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের ঊয়া তালিকার ২২নং কিতাব। অথচ উক্ত কিতাবে সর্বপ্রকার লাল রং মাকরূহ তাহরীমী হওয়ার ব্যাপারে মুখতার বা ফতওয়াগ্রাহ্য মত উল্লেখ করা হয়েছে। ঊমন- ‘আশয়াতুল্ লুময়াত’ ৩য় জিঃ ৫৪২ পঊায় উল্লেখ আছে,
[৪০৮]
ومختاردر مذ ھب حنفی کراھت تحریمی ست ونماز گزاردن بان مکروہ ودر رنگ سرخ از غیر معصفر نیز خلاف ست وشیخ قاسم حنلفی کہ ازاعاظم علماے متا خرین مصر واستاد قسطلا نی ست تحقیق نمودہ وفتوی دادہ کہ حر مت از بہت لون ست نہ صبغ پس ھر سرخ حرام ومکروہ باشد.
অর্থঃ হানাফী মাযহাবের মুখতার তথা অধিক গ্রহণযোগ্য মতে লাল কাপড় পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী। নামাযেও পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী। লাল রং উছফুর মিশানোর শর্ত ছাড়াই হারাম। ইহা তাহক্বীক্ব করে ফয়সালা দিয়েছেন আল্লামা শাইখ ক্বাসিম হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি। যিনি উলামায়ে মুতায়াখ্খিরীনগণের মধ্যে মিশর এলাকার একজন উচ্চ দরজার আলিম ছিলেন এবং কুস্তালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর উস্তায ছিলেন তিনি তাহক্বীক্ব করে ফতওয়া দিয়েছেন ঊ, লাল কাপড় পুরুষের জন্য নিষিদ্ধ তা লাল রংয়ের কারণেই উছফুর। মিশানোর কারণে নয়। সুতরাং প্রত্যেক লাল রংই হারাম ও মাকরুহ তাহরীমীর অন্তর্ভূক্ত।
(ঠ) ‘রদ্দুল মুহতার’ তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের তালিকার ২৪নং কিতাব। রদ্দুল মুহতারে আল্লামা শামী রহমতুল্লাহি আলাইহি লাল রং সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার পর সর্বশেষ চুড়ান্ত ফায়ছালা দিয়ে লিখেন,
[৪০৯-৪১৪]
اقول ولكن جل الكتب على الكراهة. كالسراج والمحيط والاختيار المنتقى والذ خيرة وغيرها وبه افتى العلامة قاسم.
অর্থঃ- “(লাল রং সম্পর্কে যদিও অনেকে অনেক মত ঊশ করেছে) কিন্তু আমি বলছি, বড় বড় (হানাফী ফিক্বাহের) কিতাব ঊমন সিরাজুল ওয়াহহাজ, মুহীত, ইখতিয়ার, মুনতাক্বা, জখীরাসহ আরো অন্যান্য কিতাব সমূহে মাকরূহ তাহরীমী হওয়ার ব্যাপারেই ফতওয়া ঊয়া হয়েছে। আর (হানাফী মাযহাবের বিখ্যাত ফক্বীহ) আল্লামা কাসিম রহমতুল্লাহি আলাইহি এর উপরই ফতওয়া দিয়েছেন।”
(ড) তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের তালিকায় ‘মাজমাউল ফতওয়া’ নামক কিতাবও রয়েছে। অথচ উক্ত কিতাবেও লাল রংয়ের কাপড় পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী লিখা হয়েছে। ঊমন-
[৪১৫-৪১৬]
وفى مجمع الفتاوى: لبس الاحمر مكروه.
অর্থঃ- ‘মাজউল্ ফাতাওয়া’ কিতাবে বর্ণিত আছেঃ পুরুষদের জন্য লাল রংয়ের ঊাশাক মাকরূহ তাহরীমী। (অনুরূপ ইলাউস্ সুনানে উল্লেখ আছে)
অনুরূপভাবে তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব প্রদত্ত তালিকার অন্যান্য কিতাবগুলোতেও পুরুষের জন্য লাল রংয়ের কাপড় মাকরূহ বা নিষিদ্ধ হওয়ার মত উল্লেখ আছে। এতে কি এটাই প্রমাণিত হয় না ঊ, তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব মূলতঃ “কিতাবের ঊফারেন্স” শিরোনামে ঢালাওভাবে কিছু কিতাবের নাম উল্লেখ করে চরম ঊাকাবাজী, জালিয়াতী ও প্রতারণা করেছে।
তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের স্ববিরোধী ও এলোমেলো বক্তব্য
তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের কথিত ফতওয়াটি ঊহেতু মনগড়া ও দলীলবিহীন এবং ঊ ঊহেতু উক্ত ফতওয়ায় মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে। তাই তার উক্ত ফতওয়ায় অনেক স্ববিরোধী ও এলোমেলো বক্তব্য পরিলক্ষিত হয়। (১)
ঊমন ঊ তার কথিত ফতওয়ার ৪ পঊায় ‘বযলুল মাজহুদের’ বরাতে লিখেছে,
فيحمل على القيد بالمعصفر لان ماصبغ بالحمرة غير المعصفر فلاباس به.
