ক্রম শিরোনাম পৃষ্ঠা
১. مُقَدِّمَةُ الْكِتَابِ
(মুক্বদ্দিমাতুল কিতাব) ........................................... ১৩
২. সম্মানিত যাকাত পর্ব (كِتَابُ الزَّكٰوةِ)
ক) সম্মানিত যাকাত শব্দের অর্থ .......................................................... ১৭
* সম্মানিত যাকাত শব্দের আভিধানিক ও পারিভাষিক অর্থ
.. ১৭
* اِيْتَاءُ ইতা’
শব্দের আভিধানিক অর্থ .............................................. ১৭
* সম্মানিত যাকাত সম্পর্কিত সমস্ত আয়াত শরীফসমূহ ........ ১৯
* সম্মানিত যাকাত সম্পর্কিত হাদীছ শরীফসমূহ
.................... ৪৩
খ) সম্মানিত যাকাত উনার ঐতিহাসিক পটভূমি
............................ ৪৮
গ) সম্মানিত যাকাত কে আদায় করবেন
........................................... ৪৯
* সম্মানিত যাকাত উনার নিছাব কাকে বলে
........................ ৫০
* الْاَصْلِيَةُ اَلْـحَوَائِجُ ‘আল হাওয়ায়িজুল আছলিয়্যাহ’ বা মৌলিক প্রয়োজনীয় বস্তু বা সম্পদ
......................................
৫০
* সম্মানিত যাকাত ফরয হিসেবে সাব্যস্ত হওয়ার
শর্তাবলী .. ৫০
* যাদের উপর সম্মানিত যাকাত ফরয নয়
.............................. ৫১
ঘ) সম্মানিত যাকাত হিসেবে কতটুকু আদায় করবেন
...................... ৫১
* খাজনা, অন্যান্য কর এবং ইনকাম ট্যাক্স দিলেও সম্মানিত যাকাত আদায়
করতে হবে ...................................................
৫৩
* সম্মানিত যাকাত, ইনকাম ট্যাক্স, কর, খাজনা ও জিযিয়া করের মধ্যে পার্থক্য
..............................................................
৫৩
ঙ) সম্মানিত যাকাত কখন আদায় করবেন
........................................ ৫৪
* হাওল (الْـحَوْلُ) ...................................................................... ৫৪
* অগ্রীম যাকাত আদায়ের বিধান
........................................... ৫৫
* শুধুমাত্র বছরের মধ্যবর্তী সময়ে নিছাব ঠিক থাকলে
সেক্ষেত্রে যাকাত আদায়ের বিধান .......................................
৫৬
* বিগত বছরের কাযা বা অনাদায়ী যাকাত ঋণ হিসেবে গণ্য
৫৬
ঋণগ্রস্তের পরিণতি
........................................................ ৫৭
* সম্মানিত যাকাত উনার হিসাব কখন থেকে করতে হবে?
. ৬০
* সম্মানিত যাকাত পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার
মধ্যে দেয়াই উত্তম
..........................................................................
৬০
চ) সম্মানিত যাকাত উনার গুরুত্ব ও ফযীলত
................................... ৬১
* সম্মানিত যাকাত সম্মানিত ঈমান উনার দলীল
................. ৬১
* সম্মানিত যাকাত আদায় করা ফরয
................................... ৬২
* সম্মানিত যাকাত অর্থনৈতিক মুক্তির শর্ত
........................... ৬২
ক) সুদ ব্যবস্থার
প্রতিরোধ করতে যাকাত ব্যবস্থা .............. ৬৪
খ) الْمُضْعِفُونَ
মুদ্বইফূন শব্দ মুবারক উনার বিশ্লেষণ ............ ৬৫
* সম্মানিত যাকাত সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার
মধ্যবর্তী স্তম্ভ ৬৫
ছ) যাকাত আদায় না করলে কি হয়
.................................................. ৬৬
* সম্মানিত যাকাত অস্বীকারকারী মুশরিক
...................................... ৬৬
* দুনিয়া ও আখিরাতে অশান্তির কারণ ............................................. ৬৬
* যাকাত আদায় না করে মূল মালের সাথে মিশ্রিত করলে
মাল-সম্পদ হারাম হয়ে যায়
.............................................................
৬৯
* যাকাত আদায় না করে মূল মালের সাথে মিশ্রিত করলে
মাল-সম্পদ ধ্বংস হয়ে যায় .................................................
