১) পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ (৫ বার)
وَاَقِيْمُوا
الصَّلٰوةَ وَاٰتُوْا الزَّكٰوةَ وَارْكَعُوْا مَعَ الرَّاكِعِيْنَ.
অর্থ :
“আর আপনারা সম্মানিত নামায কায়িম করুন, সম্মানিত যাকাত আদায় করুন এবং রুকূকারী উনাদের সাথে রুকূ করুন।” (পবিত্র সূরা
বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৪৩)
وَاِذْ اَخَذْنَا
مِيْثَاقَ بَنِىْ اِسْرَائِيْلَ لَا تَعْبُدُوْنَ اِلَّا اللهَ قف وَبِالْوَالِدَيْنِ اِحْسَانًا وَّذِي الْقُرْبٰـى وَالْيَتَامٰى وَالْمَسَاكِيْنِ وَقُوْلُوْا لِلنَّاسِ حُسْنًا وَاَقِيْمُوا الصَّلٰوةَ وَاٰتُوْا الزَّكٰوةَ ط
অর্থ :
“আর (স্মরণ করুন) আমি যখন বনী ইসরাঈলদের নিকট থেকে ওয়াদা নিয়েছিলাম যে, মহান আল্লাহ পাক উনার ছাড়া অন্য কারো আপনারা ইবাদত করবেন না, মাতা-পিতা, আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতীম ও মিসকীনদের প্রতি সদাচরণ করবেন এবং মানুষের সাথে
সুন্দর কথা বলবেন এবং সম্মানিত নামায কায়িম করবেন ও সম্মানিত যাকাত আদায় করবেন।”
(পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৮৩)
وَاَقِيْمُوا
الصَّلٰوةَ وَاٰتُوْا الزَّكٰوةَ ط وَمَا تُقَدِّمُوا لاَنفُسِكُم مِّنْ خَيْرٍ تَـجِدُوهُ عِندَ اللهِ ط
اِنَّ اللهَ بـِمَا تَعْمَلُوْنَ
بَصِيْرٌ.
অর্থ :
“আর আপনারা সম্মানিত নামায কায়িম করুন, সম্মানিত যাকাত আদায় করুন। আপনারা নিজের জন্যে যা অগ্রে পাঠাবেন তা মহান
আল্লাহ পাক উনার নিকট পাবেন। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনারা যা কিছু করেন
সবকিছু দেখেন।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১১০)
لَيْسَ الْبِرَّ اَنْ تُوَلُّوْا
وُجُوْهَكُمْ قِبَلَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ وَلٰـكِنَّ الْبِرَّ مَنْ اٰمَنَ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْاٰخِرِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالْكِتَابِ وَالنَّبِيّيْنَ ج وَاٰتَى الْمَالَ عَلٰى حُبّهٖ ذَوِى الْقُرْبٰـى وَالْيَتَامٰى وَالْمَسَاكِيْنَ وَابْنَ السَّبِيْلِ لا وَالسَّائِلِيْنَ وَفِـيْ الرّقَابِ ج وَاَقَامَ الصَّلٰوةَ وَاٰتَى الزَّكٰوةَ وَالْمُوْفُوْنَ بِعَهْدِهِمْ اِذَا عٰهَدُوْا ج وَالصَّابِرِيْنَ فِـي الْبَأْسَاءِ وَالضَّرَّاءِ وَحِيْنَ الْبَأْسِ ط اُولٰـئِكَ الَّذِيْنَ صَدَقُوْا ط وَاُولٰـئِكَ هُمُ الْمُتَّقُوْنَ.
অর্থ :
“পূর্ব কিংবা পশ্চিমদিকে মুখ ফিরানোতে কোন নেকী নেই। বরং প্রকৃত সৎ কাজ হলো এই যে, মহান আল্লাহ পাক উনার উপর, পরকালের উপর, হযরত ফেরেশতা
আলাইহিমুস সালাম উনাদের উপর, পবিত্র কিতাব
উনার উপর এবং সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের উপর যিনি ঈমান আনবেন। আর
সম্পদ ব্যয় করবেন উনারই মুহব্বতে আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতীম-মিসকীন, মুসাফির, ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী গোলাম ও বাঁদীদের জন্য। আর নামায
কায়িম করবেন, যাকাত আদায় করবেন, কৃত অঙ্গীকার পূর্ণ করবেন, অভাবে দুঃখ-কষ্টে এবং জিহাদের সময় ধৈর্যধারণকারী হবেন। উনারাই হলেন সত্যবাদী
আর উনারাই হলেন মুত্তাক্বী বা পরহেযগার।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র
আয়াত শরীফ ১৭৭)
اِنَّ الَّذِيْنَ
اٰمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِـحَاتِ وَاَقَامُوا الصَّلٰوةَ وَاٰتَوُا الزَّكٰوةَ لَـهُمْ اَجْرُهُمْ عِنْدَ رَبِـّهِمْ ج وَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَـحْزَنُوْنَ.
