“হানাফী মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের ঊাশাক তথা রুমাল, পাগড়ী, ঊার্তা, লুঙ্গি, চাদর ইত্যাদি পরিধান বা ব্যবহার করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” ঊঊকরতে পারায় মহান আল্লাহ পাক-এর দরবারে অসংখ্য ঊরিয়া।
হানাফী মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের ঊাশাক তথা রুমাল, পাগড়ী, ঊার্তা, লুঙ্গি, চাদর ইত্যাদি পরিধান বা ব্যবহার করা হারাম ও তার
সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া ঊয়ার উঊশ্য
সুন্নতের পথিকঊ, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, দ্বীন ইসলামের নির্ভীক ঊনিক, সারা জাহান ঊকে কুফরী, শিরকী ও বিদ্য়াতের মূলোৎপাটনকারী, বাতিলের আতঙ্ক এবং আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদায় বিশ্বাসী একমাত্র দলীলভিত্তিক তাজদীদী মুখপত্র- “মাসিক আল বাইয়্যিনাত” পত্রিকায় এ যাবৎ যত ঊখা বা ফতওয়াই প্রকাশ বা পত্র¯ঊহয়েছে এবং ইনশাআল্লাহ হবে তার প্রতিটিরই উঊশ্য বা মাকছূদ খালিছ হক্ব মত-পথ তালাশ করা বা ছহীহ ও সুন্নতী আমলের মাধ্যমে আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ঊজামন্দি বা সন্তুিঊহাছিল করা। অর্থাৎ “মাসিক আল বাইয়্যিনাতে” এমন সব ঊখাই পত্র¯ঊ হয়, যা মানুষের ছহীহ আক্বীদা লাভ ও আমলসমূহ পরিঊ করণে বিশেষ সহায়ক।
প্রসঙ্গতঃ ‘মাসিক আল বাইয়্যিনাতে’ “হানাফী মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের ঊাশাক তথা রুমাল, পাগড়ী, ঊার্তা, লুঙ্গি, চাদর ইত্যাদি পরিধান বা ব্যবহার করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” ঊয়ার মাকছুদ এবং উঊশ্যও ঠিক তাই।
স্মর্তব্য ঊ, মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কালামে পাকে ‘সূরা মায়িদা’র’ ৮২নং আয়াত শরীফে ইরশাদ করেন,
لتجدن اشد الناس عد اوة للذ ين امنوا اليهود والذ ين اشر كوا.
অর্থঃ-“ঊামরা ঊামাদের সবচেয়ে বড় শত্রঊহিসেবে পাবে ইহুদীদেরকে। অতঃপর যারা মুশরিক তাদেরকে।”
মূলতঃ এই ইহুদীরাই মুনাফিক ঊজে আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লামকে কঊদিয়েছিল, তাঁকে শহীদ করার চক্রান্ত করেছিল। এই ইহুদীরাই মুনাফিকী করে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাঊতায়ালা আনহুমগণের পরস্পরের মাঝে দ্বন্দ্ব সৃিঊকরার অপপ্রয়াস চালিয়েছিল। আর মূলতঃ এই ইহুদীরাই মুসলমানের ঈমান-আমল বিনঊকরে দ্বীন ইসলামে ফিৎনা সৃিঊকরার লঊ্য বিভিনঊবাতিল ফিরকার জন্ম দিয়েছে। অর্থাৎ শিয়া, খারিজী, মু’তাযিলা, জাবারিয়া, ক্বদরিয়া, বাহাই, কাদিয়ানী, ঊওবন্দী, মওদুদী, লা-মাযহাবী, তাবলীগী, ওহাবী ইত্যাদি বাতিল ফিরকাগুলো মূলতঃ ইহুদীদেরই এজেন্ট।
বিশেষতঃ বর্তমানে ইহুদীদের এজেন্ট হিসেবে মুসলমানদের ঈমান আমলের সবচেয়ে ঊশী ক্ষতি করছে যারা, তারা হলো- ‘ওহাবী সম্প্রদায়’।
উল্লেখ্য, ইহুদীদের এজেন্ট ওহাবী মতাবলম্বী উলামায়ে ‘ছূ’রা হারাম টিভি চ্যানেল, পত্র-পত্রিকা, কিতাবাদি ও বক্তব্য বা বিবৃতির মাধ্যমে একের পর এক হারামকে হালাল, হালালকে হারাম, জায়িযকে নাজায়িয, নাজায়িযকে জায়িয বলে প্রচার করছে।
ঊমন, তারা প্রচার করছে- ফরয নামাযের পর মুনাজাত করা বিদয়াত ও হারাম। নিয়ত করে রওযা শরীফ ও মাযার শরীফ যিয়ারত করা শিরক। কদমবুছী করা নাজায়িয ও শিরক।
মাযহাব মানার ঊান প্রয়োজন ঊই। পীর-মুরীদী শরীয়ত বিরোধী প্রথা। মীলাদ ক্বিয়াম করা র্শিক-বিদ্য়াত। শবে বরাত পালন করা বিদ্য়াত। তারাবীহ নামায জরুরী ঊান নামায নয়, আট রাকায়াত তারাবীহ পড়লেই চলে ইত্যাদি ইত্যাদি। (নাঊযুবিল্লাহ)
অথচ উল্লিখিত প্রতিটি বিষয়ই কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ সমর্থিত তথা শরীয়তসম্মত এবং তন্মধ্যে ঊানটা সুন্নত আবার ঊানটা ফরয।
পক্ষান্তরে উলামায়ে ‘ছূ’ তথা দুনিয়াদার মাওলানারা ছবি, ঊলিভিশন, সিনেমা, নাটক, ঊাবেল, হরতাল, ঊপর্দা হওয়া, নারী ঊতঊ¡ মানা, ঊাট ঊয়া, ঊাযা অবস্থায় ইনজেকশন ঊয়া, মহিলাদের জামায়াতের জন্যে মসজিদে যাওয়া, মহিলাদের বাইরে ঊর হওয়ার সময় হাত ও মুখ ঊালা রাখা, হরতাল করা, লংমার্চ করা, গণতন্ত্র করা, ব্লাসফেমী আইন চাওয়া, ঊৗলবাদী দাবী করা, কুশপুত্তলিকা দাহ করা, টিভি চ্যানেলে ঊ্রাগ্রাম বা অনুষ্ঠান করা ইত্যাদি নাজায়িয কাজগুলোকে জায়িয বলে প্রচার করছে। (নাঊযুবিল্লাহ)
অর্থাৎ তাদের উঊশ্য হচ্ছে, মুসলমানদেরকে ইসলাম ঊকে সরিয়ে, ইবাদত ঊকে সরিয়ে অনৈসলামিক ও হারাম কাজে মশগুল করে দিয়ে ঊঈমান করে ঊয়া।
মূলতঃ যুগে যুগে দুনিয়া ঊাভী উলামায়ে ‘ছূ’রা দুনিয়াবী ফায়দা লুটার উঊশ্যে হারামকে হালাল ও হালালকে হারাম ফতওয়া দিয়ে আসছে। ঊমন, ক্বাইয়্যূমে আউয়াল হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর যামানায় উলামায়ে ‘ছূ’ আবুল ফযল, ঊজী ও ঊাল্লা মুবারক নাগোরী গংরা বাদশা আকবরকে সন্তুঊকরে দুনিয়াবী কিছু ফায়দা লাভের উঊশ্যে কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফের মনগড়া অপব্যাখ্যা করে বঊহারামকে হালাল ও হালালকে হারাম ফতওয়া দিয়েছিল।
বর্তমান যামানার উলামায়ে ‘ছূ’ তথাকথিত পীর, আমীর, খতীব, শাইখুল হাদীছ, মুফতী, মুফাস্সিরে কুরআন ও তার অনুসারী গংরা ঊন আবুল ফযল গংদেরই পূর্ণ মিছদাক তথা উদাহরণ।
দুনিয়াবী ফায়দা লাভের উঊশ্যে এবং খানিকটা পদ লাভের প্রত্যাশায় তারা নাজায়িয ও হারাম কাজগুলো নির্দ্বিধায় করে যাচ্ছে। সাথে সাথে নাজায়িয ও হারাম কাজগুলোকে হালাল বলে ফতওয়া দিচ্ছে। বস্তুতঃ এরাই হচ্ছে হাদীছ শরীফে বর্ণিত দাজ্জালের ঊলা।
উল্লেখ্য, ইহুদীদের এজেন্ট, ওহাবী মতাবলম্বী দাজ্জালে কায্যাব তথা উলামায়ে ‘ছূ’রা উল্লিখিত বিষয়গুলোর ন্যায় ‘লাল রংয়ের ঊাশাক বা রুমাল’ সম্পর্কেও সমাজে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
তারা বিভিনঊপত্র-পত্রিকা, কিতাবাদী ও বক্তব্যের মাধ্যমে প্রচার করে ঊড়াচ্ছে ঊ, ‘পুরুষের জন্য লাল রংয়ের ঊাশাক পরিধান বা ব্যবহার করা জায়িয।’ (নাউযুবিল্লাহ)
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সিলেট কাসেমুল উলূম ওহাবী মাদ্রাসার ওহাবী ঊৗলভী দ্বারা লিখিত একটি ফতওয়া কিছুদিন পূর্বে আমাদের গবেষণা ঊন্দ্র মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফে ঊৗঁছেছে। ওহাবীরা উক্ত ফতওয়ায় মনগড়া দলীলের ভিত্তিতে, কিতাবের ইবারত কারচুপি, কাটছাট ও অপব্যাখ্যা করে এবং শাফিয়ী মাযহাবের মতগুলোকে দলীল হিসেবে উল্লেখ করে লাল রংয়ের ঊাশাককে পুরুষের জন্য জায়িয করার অপচেষ্টা করেছে।
অথচ অসংখ্য, নির্ভরযোগ্য ও অকাট্য দলীলের দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত ঊ, হানাফী মাযহাবের মুখতার বা গ্রহণযোগ্য ও ফতওয়াগ্রাহ্য মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের ঊাশাক পরিধান বা ব্যবহার করা হারাম তথা নিষিদ্ধ। অর্থাৎ সম্পূর্ণটা লাল হলে হারাম, অধিকাংশ লাল হলে মাকরূহ তাহরীমী ও কম লাল হলে মাকরূহ তানযীহী। ঊমন এ প্রসঊ ‘আবূ দাঊদ শরীফ ও ছহীহ তিরমিযী শরীফে’ বর্ণিত হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর রদ্বিয়াল্লাঊতায়ালা আনঊ ঊকে বর্ণিত নিম্নোক্ত হাদীছ শরীফ উল্লেখ আছে,
عن عبد الله بن عمرو ر ضى الله عنه قال مر رجل وعليه ثو بان احمر ان فسلم على النبى صلى الله عليه وسلم فلم يرد عليه النبى صلى الله عليه وسلم السلام. هذا حديث حسن. غر يب من حذا الو جه.
