পুরুষের জন্য লাল রংয়ের পোশাক ব্যবহার করা হারাম- পর্ব-৫


“হানাফী মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের ঊাশাক তথা রুমাল, পাগড়ী, ঊার্তা, লুঙ্গি, চাদর ইত্যাদি পরিধান বা ব্যবহার করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” ঊঊকরতে পারায় মহান আল্লাহ পাক-এর দরবারে অসংখ্য ঊরিয়া।

হানাফী মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের ঊাশাক তথা রুমাল, পাগড়ী, ঊার্তা, লুঙ্গি, চাদর ইত্যাদি পরিধান বা ব্যবহার করা হারাম ও তার
সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া ঊয়ার উঊশ্য
সুন্নতের পথিকঊ, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, দ্বীন ইসলামের নির্ভীক ঊনিক, সারা জাহান ঊকে কুফরী, শিরকী ও বিদ্য়াতের মূলোৎপাটনকারী, বাতিলের আতঙ্ক এবং আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদায় বিশ্বাসী একমাত্র দলীলভিত্তিক তাজদীদী মুখপত্র- মাসিক আল বাইয়্যিনাতপত্রিকায় এ যাবৎ যত ঊখা বা ফতওয়াই প্রকাশ বা পত্র¯ঊহয়েছে এবং ইনশাআল্লাহ হবে তার প্রতিটিরই উঊশ্য বা মাকছূদ খালিছ হক্ব মত-পথ তালাশ করা বা ছহীহ ও সুন্নতী আমলের মাধ্যমে আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ঊজামন্দি বা সন্তুিঊহাছিল করা। অর্থাৎ মাসিক আল বাইয়্যিনাতেএমন সব ঊখাই পত্র¯ঊ হয়, যা মানুষের ছহীহ আক্বীদা লাভ ও আমলসমূহ পরিঊ করণে বিশেষ সহায়ক।
প্রসঙ্গতঃ মাসিক আল বাইয়্যিনাতে’ “হানাফী মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের ঊাশাক তথা রুমাল, পাগড়ী, ঊার্তা, লুঙ্গি, চাদর ইত্যাদি পরিধান বা ব্যবহার করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” ঊয়ার মাকছুদ এবং উঊশ্যও ঠিক তাই।
স্মর্তব্য ঊ, মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কালামে পাকে সূরা মায়িদা৮২নং আয়াত শরীফে ইরশাদ করেন,
لتجدن اشد الناس عداوة للذين امنوا اليهود والذين اشر كوا.
অর্থঃ-“ঊামরা ঊামাদের সবচেয়ে বড় শত্রঊহিসেবে পাবে ইহুদীদেরকে। অতঃপর যারা মুশরিক তাদেরকে।
বিশেষতঃ বর্তমানে ইহুদীদের এজেন্ট হিসেবে মুসলমানদের ঈমান আমলের সবচেয়ে ঊশী ক্ষতি করছে যারা, তারা হলো- উলামায়ে ছু  উল্লেখ্য, ইহুদীদের এজেন্ট বাতিল মতাবলম্বী উলামায়ে ছূরা হারাম টিভি চ্যানেল, পত্র-পত্রিকা, কিতাবাদি ও বক্তব্য বা বিবৃতির মাধ্যমে একের পর এক হারামকে হালাল, হালালকে হারাম, জায়িযকে নাজায়িয, নাজায়িযকে জায়িয বলে প্রচার করছে।
ঊমন, তারা প্রচার করছে- ফরয নামাযের পর মুনাজাত করা বিদয়াত ও হারাম, নিয়ত করে রওযা শরীফ ও মাযার শরীফ যিয়ারত করা শিরক, কদমবুছী করা নাজায়িয ও শিরক, মাযহাব মানার ঊান প্রয়োজন ঊই, পীর-মুরীদী শরীয়ত বিরোধী প্রথা, ঈদে মীলাদুন্ নবী পালন করা বিদ্য়াত, মীলাদ ক্বিয়াম করা র্শিক-বিদ্য়াত। শবে বরাত পালন করা বিদ্য়াত। তারাবীহ নামায জরুরী ঊান নামায নয়, আট রাকায়াত তারাবীহ পড়লেই চলে ইত্যাদি ইত্যাদি। (নাঊযুবিল্লাহ)
অথচ উল্লিখিত প্রতিটি বিষয়ই কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ তথা শরীয়তসম্মত এবং তন্মধ্যে ঊানটা সুন্নত আবার ঊানটা  ফরয।
পক্ষান্তরে উলামায়ে ছূতথা দুনিয়াদার মাওলানারা ইসলামের নামে ছবি, ঊলিভিশন, সিনেমা, নাটক, ঊাবেল, হরতাল, ঊপর্দা হওয়া, নারী ঊতঊ¡ মানা, ঊাট ঊয়া, ঊাযা অবস্থায় ইনজেকশন ঊয়া, মহিলাদের  জামায়াতের জন্যে মসজিদে যাওয়া, মহিলাদের বাইরে ঊর হওয়ার সময় হাত ও মুখ ঊালা রাখা, হরতাল করা, লংমার্চ করা, গণতন্ত্র ও ঊাট-নির্বাচন করা, ব্লাসফেমী আইন চাওয়া, ঊৗলবাদী দাবী করা, কুশপুত্তলিকা দাহ করা, টিভি চ্যানেলে ঊ্রাগ্রাম বা অনুষ্ঠান করা ইত্যাদি নাজায়িয কাজগুলোকে জায়িয বলে প্রচার করছে। (নাঊযুবিল্লাহ) অর্থাৎ তাদের উঊশ্য হচ্ছে, মুসলমানদেরকে ইসলাম ঊকে সরিয়ে, ইবাদত ঊকে সরিয়ে অনৈসলামিক ও হারাম কাজে মশগুল করে দিয়ে ঊঈমান করে ঊয়া।
উল্লেখ্য, ইহুদীদের এজেন্ট, বাতিল মতাবলম্বী দাজ্জালে কায্যাব তথা উলামায়ে ছূরা উল্লিখিত বিষয়গুলোর ন্যায় লাল রংয়ের ঊাশাক বা রুমালসম্পর্কেও সমাজে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
তারা বিভিনঊপত্র-পত্রিকা, কিতাবাদী ও বক্তব্যের মাধ্যমে প্রচার করে ঊড়াচ্ছে ঊ, ‘পুরুষের জন্য লাল রংয়ের ঊাশাক পরিধান বা ব্যবহার করা জায়িয।’ (নাউযুবিল্লাহ)
অথচ অসংখ্য, নির্ভরযোগ্য ও অকাট্য দলীলের দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত ঊ, হানাফী মাযহাবের মুখতার বা গ্রহণযোগ্য ও ফতওয়াগ্রাহ্য মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের ঊাশাক পরিধান বা ব্যবহার করা হারাম তথা নিষিদ্ধ। অর্থাৎ সম্পূর্ণটা লাল হলে হারাম, অধিকাংশ লাল হলে মাকরূহ তাহরীমী ও কম লাল হলে মাকরূহ তানযীহী। আর ঊহেতু হানাফী মাযহাব মতে লাল রংয়ের ঊাশাক পরিধান করা পুরুষের জন্য হারাম। তাই এখন যারা তা পরিধান করবে তারা দায়িমীভাবেই হারাম কাজে লিপ্ত থাকবে। অর্থাৎ তারা হারাম কাজ করার গুণাহে গুণাহ্গার হবে। সাথে সাথে সাদা রংয়ের রুমাল ব্যবহার করা খাছ সুন্নতএ মহান সুন্নতের আমল ঊকে সম্পূর্ণ মাহরূম হয়ে যাবে। অথচ সুন্নতের ইত্তিবাই হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর খাছ ঊযামন্দী বা সন্তুিঊলাভের একমাত্র মাধ্যম।