অর্থ :
“নিশ্চয়ই যাঁরা ঈমান আনেন, আমলে ছলেহ করেন, সম্মানিত নামায কায়িম করেন ও সম্মানিত যাকাত আদায় করেন
উনাদের জন্যে উনাদের মহান রব তায়ালা উনার নিকট বিনিময় রয়েছে। উনাদের জন্যে কোন ভয়
নেই এবং কোন চিন্তা পেরেশানীও নেই।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত
শরীফ ২৭৭)
২)
পবিত্র সূরা নিসা শরীফ (২ বার)
اَلَـمْ تَرَ اِلَى الَّذِيْنَ
قِيْلَ لَـهُمْ كُفُّوا اَيْدِيَكُمْ وَاَقِيْمُوا الصَّلٰوةَ وَاٰتُوا الزَّكٰوةَ ج فَلَمَّا كُتِبَ عَلَيْهِمُ الْقِتَالُ اِذَا فَرِيْقٌ مّنْهُمْ يَـخْشَوْنَ النَّاسَ كَخَشْيَةِ اللهِ اَوْ اَشَدَّ خَشْيَةً ج وَقَالُوْا رَبَّنَا لِـمَ كَتَبْتَ عَلَيْنَا الْقِتَالَ ج لَوْلَا اَخَّرْتَنَا اِلٰى اَجَلٍ قَرِيْبٍ ط قُلْ مَتَاعُ الدُّنْيَا قَلِيْلٌ ج وَالْاٰخِرَةُ خَيْرٌ لّمَنِ اتَّقٰى قف وَلَا تُظْلَمُوْنَ فَتِيْلًا.
অর্থ :
“আপনি কী উনাদের দেখেননি? অর্থাৎ আপনি তো
উনাদেরকে দেখেছেন, যখন উনাাদেরকে
বলা হলো- আপনারা আপনাদের হস্ত সংবরণ করুন, আর সম্মানিত নামায কায়িম করুন ও সম্মানিত যাকাত আদায় করুন। অতঃপর যখন উনাদেরকে
জিহাদের বিধান দেয়া হলো তখন উনাদের একদল লোক মানুষকে ভয় করেছিল মহান আল্লাহ পাক
উনাকে ভয় করার মতো অথবা তার চেয়েও বেশি। আর ভীতু লোকেরা বলতে লাগলো, আমাদের মহান রব তায়ালা! আমাদের জন্যে কেন জিহাদের বিধান
দিলেন?
যদি আমাদেরকে কিছু দিনের অবকাশ দেয়া হতো! বলুন, পার্থিব সুখ সামগ্রী অতি সামান্য এবং যিনি মুত্তাক্বী উনার
জন্যে আখিরাতই উত্তম। আর আপনাদের প্রতি সামান্য পরিমাণও যুলুম করা হবে না।”
(পবিত্র সূরা নিসা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৭৭)
لٰكِنِ الرَّاسِخُوْنَ
فِى الْعِلْمِ مِنْهُمْ وَالْمُؤْمِنُوْنَ يُؤْمِنُوْنَ بـِمَا اُنْزِلَ اِلَيْكَ وَمَا اُنْزِلَ مِن قَبْلِكَ ج وَالْمُقِيْمِيْنَ الصَّلٰوةَ وَالْمُؤْتُوْنَ الزَّكٰوةَ وَالْمُؤْمِنُوْنَ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْاٰخِرِ اُولئِكَ سَنُؤْتِيهِمْ اَجْرًا عَظِيمًا.
অর্থ :
“কিন্তু উনাদের মধ্যে যাঁরা ইলমের দিক দিয়ে সুগভীর অর্থাৎ ইলমে লাদুন্নিপ্রাপ্ত ও
মু’মিন উনারা আপনার প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে এবং আপনার পূর্বে যা নাযিল করা হয়েছে
তাতেও ঈমান আনয়ন করেন। আর যাঁরা সম্মানিত নামায কায়িমকারী, সম্মানিত যাকাত আদায়কারী এবং মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি ও
পরকালে বিশ্বাসী; উনারাই ওই সমস্ত
ব্যক্তি যাঁদেরকে অচিরেই আমি মহাপ্রতিদান প্রদান করবো।” (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ :
পবিত্র আয়াত শরীফ ১৬২)
৩) পবিত্র
সূরা মায়িদা শরীফ (২ বার)
وَلَقَدْ اَخَذَ اللهُ مِيْثَاقَ
بَنِىْ اِسْرَائِيْلَ وَبَعَثْنَا مِنْهُمُ اثْنَىْ عَشَرَ نَقِيْبًا ط وَقَالَ اللهُ اِنّـي مَعَكُمْ ط لَئِنْ اَقَمْتُمُ الصَّلٰوةَ وَاٰتَيْتُمُ الزَّكَاةَ وَاٰمَنتُم بِرُسُلِى وَعَزَّرْتُـمُوهُمْ وَاَقْرَضْتُمُ اللهَ قَرْضًا حَسَنًا لاُكَفّرَنَّ عَنكُمْ سَيّئَاتِكُمْ وَلَاُدْخِلَنَّكُمْ جَنَّاتٍ تَـجْرِي مِنْ تَـحْتِهَا الْاَنْـهَارُ فَمَن كَفَرَ بَعْدَ ذٰلِكَ مِنْكُمْ فَقَدْ ضَلَّ سَوَاءَ السَّبِيْلِ..