৭০
* যাকাত দেয়া বন্ধ করলে মাল-সম্পদ ধ্বংস হয়ে যায়
......... ৭১
* কোন ইবাদত-বন্দেগী কবুল হয় না
..................................... ৭১
* মহান আল্লাহ পাক তিনি ও নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা অসন্তুষ্ট
হন এবং যাকাত আদায়ে অস্বীকৃতিকারী জিহাদের সম্মুখীন
৭৩
জ) যাকাত আদায় করলে কি হয়
......................................................... ৭৮
* ঈমান দৃঢ় হয়
......................................................................... ৭৮
* দোয়া মুবারক লাভ হয় যা দুনিয়া ও আখিরাতের
কামিয়াবী ৭৮
سَكَنٌ শব্দ মুবারক উনার ব্যাখ্যা বিশ্লেøষণ
................... ৮০
* ইবাদত কবুল হওয়ার পূর্ব শর্ত
............................................. ৮০
* মাল-সম্পদ বৃদ্ধি পায় ........................................................... ৮০
* হালাল রিযিকের সু-বন্দোবস্ত হয়
......................................... ৮২
* তক্বদীর পরিবর্তন হয়
........................................................... ৮৩
* মহান আল্লাহ পাক তিনি ও নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা সন্তুষ্ট
হবেন এবং অভিভাবক ও হিফাযতকারী হবেন ...................
৮৪
ঝ) সম্মানিত যাকাত কাকে দিবেন
....................................................... ৮৫
* যাকাত পাওয়ার হক্বদারদের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
....................... ৮৫
* খাতসমূহের মধ্যে যাদেরকে যাকাত দেয়া অধিক উত্তম
..... ৮৬
* ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে যে সমস্ত খাতগুলো
যাকাত আদায়ের খাত নয়
................................................................
৮৬
ঞ) সম্মানিত যাকাত যাদেরকে দেয়া যাবে না
..................................... ৮৮
ট) যাকাতদাতার দায়িত্ব-কর্তব্য
.......................................................... ৯৫
* লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে যাকাত আদায় করা শিরক
......... ৯৫
* সম্মানিত যাকাত উনার টাকা দিয়ে ব্যবহার অযোগ্য নি¤œমানের কাপড় ক্রয় ও তা গরীবের মাঝে বিতরণ সম্মানিত যাকাত
ইহানত করার শামীল ...............................
৯৮
* সম্মানিত যাকাত উনার নিয়ত থাকা আবশ্যক
..................... ১০০
* সম্মানিত যাকাত উনার মাল গোপন না করে বরং যাকাত
উছূলকারীকে সন্তুষ্ট করা যাকাতদাতার কর্তব্য ....................
১০১
* ইহতিকার বা মওজুদকরণের বিধান
.................................... ১০১
ইহতিকার বা মাল-সম্পদ
মওজুদকারীর শাস্তি .......... ১০৩
* একজন যাকাত গ্রহীতাকে কি পরিমাণ যাকাত দেয়া উচিত ১০৩
ঠ) যাকাতযোগ্য মাল-সম্পদের বিধান ................................................ ১০৩
* যে যে সম্পদ বা মালের যাকাত ফরয
.................................. ১০৩
* মাল-সম্পদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শর্তাবলী
.............................. ১০৩
* যে সব মাল অর্থ-সম্পদের উপর সম্মানিত যাকাত
ওয়াজিব নয় ..........................................................................
১০৪
* অবৈধ মালের সম্মানিত যাকাত নেই
................................... ১০৪
* খনিজ দ্রব্যের সম্মানিত যাকাত
............................................ ১০৪
* মণি-মুক্তা ও মূল্যবান পাথরের যাকাত উনার বিধান
.......... ১০৫
ড) সোনা-চান্দি/নগদের সম্মানিত যাকাত
......................................... ১০৫
* স্বর্ণের সম্মানিত যাকাত
....................................................... ১০৫
* রৌপ্যের সম্মানিত যাকাত ................................................... ১০৬
* বর্তমানে সোনা ও রূপায় কোনটি নিছাব হিসেবে উত্তম
... ১০৬
* খাদযুক্ত সোনা-চান্দির সম্মানিত যাকাত আদায়ের
বিধান ১০৬
* বিভিন্ন ক্যারেটের স্বর্ণের সম্মানিত যাকাত
আদায়ের বিধান ১০৭
* আহলিয়ার সম্পদ বা অলঙ্কারের যাকাত কে দিবে?