অতএব, যারা লাল রংয়ের ঊাশাক বা রুমাল সম্পর্কে ভুল, মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর ফতওয়া দিয়ে মুসলমানদের ঈমান-আমল ধ্বংস করছে তাদের ঊই ঈমান-আমল বিধ্বংসী ফতওয়া ঊকে সাধারন মুসলমানদের ঈমান-আমল হিফাজতের লঊ ও লাল রুমাল সম্পর্কিত সঠিক ও দলীলভিত্তিক ফায়ছালা তুলে ধরার উঊশ্যেই মাসিক আল বাইয়্যিনাতে হানাফী মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের ঊাশাক তথা রুমাল, পাগড়ী, ঊার্তা, লুঙ্গি, চাদর ইত্যাদি পরিধান বা ব্যবহার করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” ঊয়া হলো। যাতে করে লাল রংয়ের ঊাশাক বা রুমাল সম্পর্কিত সঠিক ও দলীলভিত্তিক ফায়ছালা অবগত হয়ে ঊ অনুযায়ী আমল করে আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সন্তুিঊলাভ করতে পারে। সাথে সাথে যারা লাল রংয়ের ঊাশাক বা রুমাল নিয়ে বিভ্রান্তিতে রয়েছে তারা বিভ্রান্তি ঊকে ঊঁচে হক্বের উপর দায়িম-ক্বায়িম থাকতে পারে।
হানাফী মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের ঊাশাক নিষিদ্ধ হওয়ার প্রমাণ ও সিলেট খারিজী মাদ্রাসার তথাকথিত মুফতী!ছাহেবের মনগড়া বক্তব্যের খন্ডনমূলক জাওয়াব
আমাদের হানাফী মাযহাব মতে, পুরুষের জন্য সম্পূর্ণ বা অধিকাংশ লাল রংয়ের রুমাল বা কাপড় পরিধান করা হারাম ও মাকরূহ তাহরীমী, আর লালের ভাগ কম হলে মাকরূহ তানযীহী”- বাতিলের আতঙ্ক, যামানার তাজদীদী মুখপত্র মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর এ ফতওয়াই ছহীহ, গ্রহণযোগ্য, দলীলভিত্তিক ও কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসসম্মত।
বলার অপেক্ষাই রাখে না ঊ, মাসিক আল বাইয়্যিনাত ঊকে সংকলিত ফতওয়াটিই ছহীহ যা গ্রহণযোগ্য, দলীলভিত্তিক। অর্থাৎ কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসসম্মত। কারণ  উক্ত ফতওয়ায় নিজস্ব ঊান মত ঊশ করা হয়নি। বরং মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর বক্তব্যই হুবঊসংকলন করা হয়েছে মাত্র।
পক্ষান্তরে সিলেট কাসেমুল উলূম খারিজী মাদ্রাসার তথাকথিত মুফতী (!) লাল রংসম্পর্কিত উক্ত ফতওয়াটি খণ্ডন করতে গিয়ে ঊ বক্তব্য ঊশ করেছে তা সম্পূর্ণরূপে অঊ, বিভ্রান্তিকর, দলীলবিহীন ও জিহালতপূর্ণ হয়েছে।
কথিত মুফতী ছাহেব ঊত্র বিশেষে নিজের মনগড়া মতকে ছাবেত করার লঊ্য ঊান ঊান হাদীছ শরীফ ও কিতাবের ইবারতের মনগড়া ও ভুল তরজমা ও ব্যাখ্যা দিয়েছে। অর্থাৎ তথাকথিত উক্ত মুফতী ছাহেব তার উক্ত ফতওয়ার মাধ্যমে ঊাকা ও প্রতারণার চরম দঊান্ত স্থাপন করেছে।
মূলত: তথাকথিত উক্ত খারিজী মুফতী (!) ছাহেব লাল রং সম্পর্কিত আরবী শঊর সঠিক অর্থ ও তাহক্বীক্ব সম্পর্কে অবগত না হওয়ার কারণে এবং হাদীছ শরীফ ও কিতাবের ইবারতসমূহের সঠিক ব্যাখ্যা ও মর্ম অনুধাবনে ব্যর্থ হওয়ার কারণেই লাল রং সম্পর্কে এরূপ অঊ ও বিভ্রান্তিকর ফতওয়া প্রদান করেছে এবং আল বাইয়্যিনাতে প্রদত্ত লাল রং সম্পর্কিত ছহীহ ও দলীলভিত্তিক ফতওয়াটি ঊয়ঙ্গম করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের ৩য় বক্তব্য
সিলেট খারেজী মাদ্রাসার তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব লাল কাপড়কে জায়িয করতে গিয়ে আবূ দাউদ শরীফেরব্যাখ্যা গ্রন্থ বযলুল মাজহুদ”-এর নিম্নোক্ত ইবারতখানা উল্লেখ করেছে।
وقع فى هذا الحديث الا حمران مطلقا من غير قيد المعصفر، فيحمل على القيد بالمعصفر، لانه ما صبغ بالحمرة غير المعصفر فلا باس به لما سياتى. بذل المجهود: 5/49
অর্থাৎ (আব্দুল্লাহ বিন আমর রাঃ) এর অত্র হাদীসে ঊবল احمران শঊএসেছে। উছফুর দ্বারা রঞ্জিত বলা হয় নাই। তবে অত্র احمران দ্বারা উছফুর দ্বারা রঞ্জিতই উঊশ্য। ঊননা উছফুর ব্যতীত অন্য লাল দ্বারা রঞ্জিত কাপড় পরিধান করতে ঊান আপত্তি ঊই। যার কারণ সামনে আসছে। (বুযলুল্ মাজহুদ ৫/৪৯)
তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের
৩য় বক্তব্যের খণ্ডনমুলক জবাব
সিলেট খারেজী মাদ্রাসার তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব নিজ বাতিল মতকে ছাবেত করার লঊ অর্থাৎ লাল কাপড়কে জায়িয করার উঊশ্যে ঊৗলভী খলীল আহমদ সাহারানপূরীর বযলুল মাজহুদ” ঊকে ঊ ইবারতখানা উল্লেখ করেছে তা দলীল হিসেবে ঊাটেও গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ উক্ত ইবারতের প্রথম অংশ-
[২৩২]
وقع فى هذا الحديث الا حمران مطلقا من غير قيد المعصفر
অর্থাৎ এ হাদীছ শরীফে দুটি লাল কাপড় পরিধানের নিষেধাজ্ঞা মুয়াছফার তথা উছফুর রং মিশানোর শর্ত ছাড়াই এসেছে।
এ অংশটুকু সঠিক ও গ্রহণযোগ্য হলেও দ্বিতীয় অংশ -
[২৩৩]
فيحمل على القيد بالمعصفر، لا نه ما صبغ بالحمرة غير المعصفر فلا باس به لما سيا تى. بذل المجهود: 5/49
এ অংশটুকু সঠিক বা গ্রহনযোগ্য নয়। ঊননা এটা সম্পূর্ণরূপেই খলীল আহমদ সাহারানপুরীর ব্যক্তিগত মত। যা হানাফী মাযহাবের নির্ভরযোগ্য ও গ্রহনযোগ্য মতের খিলাফ। অর্থাৎ হানাফী মাযহাবের গ্রহনযোগ্য বা মুখতার মত হলো উছফুরের শর্ত ছাড়াই মুতলাকান লাল রংয়ের কাপড় পুরুষের জন্য মাকরুহ তাহরীমী, যা অসংখ্য নির্ভরযোগ্য কিতাবে উল্লেখ রয়েছে।
ঊমন এ প্রসঊ আবূ দাঊদ শরীফ’-এর ২য় জিঃ ২০৮ পঊার ২নং হাশিয়ায় উল্লেখ আছে,
[২৩৪-২৩৫]
قوله ثوبان احمران الخ قد وقع فى هذا الحديث الا حمران مطلقا من غير قيد المعصفر.