অর্থঃ ... তবে অত্র احمران দ্বারা উছফুর দ্বারা রঞ্জিতই উঊশ্য। ঊননা উছফুর ব্যতীত অন্য লাল দ্বারা রঞ্জিত কাপড় পরিধান করতে ঊান আপত্তি ঊই।” অর্থাৎ তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব উক্ত ইবারত দ্বারা এটাই প্রমাণ করতে ঊয়েছে ঊু মাত্র উছফুর দ্বারা রঞ্জিত লাল কাপড়ই পুরুষের জন্য হারাম বা নিষিদ্ধ।
অথচ একই ফতওয়ার ১০ পঊায় তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব শামী, কিতাবের বরাতে লিখেছে,
ففى جامع الفتاوى قال ابو حنيفة والشا فعى ومالك يجوز لبس المعصفر.
‘জামিউল ফতওয়া’ কিতাবে বলা হয়েছে, আবূ হানীফা, মালিক, শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, উছফুর দ্বারা রঙ্গানো কাপড় পরা পুরুষের জন্য জায়িয। এটা সিলেট খারেজী মাদ্রাসার তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের স্ববিরোধী বক্তব্য নয় কি?
(২)
সিলেট খারেজী মাদরাসার তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব তার অজ্ঞতাসূচক ফতওয়ার ৯ পঊায় দুররুল মুখতারের বরাতে লিখেছে “উছফুর ও জাফরান দ্বারা রঙ্গানো লাল ... কাপড় পুরুষেদের জন্য নিষিদ্ধ, মাকরূহ তাহরীমী।
অর্থাৎএখানে ঊ স্বীকার করেছে ঊ, ঊু উছফুর নয় জাফরান দ্বারা রঙ্গানো লাল কাপড়ও মাকরূহ তাহরীমী।
অথচ তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব তার কথিত ফতওয়ার ১৯ পঊায় গিয়ে “আলোচনার সার সংঊপ” শিরোনামে লিখলো “ গ. উছফুর ব্যতীত অন্য রং দ্বারা রঙ্গানো নিরেট লাল কাপড় পুরুষদের জন্য মাকরূহ তানযিহী।”
অর্থাৎ তার এ বক্তব্য প্রমাণ করে ঊ, ঊু মাত্র উছফুর দ্বারা রঙ্গানো লাল কাপড়ই মাকরূহ তাহরীমী জাফরান দ্বারা রঙ্গানো লাল কাপড় মাকরূহ তাহরীমী নয়।
তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের এরূপ স্ববিরোধী, পরস্পর বিরোধী ও এলোমেলো বক্তব্যের ঊতু কি? মুলতঃ ঊতু আর কিছুই নয়। ঊহেতু ঊ মনগড়া ও দলীলবিহীন ভাবে কিতাবের বক্তব্যের অপব্যাখ্যা করে লাল কাপড়কে জায়িয করার হীন অপচেষ্টা চালিয়েছে তাই তার বক্তব্যগুলো তার অজাুÍই স্ববিরোধী, পরস্পর বিরোধী ও এলোমেলো হয়েছে। আর তার এই স্ববিরোধী, পরস্পর বিরোধী ও এলোমেলো বক্তব্যগুলোই প্রমাণ করে ঊ, ঊ কথিত ফতওয়ায় চরম ও নির্লজ্বভাবে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে।
লাল রং নিষিদ্ধ হওয়া সম্পর্কিত ইখতিলাফ সমূহের সঠিক ফায়ছালা”
লাল রং নিষিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে কিতাবে তিনটি মত পরিলক্ষিত হয়। যথা- ১. হারাম, ২. মাকরূহ তাহরীমী ও ৩. মাকরূহ তানযীহী।
মুলতঃ ঊ কাপড়টি সম্পূর্ণ বা অধিকাংশ লাল ঊউ ঊউ বলেন তা হারাম। আবার ঊউ ঊউ বলেন, মাকরূহ তাহরীমী। ঊমন এ প্রসঊ‘আবূ দাঊদ শরীফ’-এর ২য় জিঃ ২০৮ পঊার ২নং হাশিয়ায় উল্লেখ আছে,
[৪১৭-৪১৮]