অর্থ :
“আর অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক তিনি বনী ইসরাঈলদের নিকট থেকে ওয়াদা নিয়েছিলেন। আর
উনাদের মধ্যে ১২ জন নক্বীব নিযুক্ত করেছিলেন। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছিলেন, আমি আপনাদের সাথে আছি; আপনারা যদি সম্মানিত নামায কায়িম করেন, সম্মানিত যাকাত আদায় করেন এবং আমার রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি ঈমান
আনয়ন করেন ও উনাদের খিদমত মুবারক করেন, আর আপনারা মহান আল্লাহ পাক উনাকে উত্তম কর্জ প্রদান করেন; তাহলে অবশ্যই আমি আপনাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দিবো এবং
অবশ্যই আপনাদেরকে সম্মানিত জান্নাত উনার মধ্যে প্রবেশ করাবো, যার তলদেশ দিয়ে নহরসমূহ প্রবাহিত। এরপরও যারা তোমাদের মধ্যে
কুফরী করবে সে অবশ্যই সঠিক পথ হতে বিচ্যুত হবে অর্থাৎ গুমরাহ্ হবে।” (পবিত্র সূরা
মায়িদা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১২)
اِنَّـمَا
وَلِيُّكُمُ اللهُ وَرَسُوْلُهٗ وَالَّذِيْنَ اٰمَنُوا الَّذِيْنَ يُقِيْمُوْنَ الصَّلٰوةَ وَيُؤْتُوْنَ الزَّكٰوةَ وَهُمْ رَاكِعُوْنَ.
অর্থ :
“নিশ্চয়ই আপনাদের বন্ধু মহান আল্লাহ পাক তিনি, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ও মু’মিন উনারা- যাঁরা
সম্মানিত নামায কায়িম করেন, সম্মানিত যাকাত
আদায় করেন এবং উনারা হচ্ছেন রুকূকারী অর্থাৎ উনারা হচ্ছেন অত্যন্ত বিনয়ী।” (পবিত্র
সূরা মায়িদা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৫)
৪)
পবিত্র সূরা আ’রাফ শরীফ (১ বার)
وَاكْتُبْ
لَنَا فِيْ هٰذِهِ الدُّنْيَا حَسَنَةً وَّفِي الْاٰخِرَةِ اِنَّا هُدْنَا اِلَيْكَ ط قَالَ عَذَابِـيْ اُصِيْبُ بِهٖ مَنْ اَشَاءُ ج وَرَحْـمَتِيْ وَسِعَتْ كُلَّ شَيْءٍ ط فَسَاَكْتُبُهَا لِلَّذِيْنَ يَتَّقُوْنَ وَيُؤْتُوْنَ الزَّكٰوةَ وَالَّذِيْنَ هُم بِايَاتِنَا يُؤْمِنُوْنَ.
অর্থ :
“আর আমাদের জন্যে নির্ধারণ করুন দুনিয়া ও আখিরাতের ভালাই, নিশ্চয়ই আমরা আপনার নিকট প্রত্যাবর্তন করেছি। মহান আল্লাহ
পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি যাকে ইচ্ছা
আমার শাস্তি দিয়ে থাকি। আর আমার রহমত মুবারক প্রত্যেক বস্তুতেই পরিব্যপ্ত রয়েছে।
তবে অচিরেই আমি তা নির্ধারণ করবো ওইসব ব্যক্তি উনাদের জন্যে যাঁরা তাক্বওয়া
অবলম্বন করেন, সম্মানিত যাকাত আদায় করেন, আর যাঁরা আমার পবিত্র আয়াত শরীফসমূহ উনাদের উপর বিশ্বাস
স্থাপন করেন।” (পবিত্র সূরা আ’রাফ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৫৬)
৫)
পবিত্র সূরা তওবা শরীফ (৪ বার)
فَاِذَا انْسَلَخَ
الْاَشْهُرُ الْـحُرُمُ فَاقْتُلُوا الْمُشْرِكِيْنَ حَيْثُ وَجَدْتُّـمُوهُمْ وَخُذُوْهُمْ وَاحْصُرُوْهُمْ وَاقْعُدُوْا لَـهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍ فَاِنْ تَابُوْا وَاَقَامُوْا الصَّلٰوةَ وَاٰتَوُا الزَّكٰوةَ فَخَلُّوْا سَبِيْلَهُمْ ط اِنَّ اللهَ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ.
অর্থ :
“অতঃপর হারাম মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের যেখানে পাবেন কতল করবেন, তাদেরকে পাকড়াও করুন অর্থাৎ বন্দী করবেন, অবরোধ করবেন এবং প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের জন্যে ওঁৎ পেতে
থাকবেন। তবে যদি তারা তওবা করে এবং সম্মানিত নামায কায়িম করে ও সম্মানিত যাকাত
আদায় করে তবে আপনারা তাদের পথ ছেড়ে দিন। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি অত্যন্ত
ক্ষমাশীল,
পরম দয়ালু।” (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫)
فَاِن تَابُوا وَاَقَامُوا
الصَّلٰوةَ وَاٰتَوُا الزَّكٰوةَ فَاِخْوَانُكُمْ فِى الدِّيْنِ ط وَنُفَصّلُ الْاٰيَاتِ لِقَوْمٍ يَعْلَمُوْنَ.