অর্থঃ- “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাঊতায়ালা আনঊঊকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা লাল বর্ণের দু’টি কাপড় (ইযার ও চাদর) পরিহিত এক ব্যক্তি হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে সালাম দিল। কিন্তু হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম তার সালামের জাওয়াব ঊননি। হযরত আবূ ঈসা তিরমিযী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, এ হাদীছ শরীফখানা হাসান এবং উপরোক্ত সনদে গরীব।” (তিরমিযী শরীফ, আবূ দাউদ শরীফ, মিশকাত শরীফ, নাইলুল আওতার)
উক্ত হাদীছ শরীফের ব্যাখ্যায় ‘আবূ দাঊদ শরীফ’-এর ২য় জিঃ ২০৮ পঊার ২নং হাশিয়ায় উল্লেখ আছে,
وقال على القا رى فى المر قاة فهذا اى قو له صلى الله عليه وسلم فلم يرد عليه دليل صر يح على تحر يم لبس الثوب الا حمر للر جال.
অর্থঃ- “হযরত আল্লামা মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর ঊখা মিশকাত শরীফের শরাহ ‘মিরক্বাত শরীফে’ বলেছেন, “হুযূর পাক ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বাণীঃ তিনি লাল ঊাশাক পরিহিত ব্যক্তির সালামের জাওয়াব ঊননি।” এই হাদীছ শরীফখানা পুরুষদের জন্য লাল কাপড় পরিধান করা হারাম হওয়ার স্পষ্ট নির্ভরযোগ্য দলীল।”
‘আশয়াতুল্ লুময়াত’ ৩য় জিঃ ৫৪২ পঊায় উল্লেখ আছে,
رمختار در مذھب حنفر کراھت تحر یمی ست ونماز گذاردن بان مکروہ و در ر نگ سر خ از غیر معصفر لیز خلاف ست و شیخ قا سم حنفی کہ ازاعاظم علماےمنا خر ین مصر واسناد قسطلا نی ست تحقبق نمودہ وفتوی دادہ کہ حر مت از بھت لون ست نہ صبغ پس ھر سرخ حر ام ومکر وہ با شد.
অর্থঃ- “হানাফী মাযহাবের মুখতার তথা গ্রহণযোগ্য মতে লাল কাপড় পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী। নামাযেও পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী। লাল রং উছফুর মিশানোর শর্ত ছাড়াই হারাম। ইহা তাহক্বীক্ব করে ফয়সালা দিয়েছেন আল্লামা শাইখ ক্বাসিম হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি। যিনি উলামায়ে মুতায়াখ্খিরীনগণের মধ্যে মিশর এলাকার একজন উচ্চ দরজার আলিম ছিলেন এবং হযরত কুস্তালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর উস্তায ছিলেন। তিনি তাহক্বীক্ব করে ফতওয়া দিয়েছেন ঊ, লাল কাপড় পুরুষের জন্য নিষিদ্ধ, তা লাল রংয়ের কারণেই উছফুর মিশানোর কারণে নয়। সুতরাং প্রত্যেক লাল রংই হারাম ও মাকরূহ তাহরীমীর অন্তর্ভূক্ত।”
পক্ষান্তরে শাফিয়ী বা অন্যান্য মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের ঊাশাক পরিধান করা জায়িয।
ঊমন এ প্রসঊ ‘ফতহুল্ মুলহিম লিত্তক্বী উছমানী’ ৪র্থ জিঃ ৫৫৩, ৫৫৪ পঊায় উল্লেখ আছে,
وقد استدل به من ذهب الى جواز لبس الا حمر.للر جال و هو قول الشا فعية والما لكية.
অর্থঃ- حلة حمراء হাদীছ শরীফ দ্বারা দলীল ঊয়া হয় ঊ, পুরুষদের জন্য লাল ঊাশাক জায়িয। ইহা শাফিয়ী ও মালিকী মাযহাবের অভিমত। ... ... (অনুরূপ আউনুল মা’বুদ কিতাবেও বর্ণিত আছে)
কাজেই বলার অপেক্ষা রাখে না ঊ, সিলেট খারিজী মাদ্রাসার ওহাবী ঊৗলভী ও তাদের সমগোত্রীয়দের বক্তব্য হানাফীদের জন্য ঈমান-আমল বিনঊহওয়ার কারণ। অর্থাৎ তাদের উক্ত ভুল ফতওয়ার কারণে হানাফীগণ ঊরূপ ঈমানী বা আক্বীদাগত দিক ঊকে ক্ষতিগ্র¯ঊহবে তদ্রুপ আ’মালী বা আমলগত দিক ঊকেও ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
কারণ পুরুষের জন্য লাল রংয়ের ঊাশাক জায়িয এটা হানাফীদের মত নয় বরং শাফিয়ী মাযহাবের মত। আর হানাফীদের জন্য শাফিয়ী মাযহাবের অনুসরণ করা হারাম।
এ প্রসঊ “তাফসীরে আহমদী”এর ৩৪৬ পঊায় উল্লেখ আছে,
لايجوز للحنفى العمل على مذ هب الشا فعى رحمة الله عليه.
অর্থঃ- “হানাফীদের জন্য শাফিয়ী মাযহাবের (ইখতিলাফী মাসয়ালার উপর) আমল করা নাজায়িয তথা হারাম।”
আর ঊহেতু হানাফী মাযহাব মতে লাল রংয়ের ঊাশাক পরিধান করা পুরুষের জন্য হারাম। তাই এখন যারা তা পরিধান করবে তারা দায়িমীভাবেই হারাম কাজে লিপ্ত থাকবে। অর্থাৎ তারা হারাম কাজ করার গুণাহে গুণাহ্গার হবে। সাথে সাথে ‘সাদা রংয়ের রুমাল ব্যবহার করা খাছ সুন্নত” এ মহান সুন্নতের আমল ঊকে সম্পূর্ণ মাহরূম হয়ে যাবে। অথচ সুন্নতের ইত্তিবাই হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর খাছ ঊযামন্দী বা সন্তুিঊলাভের একমাত্র মাধ্যম।
অতএব, যারা লাল রংয়ের ঊাশাক বা রুমাল সম্পর্কে ভুল, মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর ফতওয়া দিয়ে মুসলমানদের ঈমান-আমল ধ্বংস করছে তাদের ঊই ঈমান-আমল বিধ্বংসী ফতওয়া ঊকে সাধারন মুসলমানদের ঈমান-আমল হিফাজতের লঊ ও লাল রুমাল সম্পর্কিত সঠিক ও দলীলভিত্তিক ফায়ছালা তুলে ধরার উঊশ্যেই মাসিক আল বাইয়্যিনাতে “হানাফী মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের ঊাশাক তথা রুমাল, পাগড়ী, ঊার্তা, লুঙ্গি, চাদর ইত্যাদি পরিধান বা ব্যবহার করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” ঊয়া হলো।
যাতে করে ঊাশাক বা রুমাল সম্পর্কিত সঠিক ও দলীলভিত্তিক ফায়ছালা অবগত হয়ে ঊ অনুযায়ী আমল করে আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সন্তুিঊলাভ করতে পারে। সাথে সাথে যারা লাল রংয়ের ঊাশাক বা রুমাল নিয়ে বিভ্রান্তিতে রয়েছে তারা বিভ্রান্তি ঊকে ঊঁচে হক্বের উপর দায়িম-ক্বায়িম থাকতে পারে। কারণ, শরীয়তী কারণ ছাড়া
আমাদের সাথে কারো ঊরূপ বন্ধুত্ব ঊই, তদ্রুপ ঊই বিঊষ।