وقال على الفلاى فى المر قاة فهذا اى قوله صلى الله عليه وسلم فلم يرد عليه دليل صريح على تحريم لبس الثوب الا حمر للرجال
অর্থঃ হযরত আল্লামা মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর লিখা মিশকাত শরীফের শরাহ ‘মিরক্বাত শরীফে’ বলেছেন, “হুযূর পাক ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বাণীঃ তিনি লাল ঊাশাক পরিহিত ব্যক্তির সালামের জাওয়াব ঊননি।” এই হাদীছ শরীফখানা এই মাসয়ালার স্পষ্ট নির্ভরযোগ্য দলীল। মাসয়ালা হচ্ছে, পুরুষদের জন্য লাল কাপড় পরিধান করা হারাম।
‘শামায়িলুত্ তিরমিযী’ শরীফের শরাহ ‘আল্ মাওয়াহিবুল্ লাদুন্নিয়া’-এর ৭২ পঊায় উল্লেখ আছে,
[৪১৯-৪২১]
فا لاحمر البحت منهى عنه اشد النهى.
অর্থঃ পরিপূর্ণ লাল রংয়ের ঊাশাক নিষেধ তথা হারাম। এমনকি শক্ত হারাম। (অনুরূপ জামউল ওয়াসায়িল, শরহুল মানাবী মিছরী কিতাবে বর্ণিত রয়েছে) অর্থাৎ উল্লিখিত বর্ণনাসমূহ দ্বারা প্রমাণিত হয় ঊ পুরুষের জন্য পূর্ণ লাল রংয়ের ঊাষাক পরিধান করা হারাম।
আর ‘তুহফাতুল আহওয়াযী’ ৮ম জিঃ ৯১ পঊায় উল্লেখ আছে,
[৪২২-৪২৩]
احتج بهذا الحديث القا نلون بكراهة لبس الاحمر.
অর্থঃ- এই হাদীছ শরীফকে ভিত্তি করে উলামায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ ফতওয়া দিয়েছেন ঊ, লাল কাপড় পরিধান করা মাকরূহে তাহরীমী। (অনুরূপ ‘নাইলুল আওতার’-এ আছে)
‘ফতহুল্ মুলহিম লিত্তক্বী উছমানী’ ৪র্থ জিঃ ৫৫৩, ৫৫৪ পঊায় উল্লেখ আছে,
[৪২৪-৪২৫]
والمشهور عند الحنفية انهم يكرهون لبس الاحمر الخالص للر جال. وذلك لمالخرجه ابو داؤد والتر مذى وحسنه.
অর্থঃ মাশহুর মতে, হানাফীগণের নিকট পুরুষদের জন্য খালিছ লাল রংয়ের ঊাশাক মাকরূহ তাহরীমী। ঊমনটি হাসান সনদে “আবূ দাঊদ শরীফ ও তিরমিযী শরীফে” বর্ণিত আছে। (অনুরূপ আউনুল মা’বুদ কিতাবেও বর্ণিত আছে) অর্থাৎ উপরোক্ত বর্ণনা দ্বারা লাল কাপড় মাকরূহ তাহরীমী প্রমাণিত হয়।
অতএব, উপরোক্ত বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত হলো ঊ, খালিছ বা সম্পূর্ণ লাল বা অধিকাংশ লাল রংয়ের কাপড় পুরুষদের জন্য পরিধান করা হারাম ও মাকরূহ তাহরীমী। ঊহেতু উছুল রয়েছে (যা উক্ত ফতওয়ায় উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু তথাকথিত মুফতী (!) তার কথিত ফতওয়ায় ঊ ব্যাপারে ঊানও কথাই বলে নাই।) উছুলটি হলো- الاكثر حكم الكل অৈর্থাৎ অধিকাংশটা সম্পূর্ণরই হুকুম রাখে।
আর ঊ লাল কাপড়টি সম্পূর্ণ বা অধিকাংশ লাল নয়। বরং হালকা বা কম লাল তা পরিধান করা হারাম বা মাকরূহ তাহরীমী নয় বরং মাকরূহ তানযীহী। ঊমন এ প্রসঊ ‘ফতহুল বারী’ ১০ জিঃ ৩০৬ পঊায় উল্লেখ আছে,
[৪২৬-৪২৮]
يكره ليس الثوب المشبع بالحمرة دون ماكان صلبغه خفيفا،
