সুওয়াল : জানাযার নামায পড়া কি ও তার নিয়ম কি? কোন তাকবীরের পর কি দোয়া পড়তে হয়? অনেককে দিখা যায়, ঈদের নামাযের ন্যায় জানাযার নামাযের তাকবীরের সাথে সাথে হাত তুলতে, এটা কি ঠিক?
জানালে বাধিত হবো।
জাওয়াব : জানাযার নামায ফরজে ক্বিফায়া। কোন মহল্লার থেকে একজন আদায়
করলেই সকলের হক আদায় হয়ে যাবে। অন্যান্য নামাযের ন্যায় জানাযা নামাযের জন্যও পাক
হওয়া শর্ত?
বিনা ওযুতে জানাযা পড়লে গুনাহ্ হবে। মাইয়্যেত সম্মুখে থাকা
শর্ত। গায়েবী জানাযা হানাফী মাযহাব মোতাবেক জায়েয নেই। জানাযার জন্য বেজোড় কাতার
হওয়া মোস্তাহাব। জানাযার নামাযের পিছনের কাতারে সওয়াব বেশী কিন্তু অন্যান্য নামাযে
প্রথম কাতারে সওয়াব বেশী।
জানাযার নামাযে চারি তাকবীর দিতে হয়। প্রথম
তাকবীর নিম্নের নিয়ত করার পর দিতে হয়।
বাংলা
উচ্চারণ : “নাওয়াইতুয়ান উয়াদ্দিয়াহ লিল্লাহে তায়ালা আরবায়া তাকবীরাতে সলাতিল জানাযাতে ফারদিল
ক্বিফায়াতে আসসানাউ লিল্লাহি তা’য়ালা ওয়াস সালাতু আলাল নাবিঈ
ওয়াদদোয়াই লি হাজাল মাইয়্যিতি (মহিলা হলে লি হাজিহিল মাইয়্যিতি) মুতাওয়াজ্জিহান
ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।’ এ নিয়ত করে আল্লাহু আক্বার বলে
হাত বাধতে হবে। অতঃপর এ সানা পড়তে হবে-
সানা : “সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া
বিহামদিকা ওয়াতাবারা কাসমুকা ওয়া তা’য়ালা জাদ্দুকা ওয়া জাল্লা সানাউকা
ওয়া লা-ইলাহা গাইরুকা।’ (এটা না পারলে নামাযের সানা পড়বে)
সানা পড়ে দ্বিতীয় তাকবীর (কিন্তু হাত উঠাতে
হবেনা) দিয়ে নিম্নের দরূদ শরীফ পড়তে হবে-
দরূদ শরীফ : “আল্লাহুম্মা সাল্লিআলা
সাইয়্যিদিনা মুহম্মদিও ওয়া আলা আলে সাইয়্যিদিনা মুহম্মদিন কামা সাল্লাইতা ওয়া
সাল্লামতা ওয়া বারাকতা ওয়া রাহিমতা ওয়া তারহামতা আলা সাইয়্যিদিনা ইব্রাহীমা ওয়া
আলা আলি সাইয়্যিদিনা ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ।
এটা না পড়লে নামাযের দরূদ শরীফ পড়লেও চলবে।
তারপর তৃতীয় তাকবীর (মুক্তাদির জন্য হাত উঠাতে হবেনা) বলে বালেগ-বালেগা হলে
নিম্মের দোয়া পড়তে হবে-
দোয়া : “আল্লাহুম্মাগফিরলী হাইয়্যিনা ওয়া
মাইয়্যিতিনা ওয়া শাহিদিনা ওয়া গায়িবিনা ওয়া সাগীরিনা ওয়া কাবীরিনা ওয়া যাকারিনা
ওয়া উনসানা আল্লাহুম্মা মান আহ্ইয়াই তামিন্না ফাআহ্ইহী আলাল ইসলাম ওয়া মান
তাওয়াফ্ফাইতামিন্না ফাতাওয়াফ্ফাআলাল ঈমান।
নাবালেগ ছেলে হলে এ দোয়া : “আল্লাহুম্মাজ আলহুলানা ফারাতাও ওয়াজ আলহুলানা আজরাও ওয়া জুখরাওঁ ওয়াজ আলহুলানা
শাফিয়াওঁ ওয়া মুশাফ্ফায়া।
নাবালেগ মেয়ে হলে- “ওয়াজ
আলাহুলানা,
এর স্থলে ‘ওয়াজ আল হালানা’ এবং শাফিয়াও, এর স্থলে ‘শাফিয়াতাও’ ও মোশাফফাআ,
এর স্থলে মোশাফফায়াতান পড়তে হবে।
এরপর চতুর্থ তাকবীর দিয়ে প্রথমে ডানে সালাম
ফিরানোর সময় ডান হাত এবং পরে বাম দিকের সালাম ফিরানোর সময় বাম হাত ছেড়ে দিয়ে নামায শেষ করতে হবে। জানাযার নামাযে, ঈদের নামাযের অনুরূপ তাকবীর বলার সময় হাত তুলতে হয়না।
আবা-১৮
0 Comments:
Post a Comment