অর্থাৎ যাদের আক্বীদা ও আমল শরীয়তসম্মত, তাদের সাথে আমাদের ঊান প্রকার বিঊষ ঊই। আর যাদের আক্বীদা ও আমল শরীয়তের খিলাফ বা বিপরীত, তাদের সাথে আমাদের ঊান প্রকার বন্ধুত্ব ঊই। কারণ বন্ধুত্ব বা বিঊষ একমাত্র আল্লাহ্ পাক-এর জন্যেই হতে হবে। হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে
من اجب لله وابغض لله واعطى لله ومنع لله فقد استكمل الايمان
অর্থঃ- “ঊ ব্যক্তি আল্লাহ পাক-এর (সন্তুিঊলাভের) জন্যে মুহব্বত বা বন্ধুত্ব করে, বিঊষ ঊাষণ করে, আদেশ করে, নিষেধ করে, তার ঈমান পরিপূর্ণ।” (আবূ দাউদ শরীফ, তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
বস্তুতঃ মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকার প্রতিটি ঊখা, বক্তব্য, সুওয়াল-জাওয়াব, ফতওয়া, প্রতিবাদ, প্রতিবেদন, মতামত ইত্যাদি সবই উপরোক্ত হাদীছ শরীফের মূলনীতির ভিত্তিতেই প্রকাশিত হয়ে থাকে।
কাজেই “মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায়” “হানাফী মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের ঊাশাক তথা রুমাল, পাগড়ী, ঊার্তা, লুঙ্গি, চাদর ইত্যাদি পরিধান বা ব্যবহার করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্র্কে” সঠিক, বিঊ ও শরীয়তসম্মত ফায়ছালা প্রদান করার মুল মাকছুদ হলো- সত্যাু^ষী বা হক্ব তালাশী সমঝদার মুসলমানগণের নিকট সত্য বা হক্ব বিষয়টি ফুটিয়ে ঊালা। ঊন প্রত্যেকেই “হানাফী মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের ঊাশাক তথা রুমাল, পাগড়ী, ঊার্তা, লুঙ্গি, চাদর ইত্যাদি পরিধান বা ব্যবহার করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কের্” অবগত হতে পারে এবং সুন্নত ঊাতাবেক আমল করে ইহ্লৌকিক ও পরলৌকিক ইত্মিনান ও নাযাত লাভ করতে পারে।
অতএব, ঊ লঊ্যই মাসিক আল বাইয়্যিনাতে বর্তমান সংখ্যা ঊকে ধারাবাহিকভাবে মাসিক আল বাইয়্যিনাতের নিয়মিত পাঠক সুনামগঊর বিশিঊআলিমে দ্বীন, মুফতী মুহম্মদ মাহমূদ বিন হাসান ছাহেবের পক্ষ ঊকে গবেষণা ঊন্দ্র মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফে ঊ্ররিত সিলেট খারিজী মাদ্রাসার তথাকথিত মুফতী কতঊক প্রদত্ত্ব ফতওয়াটি খন্ডন করার সাথে সাথে কুরআন-সুন্নাহ, ইজমা ও ক্বিয়াস তথা হানাফী মাযহাবের দৃষ্টিতে নির্ভরযোগ্য ও অকাট্য দলীল-আদিল্লাহ্র ভিত্তিতে ‘হানাফী মাযহাবের মুখতার বা মুফতাবিহী বা ফতওয়াগ্রাহ্য মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের ঊাশাক বা রুমাল নিষিদ্ধ হওয়া’ সম্পর্কিত সঠিক ও দলীলভিত্তিক ফায়ছালা তুলে ধরা হবে ইনশাআল্লাহ।
হানাফী মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল
রংয়ের ঊাশাক নিষিদ্ধ হওয়ার প্রমাণ ও
সিলেট খারিজী মাদ্রাসার ‘তথাকথিত মুফতী!’
ছাহেবের মনগড়া বক্তব্যের খন্ডনমূলক জাওয়াব
“আমাদের হানাফী মাযহাব মতে, পুরুষের জন্য সম্পূর্ণ বা অধিকাংশ লাল রংয়ের রুমাল বা কাপড় পরিধান করা হারাম ও মাকরূহ তাহরীমী, আর লালের ভাগ কম হলে মাকরূহ তানযীহী”- বাতিলের আতঙ্ক, যামানার তাজদীদী মুখপত্র মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর এ ফতওয়াই ছহীহ, গ্রহণযোগ্য, দলীলভিত্তিক ও কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসসম্মত।
বলার অপেক্ষাই রাখে না ঊ, বুযূর্গ ও আলিমে দ্বীন, হযরতুল আল্লামা মুফতী মুহম্মদ মাহমূদ বিন হাসান ছাহেবের সংকলিত ফতওয়াটিও ছহীহ, গ্রহণযোগ্য, দলীলভিত্তিক ও কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসসম্মত। কারণ তিনি উক্ত ফতওয়ায় নিজস্ব ঊান মত ঊশ করেননি। বরং মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর বক্তব্যই হুবঊসংকলন করেছেন মাত্র।
পক্ষান্তরে সিলেট কাসেমুল উলূম খারিজী মাদ্রাসার তথাকথিত মুফতী (!) আবুল কালাম মুহম্মদ যাকারিয়া ছাহেব ‘লাল রং’ সম্পর্কিত উক্ত ফতওয়াটি খ-ন করতে গিয়ে ঊ বক্তব্য ঊশ করেছে তা সম্পূর্ণরূপে অঊ, বিভ্রান্তিকর, দলীলবিহীন ও জিহালতপূর্ণ হয়েছে।
কথিত মুফতী ছাহেব ঊত্র বিশেষে নিজের মনগড়া মতকে ছাবেত করার লঊ্য ঊান ঊান হাদীছ শরীফ ও কিতাবের ইবারতের মনগড়া ও ভুল তরজমা ও ব্যাখ্যা দিয়েছে। অর্থাৎ তথাকথিত উক্ত মুফতী ছাহেব তার উক্ত ফতওয়ার মাধ্যমে ঊাকা ও প্রতারণার চরম দঊান্ত স্থাপন করেছে।
মূলত: তথাকথিত উক্ত খারিজী মুফতী (!) ছাহেব লাল রং সম্পর্কিত আরবী শঊর সঠিক অর্থ ও তাহক্বীক্ব সম্পর্কে অবগত না হওয়ার কারণে এবং হাদীছ শরীফ ও কিতাবের ইবারতসমূহের সঠিক ব্যাখ্যা ও মর্ম অনুধাবনে ব্যর্থ হওয়ার কারণেই লাল রং সম্পর্কে এরূপ অঊ ও বিভ্রান্তিকর ফতওয়া প্রদান করেছে এবং আল বাইয়্যিনাতে প্রদত্ত লাল রং সম্পর্কিত ছহীহ ও দলীলভিত্তিক ফতওয়াটি ঊয়াঙ্গম করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
লাল রং সম্পর্কিত আরবী শব্দগুলোর লুগাতী বা আভিধানিক তাহক্বীক্ব বা বিশ্লেষণ
(৩) হযরত আল্লামা ইবনু মানযূর-এর লিখিত সর্বজনমান্য বিশ্ববিখ্যাত লুগাত “লিসানুল আরব”-এর ২য় জি:, ৯৮৯, ৯৯০, ৯৯১ ও ৯৯৩ পঊায় বর্ণিত আছে,
[৪৭]
والا حمر من الا بدان: ما كان لو نه الحمرة.
অর্থঃ- “শরীরের গন্ধম রংকে আহমার বলে। যার রং গন্ধম বা ফর্সা, সাদা হয় তাকে হুমরাহ বলে।”
[৪৮]
الازهرى فى قو لهم: اهلك النساء الا حمران، يعنون الذ هب والز عفران، اى اهلكهن حب الحلى والطيب. الجو هر ى: اهلك الر جال الا حسر ان: اللحمو الخمر. غيره: يقال للذهب والز عفر ان الا صفران، وللماء واللبن الا بيضان، وللتمر والماءالاسو دين. فى الحديث: اعطيت الكنز ين الا حمر والا بيض، حى ماافاء الله على: مته من كنوز الملوك. والا حمر: الذهب، والا بيض: الفضة، والذ هب كنوز الروم، لانه الغا لب على نقوذحم،......... ابن سيده: الا حمران الذهب والز عفران.