............ ১০৭
* বিভিন্ন সঞ্চয়ী ফান্ডের টাকার সম্মানিত যাকাত
আদায়ের বিধান
....................................................................................
১০৮
ঢ) মালে তেজারত বা ব্যবসায়িক মালের সম্মানিত
যাকাত ............ ১০৯
* কোন ব্যবসায়ের আনুসাঙ্গিক বিষয়ের উপর যাকাত দিতে
হয় না
...................................................................................
১১০
* পাওনা ও আটকে পড়া সম্পদের সম্মানিত যাকাত উনার
বিধান ....................................................................................
১১১
* ঋণগ্রস্তদের ঋণের বদলা হিসেবে সম্মানিত যাকাত
উনার অর্থ কেটে নেয়ার বিধান
.......................................................
১১১
* পাওনাদারের সম্মানিত যাকাত আদায়ের বিধান
...................... ১১১
* ব্যবসায়িক মালের মূল্যের উপর যাকাত দিতে হবে
......... ১১৩
* রিয়েল এস্টেট ব্যবসার সম্মানিত যাকাত আদায়ের
বিধান ১১৪
* ঔষধ কোম্পানীগুলোর সম্মানিত যাকাত আদায়ের বিধান ১১৪
ণ) গৃহপালিত পশুর সম্মানিত যাকাত
.................................................. ১১৪
* যাকাতযোগ্য পশুর বিধান ..................................................... ১১৪
* গৃহপালিত পশুর যাকাত ফরয হওয়ার শর্তসমূহ
................. ১১৬
* গৃহপালিত পশুর যাকাত উনার নিছাব
.................................. ১১৬
* গৃহপালিত পশুর যাকাত আদায়ের ক্ষেত্রে লক্ষণীয়
বিষয়াবলী ..............................................................................
১২১
১. পশু দোষ-ত্রুটি মুক্ত হওয়া
......................................... ১২১
২. সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত কর্তৃক নির্ধারিত
বয়সের হওয়া ...........................................................................
১২২
* গৃহপালিত পশুর মালিক অতিরিক্ত যাকাত দিতে পারবেন ১২৪
* পশুর যাকাত আদায় না করার পরিণাম
............................... ১২৬
ত) যাকাত উছূলকারীদের ফযীলত
...................................................... ১২৭
* যাকাত উছূলকারীদের দায়িত্ব-কর্তব্য
.................................. ১২৭
* যাকাত উছূলকারীদের সংকোচ করা উচিত নয়
................... ১২৮
* যাকাত উছূলকারী কর্তৃক সম্মানিত যাকাত উনার মাল
আত্মসাৎ করার ভয়াবহ শাস্তি .............................................
১২৯
ক) উছূল কর্মচারী বা সম্মানিত যাকাত আদায়কারী
যে পশু খিয়ানত করবে কিয়ামতে ঐ পশু কাঁধে নিয়ে পশুর ন্যায় ডাকতে থাকবে
.........................................
১২৯
খ) উছূল কর্মচারী বা সম্মানিত যাকাত আদায়কারী
যা কিছু গোপন বা খিয়ানত করবে সেটা নিয়েই কিয়ামতের দিন উঠবে ................................................
১৩১
৩. ছদাক্বাতুল ফিত্বর পর্ব (كِتَابُ صَدَقَةَ الْفِطْرِ)
.................................. ১৩২
* পবিত্র ছদাক্বাতুল ফিত্বর শব্দের অর্থ
.............................................. ১৩২
* ছদাক্বাতুল ফিত্বর কে দিবেন ................................................ ১৩২
* ছদাক্বাতুল ফিত্বর কতটুকু দিবেন
......................................... ১৩৩
হযরত খুলাফয়ে রাশেদীন
আলাইহিমুস সালাম উনাদের আমল
..........................................................
১৩৫
টাকা দিয়ে পবিত্র
ছদাক্বাতুল ফিত্বর আদায় করা বৈধ
.............................................................................