অর্থ :
“তবে যদি তারা তওবা করে এবং সম্মানিত নামায কায়িম করে ও সম্মানিত যাকাত আদায় করে
তবে তারা তোমাদের দ্বীনী ভাই। আর জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্যে আমি নিদর্শনাবলী
স্পষ্টভাবে বিবৃত করে থাকি।” (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১১)
اِنَّـمَا
يَعْمُرُ مَسَاجِدَ اللهِ مَنْ اٰمَنَ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْاٰخِرِ وَاَقَامَ الصَّلٰوةَ وَاٰتَى الزَّكٰوةَ وَلَـمْ يَـخْشَ اِلَّا اللهَ قف فَعَسٰى اُولٰئِكَ اَنْ يَّكُوْنُوْا مِنَ الْمُهْتَدِيْنَ.
অর্থ :
“নিশ্চয়ই যাঁরা মহান আল্লাহ পাক উনার মসজিদসমূহ নির্মাণ করেন ও রক্ষণাবেক্ষণ করেন
অর্থাৎ আবাদ করেন, যাঁরা মহান
আল্লাহ পাক উনার প্রতি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস করেন এবং সম্মানিত নামায কায়িম
করেন,
সম্মানিত যাকাত আদায় করেন ও মহান আল্লাহ পাক উনাকে ছাড়া
অন্য কাউকেই ভয় করেন না। তাহলে অবশ্যই উনারাই হবেন হিদায়েতপ্রাপ্তদের
অন্তর্ভুক্ত।” (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৮)
وَالْمُؤْمِنُوْنَ
وَالْمُؤْمِنَاتُ بَعْضُهُمْ اَوْلِيَاءُ بَعْضٍ يَأْمُرُوْنَ بِالْمَعْرُوْفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَيُقِيْمُوْنَ الصَّلٰوةَ وَيُؤْتُوْنَ الزَّكٰوةَ وَيُطِيْعُونَ اللهَ وَرَسُوْلَهٗ اُولٰئِكَ سَيَرْحَـمُهُمُ اللهُ اِنَّ اللهَ عَزِيزٌ حَكِيْمٌ.
অর্থ :
“মু’মিন পুরুষ ও মু’মিন মহিলা একে অপরের বন্ধু। উনারা সৎকাজের আদেশ করেন এবং অসৎকাজে নিষেধ করেন, সম্মানিত নামায কায়িম করেন, সম্মানিত যাকাত আদায় করেন এবং মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন
নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনাদের আনুগত্য করেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদেরকেই রহম করবেন। নিশ্চয়ই মহান
আল্লাহ পাক তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।”
(পবিত্র সূরা তওবা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৭১)
৬) পবিত্র সূরা কাহাফ শরীফ (১ বার) (পবিত্রতা অর্থে ব্যবহৃত)
فَاَرَدْنَا اَنْ يُبْدِلَـهُمَا
رَبُّـهُمَا خَيْرًا مّنْهُ زَكَاةً وَاَقْرَبَ رُحْـمًا.
অর্থ : “অতঃপর আমি ইচ্ছা করলাম যে, উনাদের মহান রব তিনি যেন উনাদেরকে তার পরিবর্তে দান করেন
(এমন সন্তান) যিনি পবিত্রতায় ও দয়ায় তার চেয়ে উত্তম।” (পবিত্র সূরা কাহাফ শরীফ :
পবিত্র আয়াত শরীফ ৮১)
৭) পবিত্র সূরা মারইয়াম শরীফ (৩ বার)
وَحَنَانًا
مّن لَّدُنَّا وَزَكَاةً ۖ وَكَانَ تَقِيًّا.
অর্থ : “আর (আমি হযরত ইয়াহ্ইয়া আলাইহিস সালাম উনাকে দান করেছি) আমার পক্ষ থেকে
স্নেহ-দয়া ও পবিত্রতা, আর তিনি ছিলেন
মুত্তাক্বী।” (পবিত্র সূরা মারইয়াম শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৩) (পবিত্রতা অর্থে
ব্যবহৃত হয়েছে)
وَجَعَلَنِيْ
مُبَارَكًا اَيْنَ مَا كُنْتُ وَاَوْصَانِـيْ بِالصَّلٰوةِ وَالزَّكٰوةِ مَا دُمْتُ حَيًّا.
অর্থ : “(হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বলেন) আর আমি যেখানেই থাকি না
কেন মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে বরকতময় করেছেন, এবং আমি যতদিন পর্যন্ত জীবিত থাকবো ততদিন পর্যন্ত আমাকে ওয়াছিয়ত মুবারক করা
হয়েছে সম্মানিত নামায ও সম্মানিত যাকাত সম্পর্কে।” (পবিত্র সূরা মারইয়াম শরীফ :
পবিত্র আয়াত শরীফ ৩১)
وَكَانَ يَاْمُرُ اَهْلَهٗ بِالصَّلٰوةِ
وَالزَّكٰوةِ وَكَانَ عِنْدَ رَبِّهِ مَرْضِيًّا.
অর্থ : “আর তিনি (হযরত ইসমাঈল যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম) উনার স্বজনদের
নির্দেশ মুবারক দিতেন সম্মানিত নামায ও সম্মানিত যাকাত উনাদের বিষয়ে এবং তিনি উনার
মহান রব উনার নিকট সন্তুষ্টিপ্রাপ্ত ছিলেন।” (পবিত্র সূরা মারইয়াম শরীফ : পবিত্র
আয়াত শরীফ ৫৫)
৮) পবিত্র সূরা আম্বিয়া শরীফ (১ বার)
وَجَعَلْنَاهُمْ
اَئِمَّةً يَهْدُوْنَ بِاَمْرِنَا وَاَوْحَيْنَا اِلَيْهِمْ فِعْلَ الْـخَيْرَاتِ وَاِقَامَ الصَّلٰوةِ وَاِيْتَاءَ الزَّكٰوةِ وَكَانُوا لَنَا عَابِدِيْنَ.