অর্থঃ- “আল আযহারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তাদের কথার ব্যাখ্যায় বলেন: মহিলাদেরকে দু’প্রকার আহমার ধ্বংস করেছে, তা হচ্ছে স্বর্ণ ও জাফরান অর্থাৎ মহিলাদেরকে অলংকারের মুহব্বত ও সুগন্ধির মুহব্বত ধ্বংস করেছে। আল জাওহারী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন: পুরুষদেরকে দু’প্রকার আহমার ধ্বংস করেছে, ঊাশ্ত ও মদ বা শরাব। এটা ছাড়াও বলা হয় احمر ‘আহমার’ শব্দটি স্বর্ণ অর্থে, জাফরান অর্থে, পানি অর্থে, দু’প্রকার সাদা দুধ অর্থে, ঊজুর অর্থে এবং দু’প্রকার কালো পানি অর্থে ব্যবঊ হয়। হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমাকে দু’টি গুপ্তধন আহমার ও আবইয়াদ দান করা হয়েছে। তা মহান আল্লাহ পাক গুপ্তভা-ার ঊকে তাঁর উম্মতগণকে দান করেছেন। احمر ‘আহমার’ হচ্ছে স্বর্ণ আর ابيض ‘আবইয়াদ’ হচ্ছে রূপা। স্বর্ণ ঊামদেশীয় ভা-ার। ঊননা, নিশ্চয়ই স্বর্ণ নগদ টাকা-পয়সার ঊকে তাদের নিকট অনেক মূল্যবান। .... হযরত ইবনু সীদাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, الاحمران ‘দু’আহমার’ হলো স্বর্ণ ও জাফরান।”
[৪৯]
وقال ابو عبيدة: الا صفران الذ هب والز عفر ان، وقال ابن الا عرا بى: الا حمران النبيذ واللحم... قال شمر: اراد الخمر والبوود. والاحمر الا بيض: تطيرابالا برص. ........... وفى الحد يث: بعثهم الى الا حمر والا سود. وقى حد يث اخر عن ابى ذر: انه سمع النبى صلى الله عليه وسلم يقول: اوتيت خمسا لم يؤ تهن نبى قبلى: ارسلت الى الا حمر والا سود و نصرت بالر عب مسيرة شهر ... وروى عن ا بى مسحل انه قال فى قو له بعثت الى الا حمر والا سود: ير يد بالا سود الجن وبالا حمر الا نس سمى الانس الانس الاحمر للدم الذى فيهم، وقيل اراد بالا حمر الا بيض مطلقا، والعرب نقول: امراة حمراء اى بيضاء. وسئل ثعلب: لم خص الا حمر دون الا بيض؟ فقال: لان العرب لا تقول رجل ابيض من بياض اللون، انما الا بيض عندهم الطا هر النقى من العيوب، فاذا ارادوا الا بيض من اللون قالوا احمر، قال ابن الاثير: وفى هذا القول نظر، فا نهم قد استعملوا الا بيض فى الو ان الناس وغير هم. وقال على عليه. السلام لعا ئشة رضى الله عنها: اياك ان تلو نيها يا حميراء، .اى يا بيضاء. وفى الحد يث: خذوا شطر دينكم من الحميراء يعنى عا ئشة، كان يقول لها احيا نا يا حميراء تصغير الحمراء ير يد البيضاء،
অর্থঃ হযরত আবূ উবাইদা রদ্বিয়াল্লাঊতায়ালা আনঊবলেনঃ দুটি আছফার বা হলুদ হলোঃ স্বর্ণ ও যাফরান। হযরত ইবনুল্ আরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন; দু’প্রকার আহমার হচ্ছে নবীয ও ঊাশ্ত .... হযরত শামির রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেনঃ দু’প্রকার আহমার হল মদ ও গন্ধম রংয়ের ঊারাকাটা চাদর । আল আহমারুল্ আবইয়াদ অর্থঃ কুষ্ঠরোগগ্রস্ত ব্যথিত ব্যক্তি। .... হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছেঃ হুযূর পাক ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন; আমি আহমার এবং আসওয়াদ বাসীদের কাছে ঊ্ররিত হয়েছি। অপর হাদীস শরীফে হযরত আবু যর গিফারী রদ্বিয়াল্লাঊআনঊথেকে বর্ণিত আছেঃ নিশ্চয়ই তিনি হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছ ঊকে ঊনছেন ঊ, তিনি বলেছেনঃ আমাকে বিশেষভাবে পাঁচটি বিষয় ঊয়া হয়েছে যা আমার পূর্বে ঊান নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামকে ঊয়া হয়নিঃ আমাকে احمر আহমার ও اسود আসওয়াদ-এর নিকট পাঠানো হয়েছে, আমাকে রু’ব দ্বারা সাহায্য করা হয়েছে, আমার কথা ঊলে একমাসের দুরত্ব ঊকে কাফিরেরা ভয় পায়। ... হযরত আবূ মিসহাল রহমতুল্লাহি আলাইহি ঊকে বর্ণিত আছে, তিনি - হুযূর পাক ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাদীছ শরীফ “আমি আহমার ও আসওয়াদ-এর কাছে ঊ্ররিত হয়েছি’ এর ব্যাখ্যায় বলেনঃ আসওয়াদ দ্বারা উঊশ্য হচ্ছে জিন জাতি আর আহমার দ্বারা উঊশ্য হচ্ছে মানুষ জাতি। মানুষের নাম আহমার বলা হয় রঊর কারণে, যা তাদের ভিতরে আছে। কারো কারো মতে; সাধারনত আহমার দ্বারা ابيض আবইয়াদ বা গন্ধম ও সাদা রং উঊশ্য। এজন্য আরবরা গন্ধম বা সাদা রংয়ের সুদর্শনা উজ্জ্বল ঊহারার মহিলাদেরকে বলে امراة حمراء ‘ইমরায়াতুন হামরা’ অর্থাৎ সাদা, ফর্সা বা গন্ধম রংয়ের মহিলা। হযরত ছা’লাব রহমতুল্লাহি আলাইহিকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলঃ ঊন ابيض আবইয়াদ তথা সাদা এর পরিবর্তে احمر আহমার শঊর ব্যাবহারকে খাছ করা হলো? তিনি উত্তরে বলেছিলেন; ঊননা নিশ্চয়ই আরবরা সাদা বা ফর্সা ঊাকের সম্পর্কে رجل ابيض ‘রজুলুন আবইয়াদু বলেন না। নিশ্চয়ই তাদের নিকট ‘আবইয়াদ’ বলতে ঊাষ ত্রুটি ঊকে পবিত্র ও ন্যায়নিষ্ঠাবান ঊাকদেরকে বুঝায়। যখনই তাঁরা সাদা, ফর্সা বা গন্ধম রং বুঝানোর ইরাদা করেন, তখনই احمر ‘আহমার’ বলেন (অর্থাৎ আহমার অর্থই সাদা, ফর্সা ও গন্ধম রং)। হযরত ইবনুল্ আছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেনঃ এ উক্তিটির মধ্যে সুক্ষ্ম বিবেচনা রয়েছে ঊ, নিশ্চয়ই আরবগণ ابيض আবইয়াদ তথা সাদা, ফর্সা, গন্ধম বুঝাতে ঊ احمر ‘আহমার’ শব্দটি প্রয়োগ করেন, তা মানুষের বর্ন এবং মানুষ ছাড়া অন্যান্য প্রাণী ও বঊ¿র ব্যাপারেও প্রযোজ্য। “হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাঊআনঊহযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা রদ্বিয়াল্লাঊআনহাকে লক্ষ্য করে বলতেনঃ
বিশেষভাবে আপনি উত্তম রংয়ে ঊৗন্দর্যমন্ডিত, ঊ হযরত হুমাইরা রদ্বিয়াল্লাঊআনহাঃ অর্থাৎ ঊ সাদা, ফর্সা বা গন্ধম রংয়ের অধিকারীনী। হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছেঃ হুযূর পাক ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ঊামরা (আমার পর) দ্বীন ইসলাম শিক্ষা করবে হযরত হুমাইরা রদ্বিয়াল্লাঊআনহা-এর কাছ ঊকে। অর্থাৎ হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা রদ্বিয়াল্লাঊআনহা-এর কাছ ঊকে। তিনি তাঁকে কখনো কখনো ইয়া হুমাইরা রদ্বিয়াল্লাঊআনহা বলে সঊ^াধন করতেন। حميراء ‘হুমাইরাঃ শব্দটি حمراء ‘হামরাউ’ এর তাছগীর বা ক্ষুদ্রাত্রবাচক শব্দ। এর দ্বারা তিনি তাঁকে ফর্সা, সাদা, গন্ধম বা উজ্জ্বল রং বিশিষ্টা বলে বুঝাতেন। হযরত আযহারী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেনঃ আসওয়াদ ও আহমার উক্তি দ্বারা উঊশ্য হচ্ছে আসওয়াদ বা কালো এবং আহমার বা সাদা, ফর্সা, গন্ধম উজ্জ্বল বর্ণ ইত্যাদি।
[৫০]
وحكى عن الا صميعى: يقال اتا نى كل اسود منهم واحمر، ولا يقال ابيض. وقو له فى حد يث عبد الملك: اراك احمر قر فا، قال: الحسن احمر، يعنى ان الحسن فى الحمرة.
অর্থঃ- “হযরত আছমায়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি ঊকে বর্নিত আছেঃ বলা হয়, আমার কাছে তাদের ঊকে প্রত্যেক আসওয়াদ বা কালো ও আহমার (ফর্সা, সাদা বা গন্ধম রংয়ের ঊাকেরা) আসল। এখানে সাদা, ফর্সা বা গন্ধম রং বুঝাতে ابيض ‘আবইয়াদ’ শঊবলা হয়নি। হযরত আব্দুল্ মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক বর্ণিত হাদীছ শরীফে রয়েছেঃ আমি ঊামাকে ফর্সা, সাদা, গন্ধম বা উজ্জ্বল ত্বক বিশিঊঊখলাম। তিনি বলেনঃ সাদা, ফর্সা, বা গন্ধম রং-ই সুন্দর বা চমৎকার। অর্থাৎ নিশ্চয়ই ঊৗন্দর্যতা রয়েছে সাদা, ফর্সা বা গন্ধম রং-এর মধ্যেই।
[৫১]
والحمراء: .... والعسرب اذاقا لوا: فلان ابيض و فلا نة بيضاء فمعناه الكرم فى الا خلاق لالو ن الخلقة، واذا قالو: فلان احمر و فلا نة حمراء عنوا بياض اللون، والعرب تسمى الموالى الحمراء.
অর্থঃ ‘আলহামরাউ’ঃ ..... আরবগন যখন বলেনঃ ওমুক ব্যক্তি ‘আবইয়াদ’ ওমুক মহিলা ব্যক্তি ‘বাইদ্বা’ তখন তার অর্থ হয় সৎচরিঊর সম্মান-মর্যাদা, কিন্তু সৃষ্টিগত শরীরের রং বুঝায় না। আর যখন আরবগণ বলেনঃ ওমুক পুরুষব্যক্তি ‘আহমার’ ও ওমুক মহিলা ব্যক্তি ‘হামরাউ’ তখন তার অর্থ হয় ফর্সা, সাদা, গন্ধম বা উজ্জ্বল রঙ বিশিঊব্যক্তি। আরবগণ মনীবকেও حمراء ‘হামরাউ’ নামে ডাকে।
[৫২]
الاصمعى: يقال هذه وطاة حمراء اذاكا نت جد يدة، ووطاة دهماء اذا كا نت دارسة، والو طاة الحمراء: الجد يدة.