অর্থঃ পরিপূর্ণ লাল ঊাশাক পুরুষদের জন্য পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী। কিন্তু যদি হালকা লাল রংয়ের ঊাশাক হয় তাহলে মাকরূহ তাহরীমী নয়। অর্থাৎ তা মাকরূহ তানযীহী। (অনুরূপ উমদাতুল ক্বারী, আউনুল মা’বুদ কিতাবে বর্ণিত আছে)
উপরোক্ত দলীলভিত্তিক আলোচনা দ্বারা অকাট্যভাবেই প্রমাণিত হলো ঊ, সম্পূর্ণ লাল বা অধিকাংশ লাল রংয়ের কাপড় পরিধান করা পুরুষদের জন্য হারাম ও মাকরূহ তাহরীমী। আর হালকা বা কম লাল রংয়ের কাপড় পরিধান করা মাকরূহ তানযীহী। লাল রং নিষিদ্ধ হওয়া সম্পর্কিত ইখতিলাফ বা মত সমূহের এটাই সঠিক ও গ্রহণযোগ্য ফায়ছালা। এর বিপরীত মত ঊশ করা জিহালত ও ঊামরাহী ঊ কিছুই নয়।
তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব হানাফী দাবিদার হয়ে শাফিয়ী মাযহাব মুতাবিক ফতওয়া দিয়ে চরম জিহালতী ও গোমরাহীর পরিচয় দিয়েছে
উপরোক্ত দলীল ভিত্তিক ও খণ্ডনমূলক আলোচনা দ্বারা সুস্পষ্ট ো অকাট্যভাবেই প্রমাণিত হলো যে, আমাদের হানাফী মাযহাব মুতাবিক পুরুষের জন্য সর্বপ্রকার লাল রংয়ের পোষাক পরিধান করা হারাম ও মাকরূহ তাহরীমী্ আর শাফিয় ো মালেকী মাযহাবে সর্বপ্রকার লাল কাপড় পরিধান করা জায়িয। কাজেই তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব হানাফী মাযহাবের দাবীদার হয়ে শাফিয়ী ো মালেকী মাযহাব মুতাবিক ফতওয়া দিয়ে চরম জিহালতী ো গোমরাহীর পরিচয় দিয়েছে। কেননা হানাফী মাযহাবের অনুসারীদের জন্য শাফিয়ী বা অন্যান্য মাযহাবের অনুসরণ করা সম্পূর্ণরূপে হারাম ো গোমরাহীর নামান্তর।
মাযহাব সম্পর্কে উলামায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের চূড়ান্ত ফতোয়া হচ্ছে, আলিম, মুফতী, মুহাদ্দিছ, আল্লামা ো সর্বসাধারণ সকলের জন্য যেকোন একটি মাযহাব গ্রহণ করা ফরয়য আইন। আর এক মাযহাবের অনুসারী অন্য মাযহাবের ইখতিলাফী মাসয়ালা অনুযায়ী আমল করারো হারাম। কারণ এতে শরীয়তের বিধানের প্রতি ইনকার ো ইহানত অর্থাৎ অস্বীকার ো তুচ্ছ-তাচ্ছিল করা হয়। নিম্নে মাযহাবের আবশ্যকতা ো যে কোন একটি মাযহাব অনুযায়ী আমল করার প্রতি গুরুত্বারোপের দলীল ভিত্তিক আলোচনা করা হল।
"তাফসীরে আহমদিয়া"-এর ৩৪৩/৩৪৪ পৃষ্টায় উল্লেখ আছে,
[৪২৯]
فيكون كل من المذاهب الاربعة حقا بهذا المعنى فالمقلد اذا قلد اى مجتهد يخرج عن الو جوب ولكن ينبغى ان يقلد احدا التز امه ولايؤل الى اخر.
অর্থঃ- "যখন চার মাযহাবের প্রত্যেকটিই হক্ব হিসেবে সাব্যস্ত হলো, তাই এ অর্থে মুকাল্লিদের জন্য যে কোন একটি মাযহাবের ইমামকে অনুসরণ করাো োয়াজিব। অতএব, যে ব্যক্তি কোন এক মাযহাবের ইমামকে অনুসরণ করবে সে শুধু সেটাই আঁকড়িয়ে ধরে থাকবে। অন্য কোন মাযহাবের অনুসরণ করবে না।"
এ প্রসঙ্গে "তাফসীরে আহমদিয়া" কিতাবের ৩৪৪ পৃষ্ঠায় আরো উল্লেখ আছে যে,
[৪৩০]
واما الثانى وهو انه اذا التزم الطبعية يجب عليه ان يد وم على مذ هب التزامه ولا ينتقل الى مذ هب اخر.