অর্থ : “আর আমি উনাদেরকে ইমাম বানিয়েছিলাম। উনারা আমার নির্দেশ মুবারক অনুযায়ী
মানুষকে পথপ্রদর্শন করতেন, উনাদের প্রতি
নির্দেশ মুবারক প্রদান করেছি সৎকর্মসমূহের এবং সম্মানিত
নামায কায়িম করার ও সম্মানিত যাকাত আদায় করার। আর উনারা আমারই ইবাদত করতেন।” (পবিত্র
সূরা আম্বিয়া শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৭৩)
৯) পবিত্র সূরা হজ্জ শরীফ (২ বার)
اَلَّذِيْنَ
اِن مَّكَّنَّاهُمْ فِى الاَرْضِ اَقَامُوا الصَّلٰوةَ وَاٰتَوُا الزَّكٰوةَ وَاَمَرُوا بِالْمَعْرُوفِ وَنَـهَوْا عَنِ الْمُنكَرِ وَلِلّٰهِ عَاقِبَةُ الْاُمُوْرِ.
অর্থ : “যাঁরা (মু’মিন উনারা) এমন যে, যদি আমি উনাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করি, উনারা সম্মানিত নামায কায়িম করবেন, সম্মানিত যাকাত আদায় করবেন, সৎ কাজের আদেশ
করবেন ও মন্দ কাজে বাধা প্রদান করবেন। আর সকল কাজের উত্তম পরিণাম মহান আল্লাহ পাক
উনার জন্য।” (পবিত্র সূরা হজ্জ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৪১)
وَجَاهِدُوْا
فِي اللهِ حَقَّ جِهَادِهٖ ط هُوَ اجْتَبَاكُمْ وَمَا جَعَلَ عَلَيْكُمْ فِي الدّيْنِ مِنْ حَرَجٍ ط مّلَّةَ اَبِيْكُمْ اِبْرَاهِيْمَ ط هُوَ سَـمَّاكُمُ الْمُسْلِمِيْنَ لا مِن قَبْلُ وَفِي هٰذَا لِيَكُوْنَ الرَّسُوْلُ شَهِيْدًا عَلَيْكُمْ وَتَكُوْنُوْا شُهَدَاءَ عَلَى النَّاسِ ج فَاَقِيْمُوا الصَّلٰوةَ وَاٰتُوْا الزَّكٰوةَ وَاعْتَصِمُوْا بِاللهِ ط هُوَ مَوْلٰاكُمْ ج فَنِعْمَ الْمَوْلٰى وَنِعْمَ النَّصِيْرُ.
অর্থ : “আর মহান আল্লাহ পাক উনার পথে জিহাদ করুন যেভাবে জিহাদ করা উচিত। তিনি
আপনাদেরকে মনোনীত করেছেন। তিনি সম্মানিত দ্বীন উনার ব্যাপারে আপনাদের উপর কোন
কঠোরতা আরোপ করেননি। এটা আপনাদের পিতা হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার
মিল্লাত। তিনি পূর্বে আপনাদের নামকরণ করেছেন ‘মুসলিম’ এবং এ সম্মানিত কিতাব মুবারক
উনার মধ্যেও; যাতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আপনাদের জন্যে সাক্ষীস্বরূপ হন
আর আপনারাও সাক্ষীস্বরূপ হন মানবজাতির জন্যে। সুতরাং আপনারা সম্মানিত নামায কায়িম
করুন,
সম্মানিত যাকাত আদায় করুন এবং মহান আল্লাহ পাক উনাকে দৃঢ়তার
সাথে আকড়ে ধরুন, তিনিই আপনাদের মাওলা বা মহান
অভিভাবক। কতই উত্তম মাওলা বা অভিভাবক তিনি এবং কতই উত্তম সাহায্যকারী তিনি।”
(পবিত্র সূরা হজ্জ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৭৮)
১০) পবিত্র সূরা মু’মিনূন শরীফ (১ বার)
وَالَّذِيْنَ
هُمْ لِلزَّكٰوةِ فَاعِلُوْنَ.
অর্থ : “আর যাঁরা সম্মানিত যাকাত সম্পাদনকারী (উনারাই সফল মু’মিন)।” (পবিত্র
সূরা মু’মিনূন শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৪)
১১) পবিত্র সূরা নূর শরীফ (২ বার)
رِجَالٌ لا لَّا تُلْهِيْهِمْ
تِـجَارَةٌ وَلا بَيْعٌ عَنْ ذِكْرِ اللهِ وَاِقَامِ الصَّلٰوةِ وَاِيْتَاءِ الزَّكٰوةِ ۙ يَـخَافُوْنَ يَوْمًا تَتَقَلَّبُ فِيْهِ الْقُلُوْبُ وَالْاَبْصَارُ.