অর্থঃ হযরত আছমায়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেনঃ বলা হয়, ইহা গন্ধম মসঊ কাপড়, যখন কাপড়টি নতুন হয়। যখন কাপড় ছিড়ে ঊষ হয় তখন বলা হয় কালো কাপড়। মসঊ حمراء ‘হামরাউ’ দ্বারা নতুন কাপড়কে বুঝানো হয়।
[৫৩]
والحميروالحميرة: الاشكز، وهو سيرا بيض مقشور ظاهره توكد به السروج
অর্থ আল্ হামীর ও আল হামীরাহ্ঃ হচ্ছে উশকুয বা সাদা ফিতা। তা হচ্ছে চামড়ার সাদা ফিতা, যা দিয়ে ঊাড়ার পিঠের জিন বাধা হয়।
[৫৪]
الحمرة: من الا لو ان المتو سطة معرو فة. لون الا حمر يكون فى الحيوان والثياب وغير ذلك مما يقبله.
অর্থঃ ‘আল্ হুমরাতু’ লাল, সাদা, গন্ধম রংঃ মধ্যম প্রকঊতর পরিচিত এক প্রকার রং। ‘আহমার’ রং প্রাণী, কাপড় এবং প্রয়োগের দিক ঊকে অন্য ঊঊও ব্যবঊ হয়।
বর্ণিত ইবারত গুলো ঊকে প্রমাণিত হল ঊ, احمر ‘আহমার’ অর্থ লাল, সাদা, ফর্সা, গন্ধম, ঊানালী, যাফরাণী, কুসুম ও রঊর রং। এ ছাড়া এটাও প্রমাণিত হল ঊ, আরবগণ حمراء ‘হামরাউ’ শঊর দ্বারা ঊ ابيض বা সাদা, ফর্সা, গন্ধম বুঝান, তা একটি মশহুর পরিভাষা।
(৪) ‘আল্ মুনজিদ ফিল্ লুগাহ’ কিতাবের ১৫৩ পঊায় বর্ণিত আছে,
[৫৫]
حمر الشئ: صبغه با لحمرة. احمر: وله ولد احمر
অর্থঃ ঊ জিনিসটিকে আহমার রং দ্বারা রঞ্জিত করল। ‘আহমারা’ঃ তার একটি ফুটফুটে ফর্সা, গন্ধম বা সাদা রংয়ের সন্তান জন্ম গ্রহণ করল।
[৫৬]
الاحمر (ج) احامر: ما لو نه الحمرة.و. (ج) حمر وحمر ان: المصبوغ با لحمرة. الذهب والز عفر ان. اللحم والخمر. يقو لون نحن من اهل الا سودين لا من اهل الا حمرين،، اى من اهل التمر والماءلا من اهل اللحم والخمر.
অর্থঃ احمر ‘আহমারু’ শব্দটির বহুবচন احامير ‘আহামিরু’ঃ যা আহমার রং। আহমারা শঊর বহুবচন حمر ‘হুমরুন’ ও حمران ‘হুমরানু’ঃ অর্থ, আহমার দ্বারা রংকঊ। স্বর্ণ, যাফরান, ঊাশ্ত ও মদকেও আহমার বলা হয়। ঊমন, তারা বলেন, “আমরা দুই আসওয়াদ-এর অধিবাসী, কিন্তু দুই আহমার-এর অধিবাসী নই। অর্থাৎ আমরা ঊজুর ও পানির অধিবাসী, কিন্তু ঊাশ্ত ও মদের অধিবাসী নই।
[৫৭]
حمار الزرد: جنس من الحمر الو حشية ابيض اللون مخطط بخطوط سود.
অর্থঃ হিমারুয্ র্যাদ (ঊব্রা)ঃ বন্য বা জংলী গাধার একটি ঊ্রণী। যার রং সাদা, যা কালো ঊারাকাটা বিশিষ্ট।”
উল্লিখিত ইবারতগুলো ঊকে বুঝা যায়, আহমার শব্দটি লাল এবং ابيض ‘আবইয়াদ’ সাদা, ফর্সা, ফুটফুটে, গন্ধম রং অর্থে ব্যবঊ। ঊব্রাকে এজন্য حمار الزردঊহিমারুয্ র্যাদ বলা হয়, ঊননা তার গায়ে সাদা রংয়ের মধ্যে কালো ঊারাকাটা বিদ্যমান।
(৫) মুহম্মদ ইবনে আবূ বকর ইবনে আব্দুল্ ক্বাদির র্আ রাযী-এর ঊখা বিঊ লুগাত ‘মুখতারুছ্ ছিহাহ্’ -এর ৬৪ পঊায় উল্লেখ আছে,
[৫৮]
(الحمرة) لون الا حمر ......... واهلك
الر جال (الاحمران) اللحم والخمر.
অর্থঃ (আল্ হুমরাতু) আহমার রং। পুরুষদেরকে ধ্বংস করেছে (দু’টি আহমার) ঊাস্ত ও মদ।
(৬) ওয়াহীদুয্ যামান ক্বাসিমী-এর ঊখা ‘আল্ ক্বামূসুল্ জাদীদঃ আরবী-উর্দূ লুগাতের ২০৫ পঊায় উল্লেখ আছে,
[৫৯]
احمر وردی: گلا بی، سر خ گلابی
অর্থঃ ‘আহমারঊওয়ারদী’ অর্থঃ ঊালাপী রং, লাল ঊালাপী রং।
[৬০]
احمر قر نفلی: پیازی رنگ
অর্থঃ ‘ আহমারঊক্বারান্ফুলী’ অর্থঃ পিঁয়াযী রং।
এ ইবারত দুটি ঊকে প্রমাণিত হল, ঊালাপী ও পিয়াযী রংকেও احمر ‘আহমার’ বলা হয়।
(৭) ‘লুগাতে হীরা’ এর ৪৫ ও ৩৭৫ পঊায় উল্লেখ আছে,
[৬১]
احمر: سرخ -سرخى
অর্থঃ ‘ আহমারু’ অর্থ সুরখ্ বা লাল, লাল রং।
[৬২]
حمرا: سرخ ر ںگكى عورت
অর্থঃ ‘হামরা’ অর্থঃ সুরখ্ গন্ধম রংয়ের বা ফর্সা রংয়ের সুদর্শনা মহিলা।
এ ইবারত দুটি ঊকে বুঝা যাচ্ছে, احمر ‘আহমার’ শঊলাল, ফর্সা ও গন্ধম অর্থে ব্যবঊ হয়। দ্বিতীয় ইবারতে سرخঊসুরখ’ অর্থ গন্ধম বা ফর্সা নিতে হবে। তা না হলে অর্থ ঊ হবে না।
(৮) বিশ্ব বিখ্যাত ও প্রসিদ্ধ লুগাত ‘লুগাতে সাঈদী’-এর ২৪ ও ২৭৬ পঊায় উল্লেখ আছে,
[৬৩]
احمر:سرخ واحد........ حمر سو ناز عفران،
گوشت، شراب، مرد سرخ، حمیراء مؤنث.
অর্থঃ ‘আহমার’ অর্থ ঃ লাল..... ইহা حمر ‘হুমরুন’ এর একবচন। অর্থ হলঃ ঊানালী, যাফরানী, ঊাস্ত, শরাব বা মদ ও সুরখ্ অর্থাৎ গন্ধম রংয়ের বা ফর্সা রংয়ের সুদর্শন পুরুষ। احمر ‘আহমার’ শঊর স্ত্রীলিঙ্গ حميراء ‘হুমাইরা’।
[৬৪]
حمراء: سخت سال، عورت سرخ رنگ.
অর্থঃ ‘হামরাউ’ অর্থঃ দুর্ভিঊর বছর, সুরখ্ অর্থাৎ গন্ধম রং বা ফর্সা রংয়ের মহিলা।
এ ইবারত দুটি ঊকে প্রমানিত হলো ঊ, ‘আহমার’ শব্দটি লাল, ঊানালী, জাফরানী, গন্ধম বা ফর্সা অর্থে ব্যবঊ হয়। ইবারতে سرخ‘সুরখ’ শব্দটি লাল এবং গন্ধম লাল উভয় অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে।
(৯) আবু মানছূর আছ্ ছায়ালাবী-এর ‘ফিক্বহুল লুগাহ ওয়া সিররুল্ আরাবিয়্যাহ্’ কিতাবের ৮৫ পঊায় বর্ণিত আছে,
[৬৫]
فصل فى تقسيم الحمرة: ذهب احمر. فرس اشقر. رجل اقشر. دم اشكل لحم شرق ثوب مد من. مدامة صهباء.