১৩৮
* ছদাক্বাতুল ফিত্বর কখন দিবেন
............................................ ১৩৯
* পবিত্র ছদাক্বাতুল ফিত্বর উনার গুরুত্ব ও ফযীলত
............... ১৪০
৪. উশর পর্ব (كِتَابُ الْعُشْرِ)
.............................................................. ১৪১
* উশর শব্দের অর্থ
.................................................................................. ১৪১
* ফসলের হক্ব আদায় সম্পর্কিত পূর্ববর্তী যুগের ঘটনা
......... ১৪২
* উশরযোগ্য ফল-ফসলের বিধি-বিধান
................................ ১৪৪
ক) উশর কে দিবেন
........................................................ ১৪৪
খ) উশর কতটুকু দিবেন
............................................... ১৪৪
গ) উশর কখন দিবেন
.................................................... ১৪৫
ঘ) উশর ব্যয়ের খাতসমূহ ............................................ ১৪৫
ঙ) উশর আদায়ের হুকুম
............................................... ১৪৫
চ) কর ও খাজনা প্রদানকৃত যমীনের ফসলে উশর দেয়ার
হুকুম ...............................................................
১৪৫
ছ) উশর আদায়ের ফযীলত
.......................................... ১৪৫
জ) উশর আদায় না করার শাস্তি
..................................... ১৪৬
৫. এক নজরে সম্মানিত যাকাত হিসাবের বিভিন্ন
বিষয়ের বিস্তারিত ছক
..................................................................................................
১৪৭
ক) সম্মানিত যাকাত যোগ্য সম্পদের বর্ণনা
............................. ১৪৭
খ) সম্মানিত যাকাত থেকে অব্যাহতি প্রাপ্ত
সম্পদের বর্ণনা ..... ১৪৮
গ) উশর ও পশু সম্পদের নির্ধারিত যাকাত
............................ ১৪৯
ঘ) সম্মানিত যাকাত নিরূপণ
..................................................... ১৪৯
৬. মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসা ও
ইয়াতীমখানা ..................... ১৫০
* এই প্রতিষ্ঠানের মৌলিক বৈশিষ্ট্যসমূহ
............................... ১৫২
৭. এক নজরে সম্মানিত যাকাত, ফিত্বরা ও উশর ............................. ১৫৪
৮. সম্মানিত যাকাত ও উশর সংক্রান্ত তা’লীম
................................ ১৫৬
مُقَدّمَةُ
الْكِتَابِ(মুক্বদ্দিমাতুল কিতাব)
খ¦লিক্ব, মালিক, রব, মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে
সম্মানিত যাকাত উনার সম্পর্কে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
خُذْ مِنْ اَمْوَالِـهِمْ
صَدَقَةً تُطَهّرُهُمْ وَتُزَكّيْهِمْ بِـهَا وَصَلّ عَلَيْهِمْ اِنَّ صَلٰوتَكَ سَكَنٌ لَّـهُمْ وَاللهُ سَـمِيْعٌ عَلِيْمٌ.
অর্থ : (ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি উনাদের
ধন-সম্পদ থেকে ছদক্বা (যাকাত, ফিত্বরা, উশর, দান, ছদক্বা, হাদিয়া) গ্রহণ
করুন,
আপনি (যে দয়া করে গ্রহণ করেছেন) এর মাধ্যমে প্রদানকারীদেরকে
(যাহিরী) পবিত্রতাপ্রাপ্ত এবং (বাতিনী) ইছলাহীপ্রাপ্ত করুন এবং আপনি উনাদের জন্যে
দোয়া মুবারক করুন। নিশ্চয়ই আপনার দোয়া মুবারকই উনাদের জন্যে শান্তি, নিরাপত্তা এবং কামিয়াবী। মহান আল্লাহ পাক তিনি সব কিছু
শোনেন এবং সব কিছু জানেন। (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৩)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ اَبِـي اَوْفٰـى رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ كَانَ النَّبِىُّ
صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِذَا اَتَاهُ قَوْمٌ بِصَدَقَتِهِمْ قَالَ اَللّٰهُمَّ صَلّ عَلٰى اٰلِ فُلَانٍ. فَاَتَاهُ اَبِـىْ بِصَدَقَتِهٖ فَقَالَ اللّٰهُمَّ صَلّ عَلٰى اٰلِ اَبِـىْ اَوْفٰـى رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ. وَفِىْ رَوَايَةٍ اِذَا اَتٰى الرَّجُلُ النَّبِىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَصَدَقَتِهِ قَالَ اللّٰهُمَّ صَلِّ عَلَيْهِ.