অর্থঃ- দুটি লাল কাপড়এ হাদীছ শরীফে দুটি লাল কাপড়পরিধানের নিষেধাজ্ঞা মুয়াছ্ফারতথা উছফুর রং মিশানোর শর্ত ছাড়াই মুতলাকানএসেছে। (অনুরূপ আশয়াতুল লুময়াতকিতাবে আছে) উক্ত কিতাবের উক্ত স্থানে আরো উল্লেখ আছে,
[২৩৬-২৩৭]
والمختارمن المذهب ان الكر اهة انما هى لا جل اللون لا لمعصفر بخصوصه. كذا حققه الشيخ قا سم الحنفى احد اعاظم علماء مصر من المتا خرين معاصر الشيخ ابن حخر العسقلانى 12 لمعات.
অর্থঃ- আমাদের হানাফী মাযহাবের মুখতারতথা গ্রহণযোগ্য মতে; লাল ঊাশাক মাকরূহ তাহরীমী, ইহা লাল রংয়ের কারণে, খাছভাবে উছফুর রং মিশানোর সাথে শর্তযুক্ত নয়। অনুরূপ তাহক্বীক্ব করে ফয়সালা দিয়েছেন আল্লামা শাইখ ক্বাসিম আল হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি। যিনি উলামায়ে মুতায়াখ্খিরীনগণের মধ্যে মিশর এলাকার একজন উচ্চ দরজার আলিম ছিলেন। যিনি আল্লামা শাইখ ইবনে হাজার আসক্বালানী (শাফিয়ী) রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর সমসাময়িক ছিলেন। লুময়াতকিতাবে ইহা বর্ণিত আছে।
সিলেটের তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব ঊই বযলুল মাজহুদকে”  পুঁজি করে লাল কাপড়কে জায়িয প্রমাণ করার অপচেষ্টা করেছে ঊই বযলুল মাজহুদ’-এরই ৬ঊজিঃ ৪৯ পঊায় উল্লেখ আছে,
[২৩৮]
وعند الا خرين مطلق الحمرةسواء كان من العصفر اوغيره مكروه.
অর্থঃ- অপরাপর সকল উলামায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের মতে, মুতলাক বা সাধারণভাবে সকল প্রকার লাল ঊাশাক পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী চাই তা উছফুর মিশানো ছাড়া বা ব্যতীত লাল ঊাক।
মিশকাত শরীফের শরাহ আশয়াতুল লুময়াত৩য় জিঃ ৫৪৯ পঊায় উল্লেখ আছে,
[২৩৯]
احمر درين حدين مطلق واقع شده مقيد بمعصفر ته.
অর্থঃ দুটি লাল কাপড়এ হাদীছ শরীফে দুটি লাল কাপড়পরিধানের নিষেধাজ্ঞা মুয়াছফার তথা উছফুর রং মিশানোর শর্ত ছাড়াই মুতলাকান এসেছে।
মিশকাত শরীফের শরাহ আশয়াতুল্ লুময়াত৩য় জিঃ ৫৪২ পঊায় উল্লেখ আছে,
[২৪০]
ومختار درمذہب حنفی کراہت  تحریمی ست ونماز  گزاردن بان مکروہ و در رنگ سرخ از غیر معصفر نیز خلاف ست وشیخ قاسم حنفی کہ ازاعاظم علاے  متا خرین مصر واستاد قسطلانی ست تحقیق نمودہ وفتوی دادہ کہ حرمت ازبھت لون ست نہ صبغ پس ھر سرخ حرام ومکروہ باشد.
অর্থঃ হানাফী মাযহাবের মুখতার তথা অধিক গ্রহণযোগ্য মতে লাল কাপড় পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী। নামাযেও পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী। লাল রং উছফুর মিশানোর শর্ত ছাড়াই হারাম। আল্লামা শাইখ ক্বাসিম হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি। যিনি উলামায়ে মুতায়াখ্খিরীনগণের মধ্যে মিশর এলাকার একজন উচ্চ দরজার আলিম ছিলেন এবং কুস্তালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর উস্তায ছিলেন তিনি তাহক্বীক্ব করে ফতওয়া দিয়েছেন ঊ, লাল কাপড় পুরুষের জন্য হারাম বা নিষিদ্ধ। তা লাল রংয়ের কারণেই উছফুর মিশানোর কারণে নয়। সুতরাং প্রত্যেক লাল রংই হারাম ও মাকরুহ তারীমীর অন্তর্ভূক্ত।
লক্ষ্য করুন! ইবারতগুলোতে উছফুর মিশানোর শর্ত ছাড়াই লাল রংকে নিষেধের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাই ইলম ও আক্বলের অভাবে মুফতী ছাহেব বযলুল মাজহুদের ইবারত তুলে ধরে ঊ বিষয়টি প্রমাণ করতে ঊয়েছিল তা ভুল বলে প্রমাণিত হলো। আর দুএকটা চটি ঊসালা ও নিজ সিলসিলার কিতাব পড়ে ফতওয়া দিলে ভুল হওয়াটাই স্বাভাবিক।
আরো লক্ষ করুন! ثوبان احمرانসম্পর্কিত হাদীছ শরীফের ব্যাখ্যায় সমস্ত ইমাম মুজতাহিদ উছফুরের শর্ত ছাড়াই আমভাবে সকল প্রকার লাল রংকে অর্থাৎ পুরা লাল রংকে হারাম বলেছেন। নীচের ইবারত গুলো লক্ষ্য করুন এবং বুঝুন।
আবূ দাঊদ শরীফ’-এর ২য় জিঃ ২০৮ পঊার ২নং হাশিয়ায় উল্লেখ আছে,
[২৪১]
وقال على القارى فى المر قاة فهذا اى قوله صلى الله عليه وسلم فلم يرد عليه دليل صريح على تحريم لبس الثوب الا حمر للرجال. وعلى ان مر تكب المنهى حال التسليم لا يستحق الجواب والتسليم. وروى الطبرانى عن عمران ابن حصين مر فو عا اياكم والحمرة فا نها احب الزينة الى الشيطان.
অর্থঃ হযরত আল্লামা মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর লিখা মিশকাত শরীফের শরাহ মিরক্বাত শরীফেবলেছেন, “হুযূর পাক ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বাণীঃ তিনি লাল ঊাশাক পরিহিত ব্যক্তির সালামের জাওয়াব ঊননি।এই হাদীছ শরীফখানা এই মাসয়ালার স্পষ্ট নির্ভরযোগ্য দলীল। মাসয়ালা হচ্ছে, পুরুষদের জন্য লাল কাপড় পরিধান করা হারাম। নিশ্চয়ই সালামের সময় হারাম কাজে মশগুল ব্যক্তি সালামের জাওয়াব পাওয়ার ও সালাম পাওয়ার হক্বদার নয়। হযরত ইমাম ত্ববারানী রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত ইমরান ইবনে হুছাইন রদ্বিয়াল্লাঊতায়ালা আনঊঊকে মারফুসনদে বর্ণনা করেছেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ঊামরা লাল রং ঊকে ঊঁচে থাক। ঊননা নিশ্চয়ই ইহা শয়তানের কাছে অধিক পছন্দনীয় ঊাশাক।
তুহফাতুল আহওয়াযী৮ম জিঃ ৯১ পঊায় উল্লেখ আছে,
[২৪২-২৪৩]
احتج بهذا الحد يث القا ئلون بكراهة لبس الا حمر.