অর্থঃ এ পরিচ্ছেদ الحمرة‘আল্ হুমরাহ্’-এর রং সম্পর্কেঃ ঊানালী রং, সুঠাম ঊহ বিশিঊলাল ঊাড়া, উজ্জ্বল ত্বক তথা গন্ধম বা ফর্সা রং বিশিঊপুরুষ, গাড়ো লাল রক্ত, টুকরা টুকরা ঊাস্ত, রঙ্গিন কাপড়।”
এ ইবারতটি ঊকে প্রমানিত হল ঊ, احمر ‘আহমার’ শব্দটি একাধিক অর্থে ব্যবঊ হয়। ঊমনঃ ঊানালী রং, গন্ধম বা ফর্সা রং, রঙ্গিন কাপড় ইত্যাদি।
(১০) ওয়াহীদুয্ যামান-এর লিখিত আরবী-উর্দূ লুগাত ‘লুগাতুল্ হাদীছ’ এর ১ম জিঃ ১৩৫, ১৩৬, ১৩৭ পঊায় উল্লেখ আছে,
[৬৬]
احمر: سرخ.... "اعطیت الکنزین الاحمر والا بیض" ... (سرخ روم کا خزانہ وھاں سو نےکا سکہ بھت ر انج تھا اورسفید ایران کا خزا نہ وھاں چندی کا سکہ بھت رانج تھا)
অর্থঃ আহমার অর্থ র্সুখ অর্থাৎ ঊানালী। ........ “হুযূর পাক ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আমাকে দুটি ধনভান্ডার। আহমার ও আবইয়াদ দান করা হয়েছেঃ ...... (আহমার বা সুরখ ঊাম ঊশের ধনভান্ডার, উহা হচ্ছে ঊ ঊশের ঊানার ঊরি চলিত মুদ্রা বা স্বর্ণমুদ্রা এবং আবইয়াদ বা সফায়েদ ইরান ঊশের ধন ভান্ডার, ইহা হচ্ছে ঊ ঊশের চান্দির ঊরি চলিত মুদ্রা বা ঊৗপ্য মুদ্রা)। অর্থাৎ আহমার ঊানালী অর্থেও ব্যবঊ হয়।
[৬৭]
اھلکھن الا حمر ان.. (ایک توزعفران اور دوسرے سو نے نے)
অর্থঃ “মহিলাদেরকে দু’প্রকার আহমার ধ্বংস করে দিয়েছে ........... (একটি হচ্ছে যাফরান ও অপরটি ঊানা)।”
[৬৮]
اصفران بھی سو نے اورزعفران کو کھتے ھیں اور احمر ان گوشت اور شراب کو بھی کھتے ھیں.
অর্থঃ ‘আছফারান বা দুটি হলুদ’ দ্বারা ঊানা এবং যাফরানকে বুঝানো হয়। আর ‘আহমারান বা দুটি আহমার’ দ্বারা ঊাস্ত এবং মদকে বুঝানো হয়।
[৬৯]
خزوا شطر دینکم من الحمیراء: اپنا ادھا حصہ دین کا حیرا سے سیکھو ا یعنی حضر ت عانشۃ رضی اللہ عنھا سے. انحضرت پیار کی راو سے کبھی حضرت عامشۃ رضی اللہ عنھا کو حمیراء کھا کر تے کیونکہ وہ سرخ وسفید تھیں ادھا دین ان حا صل کر اس لنے کہ دین
کے نصف احکا مات مر دون سے متعلف ھیں نصف عورنوں سے، تو عورتوں کے منعلق احکا مات ام المز منین ر ضی اللہ عنھن سے حا صل ھو نے، تو گو یا ادھا دین حا صل ھوا.
অর্থঃ হুযূর পাক ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ ঊামরা অর্ধেক দ্বীন ইসলাম হযরত হুমাইরা আয়িশা ছিদ্দীক্বা রদ্বিয়াল্লাঊআনহা-এর কাছ ঊকে শিখ। অর্থাৎ হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম ঊান ঊান সময় মুহব্বতে হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা রদ্বিয়াল্লাঊআনহাকে লক্বব বা উপাধি দিয়ে বলতেন حميراء ঊননা তিনি গন্ধম ও ফর্সা রংয়ের ছিলেন, অর্ধেক দ্বীন ইসলাম তার কাছেই হাছিল কর। ঊহেতু দ্বীন ইসলামের অর্ধেক হুকুম-আহকাম পুরুষদের জন্য আর বাকী অর্ধেক মহিলাদের জন্য। তাই মহিলা সংক্রান্ত হুকুম- আহকাম বা বিধিবিধান হযরত উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাঊআনহুন্নাগনের কাছেই রয়েছে। তাই ঊামাদের অর্ধেক দ্বীন ইসলাম তাঁর কাছ ঊকেই অর্জিত হবে)
[৭০]
الحسن احمر: خوبسورتی تو سر خ ھی میں ھے.
অর্থঃ “আল্ হুস্নু আহমারঃ সুরখ তথা গন্ধম রংয়ের মধ্যেই ঊৗন্দর্যতা রয়েছে।।”
[৭১]
حمر الو جوہ: سفید منہ سر خی امیز ( جو بھنر ین ر نگ ھے یعنی گلا بی)
অর্থঃ “... ... ফর্সা বা সাদা ঊহারা, যাতে সুরখের আভা থাকে (যা খুব চমৎকার রং অর্থাৎ ঊালাপী রং)।”
[৭২]
ربعۃ احمر: انحضر ت صلی اللہ علیہ و سلم میا نہ قا مت، سرخ ر نگ تھے (سرخ سے مر اد گندم کوں ر نگ ھی)
অর্থঃ ‘রব্য়াতা আহমারা’ মাঝারি গড়নবিশিঊঃ হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম মাঝারি গড়ন বিশিঊবা মাঝারি গঠনের জিসিম মুবারক বিশিঊও র্সুখ রং বিশিঊছিলেন (সুরখ দ্বারা এখানে নূরানী গন্ধম রং বুঝানো হয়েছে)।”
উপরোক্ত বিশ্ববিখ্যাত দশটি কিতাবের ইবারত ঊকে প্রমানিত হল ঊ, احمر ‘আহমার’ ও سرخ‘সুরখ’ শঊদুটি লাল রং ছাড়াও আরো অনেক অর্থে ব্যবঊ হয়। ঊমনঃ ঊানালী রং, যর্দা রং, পিয়াজী রং, ঊালাপী রং, গন্ধম রং, সাদা বা ফর্সা রং, জাফরানী রং, উছফুর বা কুসুম রং, উছফুর বা চড়াই পাখির রং, পানির রং , ঊজুরের রং, ঊাশতের রং, শরাব বা মদের রং, নতুন কাপড়, রঙ্গিন কাপড় ইত্যাদি। حلة الحمراء ‘হুল্লাতুন হামরা’ অর্থ ইয়ামান ঊশীয় গন্ধম রংয়ের, সাদা রংয়ের বা ঊানালী রংয়ের এক ঊাড়া সুতী ঊাশাক। যাতে সবুজ, নীল ও কালো রং-এর ঊখা থাকে। যা কমপঊ ইযার বা ফাঁড়া লুঙ্গিঁ ও রিদা বা চাদর মিলে একসেট ঊাশাক। আর পরিপূর্ণ অর্থ হলো ইযার, চাদর, ইমামাহ্ বা পাগড়ী ও ক্বমীছ বা ঊার্তা মিলে একসেট। আমাদের হানাফী মাযহাব মুতাবিক ‘হুল্লাতুন হামরা’ যা হুযূর পাক ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম পরিধান করেছিলেন। তা লাল ছিল না। বরং গন্ধম বা ঊানালী রংয়ের ছিল।
নিমেঊ‘হুল্লাতুন’ শঊর তাহক্বীক্ব বা বিশ্লেষণ উল্লেখ করা হলো:
حلةহুল্লাতুন’ শঊর তাহক্বীক বা বিশ্লেষণ
حلةহুল্লাতুন্ শব্দটি একবচন, এর বহুবচন ‘হুলালুন ও حلال ‘হিলালুন। এর অর্থ হচ্ছে রঙ্গিন কাপড়, একজোড়া কাপড়, চাদর ও ফাড়া লুঙ্গি, ঊাশাকের ঊট, গন্ধম রংয়ের ঊাশাক, অস্ত্র, নক্সিকরা কাপড়, নতুন ঊাশাক, নারী বা স্ত্রী ঊাক ইত্যাদি।
(১) “আফরাতুল্ মাওয়ারিদ ফী ফুছাহিল্ আরাবিয়্যাহ ওয়াশ্ শাওয়ারিদ” নামক বিঊ বিশ্ববিখ্যাত সর্বজন মান্য আরবী অভিধানের ১ম জিঃ ২২৫ পঊায় বর্ণিত আছে,
[৭৩]
(الحلة) بالضم: كل ثوب جسد يد نلبسه غليظ او دقيق ولا يكون الا ذاثو بين.
অর্থঃ (الحلةঊআল্ হুল্লাতু) শব্দটির حا ‘হা বর্ণে ঊশ দিয়ে পড়লে অর্থ হবেঃ পরিধান করা হয় এমন প্রত্যেক নতুন কাপড়কে ‘হুল্লাহ’ঞ্জবলে। যা ঊাটাও হতে পারে অথবা পাতলাও হতে পারে। যা কমপঊ দুটি কাপড় (তথা চাদর ও ফাঁড়া লুঙ্গি) ছাড়া হয় না।
[৭৪]
قال ابن العر بى)) يقال للازار والرداء حلة ولكل واحد منهما على انفراد حلة))
অর্থঃ হযরত ইমাম ইবনুল্ আরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “ ইযার বা ফাঁড়া লুঙ্গি ও রিদা বা চাদরকে হুল্লাহ বা ঊাড়া ঊাশাক বলা হয়, এছাড়াও উল্লিখিত দু’টি কাপড়ের প্রত্যেকটিকে আলাদাভাবে ‘হুল্লাহ’ বলা হয়।”
[৭৫]
قال الكليات الحلة هى الثوب السا تر مجميع البدن)) ومنه)) الكرم فى حلته وكساه حلل الثناء))
অর্থঃ‘আল্ কুল্লিয়্যাত’ নামক কিতাবে আছে, “হুল্লাহ এমন আবরনকারী ঊাশাক যা সমস্ত শরীরকে ঊকে রাখে। আরো বর্ণিত আছে, “হুল্লাহ কাপড়ের মধ্যে সম্মান রয়েছে, যা পরিধানে প্রশংসা অর্জিত হয়।
(২) বিশ্ববিখ্যাত সর্বজনমান্য বিঊ লুগাতের কিতাব ‘আল্ মু’জামুল ওয়াজীয’ এর ১৬৮ পঊায় বর্ণিত আছে,
[৭৬]
(االحلة): الثوب الجيد الجد يد غليظا اودقيقاء وكا نت عند العرب تكون من قميص وازار ورداء.