অর্থঃ- "দ্বিতীয়তঃ কোনো মাযহাবকে প্রকৃতভাবে গ্রহণ করলে দায়িমীভাবে সে মাযহাবেরই অনুসরণ করা ওয়াজিব। তাই এক মাযহাব পরিবর্তন করে অন্য মাযহাব গ্রহণ করা যাবেনা তথা হারাম।
"কিমিয়ায়ে সায়াদাত"-এর ২৩৫ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে,
[৪৩১]
گومخالف صاحب مذ ھب خودکردن نزد ھیچ کس روانبود.
অর্থঃ- "নিজ মাযহাবের ইমামের খিলাফ করা কারো জন্যেই জায়িয নেই।
"কিমিয়ায়ে সায়াদাত"-এর ২৩৫ পৃষ্ঠায় আরো উল্লেখ আছে,
[৪৩২]
بخلاف اجتھاد صاحب مذھب خود کارے کند اوعاصی است پسر بحقیقت حراماست.
অর্থঃ- "নিজ ইমামের ইজতিহাদের খিলাফ কোন কাজ করলে সে ব্যক্তি গুনাহগার হবে এবঙ প্রকৃতপক্ষে তা করা হারাম হবে।"
"ইকদুলজিদ"-এর ১ম খণ্ডের ৮৯ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে,
[৪৩৩]
المرجح عند الفقهاء ان العامى المنسب له مذ هب لا يجوز مخالفته.
অর্থঃ- "ফক্বীহগণের নিকট প্রাধান্যপ্রাপ্ত মত এই যে, কোন মাযহাব পন্থী সাধারণ ব্যক্তির জন্যে নিজ মাযহাবের খিলাফ কোন আমল করা জায়িয নেই।"
হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর "ইহইয়াউ উলুমিদ্দীন" কিতাবে উল্লেখ করেন,
[৪৩৪]
بل على المقلد اتبساع مقلده فى كل تفصيل فان مخالفة للمقلد متفق على كو نه منكرا بين المحققين.
অর্থঃ- "প্রত্যেক মুকাল্লিদের প্রতিটি বিষয়েই একই ইমামের অনুসরণ করা োয়াজিব। কেননা বিজ্ঞ সকল ইমামের এটাই মত যে, নিজ মাযহাবের খিলাফ করা নিষিদ্ধ।"
প্রসিদ্ধ "তাহরীর" নামক কিতাবে উল্লেখ আছে,
[৪৩৫]
وكذا للعامى الانتقال من مذحب الى مذهب فى زماننا لا يجوز لظهور الخيا نة.
অর্থঃ- "সর্ব সাধারণের জন্য বর্তমান যুগে এক মাযহাব ছেড়ে অন্য মাযহাবের অনুসরণ করা জায়িয নেই বরঙ হারাম। কারণ এতে দ্বীনের খিয়ানত প্রকাশ পায়।"
আল্লামা জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর "জাযীলুল মাযহাব" কিতাবে উল্লেখ করেন,
[৪৩৬]
اليوم من تحول من مذهبه فبئس ما صنع.
অর্থঃ- "বর্তমান যুগে যে ব্যক্তি নিজ মাযহাব হতে ফিরে অন্য মাযহাবের আমল করে সে অতি জঘন্য কাজ করলো।"
আল্লামা মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তার বিখ্যাত কিতাব "আল মালূমা" এ উল্লেখ করেন,
[৪৩৭]
قالوا الواجب على المقلد المطلق اتباع مجتهد فى جميع المسا ئل.
অর্থঃ-"বিজ্ঞ আলিমগণ বলেন, কোন ইমামের অনুসরণকারীর প্রতি যাবতীয় বিষয়ে শুধু তাঁরই অনুসরণ করা ওয়াজিব।"
নির্ভরযোগ্য তাফসীর গ্রন্থ "তাফসীরে আহমদিয়া"-এর ৩৪৬ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে,
[৪৩৮]
قد وقع الاجماع على ان الاتباع انما يجوز للاربع فلا يجوز الاتباع لا بى يوسف ومحمد وزفر وشمس الائمة اذا كان قولهم مخا لفا لاربع وكذا لا يجوز الاتباع.