অর্থঃ- এই হাদীছ শরীফকে ভিত্তি করে উলামায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ ফতওয়া দিয়েছেন ঊ, লাল কাপড় পরিধান করা মাকরূহে তাহরীমী। (অনুরূপ নাইলুল আওতার’-এ আছে)
আবূ দাঊদ শরীফের শরাহ আউনুল মাবুদ’-এর ৪র্থ জিঃ ৯২ পঊায় উল্লেখ আছে,
[২৪৪]
احتج بهذا الحد يث القا ئلون بكراهة لبس الا حمر.
অর্থঃ- এই হাদীছ শরীফকে ভিত্তি করে উলামায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ ফতওয়া দিয়েছেন ঊ, লাল কাপড় পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী।
আবূ দাঊদ শরীফের শরাহ বযলুল মাজহুদ৬ঊজিঃ ৪৯ পঊায় উল্লেখ আছে,
[২৪৫]
وعلى ان للرجال لبس الا حمر على تحر يم صريح، وهذا دليل.
অর্থঃ- আর এরই উপর ফতওয়া ঊ, নিশ্চয়ই পুরুষদের জন্য লাল ঊাশাক পরিধান করা ষ্পষ্ট হারাম। অত্র হাদীছ শরীফখানাই তার দলীল।
মিশকাত শরীফের শরাহ আত্ তালীকুছ ছবীহ৪র্থ জিঃ ৩৯১ পঊায় বর্ণিত আছে,
[২৪৬]
هذ ا الحديث دليل صريح على تحريم لبس الثوب الاحمر للر جال.
অর্থঃ এ হাদীছ শরীফখানা এ মাসয়ালার স্পষ্ট দলীল ঊ, পুরুষের জন্য লাল কাপড় পরিধান করা হারাম।
মিশকাত শরীফের শরাহ মিরক্বাত শরীফ৮ম জিঃ ২৫৭, ২৫৮ পঊায় উল্লেখ আছে,
[২৪৭]
فهذا دليل صريح على تحريم لبس الثوب الا حمر للر جال.
অর্থঃ এ হাদীছ শরীফখানা এ মাসয়ালার স্পষ্ট দলীল ঊ, পুরুষের জন্য লাল ঊাশাক (কাপড়) হারাম।
মুসলিম শরীফের শরাহ শরহুল্ উবাই ওয়াস্ সিনূসী৭ম জিঃ ২২৫ পঊায় উল্লেখ আছে,
[২৪৮]
وكره بعضهم جميع الوان الحمرة.
অর্থঃ উলামায়ে কিরামগণের অনেকেই সকল প্রকার লাল রংকে মাকরূহ তাহরীমী বলেছেন।
মুসিলম শরীফের শরাহ আল মুফহিম৫ম জিঃ ৩৯৯ পঊায় উল্লেখ আছে,
[২৪৯]
وكره بعض اهل العلم جميع الوان الحمرة.
অর্থঃ অধিকাংশ উলামায়ে কিরামগণ সকল প্রকার লাল রংকে মাকরূহ তাহরীমী বলেছেন।
উপরোল্লিখিত ইবারতগুলোতে উছফুর মিশানোর শর্ত ছাড়াই আমভাবে সকল প্রকার احمر তথা লাল রংকে হারাম ও মাকরূহ তাহরীমী ফওতয়া ঊয়া হয়েছে। চাই তা ঊু লাল রং ঊাক অথবা উছফুর মিশানো লাল রং ঊাক, ঊু উছফুর লাল রং বা কুসুম লাল রং ঊাক, ঊালাপী লাল রং ঊাক, যাফরানী লাল রং ঊাক, ওয়ারস্ লাল রং ঊাক তথা ঊ ঊান লাল রং হলেই তা হারাম। অর্থাৎ কাপড়টি নিরেট লাল রং হলে হারাম, কাপড়টির অধিকাংশ লাল রং হলে মাকরূহ তাহরীমী এবং অঊলাল রং মিশানো হলে মাকরূহ তানযীহী।
অতএব, তথাকথিত মুফতী ছাহেব ঊ বযলুল মাজহুদেরবরাতে ঊু উছফুর মিশানো লাল রং নিষেধ আর অন্যান্য লালকে জায়িয বলেছে, তা মিথ্যা ও  ভুল প্রমাণিত হল। প্রকঊপঊ ঊ তার স্বগোত্রীয়দের ঊাষ ঢাকার জন্য ঊাঁকা দিয়েছে ও মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে। কুরআন শরীফে রয়েছে মিথ্যাবাদী মালউন অর্থাৎ লানতপ্রাপ্ত যা শয়তানের ঊশিষ্ট্য।
তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের ৪র্থ বক্তব্য
সিলেট খারেজী মাদ্রাসার তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব নিজের বাতিল মতের স্বপঊ অতঃপর ঊ দলীল ঊশ করেছে তা হলো হাদীছ শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ ফতহুল বারী’-এর নিম্নোক্ত ইবারত।
বুখারী শরীফের শরাহ ফতহুল বারীকিতাবুল লিবাস বাবুছ ছাওবিল আহমার১০ম জিঃ ৩০৬ পঊায় উল্লেখ আছে,
تخصيص المنع بالثوب الذى يصبغ كله، واماما فيه لون اخر غير الا حمر من بيا ض وسواد وغيرها فلا، وعلى ذلك تحمل الا حاديث الواردة فى الحلة الحمراء فان الحلل اليما نية غالبا تكون ذات خطوط حمر وغيرها.
তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের
৪র্থ বক্তব্যের খণ্ডনমূলক জবাবঃ
তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব ফতহুল বারীর” ঊ ইবারতখানা নিজ মতের স্বপঊ দলীল হিসেবে উল্লেখ করেছে তা দ্বারা মূলত লাল কাপড় কখনোই জায়িয প্রমাণিত হয় না। বরং উক্ত ইবারত দ্বারাই প্রমাণিত হয় ঊ, লাল রংয়ের কাপড় পরিধান করা নিষেধ বা হারাম। তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব উক্ত ইবারতের মর্মার্থ সঠিকভাবে বুঝতে না পারার কারণেই এ ব্যাপারে বিভ্রান্তিতে পড়েছে। তাই নিমেঊউক্ত ইবারতের সঠিক অর্থ ও ব্যাখ্যা তুলে ধরা হলো।
বুখারী শরীফের শরাহ ফতহুল বারীকিতাবুল লিবাস বাবুছ ছাওবিল আহমার১০ম জিঃ ৩০৬ পঊায় উল্লেখ আছে,
[২৫০]
تخصيص المنع بالثوب الذى يصبغ كله، واما ما فيه لون اخر غير الا حمر من بياض وسواد وغيرها فلا، وعلى ذلك تحمل الا حاديث الواردة فى الحلة الحمراء فان الحلل اليما نية غالبا تكون ذات خطوط حمر و غيرها.
অর্থঃ বিশেষ করে নিষেধ ঊবল ঐ কাপড়, যার পুরাটিই লাল রংয়ে রঞ্জিত। অতঃপর ঊ কাপড়ে আহমার ছাড়া সাদা, কালো ও অন্যান্য রং থাকে তা নিষেধ নয়। হাদীছ শরীফে বর্ণিত حلة حمراء (হুল্লাতুন হামরা) দ্বারা এটাই উঊশ্য।  ঊননা ইয়ামানী চাদরগুলো অধিকাংশ ঊঊই আহমার ও অন্যান্য রংয়ের ঊখাবিশিঊহয়ে থাকে।
স্মর্তব্য ঊ, حلة حمراء (হুল্লাতুন হামরা) ঊ লাল রংয়ের নয়, তা ফতহুল্ বারীর নিম্নোক্ত ইবারত দ্বারাও সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়।
[২৫১]
قال ابن القيم: كان بعض العلماء يلبس ثو با مشبعا بالحمرة يز عم انه يتبع السنة، وهو غلظ. فان الحلة الحمراءمن برود اليمن والبردلا يصبغ احمر صر فا.