অর্থঃ (আল্ হুল্লাতু)ঃ ঊাটা বা পাতলা (মসঊ) উৎকঊ নতুন কাপড়কে ‘হুল্লাহ্’ বলা হয়। আরব বাসীগনের নিকট ক্বমীছ বা ঊার্তা, ইযার বা ফাঁড়া লুঙ্গি ও রিদা বা চাদর দ্বারা ‘হুল্লাহ’ গঠিত হয়।
(৩) আল্লামা ইবনু মানযূর-এর লিখিত সর্বজনমান্য বিশ্ববিখ্যাত লুগাত ‘লিসানুল্ আরব’ এর ২য় জিঃ ৯৭৮ পঊায় বর্ণিত আছে,
[৭৭]
قال خالد بن جنبة: الحلة رداءو قميص و تما مها العما مة، قال: لا يزال الثوب الجد يقال له فى الثياب حلة.
অর্থঃ হযরত খালিদ ইবন জাম্বাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেনঃ হুল্লাহ হচ্ছে; চাদর, ক্বমীছ বা ঊার্তা ও হুল্লাহর পূর্ণতাদানকারী ইমামাহ বা পাগড়ী। তিনি বলেনঃ নতুন কাপড়কেই হুল্লাহ কাপড় বলা হয়।
[৭৮]
وقال اليما مى: الحلة كل ثو ب جيد جد يد تلبسه، غليظ اودقيق، ولا يكون الا ذا ثو بين.
অর্থঃ “ইয়ামামী বলেনঃ পরিধানের জন্য প্রত্যেক উৎকঊ নতুন কাপড়কে হুল্লাহ্ বলে, যা ঊাটাও হতে পারে অথবা পাতলাও (মসঊ) হতে পারে । যা কমপঊ দুটি কাপড় ছাড়া হয় না।”
[৭৯]
وقال ابن شميل: الحلة القميص والازار والرد اء لا تكون اقل من هذه الثلا ثة.
অর্থঃ “ইবনু ঊাঈল বলেনঃ ক্বমীছ বা ঊানা বন্ধ নিছফুস্ সাক্ব ঊার্তা, ইযার বা ফাঁড়া লুঙ্গি ও রিদা বা চাদর এ গুলিকে একঊ হুল্লাহ্ ঊাশাক বলে। যা এই তিন ঊাশাকের কমে হয় না।
[৮০]
وقال شمر: الحلة عند الا عراب ثلاثة اثواب.
অর্থঃ “শামির বলেনঃ আরবগণের পরিভাষায় তিন কাপড় (ক্বমীছ, ইযার বা ফাড়া লুঙ্গি ও চাদর)ঊ একঊ হুল্লাহ ঊাশাক বলে।
[৮১]
وقال ابن العربى: يقال للازار والر داء حلة، ولكل واحد منهما على انفراده حلة.
অর্থঃ “ইবনুল্ আরাবী বলেনঃ ইযার বা ফাড়া লুঙ্গি ও রিদা বা চাদরকে একঊ হুল্লাহ বা ঊাড়া ঊাশাক বলা হয়। এছাড়াও উল্লিখিত দু’টি কাপড়ের প্রত্যেকটিকে আলাদাভাবে ‘হুল্লাহ’ বলে।”
[৮২]
قال الا زهرى: واما ابو عبيد فا نه جعل الحلة ثوبين.
অর্থঃ “আযহারী বলেনঃ আবূ উবাইদ দুটি কাপড় ( ইযার বা ফাড়া লুঙ্গি ও রিদা বা চাদর)ঊ একঊ ‘হুল্লাহ্’ বলেছেন।”
[৮৩]
وفى الحد يث: خير الكفن الحلة، وخير الضحية الكبش الاقرن.
অর্থঃ হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছেঃ উত্তম কাফন হচ্ছে, হুল্লাহ (ক্বমীছ বা নিছফুস্ সাক্ব ঊার্তা, ইযার বা ফাড়া লুঙ্গি ও লিফাফা) কাপড় এবং উত্তম কুরবানীর পঊহচ্ছে শিং বিশিঊখাসী।
[৮৪]
والحلل: بروداليمن، ولاتسمى حلة حتى تكون ثو بين، وقيل ثو بين من جنس واحد.
অর্থঃ حلة‘হুল্লাতুন’ এর বহুবচন حلل‘হুলালুন’ ( ও جلال ‘হিলালুন) হচ্ছেঃ ইয়ামান ঊশীয় ঊারাকাটা ঊাশাক। হুল্লাহকে ততক্ষণ পর্যন্ত হুল্লাহ্ বলা হবে না,যতক্ষণ পর্যন্ত তা কমপঊ দুটি কাপড় (ইযার বা ফাঁড়া লুঙ্গি ও রিদা বা চাদর) এর সমন্বয়ে না হবে। কারো মতেঃ একই জাতীয় দু’টি কাপড়কে হুল্লাহ ঊাশাক বলে। (‘আল্ মিছবাহুল মুনীর’ ও আল ক্বামূসুল্ ফিক্বহী’ কিতাবেও আছে)
(৪) বিশ্ববিখ্যাত লুগাতের কিতাব ‘আল্ মুনজিদ ফিল্ লুগাহ্’ এর ১৪৭ পঊায় লিখিত আছে,
[৮৫]
الحلة (ج) حلل وحلال: كل ثوب جد يداو عمو ما الثوب السا تر لجميع اليدن.
অর্থঃ ‘আল্ হুল্লাতু’ শব্দটির বহুবচন ‘হুলালুন’ ও ‘হিলালুন’ঃ প্রত্যেক নতুন কাপড়কে অথবা সাধারণতঃ সমস্ত শরীর ঊকে রাখে এমন ঊাশাককে হুল্লাহ্ বলা হয়। (অনুরুপ ‘মিছবাহুল্ লুগাত’ কিতাবে আছে)
(৫) শায়খ মুহম্মদ ইবনে আবূ বকর ইবনে আব্দুল কাদির র্আ রাযী-এর ঊখা ‘মুখতারুছ ছিহাহ্’ নামক লুগাতের কিতাবের ৬৩ পঊায় উল্লেখ আছে,
[৮৬]
(الحلل) برود اليمين و (الحلة) ازارورداء ولا تسمى حلة حتى تكون ثو بين.
অর্থঃ حلة‘হুল্লাতুন’ এর বহুবচন ‘হুলালুন’ (ও حلال ‘হিলালুন’) হচ্ছেঃ ইয়ামান ঊশীয় ঊারাকাটা ঊাশাক। আর (‘আল্ হুল্লাহ’) হচ্ছে ইযার বা ফাঁড়া লুঙ্গি ও রিদা বা চাদর। হুল্লাহ্ঊ ততক্ষণ পর্যন্ত হুল্লাহ বলা হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তা কমপঊ দু’টি কাপড় (ইযার বা ফাঁড়া লুঙ্গি ও রিদা বা চাদর) এর সমন্বয়ে না হবে।
(৬) বিশ্ব বিখ্যাত লুগাত ‘লুগাতে সাঈদী’-এর ২৭৫ পঊায় আছে,
[৮৭]
حلہ: جامہ، جبہ، پو شا ک، یمن کی چا در، بھشتی لباس.
অর্থঃ ‘হুল্লাহ’ অর্থঃ জামা তথা ঊার্তা, জুব্বা, ঊাশাক, ইয়ামানী চাদর ও জান্নাতী ঊাশাক।”
(৭) বিশ্ব বিখ্যাত লুগাতের কিতাব ‘লুগাতে হীরা’ এর ৩৭৩ পঊায় আছে,
[৮৮]
حلہ: جبہ، لبا س. پو شاک. جامہ. بمعنی چادر جس کو برد یما نی بھی کھتے بیں. حلل جمع.
অর্থঃ ‘হুল্লাহ হচ্ছেঃ জুব্বা, লিবাস, ঊাশাক, জামা বা ঊার্তা। হুল্লাহ অর্থ চাদর, যাকে ইয়ামানী চাদর বলা হয়। حلة‘হুল্লাহ এর বহুবচন حلل‘হুলালুন (حلال হিলালুন)।
(৮) ক্বাযী যয়নুল্ আবিদীন সাজ্জাদ মীরাঠী-এর ঊখা ‘বয়ানুল লিসান’ এর ২৩৫ পঊায় উল্লেখ আছে,
[৮৯]
حلۃ: ھتھیار. دوشالہ. دو ھری چادر، استر دار کپڑا، ازار. (ج) حلال حلل
অর্থঃ ‘হুল্লাহ’ হচ্ছেঃ হাতিয়ার বা অস্ত্র, একটি চাদর একটি লুঙ্গি, ঊাহারী চাদর, শরীর আবৃতকারী কাপড়, ইযার বা ফাঁড়া লুঙ্গি। এর বহুবচন حلال ‘হিলালুন’ ও حلل‘হুলালুন।
(৯) আল্হাজ্ব মাওলবী ফীরোযুদ্দীন ছাহেব-এর ঊখা ‘ফীরোযুল্ লুগাত (ফার্সী)- এর ৩৩৬ পঊায় আছে,
[৯০]
حلہ (ع) کپڑوں کا جوڑا. دوکپڑے (২) اسبردار کپڑا (৩) جبہ (৪) جامہ (৫) یمن کی چادر.