অর্থঃ- "ইজমা সাব্যস্ত হয়েছে যে, শুধু মাত্র মাযহাবের চার ইমামের অনুসরণ করা জায়িয তাছাড়া অন্যান্য ইমামদের অনুসরণ করা হারাম। যেমন, হযরত ইমাম আবু ইউসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহ, হযরত ইমাম মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ইমাম যুফার রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ইমাম শামছুল আইম্মা রহমতুল্লাহি আলাইহি তাদেঁর ইত্তিবা বা অনুসরন করাও জায়িয নেই বরং হারাম। তাদের কথার উপরও আমল করা জায়িয হবে না। যখন তাঁরা চার ইমামের মধ্যে যে কোন ইমামের মতের খিলাফ (কোন মাযহাবের অনুসরনীয় ইমাম) মত পোষণ করে থাকেন।"
"তাফসীরে আহমদী" কিতাবের ৩৪৫ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে,
[৪৩৯]
لا يجوز الا نتقال من مذهب الى مذ هب اخر كذ لك لا يجوز ان يعمل فى مسئلة على مذهب وفى اخرى على اخر.
অর্থঃ- "এক মাযহাবের পক্ষে যেমন অন্য মাযহাবে প্রত্যাবর্তন করা নাজায়িয তথা হারাম। ঠিক তেমনিভাবে যে কোন একটি মাসয়ালায় এক মাযহাবের অনুসরণ আবার অন্য একটি মাসয়ালায় অন্য এক মাযহাবের অনুসরন করাও জায়িয নেই বরং হারাম।"
"দুররুল মুখতার" কিতাবের ১ম খণ্ডের ৬ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে,
[৪৪০]
ان حكم الملفق باطل بالا جماع.
অর্থঃ- "সর্বসম্মতিক্রমে শরীয়তে মুলফিক বাতিল তথা ভ্রষ্ট ো পরিত্যাজ্য।" (আর মুলফিক ঐ ব্যক্তিকে বলে, যে দুই মাযহাবের মাসয়ালাকে একত্র করে আমল করে।)
"দুররুল মুখতার" কিতাবে তাযিরের অধ্যায়ে আরো উল্লেখ আছে,
[৪৪১]
من ارتحل الى مذهب الشافعى يعزر.
অর্থঃ- "যে ব্যক্তি নিজ মাযহাবের আমল পরিত্যাগ করে শাফিয়ী (কিংবা অন্যান্য) মাযহাবের অনুসরণ করে সে শাস্তির উপযুক্ত।"
"তাফসীরে আহমদী" এর ৩৪৬ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে,
[৪৪২]
لا يجوز للحنفى العمل على مذ هب الشافعى رحمة الله عليه.
অর্থঃ- "হানাফীদের জন্য শাফিয়ী মাযহাবের (মাসয়ালার উপর) আমল করা নাজায়িয তথা হারাম।"
উপরোক্ত বিস্তারিত দলীল ভিত্তিক আলোচনার মাধ্যমে প্রমাণিত হল যে, এক মাযহাবের অনুসারীরা সকল বিষয়েই সেই মাযহাবের অনুসরণ করবে। কোন বিষয়ে নিজ মাযহাবকে বাদ দিয়ে অন্য মাযহাবের অনুস্বরণ করা জায়িয নেই।
লাল রংয়ের মাসয়ালাটিো এমন একটি মাসয়ালা। তথাকথিত মুফতী ছাহেব হানাফী মাযহাবের মাসয়ালা লাল রঙ হারাম বিধানকে শাফিয়ী মাযহাবের দলীল দিয়ে জাযয়য করার চেষ্টা করেছে। তাই তার এহেন কর্ম অবৈধ ো কুফরীমূলক হয়েছে। কেননা সে নিজেদের কৃত শরীয়তের খিলাফ আমলকে বৈধ প্রমাণ করার জন্য অন্য মাযহাবের মতকে হানাফী মাযহাবের উপর প্রাধান্য দিয়েছে। আর হানাফী মাযহাবের অনুসারীদেরকে মাযহাব বিরোধী আমলে উদ্ভুদ্ধ করেছে।
পরিশিষ্ট
সিলেট খারেজী মাদরাসার তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব এর লাল কাপড় সম্পর্কিত মনগঢ়া দলীলবিহিন ো জিহালত পূর্ণ ফতোয়ার বিস্তারিত ো দলীল ভিক্তিক খণ্ডনমূলক আলোচনা দ্বারা যে বিষয়গুলো প্রমাণিত হয়েছে তা হলো-
১. আমাদের হানাফী মাযহাবের মুখতার বা গ্রহণযোগ্য ো ফতোয়াগ্রাহ্য মতে পুরুষের জন্য সর্বপ্রকার লাল রঙয়ের কাপড় পরিধান করা হারাম ো মাকরূহ তাহরীমী্ এ ব্যাপারে হানাফদের দলীল হচ্ছে হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণিত ثوبان احمران হাদীছ শরীফ। যা আবূ দাউদ ো তিরমিযী শরীফে বর্ণিত রয়েছে।