অর্থ : “এমন সকল মানুষ! মহান আল্লাহ পাক উনার স্মরণ হতে এবং সম্মানিত নামায
কায়িম ও সম্মানিত যাকাত আদায় করা থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও ক্রয়-বিক্রয় উনাদেরকে
গাফিল বা উদাসীন করে না বা করতে পারে না। উনারা ভয় করেন সেই দিনকে যেদিন অনেক
অন্তর ও দৃষ্টি বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে।” (পবিত্র সূরা নূর শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ
৩৭)
وَاَقِيمُوا
الصَّلٰوةَ وَاٰتُوْا الزَّكٰوةَ وَاَطِيعُوا الرَّسُوْلَ لَعَلَّكُمْ تُرْحَـمُوْنَ.
অর্থ : “আর আপনারা সম্মানিত নামায কায়িম করুন ও সম্মানিত যাকাত আদায় করুন এবং
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আনুগত্য করুন; তাহলে অবশ্যই আপনারা রহমতপ্রাপ্ত হবেন।” (পবিত্র সূরা নূর
শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৬)
১২) পবিত্র সূরা নামল শরীফ (১ বার)
اَلَّذِيْنَ
يُقِيمُونَ الصَّلٰوةَ وَيُؤْتُونَ الزَّكٰوةَ وَهُم بِالاٰخِرَةِ هُمْ يُوقِنُوْنَ.
অর্থ : “যাঁরা সম্মানিত নামায কায়িম করেন ও সম্মানিত যাকাত আদায় করেন; আর উনারাই পরকালের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস করেন।” (পবিত্র সূরা
নামল শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩)
১৩) পবিত্র সূরা রূম শরীফ (১ বার)
وَمَا اٰتَيْتُمْ
مّنْ رّبًا لّيَرْبُوَ فِي اَمْوَالِ النَّاسِ فَلَا يَرْبُوْ عِندَ اللهِ ج وَمَا اٰتَيْتُم مّن زَكٰوةٍ تُرِيْدُوْنَ وَجْهَ اللهِ فَاُولٰئِكَ هُمُ الْمُضْعِفُوْنَ.
অর্থ : “মানুষের সম্পদ বৃদ্ধি পাবে বলে তোমরা যে সুদ দিয়ে থাকো, মহান আল্লাহ পাক তিনি তা বৃদ্ধি করেন না। আর মহান আল্লাহ
পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক কামনা করে আপনারা যে যাকাত আদায় করেন ওই সম্পদই বহুগুণে
বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয় অর্থাৎ অনন্তর উনারাই হন সমৃদ্ধিশীল।” (পবিত্র সূরা রূম শরীফ :
পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৯)
১৪) পবিত্র সূরা লুক্বমান শরীফ (১ বার)
اَلَّذِيْنَ
يُقِيْمُوْنَ الصَّلٰوةَ وَيُؤْتُونَ الزَّكٰوةَ وَهُم بِالاٰخِرَةِ هُمْ يُوقِنُوْنَ.
অর্থ :
“যারা সম্মানিত নামায কায়িম করে ও সম্মানিত যাকাত আদায় করে; আর তারাই পরকালের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস করে।” (পবিত্র সূরা
লুক্বমান শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৪)
১৫)
পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ (১ বার)
وَقَرْنَ فِي بُيُوْتِكُنَّ
وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْـجَاهِلِيَّةِ الْاُوْلٰى وَاَقِمْنَ الصَّلٰوةَ وَاٰتِيْنَ الزَّكٰوةَ وَاَطِعْنَ اللهَ وَرَسُوْلَهٗ ط
অর্থ :
“আর আপনারা (মহিলারা) আপন গৃহে অবস্থান করুন এবং জাহেলী যুগের (মহিলাদের) মতো
নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়াবেন না। আর আপনারা সম্মানিত নামায কায়িম করুন ও
সম্মানিত যাকাত আদায় করুন এবং মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন
নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
আনুগত্য করুন।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৩)
১৬)
পবিত্র সূরা হা-মীম সাজদাহ শরীফ (১ বার)
اَلَّذِيْنَ
لَا يُؤْتُوْنَ الزَّكٰوةَ وَهُم بِالْاٰخِرَةِ هُمْ كٰفِرُوْنَ.
অর্থ :
যারা সম্মানিত যাকাত আদায় করে না, আর তারাই পরকালে
অবিশ্বাসী। (পবিত্র সূরা হা-মীম সাজদাহ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৭)
১৭)
পবিত্র সূরা মুজাদালাহ শরীফ (১ বার)
اَاَشْفَقْتُمْ
اَنْ تُقَدّمُوْا بَيْنَ يَدَيْ نَـجْوَاكُمْ صَدَقَاتٍ فَاِذْ لَـمْ تَفْعَلُوْا وَتَابَ اللهُ عَلَيْكُمْ فَاَقِيمُوا الصَّلٰوةَ وَاٰتُوا الزَّكٰوةَ وَاَطِيعُوا اللهَ وَرَسُولَهٗ وَاللهُ خَبِيْرٌ بـِمَا تَعْمَلُوْنَ.
