জাওয়াব : পর্দা করা ফরজ। মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক ফরমান-
وقرن فى بيوتكن ولا تبرجن تبرج الجاهلية
الاولى.
অর্থঃ- তোমরা তোমাদের ঘরে অবস্থান
কর। আইয়্যামে জাহিলিয়াতের মত (অন্ধকার যুগ) বে-পর্দা হয়ে সৌন্দর্য প্রদর্শন করোনা।”
আর মহান আল্লাহ
পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনি বলেন,
المرأة عورة فاذا خرجت استشر فها الشيطان.
অর্থঃ- “মেয়েরা পর্দায় অবস্থান করবে। যখন কোন মেয়ে ঘর থেকে বের হয়, তখন শয়তান তার দ্বারা পাপ কার্য করানোর জন্য চেষ্টা চালায়।”
কাজেই কোন
অবস্থাতেই শরয়ী পর্দা উনার খেলাফ চলা যাবেনা। সকল অবস্থায়ই শরয়ী পর্দা উনার হুকুম মেনে
চলতে হবে। কারণ অন্যান্য ফরজের ন্যায় মহিলাদের জন্য পর্দা করা ফরজে আইন। স্বামী পর্দায়
চলতে না দিলেও পর্দা করতে হবে। কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন,
لا طاعة
لمخلوق فى معصية الخالق.
অর্থঃ- “মহান আল্লাহ পাক উনার নাফরমানী করে কোন মাখলুকাতের আনুগত্য করা জায়েয নেই।” সুতরাং যেভাবেই হোক স্বামীকে বুঝায়ে
পর্দা মোতাবেক চলতে হবে। যেহেতু স্বামী মুসলমান, সেহেতু হেকমতের
সাথে তাকে বুঝাতে চেষ্টা করতে হবে এবং পর্দা করতে হবে। কেননা হযরত আছিয়া আলাইহাস সালাম
উনার স্বামী ফেরাউন কাফির হওয়া সত্বেও তিনি পরিপূর্ণরূপে দ্বীন উনার উপর হক্ব উনার
উপর ছিলেন। কাজেই কোন অবস্থাতেই সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার হুকুমের খেলাফ চলা যাবেনা।
আবা-১৯
0 Comments:
Post a Comment