সুওয়াল : পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে যাকাতের অর্থ ব্যায়ের
খাতগুলি কি কি? যদি কোন ব্যক্তির হাতে নিসাব পরিমাণ মাল থাকে, আর তার যদি ঋণ থাকে, তবে তার উপর যাকাত ফরজ কিনা?
জাওয়াব : পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে পবিত্র সূরা তওবা উনার মধ্যে বর্ণিত যাকাতের অর্থ ব্যায়ের
খাতগুলো হলো- (১) ফকির অর্থাৎ যার কিছুই নেই, (২)
মিসক্বীন অর্থাৎ যার আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশী, (৩)
আমেলীন অর্থাৎ যাকাত আদায়কারী, (৪) মুয়াল্লিফাতি কুলুবিহিম অর্থাৎ
ইসলাম গ্রহণকারী নওমুসলিমদেরকে আর্থিক সাহায্য দান। (৫) আররিকাব অর্থাৎ দাস
মুক্তির জন্য (৬) গারেমীন অর্থাৎ ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিকে, (৭) ফি
সাবিলিল্লাহ্ অর্থাৎ জ্বিহাদের জন্য (৮) ইবনুস সাবিল অর্থাৎ মুসাফির। যে নিজের
বাড়ীতে সম্পদশালী হলেও পথ চলতে গিয়ে খরচ শেষ হয়ে যাওয়ায় সে রিক্ত হস্ত হয়েছে, এমন ব্যক্তিকে যাকাত দেয়া। এ আট প্রকার ব্যক্তিকে যাকাত দেয়ার কথা পবিত্র কুরআন
শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে।
আর কোন ব্যক্তি যদি ঋণগ্রস্ত হয়, তাহলে তার ঋণ পরিশোধ করার পর যদি নিসাব পরিমাণ মাল থাকে অথবা দেনা টাকার
পরিমাণ মূল টাকার থেকে বাদ দিলে যদি নিসাব পরিমাণ অতিরিক্ত থাকে, তাহলে তার উপর যাকাত প্রদান করা ফরজ হবে।
0 Comments:
Post a Comment