২. শাফেয়ী মাযহাবে পুরুষের জন্য সর্বপ্রকাশ লাল রঙয়ের কাপড় পরিধান করা জায়িয। এ ব্যাপারে শাফেয়ীদের দলীল হচ্ছে, হযরত বারা ইবনে আযিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণিত حلة حمراء হাদীছ শরীফ। যা বুখারী শরীফে বর্ণিত রয়েছে।
৩. হানাফীগণ যেহেতু লাল কাপড় হারাম বা নিষিদ্ধ হোয়ার পক্ষে তাই হানাফীগণ বুখারী শরীফে বর্ণিত হযরত বারা ইবনে আযিব রদ্বিয়াল্লাহ তায়ালা আনহু বর্ণিত حلة حمراء হাদীছ শরীফকে তা'বীলী বা ব্যাখ্যামূলক অর্থে তথা সোনালী বা গন্ধম রং অর্থে গ্রহণ করেছেন। লাল অর্থে নয়।
৪. কেননা লুগাতী বা আভিধানিক তাহক্বীক্ব বা বিশ্লেষণ দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, احمر 'আহমার' শব্দটি সোনালী ো গন্ধমসহ আরো অনেক অর্থে ব্যবহৃত য়। আর সোনালী বা গন্ধম রঙ জায়িয হোয়ার ব্যাপারে কারো কোন দ্বিমত নেই।
৫. লাল রঙ হারাম হোয়া সম্পর্কিত সমস্ত হাদীছ শরীফগুলোই ছহীহ হাসান ো মারফু। এগুলোকে ঢালাোভাবে যঈফ ো জাল বলা জিহালত ো গোমরাহী বৈ কিছুই নয়।
৬. ফিক্বাহের কিতাবসমূহে লাল রঙ সম্পর্কে বিভিন্ন মত উল্লেখ আছে। তবে মুখতার বা ফতওয়াগ্রাহ্য মত হলো, পুরুষের জন্য সর্বপ্রকার লাল রং হারাম ো নিষিদ্ধ। যা ফতওয়ায়ে শামী, আশয়াতুল লুময়াত ও আবূ দাউদের বর্ণনা দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
৭. পূর্বে প্রদত্ত ফতোয়ায় "দলীল সমূহ" শিরোনামে যেসকল কিতাব সমূহের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তা দলীল হিসেবে সঠিকই রয়েছে। তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব অজ্ঞতার কারণে এগুলোর সমালোচনা করেছে।
৮. তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব নিজের বাতিল মতকে ছাবেত করতে গিয়ে "কিতাবের রেফারেন্স" শিরোনামে যেসকল কিতাবের নাম উল্লেখ করেছেন। সেকলক কিতাবেই লাল রং হারাম ো মাকরূহ হোয়ার বর্ণনা উল্লেখ আছে।
৯. তথাকথিত মুফতী ছাহেব নিজের বাতিল মতকে ছাবেত করার ব্যর্থ চেষ্টা করতে গিয়ে কোন কোন কিতাবের ইবারতের ভুল ো মনগড়া অর্থ ো ব্যাখ্যা করেছে। আবার কোন কোন ইবারত কারচুপি ো কাট-সাট করেছে। যা তার প্রতারণা ো গোমরাহীর আলামত।
১০. পূর্ণ বা অধিকাঙশ লাল রঙয়ের পোষাক পরিধান করা হারাম ো মাকরূহ তাহরীমী। আর হালকা বা কম লাল হলে মাকরূহ তানযীহী। নির্ভরযোগ্য কিতাবের বর্ণনা দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয়।
১১. লাল রংয়ের সাথে অন্য রং মিশ্রিত থাকলে তা জায়িয" একথা সম্পূর্ণই ভুল ো মনগড়া। নির্ভরযোগ্য কোন কিতাবেই এটা উল্লেখ নেই।
১২. হানাফী মাযহাবের অনুসারীদের জন্য শাফেয়ী মাযহাব অনুযায়ী ফতওয়া দেয়া বা আমল করা সম্পূর্ণরূপেই হারাম। তথাকথিত মুফতী (!) হানাফী দাবীদার হয়ে শাফেয়ী মাযহাবের অনুসরণ করে চরম জিহাতী ও গোমরাহীর পরিচয় দিয়েছে।
১৩. তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব বিনা দলীলে, মনগড়াভাবে কেত্বয়ী দলীল দ্বারা হারাম প্রমাণিত লাল কাপড় জায়িয প্রমাণ করার অপচেষ্টা করে কাট্টা-কুফরী করেছে। কেননা আক্বায়িদের কিতাবে উল্লেখ আছে,
استحلال المعصية كفر.