অর্থ : “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আবূ আওফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, কোন পরিবারের লোকেরা যখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
নিকট তাদের সম্মানিত যাকাত নিয়ে আসতেন, তখন তিনি দোয়া মুবারক করতেন, আয় মহান আল্লাহ
পাক! আপনি অমুক পরিবারের প্রতি ছলাত অর্থাৎ রহমত, বরকত,
সাকীনা বর্ষণ করুন। হযরত আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু তিনি বলেন, একদা আমার পিতা তিনি উনার
সম্মানিত যাকাত নিয়ে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে আসলেন তখন
তিনি দোয়া মুবারক করেন, আয় মহান আল্লাহ
পাক! আপনি ছলাত অর্থাৎ রহমত, বরকত, সাকীনা বর্ষণ করুন হযরত আবূ আওফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
উনার পরিবারের প্রতি। সুবহানাল্লাহ! অপর বর্ণনায় রয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট কোন যাকাত
নিয়ে আসলে তিনি দু‘আ মুবারক করে ইরশাদ মুবারক করতেন- আয় মহান আল্লাহ পাক! আপনি
ছলাত অর্থাৎ রহমত, বরকত, সাকীনা বর্ষণ করুন।” (বুখারী শরীফ : কিতাবুয যাকাত : হাদীছ
শরীফ নং ১৪৯৭; মুসলিম শরীফ : কিতাবুয যাকাত :
হাদীছ শরীফ নং ১০৭৮; নাসায়ী শরীফ :
কিতাবুয যাকাত : হাদীছ শরীফ নং ২৪৫৯)
উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারা প্রতিভাত হয় যে, সম্মানিত যাকাত উনার অর্থ-সম্পদ স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট পৌঁছানোর নির্দেশ মুবারক
দেয়া হয়েছে এবং উক্ত নির্দেশ মুবারক হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহুম উনারা যথার্থরূপে পালন করে সর্বপ্রকার পবিত্রতা, পরিশুদ্ধতা ও দু‘আ মুবারক লাভ করে কামিয়াবী ও সন্তুষ্টি
মুবারক হাছিল করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত
দিদার মুবারক-এ তাশরীফ মুবারক নেওয়ার পর যিনি খলীফাতু রসূলিল্লাহ হযরত ছিদ্দীক্বে
আকবর আলাইহিস সালাম উনার নিকট যাকাত পৌঁছানোর নির্দেশ মুবারক দেয়া হয় এবং উনার
নিকট যাকাত পৌঁছানো বা প্রদান করতে যারা অস্বীকার করে তিনি তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ
ঘোষণা করেন।
যেমন এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ
رَضِىَ اللهُ تَعَالى عَنْهُ قَالَ قَالَ حَضْرَتْ اَبُوْ بَكْرٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَاللهِ لَاُقَاتِلَنَّ مَنْ فَرَّقَ بَيْنَ الصَّلٰوةِ وَالزَّكٰوةِ فَاِنَّ الزَّكٰوةَ حَقُّ الْمَالِ وَاللهِ لَوْ مَنَعُوْنِـى عَنَاقًا كَانُوْا يُؤَدُّونَـهَا اِلٰى رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَقَاتَلْتُهُمْ عَلٰى مَنْعِهَا.