অর্থঃ আল্লামা ইবনুল ক্বাইয়্যুম বলেন, অনেক (দুনিয়াদার) আলিম সম্পূর্ণ লাল রংয়ের ঊাশাক পরিধান  করে ধারণা করে থাকে ঊ, ইহা সুন্নাতের অনুসরণ, আসলে এ ধারণা গলদ বা অঊ। ঊননা, হুল্লাতুন্ হামরা হচ্ছে ইয়ামানী ঊাশাক। আর ইয়ামানী ঊাশাক কখনো সম্পূর্ণ লাল রংয়ের হয়না। অর্থাৎ তা গন্ধম রংয়ের ঊাশাক। যাতে আহমার ও অন্যান্য রংয়ের ঊখা থাকে মাত্র।
[২৫২]
وحملوا الاحاديث التى تدل على لبس النبى صلى الله عليه وسلم الثوب الاحمر على انه كان مخططا بخطوط حمر، ولم يكن احمر بحتا.
অর্থঃ ঊ সকল হাদীছ শরীফ দ্বারা হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম الثوب الاحمر পরিধানের বিষয়টি প্রমাণীত হয়, ইহা দ্বারা গন্ধম বা ঊানালী রংয়ের ঊখা বিশিঊঊাশাক উঊশ্য। ইহা দ্বারা খাঁটি লালকে বুঝানো হয়নি। (অনুরূপ ফতহুল্ মুলহিম লিশ্ শিব্বীর আহমদ উছমানী কিতাবেও বর্ণিত আছে)
উক্ত হাদীছ শরীফের ব্যাখ্যায় তিরমিযী শরীফের শরাহ তুহফাতুল আহওয়াযী’  ৫ম জিঃ ৩৯০, ৩৯১, ৩৯২, ৩৯৩, ৩৯৪ পঊায় উল্লেখ আছে,
[২৫৩]
قال ابن همام: الحلة الحمراء عبارة ثو بين من اليمن فيها خطوط حمر وخضر لا انه ا حمر بحت.
অর্থঃ হযরত ইবনু হুমাম রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, حلة حمراء বলে ইয়ামানী দুটি কাপড় (ইযার ও চাদর)কে যাতে গন্ধম রং ও সবুজ রংয়ের ঊারাকাটা থাকে। যা খাঁটি লাল নয়।      
উপরোক্ত দলীল ভিত্তিক আলোচনা দ্বারা প্রথমতঃ প্রমাণিত হলো ঊ, তথাকথিত মুফতী(!) ছাহেব তার বক্তব্যের স্বপঊ দলীল হিসেবে ফতহুল বারীর” ঊ ইবারত উল্লেখ করেছে, তা দ্বারা কখনোই লাল রংয়ের কাপড় পরিধান জায়িয প্রমাণিত হয়না, বরং তার উল্লিখিত ইবারতেই সুস্পষ্টভাবেই উল্লেখ আছে ঊ, "يصبغ كله" অর্থাৎ পরিপূর্ণ লাল রংয়ের কাপড় পরিধান করা নিষেধ বা হারাম। আরো প্রমাণিত হলো ঊ, “হুল্লাতুন হামরালাল রংয়ের ছিল না। বরং গন্ধম রংয়ের ছিল। যাতে আহমার বা ঊানালী ও অন্যান্য রংয়ের ঊখা ছিল। দ্বিতীয়তঃ তথাকথিত মুফতী ছাহেব, “ফতহুল বারীরউক্ত ইবারত উল্লেখ করে এটাই স্বীকার করে নিল ঊ, উছফুর মিশানো ছাড়াই লাল রংয়ের কাপড় পরিধান করা নিষেধ বা হারাম। ঊননা উক্ত ইবারতে উছফুর মিশানো ছাড়াই লাল রংকে নিষেধ করা হয়েছে। আর তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবও তা দলীল হিসেবে ঊনে নিয়েছে। মূলতঃ তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব ইল্ম ও আক্বলের অভাবে কিতাবের ইবারতের সঠিক অর্থ ও ব্যাখ্যা বুঝতে না ঊরে ভুল, মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর ফতওয়া দিয়েছে।
তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের ৫ম বক্তব্য
সিলেট খারিজী মাদ্রাসার তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব তার বাতিল ও মনগড়া মতটিকে ছাবেত করতে গিয়ে একবারেই দিশেহারা হয়ে ঊছে। তাই ঊ একবার বলছে সব লাল হারাম নয় বরং উছফুর মিশানো লাল হারাম। আবার বলছে পরিপূর্ণ লাল হলে হারাম অন্য রং মিশ্রিত থাকলে হারাম নয়। আর এবার বলছে যে কাপড়টি বুনার পর লাল রং করা হয়েছে ঊই লাল রংয়ের কাপড় পুরুষের জন্য নিষেধ। আর ঊ কাপড় বুনার পূর্বে লাল রং করা হয়েছে তা নিষেধ নয়।” ঊ তার এমতের স্বপঊ দলীল হিসেবে খাত্তাবীর মায়ালিমুস সুনানকিতাবের নিম্নোক্ত ইবারাত উল্লেখ করেছে।
كا نه ذ لك منصر فا الى ما صبغ منه الثياب بعد النسج فا ما ما صبغ غزله ثم نسج فغير دا خل فى النهى (معالم السنن: 4/193)
অর্থাৎ লাল রং-এর কাপড় পুরুষদের জন্য নিষেধ বলতে ঐ কাপড় উঊশ্য ঊ কাপড়টি বুনার পর (উসফুর দ্বারা) রঙানো হয়েছে। আর ঊ কাপড় বুনার পূর্বে সুতায় রং লাগানো হয় তারপর কাপড় বুনা হয়, ঐ লাল কাপড় নিষেধের আওতাধীন নয়। মায়ালিমুস্ সুনানঃ ৪/১৯৩।
তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের
৫ম বক্তব্যের খণ্ডনমূলক জবাব
তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের এলোমেলো বক্তব্য এটাই প্রমাণ করে ঊ, আসলে তার ফতওয়া বা বক্তব্যের মূলে ঊানই ভিত্তি ঊই। আর তাই ঊ নিজের মতের স্বপঊ অনির্ভরযোগ্য কিতাব ঊকে অনির্ভরযোগ্য ব্যক্তিদের মনগড়া দলীলবিহীন সমালোচিত ও পরিত্যাজ্য বক্তব্য দলীল হিসেবে দাড় করাতে ঊয়েছে। তার একটি উজ্জ্বল প্রমাণ হচ্ছে খত্তাবীরউপরোক্ত বক্তব্যকে দলীল হিসেবে ঊশ করা।
খাত্তাবীর উপরোক্ত বক্তব্য একাধিক কারণে দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। প্রথমতঃ খাত্তাবীর উপরোক্ত বক্তব্যের পিছনে নির্ভরযোগ্য ঊান দলীল পাওয়া যায়না। এটা একান্তই খাত্তাবীর ব্যক্তিগত অভিমত। এটা গ্রহনযোগ্য বা মুখতার মত নয়। সুতরাং এরূপ একটি মতকে দলীল হিসেবে ঊশ করা জিহালতের বহিঃপ্রকাশ ঊ কিছুই নয়।
দ্বিতীয়তঃ অনুস্মরনীয় ইমাম মুজতাহিদ তথা উলামায়ে কিরামগণ খাত্তাবীর উক্ত বক্তব্যের সমালোচনা করে তাদের লিখিত নির্ভরযোগ্য কিতাবে খাত্তাবীর উপরোক্ত বক্তব্যকে বাতিল ফিরক্বা খারেজীদের মত বলে তা প্রত্যাখান করেন। ঊমন এ প্রসঊ সর্বজন মান্য ও অনুসরণীয় বিখ্যাত মুহাদ্দিছ ও ফক্বীহ ইমাম মুল্লা আলী ক্বারী হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর নির্ভরযোগ্য কিতাব মিরকাত শরীফের৮ম জিঃ ২৪০ পঊায় লিখেন,
[২৫৪]
وقال الخطا بى النهى ينصرف الى ما صبغ بعد النسج فاماما صبغ غزله ثم نسج فليس بدا خل فى النهى. قلت وهذا يحتاج الى دليل خارجى.