অর্থ :
“আপনারা কি আপনাদের পরামর্শের পূর্বে ছদক্বা প্রদানকে কষ্টকর মনে করেন? অতঃপর যখন আপনারা ছদক্বা দিতে পারলেন না, আর মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাদের তওবা গ্রহণ করলেন। সুতরাং
আপনারা সম্মানিত নামায কায়িম করুন ও সম্মানিত যাকাত আদায় করুন এবং মহান আল্লাহ পাক
উনার ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের অনুসরণ করুন। আর আপনারা যা
করেন মহান আল্লাহ পাক তিনি তা সম্যক অবগত।” (পবিত্র সূরা মুজাদালাহ শরীফ : পবিত্র
আয়াত শরীফ ১৩)
১৮)
পবিত্র সূরা মুযযাম্মিল শরীফ (১ বার)
وَاَقِيْمُوا
الصَّلٰوةَ وَاٰتُوا الزَّكٰوةَ وَاَقْرِضُوا اللهَ قَرْضًا حَسَنًا ط وَمَا تُقَدّمُوْا لِاَنْفُسِكُم مّنْ خَيْرٍ تَـجِدُوْهُ عِندَ اللهِ هُوَ خَيْرًا وَاَعْظَمَ اَجْرًا ط وَاسْتَغْفِرُوْا اللهَ ط اِنَّ اللهَ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ.
অর্থ : “আর আপনারা সম্মানিত নামায কায়িম করুন ও সম্মানিত যাকাত আদায় করুন এবং
মহান আল্লাহ পাক উনাকে উত্তমভাবে কর্জ প্রদান করুন। আপনারা নিজেদের জন্যে যা কিছু
(নেক আমল) অগ্রে পাঠাবেন, তা মহান আল্লাহ
পাক উনার কাছে উত্তম আকারে এবং পুরস্কার হিসেবে বর্ধিতরূপে পাবেন। আপনারা মহান
আল্লাহ পাক উনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করুন। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালু।” (পবিত্র সূরা মুযযাম্মিল শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ
২০)
১৯) পবিত্র সূরা বাইয়্যিনাহ শরীফ (১ বার)
وَمَا اُمِرُوْا
اِلَّا لِيَعْبُدُوْا اللهَ مُـخْلِصِيْنَ لَهُ الدّيْنَ حُنَفَاءَ وَيُقِيْمُوا الصَّلٰوةَ وَيُؤْتُوا الزَّكٰوةَ ۚ وَذٰلِكَ دِينُ الْقَيّمَةِ.
অর্থ : “আর আপনারা আদিষ্ট হয়েছেন মহান আল্লাহ পাক উনার অনুগত হয়ে ইখলাছের সাথে
বিশুদ্ধচিত্তে একনিষ্ঠভাবে উনার ইবাদত করতে এবং সম্মানিত নামায কায়িম করতে ও
সম্মানিত যাকাত আদায় করতে। আর এই হলো প্রতিষ্ঠিত দ্বীন।” (পবিত্র সূরা বাইয়্যিনাহ
শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫)
খ) ছদাক্বাহ (الصَّدَقَةِ) শব্দ মুবারকযুক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ (৮ বার)
১) পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ (২ বার)
اِنْ تُبْدُوْا
الصَّدَقَاتِ فَنِعِمَّا هِيَ ج وَاِنْ تُـخْفُوْهَا وَتُؤْتُوْهَا الْفُقَرَاءَ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ ط وَيُكَفِّرُ عَنْكُم مّنْ سَيّئَاتِكُمْ ط وَاللهُ بِـمَا تَعْمَلُوْنَ خَبِيرٌ.
অর্থ : “আপনারা যদি প্রকাশ্যে দান-খয়রাত করেন, তবে তা কতইনা উত্তম। আর যদি দান গোপনে করেন এবং অভাবগ্রস্তদের দিয়ে দেন, তবে তা আপনাদের জন্যে আরও উত্তম। মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাদের
গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন। আপনারা যা করেন মহান আল্লাহ পাক তিনি সে বিষয়ে সম্যক
অবগত।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৭১)
يَـمْحَقُ
اللهُ الرِّبَا وَيُرْبِـي الصَّدَقَاتِ ط وَاللهُ لَا يُـحِبُّ كُلَّ كَفَّارٍ اَثِيْمٍ.
অর্থ : “মহান আল্লাহ পাক তিনি সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দান-খয়রাতকে বর্ধিত
করেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি কোন অবিশ্বাসী পাপীকে পছন্দ করেন না।” (পবিত্র সূরা
বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৭৬)
২) পবিত্র সূরা নিসা শরীফ (১ বার)
لَا خَيْرَ فِي كَثِيْرٍ مّنْ نَّـجْوَاهُمْ
اِلَّا مَنْ اَمَرَ بِصَدَقَةٍ اَوْ مَعْرُوفٍ اَوْ اِصْلَاحٍ بَيْنَ النَّاسِ ط وَمَنْ يَّفْعَلْ ذٰلِكَ ابْتِغَاءَ مَرْضَاتِ اللهِ فَسَوْفَ نُؤْتِيْهِ اَجْرًا عَظِيْمًا.
অর্থ : “তাদের অধিকাংশ পরামর্শ ভাল নয়; কিন্তু যে পরামর্শ দান-খয়রাত করতে কিংবা সৎকাজ করতে কিংবা মানুষের মধ্যে সন্ধিস্থাপন কল্পে করে তা স্বতন্ত্র। আর যিনি মহান
আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের উদ্দেশ্যে একাজ করেন আমি উনাকে মহান
প্রতিদান প্রদান করবো।” (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১১৪)
৩) পবিত্র সূরা তওবা শরীফ (৫ বার)
اِنَّـمَا
الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاءِ وَالْمَسَاكِيْنِ وَالْعَامِلِيْنَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوْبُـهُمْ وَفِي الرّقَابِ وَالْغَارِمِيْنَ وَفِي سَبِيْلِ اللهِ وَابْنِ السَّبِيْلِ ط فَرِيْضَةً مّنَ اللهِ ط وَاللهُ عَلِيْمٌ حَكِيْمٌ.