অর্থঃ ‘হুল্লাহ্’ (আরবী শঊ অর্থঃ (১) ঊাড়া কাপড় (ইযার বা ফাড়া লুঙ্গি ও রিদা বা চাদর) (২) শরীর আবৃত কারী কাপড় (৩) জুব্বা (৪) জামা তথা নিছফুস্ সাক ঊানাবন্ধ ঊার্তা তথা ক্বমীছ (৫) ইয়ামানী চাদর।
(১০) ‘ফীরোযুল্ লুগাতে’ (উর্দূ-নতুন) ৫৯৪ পঊায় উল্লেখ আছে,
[৯১]
حله (ع): جامه. جبه. چادر. بھشتی لباس.
অর্থঃ “হুল্লাহ্ (আরবী শঊ অর্থঃ জামা তথা নিছফুস্ সাক ঊানাবন্ধ ঊার্তা-ক্বমীছ, জুব্বা, চাদর, জান্নাতী ঊাশাক।”
(১১) ‘আল ক্বামূসুল্ ফিক্বহী’ কিতাবের ১০০ পঊায় উল্লেখ আছে,
[৯২]
الحلة: ازارورداء
অর্থঃ ‘আল্ হুল্লাতু’ হচ্ছেঃ ইযার বা ফাঁড়া লুঙ্গি ও চাদর।
[৯৩]
وقال بعض اهل اللغة: الحلةلا تكون الا ثو بين جد يد ين من طيهما (ج) حلل.
অর্থঃ কতক পরিভাষাবিদগণ বলেনঃ ‘হুল্লাহ’ নতুন দুটি কাপড় ছাড়া হয় না (একটি ইযার বা ফাঁড়া লুঙ্গি ও অপরটি রিদা বা চাদর)। حلة‘হুল্লাতুন’ এর বহুবচন حلل‘হুলালুন’।
(১২) ‘মু’জামু লুগাতিল্ ফুক্বাহা’ কিতাবের ১৮৪ পঊায় উল্লেখ আছে,
[৯৪]
الحلة: بضم الحاء، ج حلل و حلال، الثو ب الجيد الجديد.
অর্থঃ আল হুল্লাতু ঃ শব্দটির ‘হা’ বর্নে ঊশ দিয়ে পড়তে হবে। এর বহুবচন حللহুলালুন ও হিলালুন। উৎকঊ নতুন কাপড়কে বা ঊাশাককে ‘হুল্লাহ’ বলা হয়।
(১৩) ওয়াহীদুয্ যামান-এর ঊখা ‘লুগাতুল্ হাদীছ’ ১ম জিঃ ১২৬ পঊায় বর্ণিত আছে,
[৯৫]
خیر الکفن الحلۃ . بھتر کفن یمنی جوڑا ھے.
অর্থঃ হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছেঃ উত্তম কাফন হচ্ছে হুল্লাহ কাপড়। উত্তম কাফন ইয়ামানী ইযার, ক্বমীছ ও লিফাফা।
[৯৬]
فی حلۃ حمراء: ایک سرخ جوڑے میں (یہ خالص سرخ نہ تھا بلکہ اس میں سرخ اور سیاہ دھا ر یاں تھیں)
অর্থঃ (হাদীছ শরীফে রয়েছেঃ হযরত বারা ইবনে আযিব রদ্বিয়াল্লাঊআনঊবলেন, আমি হুযূর পাক ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লামকে) একজোড়া হামরা ঊাশাক পরিহিত অবস্থায় ঊখেছি। (হাদীছ শরীফে বর্ণিত حمراء ‘হামরা’ দ্বারা খালিছ লাল রংকে বুঝানো হয়নি, বরং এর মধ্যে গন্ধম ও কালো রংয়ের ঊখা ছিল)।”
উপরোক্ত ইবারতসমূহ ঊকে স্পষ্ট প্রমাণীত হয়, حلة‘হুল্লাতুন’ হচ্ছে নতুন, উৎকঊ, ইয়ামানী সুতী কাপড়, চাদর, ইযার বা লুঙ্গি, ক্বমীছ বা ঊার্তা ও ইমামাহ্ বা পাগড়ী। জান্নাতীগণের ঊাশাক অর্থেও শব্দটি ব্যবঊ হয়।
সুতরাং আমাদের হানাফীদের মতে হাদীছ শরীফে বর্ণিত, حلة حلراء (হুল্লাতুন হামরা) এর অর্থ হলো, গন্ধম বা ঊানালী রংয়ের একজোড়া ঊাশাক। অথবা গন্ধম, কালো ও সবুজ রংয়ের ঊখা বিশিঊএক ঊট বা এক ঊাড়া ঊাশাক।
ورس ‘ওয়ারসুন’ শঊর তাহক্বীক্ব বা বিশ্লেষণ
ورس ‘ওয়ারসুন’ শব্দটির অর্থ লাল রং, গাঢ় লাল রং, হলুদ রং ইত্যাদি। কিন্তু ঊাশাক বা কাপড়ের ঊঊ শব্দটি লাল রং অর্থেই ব্যবঊ হয়ে থাকে। নিমেঊএর লুগাতী বা অভিধানগত আলোচনা করা হলো।
(১) ‘মুহীত ফিল্ লুগাত’ কিতাবে আছে,
[৯৭]
الورس صبغ احمر واصفر.
অর্থঃ “লাল ও হলুদ উভয় রংকে ورس‘ওয়ারস’ বলা হয়।”
(২) বিশ্ববিখ্যাত সর্বজন মান্য লুগাতের কিতাব ‘আল মু’জামুল্ ওয়াজীয’-এর ৬৬৫ পঊায় উল্লেখ আছে,
[৯৮]
(الورس): نبت من الفصيلة القر نية (الفر اشية)، ينبت فى بلاد العر ب والحبشة والهند، ثمر ته مغطاةبغدد حمر،يستعمل لتلوين الحر ير و نحوه لا حتوائه على ما دة حمراء.
অর্থঃ (আল্ ওর্য়াস) হচ্ছেঃ এক প্রকার তঊ বা ঘাস। যা আরব, হাবশা ও হিন্দ তথা ভারত ইত্যাদি ঊশ সমূহে উৎপনঊহয়। যা ঊশমী কাপড় রং করতে ব্যবহার করা হয়। অনুরুপভাবে ‘ওয়ারস্’ঊ মূল লাল রং-এর সাথে যুক্ত করা হয়। অর্থাৎ ওর্য়াস রং হচ্ছে লাল রং।
(৩) বিশ্ব বিখ্যাত লুগাত ‘আল্ মুনজিদ ফিল লুগাহ্’ এর ৮৯৬ পঊায় আছে,
[৯৯]
والوارس من الثياب: الاحمر.
অর্থঃ কাপড়ের ঊঊ লাল ঊাশাককে ওয়ারিস বলা হয়।
[১০০]
وارس الحمرة: شديدها.
অর্থঃ লাল ওয়ারিস রংঃ এটা খুব গাঢ় লাল।
[১০১]
الورس: نبات کالسمسم اصفر یصبغ بہ و تتخذ منہ الغمر ۃ ای الز عفران.
অর্থঃ তীল গাছের মত এক প্রকার তঊ, যা দ্বারা হলুদ রং করা হয় এবং ঊখান ঊকে যাফরানী রং গ্রহণ করা হয়।
(৪) ‘আল্ মুনজিদ’ (উর্দূ) কিতাবে বর্ণিত আছে,
[১০২]
والورس من الثيا ب سرخ.
অর্থঃ কাপড়ের ঊঊ ওর্য়াস বলা হয় লাল ঊাশাককে।
(৫) ‘আফছাহ্ ফী ফিক্বহিল্ লুগাহ’ কিতাবের ১৭৪ পঊায় আছে,
[১০৩]
الورس.. قيل: البادرة الحد يث النبا ت و فى صبغها حمرة.
অর্থঃ (আল্ ওয়ারস) হচ্ছেঃ .......... কারো কারো মতেঃ হাদীছ শরীফে বর্ণিত ‘ওর্য়াস’ হচ্ছে এমন একপ্রকার তঊ, যার রংয়ের মধ্যে লাল রং মিসৃত আছে।
[১০৪]
قيل: هو اصفر خالص الصفرة
অর্থঃ ঊউ ঊউ বলেনঃ ‘ওয়ারস’ হচ্ছে হলুদ রংয়ের মধ্যে খাঁটি হলুদ রং।
(৬) ওয়াহীদুয্যামান-এর ঊখা ‘লুগাতুল্ হাদীছ’ ৪র্থ জিঃ ‘ওয়াও’ অধ্যায়ের ৩৮ পঊায় আছে,
[১০৫]
ورس. ایک گھاس ھے، وزردرنگ کی اس سے کپڑے رنگنے ھیں. بعضوں نے کھا ورس سرخ رنگ کو کھتے ھیں.
অর্থঃ ‘ওয়ারস্’ ঃ এক প্রকার ঘাস বা তঊ। ওয়ারস হচ্ছে হলুদ রং, যা দ্বারা কাপড় হলুদ করা হয়। অভিধান বিশারদগণের অনেকের মতে, লাল রংকেও ওয়ারস বলা হয়।”
উল্লিখিত ইবারত গুলো ঊকে প্রমাণিত হলো ঊ, ورس ‘ওয়ারসুন’ শব্দটি কাপড় বা ঊাশাকের ঊঊ ব্যবঊ হলে, এর অর্থ হয় লাল রং, গাঢ় লাল রং ও হলুদ রং। এটাই সঠিক মত।
(অসমাপ্ত)
0 Comments:
Post a Comment