অর্থঃ খাত্তাবী বলেন, কাপড় বুনানোর পর লাল রং করলে তা পরিধান করা নিষেধ। কিন্তু যদি আগে সুতায় রং লাগিয়ে এরপর বুনানো হয় তাহলে তা পরিধান করা নিষেধ নয়। হযরত মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমি বলিঃ খাত্তাবীর এ উক্তিটি বাতিল ফিরক্বা খারিজীদের স্বপঊ দলীল।
তারই লিখিত শামায়িলুত্ তিরমিযী শরীফের শরাহ জামউল্ ওয়াসায়িল১ম জিঃ ১৪১ পঊায় উল্লেখ আছে,
[২৫৫]
وحمله البيهقى على ما صبغ بعد النسج واما صبغ غزله ثم نسج فلا كر اهة فيه، والظاهر انه لا فرق بينهما لا نه ز ينة الشيطان.
অর্থঃ- ইমাম বাইহাক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি ব্যাখ্যা করেছেন, কাপড় বুনানোর পর যদি লাল রং লাগানো হয় তাহলে মাকরূহ তাহরীমী। আর যদি আগে সুতায় লাল রং লাগিয়ে এরপর বুনানো হয়, তাহলে তা মাকরূহ তাহরীমী নয়। প্রকাশ্য গ্রহণযোগ্য কথা হল, লাল রং বুনানোর আগে ও পরে লাগানোর ব্যাপারে হুকুমের ঊান পার্থক্য ঊই। অর্থাৎ সর্বাবস্থায়ই লাল রং হারাম ও মাকরূহ তাহরীমী। ঊননা লাল রং শয়তানের সাজসজ্জা।
ইমাম বাইহাক্বী ও মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহিমা-এর উপরোক্ত বক্তব্য বা লিখনী দ্বারা অকাট্যভাবেই প্রমাণিত হলো ঊ, খাত্তাবীর উল্লিখিত মতটি বাতিল বা পরিত্যাজ্য। কারণ এটা খারেজী ফিরক্বার মত। কাপড় বুনার আগে বা পরে ঊ ঊান অবস্থায় লাল রং মিশ্রিত করুক না ঊন সর্বাবস্থায়ই লাল রংয়ের কাপড় পুরুষের জন্য নিষিদ্ধ বা হারাম ও মাকরূহ তাহরীমী। সুতরাং তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের ৫ম বক্তব্যও ভুল, মনগড়া ও দলীলবিহীন প্রমাণিত হলো।
তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের ৬ঊবক্তব্য
সিলেট খারেজী মাদরাসার তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের আরেকটি মনগড়া, উদ্ভট, কাúনক ও জিহালতপূর্ণ বক্তব্য হলো পরস্পর বিরোধী হাদীসের মধ্যকার সংঘর্ষ নিরসনের আরেকটি পন্থা হল ترجيح একটিকে প্রাধান্য ঊয়া। লাল ঊাষাক সংক্রান্ত হাদীসগুলির মধ্যে  ترجيهএর পন্থা গ্রহণ করলে লাল রং-এর ঊাষাক পরিধান করার হাদীস গুলি প্রাধান্য পাবে। ঊননা বিপঊর হাদীসটি সনদের দিক ঊকে দূর্বল।তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব তার উক্ত উদ্ভট ও কাúনক বক্তব্যের স্বপঊ অবশ্য সুনানে আবি দাউদ”, ফাতহুল বারী, উমদাতুল ক্বারী ও আওনুল মাবুদ ঊকে কতিপয় ইবারত উল্লেখ করেছে।
তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের
৬ঊবক্তব্যের খণ্ডনমূলক জবাব
সিলেট খারিজী  মাদরাসার তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব তারজীহএর প্রসঙ্গ ঊনে এটাই বুঝাতে ঊয়েছে ঊ, হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর রদ্বিয়াল্লাঊতায়ালা আনঊ ও হযরত বারা ইবনে আযিব রদ্বিয়াল্লাঊতায়ালা আনঊবর্ণিত হাদীছের মধ্যে সংঘর্ষ বা দ্বন্দ্ব রয়েছে। অথচ সত্যিকার অর্থে উক্ত হাদীছ শরীফ দ্বয়ের মধ্যে ঊানই দ্বন্দ্ব বা সংঘর্ষ ঊই। মাযহাবী ফায়ছালা সম্পর্কে অজ্ঞ হওয়ার কারণেই তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব এ ব্যাপারে মনগড়া ও কাúনক বক্তব্য ঊশ করেছে।
আমাদের হানাফী মাযহাবে লাল রং পুরুষের জন্য হারাম তা ঊ ধরনের লালই ঊাকনা ঊন। হানাফী ইমামগণ লাল রং হারাম হওয়ার ঊঊ হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর রদ্বিয়াল্লাঊতায়ালা আনঊএর হাদীছ শরীফকে দলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন। আর হযরত বারা ইবনে আযিব রদ্বিয়াল্লাঊতায়ালা আনঊবর্ণিত حلة حمراء সংক্রান্ত হাদীছ শরীফকে তাবীলী অর্থে গ্রহণ করেছেন। ঊমন, মিশকাত শরীফের শরাহ মিরকাত শরীফ ৮ম জিঃ ২৪৩ পঊায় হযরত মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি লিখেন,
[২৫৬]
قلت: هو مؤول عند ا بى حنيفة واصحا به با نها منسوجة بخطوط حمر كما هو شان البرود اليما نية.
অর্থঃ আমি বলিঃ ইমামে আযম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং তাঁর অনুসারীগণের মতেحلة حمراء  সংক্রান্ত হাদীছ শরীফ খানা ব্যাখ্যা সাপেক্ষ। ঊননা তা গন্ধম রংয়ের নকশী করা হয়ে থাকে। ইহাই ইয়ামানী ঊাশাকের বিশেষ ঊশিষ্ট।
উক্ত হাদীছ শরীফের ব্যাখ্যায় বুখারী শরীফ১ম জিঃ ৫৪ পঊার ১০নং হাশিয়ায় উল্লেখ আছে,
[২৫৭]
قال فى الفتح يشير ذلك الى الجواز. والخلاف فى ذلك مع الحنفية فا نهم قالوايكره وتاولواحديث الباب.
অর্থঃ হযরত ইবনে হাজার আসক্বালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর ফতহুল্ বারীকিতাবে লিখেন, এই হাদীছ শরীফ ইঙ্গিত করে লাল ঊাশাক জায়িযের ব্যাপারে (ইহা শাফিয়ী মাযহাবের মত) এতে হানাফীগণের বিপরীত মত রয়েছে, তাঁরা বলেন, লাল ঊাশাক পুরুষদের জন্য মাকরূহ তাহরীমী। হানাফীগণ অত্র বাবের حلة حمراء হাদীছ শরীফখানার ব্যাখ্যামূলক অর্থ করেন। অর্থাৎ حلة حمراء অর্থ হল গন্ধম বা ঊানালী রংয়ের একজোড়া ঊাশাক।
উক্ত হাদীছ শরীফের ব্যাখ্যায় বুখারী শরীফের শরাহ ফতহুল বারী১ম জিঃ ৪৮৫ পঊায় উল্লেখ আছে,
[২৫৮-২৫৯]
يشير الى الجواز، والخلاف فى ذلك مع الحنفية فا نهم قالوا يكره وتاو لوا حد يث الباب با نهم كا نت حلة من برود فيها خطوط حمر، ومن ادلتهم ما اخرجه ابو داؤد من حديت عبد الله بن عمرو قال مر بالنبى صلى الله عليه وسلم رجل وعليه ثوبان احمران فسلم عليه فلم يرد عليه.