অর্থ : “হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! আমি অবশ্যই তাদের সাথে জিহাদ
করব যারা সম্মানিত নামায ও সম্মানিত যাকাত উনাদের মধ্যে পার্থক্য করে (অর্থাৎ, সম্মানিত নামায উনাকে স্বীকার করে, আর সম্মানিত যাকাত উনাকে অস্বীকার করে)। নিশ্চয়ই সম্মানিত
যাকাত হচ্ছে মালের হক্ব। মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! যদি তারা একটি উট বা বকরী
বাঁধার রশি দিতেও আমাকে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে, যা তারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রদান করত, তবুও আমি তার জন্যে তাদের সাথে জিহাদ করবো।” (বুখারী শরীফ :
কিতাবুয যাকাত : বাবু উজূবিয যাকাত : হাদীছ শরীফ নং ১৩৯৯)
অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـيْ هُرَيْرَةَ
رَضِىَ اللهُ عَعَالٰى عَنْهُ قَالَ لَمَّا تُوُفِّـيَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَ حَضْرَتْ أَبُو بَكْرٍ عَلَيْهِ السَّلَامَ وَكَفَرَ مَنْ كَفَرَ مِنَ الْعَرَبِ فَقَالَ حَضْرَتْ عُمَرُ عَلَيْهِ السَّلَامَ كَيْفَ تُقَاتِلُ النَّاسَ وَقَدْ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اُمِرْتُ اَنْ اُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا لَا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ. فَمَنْ قَالَـهَا فَقَدْ عَصَمَ مِنِّي مَالَهُ وَنَفْسَهُ اِلَّا بِـحَقِّهِ وَحِسَابُهُ عَلَى اللهِ. فَقَالَ وَاللهِ لَاُقَاتِلَنَّ مَنْ فَرَّقَ بَيْنَ الصَّلٰوةِ وَالزَّكٰوةِ فَاِنَّ الزَّكٰوةَ حَقُّ الْمَالِ وَاللهِ لَوْ مَنَعُونِـيْ عَنَاقًا كَانُوا يُؤَدُّونَـهَا اِلَى رَسُوْلِ الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَقَاتَلْتُهُمْ عَلَى مَنْعِهَا. قَالَ حَضْرَتْ عُمَرُ عَلَيْهِ السَّلَامَ فَوَاللهِ مَا هُوَ اِلَّا اَنْ قَدْ شَرَحَ اللهُ صَدْرَ حَضْرَتْ اَبِـي بَكْرٍ عَلَيْهِ السَّلَامَ فَعَرَفْتُ اَنَّهُ الْـحَقُّ.
অর্থ : “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত দিদার মুবারক-এ তাশরীফ মুবারক
নেওয়ার পর সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ১ম খলীফা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম
উনার খিলাফতকালে আরবের কিছু লোক মুরতাদ হয়ে যায়। তখন হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস
সালাম তিনি [হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনাকে লক্ষ্য করে] বললেন, আপনি (সে সব) লোকদের বিরুদ্ধে কিভাবে জিহাদ করবেন (যারা
সম্পূর্ণরূপে দ্বীন পরিত্যাগ করেনি, বরং যাকাত দিতে অস্বীকার করেছে মাত্র)? অথচ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক
করেছেন,
‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ বলার পূর্ব পর্যন্ত
মানুষের বিরুদ্ধে জিহাদ করার নির্দেশ আমাকে দেয়া হয়েছে, যে কেউ তা বললো, সে তার সম্পদ ও জীবন আমার পক্ষ থেকে নিরাপদ করে নিলো। তবে সম্মানিত দ্বীন
ইসলাম উনার বিধান লঙ্ঘন করলে (শাস্তি দেয়া যাবে), আর তার অন্তরের গভীর (অন্তরে কুফরী লুকানো থাকলে এর) হিসাব-নিকাশ মহান আল্লাহ
পাক উনার যিম্মায়। তখন হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আমি জিহাদ
করবো যারা নামায ও যাকাতের মধ্যে পার্থক্য করবে। নিশ্চয়ই যাকাত হল সম্পদের উপর
আরোপিত হক্ব। মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম। যদি তারা একটি উট বা বকরী বাঁধার রশি
যাকাত দিতেও অস্বীকৃতি জানায় যা মহান আল্লাহ পাক-উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে তারা দিত, তাহলে যাকাত না দেয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে আমি অবশ্যই
জিহাদ করবো। হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত
ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার অন্তর (সত্য উপলব্ধির জন্যে) প্রসারিত করেছেন
বিধায় উনার এ দৃঢ়তা, এতে আমিও বুঝতে