অর্থঃ- "গুনাহ বা হারাম কাজকে হালাল বা জায়িয করার চেষ্টা করাও কুফরী।" (শরহুল আক্বায়িদিন নাসাফিয়্যহ)
আর যে কুফরী করে সে মুরতাদ হয়ে যায়, তার জিন্দেগীর সমস্ত নেক আমল বরবাদ হয়ে যায়, হজ্জ করে থাকলে হজ্জ বাতিল হয়ে যায়, বিবাহ করে থাকলে বিবাহ বাতিল হয়ে যায়, তোবা না করা পর্যন্ত তার পিছনের নামায পড়া অথবা তার জানাযা পড়া হারাম। ইসলামী খিলাফত থাকলে তাকে তোবা করার জন্য তিন দিন সময় দেয়া হতো, তিন দিনের মধ্যে তওবা না করলে তার একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।
আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে ছহীহ সমঝ দান করুন ও প্রদত্ত ফতওয়া মুতাবিক আমল করে আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি োয়া সাল্লাম-এর খাছ রেযামন্দি হাছিল করার তাওফীক দান করুন। (আমীন)
প্রকাশ্য বাহাছের চ্যালেঞ্জ
রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী ইসলামের সকল বিষয়েই আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত তথা কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস সম্মত আক্বীদা পোষণ করেন এবঙ আমল করে থাকেন। যারা রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায় এবং তাঁর আক্বীদা-আমল সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলে থাকে তাদের প্রতি-
রাজারবাগ শরীফ-এর তরফ থেকে শর্ত সাপেক্ষে প্রকাশ্য বাহাছ ও চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করা হচ্ছে
প্রাথমিক শর্তসমূহঃ (১) বাহাছ প্রকাশ্য ও সুবিধাজনক স্থানে ব্যাপক প্রচার-প্রসার করে নির্দিষ্ট সময়ে হতে হবে। (২) বাহাছের দু' মাস পূর্বে চুক্তিনামায় আবদ্ধ হতে হবে। (৩) নিরপেক্ষ লোকের তত্ত্বাবধানে বাহাছ অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখতে হবে। (৪) বাহাছের মানদণ্ড হবে কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস। (৫) বিরোধীপক্ষের আক্বীদা ও আমলের দলীলও পেশ করতে হবে। (৬) বাহাছের বিষয়সমূহের ব্যাপারে বাহাছের পনের দিন পূর্বে প্রত্যেককেই তার বিপরীতপক্ষের কাছে দলীল ভিত্তিক লিখিত ফায়ছালা পেশ করতে হবে এবঙ যারা বাহাছে অঙশগ্রহণ করবে তারা স্বয়ং নিজ হাতে তাতে স্বাক্ষর করবে। (৭) বাহাছের অন্যান্য শর্তসমূহ উভয়পক্ষের আলোচনা সাপেক্ষে নির্ধারিত হবে।
উল্লেখ্য, রাজারবাগ শরীফের বিরোধীরা অপপ্রচার করে থাকে যে, "রাজারবাগপন্থীদের বাহাছের জন্য আহবান করা হয়, কিন্তু তারা সাড়া দেয় না।" তাদের এ কথাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ো ভিত্তিহীন। বরং রাজারবাগ শরীফ-এর পক্ষ থেকেই মাহফিলসমূহে প্রকাশে এবঙ পত্রিকার অনেক সঙখাতেই তাদেরকে বাহাছের আহবান জানানো হয়েছে ো হচ্ছে। অথচ তারাই সে আহবানে সাড়া দেয়নি ও দিচ্ছে না। সাড়া দিবে বলেো আমরা মনে করিনা। কারণ বাতিল ও নাহক্ব পন্থীদের লম্ফ-ঝম্ফ কেবল নির্ধারিত বৃতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে হক্বপন্থীদের সামনে আসতে তাদের চিরকালের ভয়। আর এটাই স্বাভাবিক। (সমাপ্ত)
0 Comments:
Post a Comment