অর্থঃ- এই হাদীছ শরীফ লাল ঊাশাক জায়িযের ব্যাপারে ইঙ্গিত করে (এটা শাফিয়ী মাযহাবের মত) এতে হানাফীগণের বিপরীত মত রয়েছে, ঊননা তাঁরা বলেন, লাল ঊাশাক পুরুষদের জন্য মাকরূহ তাহরীমী। তাঁরা অত্র হাদীছ শরীফের ব্যাখ্যা করেন ঊ, حلة এমন ঊাশাক যাতে গন্ধম বা ঊানালী রংয়ের নক্শা থাকে।
তাঁদের (হানাফীগণের) দলীল হচ্ছে; যা হযরত ইমাম আবূ দাঊদ রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত আব্দুল্লাহ ইবেন আমর রদ্বিয়াল্লাঊতায়াল আনঊএর হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, একদা দুটি লাল ঊাশাক পরিহিত এক ব্যক্তি হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে সালাম ঊয় কিন্তু হুযূর পাক ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম তার সালামের জাওয়াব ঊননি। (অনুরূপ উমদাতুল ক্বারী, ফতহুল্ মুলহিম লিশ্ শিব্বীর আহমদ উছমানী কিতাবে বর্ণিত রয়েছে।)
[২৬০]
وحملوا الا حاديث التى تدل على لبس النبى صلى الله عليه وسلم الثوب الا حمر على انه كان مخططا بخطوط حمر، ولم يكن احمر بحتا.
অর্থঃ ঊ সকল হাদীছ শরীফ দ্বারা হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম الثوب الا حمر পরিধানের বিষয়টি প্রমাণীত হয়, ইহা দ্বারা গন্ধম বা ঊানালী রংয়ের নকশী করা ঊাশাক উঊশ্য। ইহা দ্বারা খাঁটি লালকে বুঝানো হয়নি। (অনুরূপ ফতহুল্ মুলহিম লিশ্ শিব্বীর আহমদ উছমানী কিতাবেও বর্ণিত আছে)
উক্ত হাদীছ শরীফের ব্যাখ্যায় তিরমিযী শরীফের শরাহ তুহফাতুল আহওয়াযী’  ৫ম জিঃ ৩৯০, ৩৯১, ৩৯২, ৩৯৩, ৩৯৪ পঊায় উল্লেখ আছে,
[২৬১]
قال ابن همام: الحلة الحمراء عبارة ثو بين من اليمن فيها خطوط حمر وخضر لا انه احمر بحت.
অর্থঃ হযরত ইবনু হুমাম রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, حلة حمراء বলে ইয়ামানী দুটি (ইযার ও চাদর) কাপড়কে, যাতে গন্ধম রং ও সবুজ রংয়ের ঊারাকাটা থাকে। যা খাঁটি লাল নয়।  
অর্থাৎ হানাফীদের মতে ঊ সকল বর্ণনা দ্বারা احمر আহমার ঊধ বুঝা যায় ঊস্থানে احمر শব্দকে তাবীলী অর্থে গ্রহন করতে হবে। তথা লাল ব্যতীত গন্ধম, ঊানালী বা  অন্যান্য ঊ অর্থ রয়েছে ঊ অর্থে গ্রহণ করতে হবে।
পক্ষান্তরে শাফিয়ী মাযহাবে ঊহেতু লাল রং জায়িয তাই ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত বারা ইবনে আযিব রদ্বিয়াল্লাঊতায়ালা আনঊএর حلة حمراء সংক্রান্ত হাদীছ শরীফকেই দলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন এবং خمراء শঊর সরাসরি অর্থ লাল রং গ্রহণ করেছেন। ঊমন এ প্রসঊ উক্ত হাদীছ শরীফের ব্যাখ্যায় মুসলিম শরীফের শরাহ ফতহুল্ মুলহিম লিত্তক্বী উছমানী৪র্থ জিঃ ৫৫৩, ৫৫৪ পঊায় উল্লেখ আছে,
[২৬২-২৬৫]
وقد استدل به من ذهب الى خواز لبس الا حمر للر جال وهو قول الشا فعية والما لكية وجما عة من الحنفية، والمشهور عند الحنفية انهم يكر هون لبس الا حمر الخالص للرجال. وذلك لما اخر جه ا بو داؤد والتر مذى وحسنه.
অর্থঃ- উক্ত  হাদীছ শরীফ দ্বারা ফতওয়া ঊয়া হয় ঊ, পুরুষদের জন্য লাল ঊাশাক জায়িয। ইহা শাফিয়ী, মালিকী ও হানাফী মাযহাবের একটি দলের অভিমত। কিন্তু মাশহুর মতে, হানাফীগণের নিকট পুরুষদের জন্য খালিছ লাল রংয়ের ঊাশাক মাকরূহ তাহরীমী। ঊমনটি হাসান সনদে আবূ দাঊদ শরীফ ও তিরমিযী শরীফে বর্ণিত আছে। (অনুরূপ আউনুল মাবুদ কিতাবেও বর্ণিত আছে)
[২৬৬-২৬৮]
قال الشو كانى فى النيل: قد احتج بهذه الا حاد يث من قال بجواز لبس الا حمر وهم الشا فعية والما لكية وغيرهم ............. وذهبت الحنفية الى الكراهة واحتجوا بحديث عبد الله بن عمرو قال مر بالنبى صلى الله عليه وسلم رجل وعليه ثو بان احمران فسلم عليه فلم يرد عليه اخرجه التر مذى وابو داؤد.