পারলাম উনার সিদ্ধান্তই যথার্থ।” (বুখারী শরীফ : কিতাবুয যাকাত : বাবু উযূবিয
যাকাত : হাদীছ শরীফ নং ১৪০০)
উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের বর্ণনার মধ্যমে দুটো বিষয় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে
তাহলো-
(এক) নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহু, হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পক্ষ থেকে মনোনীত খলীফা উনার কাছে যাকাত, ফিত্বরা ও উশর ইত্যাদি ফরয-ওয়াজিব দান-ছদক্বা পৌঁছাতে হবে।
এক্ষেত্রে যাকাত কবুল হওয়ার মধ্যে কোন সংশয় সন্দেহ থাকে না। আর যদি যাকাতদাতা
নিজেই নিজের যাকাত গরীব-মিসকীনদের মাঝে বিতরণ করে তাহলে সেক্ষেত্রে স্বেচ্ছাচারিতা, রিয়া বা লৌকিকতা ইত্যাদির কারণে তার যাকাত সঠিক স্থানে ও
সঠিকভাবে বিতরণ না হওয়ায় তা আদায় ও কবুল হয়না। ফলে সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের
বিপরীতে অসন্তুষ্টি হাছিল হয়ে থাকে। নাঊযুবিল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক উনার অশেষ ছানা-ছিফত ও শুকরিয়া যে, তিনি এই আখিরী যামানায় বিশ্ববাসীর প্রতি দয়া-ইহসান মুবারক
করেছেন,
তিনি উনার শ্রেষ্ঠতম রসূল, সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত
আহলে বাইত, পরিপূর্ণ ক্বায়িম-মাক্বাম, ইমাম ও মনোনীত খলীফা হিসেবে মুজাদ্দিদে আ’যম, নূরে মুকাররম, রাজারবাগ শরীফ উনার সম্মানিত মুর্শিদ ক্বিবলা, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকে প্রেরণ করেছেন।
সুবহানাল্লাহ! তিনি মুসলিম উম্মাহকে সমৃদ্ধি ও পবিত্রতা দানের লক্ষ্যে সম্মানিত
যাকাত সংগ্রহ এবং যথাস্থানে যথাযথভাবে তা বিতরণের কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন এবং এ
লক্ষ্যে যাকাত সংগ্রহের আমিলদের দায়িত্ব দিয়েছেন। তাই উক্ত আমিলদের মাধ্যমে কিংবা
সরাসরি উনার নিকট যাকাত-ফিত্বরাসহ ফরয, ওয়াজিব, নফল সর্বপ্রকার দান-ছদক্বা
পৌঁছালে তা নিঃসন্দেহে কবুল হবে এবং কামিয়াবী ও সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল হবে।
(দুই) যাদের উপর যাকাত ফরয তারা যদি যাকাত আদায়ে অস্বীকৃতি
জ্ঞাপন করে তাহলে তারা মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের ফায়ছালা অনুযায়ী জিহাদের সম্মুখীন হবে।
নাঊযুবিল্লাহ! অর্থাৎ তারা মুসলমান পরিচয় দিলেও হাক্বীক্বীতে তারা মুসলমান নয়।
উল্লেখ্য, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, রাজতন্ত্র ইত্যাদি মানবরচিত শাসন ব্যবস্থা কোনটিই
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম সম্মত নয়। আর উক্ত শাসন ব্যবস্থা দ্বারা নির্বাচিত সরকার বা
সরকার প্রধান মোটেই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ
থেকে মনোনীত হওয়া তো দূরের কথা ক্ষেত্র বিশেষে উনার বিরোধী হিসেবে সাব্যস্ত করে।
এরা কখনোই যাকাত উনার নির্ধারিত খাতে যাকাত বিতরণ করে না। বরং দেখা যায়, তারা সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত কর্তৃক অননুমোদিত খাতে
যাকাত উনার অর্থ-সম্পদ ব্যয় করে থাকে এবং কখনো নিজেরাইআত্মসাৎ করে থাকে। যার কারণে এদের নিকট যাকাত দেয়া কখনোই শরীয়ত সম্মত হবে না।
যাকাত প্রদান করুন
মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসা উনার একাউন্ট নাম্বার সমূহ-
Account no.1
Muhammadia Jamia Shareef Madrasa & yatimkhana
A/C-200007569
Sonali Bank Limited, Malibag Branch
Dhaka, Bangladesh
Account no.2
name:-MD. Mufizul Islam
A/C-1020335489001 Naya-paltan branch
IFIC Bank Limited, Dhaka, Bangladesh
Swift Code: IFICBDDH
Account no.3
name:-MD. Mufizul Islam
A/C-108101277050 Shantinaghar branch
Dutch Bangla Bank Limited, Dhaka, Bangladesh
Swift Code: DBBLBDDH
Account no.4
Dutch Bangla mobile Banking-017187407422
Account no.5
Bkash-(parsonal) 01718740742, 01876043934, 01990770065
Bkash-(Agent)- 01709672605
0 Comments:
Post a Comment