অর্থ : “নিশ্চয়ই সম্মানিত যাকাত কেবল ফক্বীর, মিসকীন ও সম্মানিত যাকাত আদায়কারী কর্মচারীদের জন্যে, যাদের মন আকর্ষণ করা প্রয়োজন তাদের জন্যে অর্থাৎ নও
মুসলিমের জন্য, গোলাম বা বাঁদীদের মুক্তির জন্য, ঋণে জর্জরিত ব্যক্তিদের ঋণমুক্তির জন্য, মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় জিহাদকারী এবং মুসাফিরদের
জন্য। এটা মহান আল্লাহ পাক উনার নির্ধারিত বিধান এবং মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বজ্ঞ
প্রজ্ঞাময়।” (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৬০)
وَمِنْهُمْ
مَّنْ عَاهَدَ اللهَ لَئِنْ اٰتَانَا مِنْ فَضْلِهٖ لَنَصَّدَّقَنَّ وَلَنَكُوْنَنَّ مِنَ الصَّالِـحِيْنَ.
অর্থ : “আর তাদের মধ্যে কেউ কেউ মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট ওয়াদা করেছিলে, মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজ অনুগ্রহে আমাদেরকে দান করলে আমরা
অবশ্যই ছদক্বা দিবো এবং অবশ্যই আমরা সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত
হবো।” (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৭৫)
اَلَّذِيْنَ
يَلْمِزُوْنَ الْمُطَّوّعِيْنَ مِنَ الْمُؤْمِنِيْنَ فِي الصَّدَقَاتِ وَالَّذِيْنَ لَا يَـجِدُوْنَ اِلَّا جُهْدَهُمْ فَيَسْخَرُوْنَ مِنْهُمْ ط سَخِرَ اللهُ مِنْهُمْ وَلَـهُمْ عَذَابٌ اَلِيْمٌ.
অর্থ : “মু’মিন উনাদের মধ্যে যাঁরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ছদক্বা প্রদান করেন এবং
যাঁরা নিজ শ্রম ছাড়া কিছুই পায় না, উনাদেরকে যারা দোষারোপ করে ও বিদ্রƒপ করে, মহান আল্লাহ পাক
তিনি তাদের বিদ্রƒপের প্রতিফল দিবেন। আর তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।”
(পবিত্র সূরা তওবা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৭৯)
خُذْ مِنْ اَمْوَالِـهِمْ
صَدَقَةً تُطَهّرُهُمْ وَتُزَكّيهِم بِـهَا وَصَلِّ عَلَيْهِمْ ۖ اِنَّ صَلٰوتَكَ سَكَنٌ لَّـهُمْ ۗ وَاللهُ سَـمِيْعٌ عَلِيْمٌ.
অর্থ : “(ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি উনাদের
ধন-সম্পদ থেকে যাকাত, ফিত্বরা, উশর, দান, ছদক্বা, হাদিয়া ইত্যাদি
গ্রহণ করুন, দয়া করে গ্রহণ করে এর মাধ্যমে
প্রদানকারীদেরকে যাহিরী পবিত্রতার সাথে সাথে বাতিনী পবিত্রতা প্রদান করুন এবং আপনি
উনাদের জন্যে দোয়া মুবারক করুন। নিশ্চয়ই আপনার দোয়া মুবারকই উনাদের জন্যে শান্তি, নিরাপত্তা এবং কামিয়াবী হাছিলের কারণ হবে। মহান আল্লাহ পাক
তিনি সব কিছু শোনেন এবং সব কিছু জানেন। (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ
১০৩)
اَلَـمْ يَعْلَمُوْا
اَنَّ اللهَ هُوَ يَقْبَلُ التَّوْبَةَ عَنْ عِبَادِهٖ وَيَأْخُذُ الصَّدَقَاتِ وَاَنَّ اللهَ هُوَ التَّوَّابُ الرَّحِيْمُ.
অর্থ : “উনারা কি জানেন না যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার বান্দা উনাদের তওবা কুবল করেন এবং ছদক্বা গ্রহণ
করেন?
আর নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি মহান ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ
১০৪)
যাকাত প্রদান করুন
মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসা উনার একাউন্ট নাম্বার সমূহ-
Account no.1
Muhammadia Jamia Shareef Madrasa & yatimkhana
A/C-200007569
Sonali Bank Limited, Malibag Branch
Dhaka, Bangladesh
Account no.2
name:-MD. Mufizul Islam
A/C-1020335489001 Naya-paltan branch
IFIC Bank Limited, Dhaka, Bangladesh
Swift Code: IFICBDDH
Account no.3
name:-MD. Mufizul Islam
A/C-108101277050 Shantinaghar branch
Dutch Bangla Bank Limited, Dhaka, Bangladesh
Swift Code: DBBLBDDH
Account no.4
Dutch Bangla mobile Banking-017187407422
Account no.5
Bkash-(parsonal) 01718740742, 01876043934, 01990770065
Bkash-(Agent)- 01709672605
0 Comments:
Post a Comment