অর্থঃ-  হযরত শাওকানী তাঁর নাইলুল্ আওতারকিতাবে বলেছেন, যারা পুরুষদের জন্য লাল ঊাশাক জায়িয বলেন, তাঁরা হচ্ছেন শাফিয়ী, মালিকী ও অন্যান্যগণ। حلة حمراء সম্পর্কিত হাদীছ শরীফ তাঁদেরই দলীল। .......... কিন্তু হানাফী মাযহাবে পুরুষদের জন্য লাল ঊাশাক পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী। তারা দলীল হিসেবে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাঊতায়ালা আনঊএর হাদীছ শরীফকে ঊশ করে থাকে।  তিনি বলেছেন, একদা এক ব্যক্তি দুটি লাল কাপড় পরিহিত অবস্থায় হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে সালাম ঊয়, কিন্তু তিনি তার সালামের জাওয়াব ঊননি। হাদীছ শরীফখানা তিরমিযী শরীফ ও আবূ দাঊদ শরীফে বর্ণিত আছে।
উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা প্রমাণিত হলো ঊ, হানাফী মাযহাবে ঊহেতু লাল রং পুরুষের জন্য হারাম ঊহেতু হানাফীগণ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাঊতায়ালা আনঊএর হাদীছ শরীফকে দলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন। আর বারা ইবনে আযিব রদ্বিয়াল্লাঊতায়ালা আনঊএর হাদীছকে তাবীলী অর্থে অর্থাৎ লাল ব্যতীত অন্যান্য ঊ অর্থ রয়েছে ঊমন, গন্ধম ঊানালী ইত্যাদি অর্থে গ্রহণ করেছেন। আর শাফিয়ী মাযহাবে ঊহেতু লাল রং জায়িয তাই শাফিয়ীগণ حلة حمراء সংক্রান্ত হাদীছ শরীফকে দলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন এবং حمراء শঊর সরাসরি অর্থ লাল রং গ্রহন করেছেন। সুতরাং উক্ত হাদীছ শরীফদ্বয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বা দ্বন্দ্ব ঊাথায়? মূলতঃ উক্ত হাদীছ শরীফ দ্বয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বা দ্ব¿দ্বর প্রশঊঊালা তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের প্রতারণা, অজ্ঞতা ও দুরভী সন্ধি ঊ কিছুই নয়। অর্থাৎ ঊ কুটকৌশলে লাল কাপড়কে জায়িয করার কুট উঊ্যশ্যেই এরূপ দ্ব¿দ্বর অবতারণা করেছে। যা তার ঊামরাহী ও জিহালতীরই বহিঃ প্রকাশ মাত্র।
হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর রদ্বিয়াল্লাঊ
 তায়ালা আনঊএর হাদীছ শরীফখানা
জঈফ নয় বরং ছহীহ
সিলেট খারেজী মাদ্রাসার তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের মতে, “বিপঊর হাদীছগুলো সনদের দিক ঊকে দূর্বল।
মূলতঃ তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের এ বক্তব্যটিও সঠিক ও গ্রহণযোগ্য নয়।। কারণ ঊ হাদীছ শরীফ দ্বারা হানাফী মাযহাবের ইমামগণ লাল রংকে পুরুষের জন্য হারাম ও মাকরূহ তাহরীমী ফতওয়া দিলেন, ঊ হাদীছ শরীফ কখনোই যঈফ বা দূর্বল হতে পারেনা। যঈফ বা দূর্বল হলে এ হাদীছ শরীফ দ্বারা লাল রং হারাম ছাবিত হতনা। সুতরাং লাল রং হারাম সম্পর্কিত তিরমিযী শরীফ ও আবূ দাঊদ শরীফে হযরত  আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাঊতায়ালা আনঊকতঊক বর্ণিত হাদীছ শরীফ খানা ছহীহ তথা বিঊ। ইহা যঈফ বা দূর্বল নয়। কারণ ইমাম তিরমিযী রহমতুল্লাহি আলাইহি হাদীছ শরীফ খানা বর্ণনা করার পর বলেছেন,
[২৬৯]
قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب من هذا الوجه.
অর্থঃ- হযরত আবূ ঈসা তিরমিযী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, এ হাদীছ শরীফ খানা হাসান এবং উপরোক্ত সুঊ গরীব।
স্মর্তব্য ঊ, ঊখানে স্বয়ং বর্ণনাকারী লাল রং হারাম সম্পর্কিত হাদীছ শরীফ খানা হাসান ও গরীব বলে উল্লেখ করলেন। ঊখানে অন্য কারো পঊ হাদীছ শরীফখানাকে যঈফ বা দুর্বল বলার অধিকার ঊই। যদিও ঊউ বলে, তাহলে তা গ্রহণযোগ্য হবেনা। ঊননা এটা তার নিজস্ব মত।
আবূ দাঊদ শরীফেও হাদীছ শরীফ খানা ছহীহ হিসেবেই বর্ণনা করা হয়েছে। ঊমনঃ ইমাম আবূ দাঊদ রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর উক্তি আবূ দাঊদ শরীফের মুক্বাদ্দামায়উল্লেখ আছে,
[২৭০]
وليس فى كتاب الستن الذى صنفته عن رجل متروك الحد يث شىء. واذا كان فيه حديث منكر بينته انه منكر.
অর্থঃ- হযরত আবূ দাঊদ রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমি ঊ সুনানে আবূ দাঊদ লিখেছি তাতে মাতরূক বর্ণনাকারীর ঊান হাদীছ স্থান পায়নি। যখন এতে ঊান মুনকার হাদীছ এসেছে, তখন আমি ঊখানে বর্ণনা করেছি ঊ, ইহা মুনকার।
লক্ষ্যনীয় ঊ, আবূ দাঊদ শরীফে ঊান মাতরূক বা পরিত্যাজ্য ঊান হাদীছ শরীফ ঊই। যদিও ঊান মুনকার হাদীছ শরীফ এসেছে, তা মুনকারবলে চিহ্নিত করা হয়েছে। সুতরাং লাল রং হারাম সম্পর্কিত হাদীছ শরীফ খানা ছহীহ বা বিঊ। স্বয়ং গ্রন্থকারের মত অনুযায়ী। তাই ইহা দ্বারা হুকুম সাব্যস্ত করা সঠিক হয়েছে।
[১৭১ ]
وما كان فى كتا بى من حديث فيه وهن شديد فقد بيته ومنه مالا يصح سنده ومالم اذ ومالم اذكر فيه شيئا فهو صالح وبعضها اصح من بعض.
অর্থঃ যখন আমার কিতাব আবূ দাঊদ শরীফে ঊান দূর্বল হাদীছ এসেছে, তখন আমি তা এভাবে উল্লেখ করেছি ঊ, এর সনদ ছহীহ বা বিঊ নয়। আর ঊ হাদীছ শরীফের মধ্যে এরকম কিছুই উল্লেখ করিনি, তা ছালেহ বা বিঊ। আর ছহীহ হাদীছ শরীফসমূহও একটির ঊয়ে অন্যটি অধিক ছহীহ।
সুতরাং আবূ দাউদ শরীফে বর্ণিত ঊ হাদীছ শরীফে لايصح سنده এর সনদ ছহীহ নয়উল্লেখ ঊই, ঊগুলো ছহীহ হাদীছ শরীফ। তাই প্রমাণিত হল, লাল রং পুরুষদের জন্য হারাম সম্পর্কিত হাদীছ শরীফখানা অবশ্যই ছহীহ বা বিঊ। কারণ এতে ঊান প্রকার দুর্বলতার নিদর্শন ঊই। ব্যাখ্যাকারদের ঊউ ঊউ যদিও যঈফ বলেছেন, তা গ্রহণীয় নয়।
[ ১৭২]
ولا اعلم شيئا بعد القران الزم للناس ان يتعلموا من هذ ا الكتاب.
অর্থঃ হযরত ইমাম আবূ দাঊদ রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেনঃ কুরআন শরীফের পরে মানুষের ইলম শিক্ষার জন্য এই আবূ দাঊদ শরীফের মত অবধারিত ঊান কিতাব সম্পর্কে আমি জানিনা।
উপরোক্ত ইবারতগুলো ঊকে প্রমাণিত হল ঊ, লাল রং নিষেধের ব্যাপারে বর্ণিত হাদীছ শরীফ নিঃস¿দহে ছহীহ তথা বিঊ, হাসান তথা উত্তম এবং গরীব। যা হুকুম ছাবিতের জন্য যথেষ্ট। যারা যঈফ হওয়ার বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেছেন, তাঁদের এ মতটি বিঊ নয়। কারণ তারা নিজেরাই লাল রং হারাম সম্পর্কিত এ হাদীছ শরীফ দ্বারা পুরা লাল রংকে হারাম বলেছেন। তাহলে তাদের এ মতটি বিঊ ও দলীল হিসেবে কি করে গ্রহণযোগ্য হতে পারে। অর্থাৎ গ্রহণযোগ্য নয়।
সুতরাং তথাকথিত মুফতী ছাহেব ঊ চারটি দলীল ঊশ করেছে, তা বর্ণিত ইবারত দ্বারা চুড়ান্তভাবে খণ্ডিত হল ঊ, লাল রং হারাম সম্পর্কিত হাদীছ শরীফ ছহীহ বা বিঊ। যঈফ বা দুর্বল নয়।

(অসমাপ্ত)

0 Comments: