সুওয়াল - যদি কোন কোম্পানীর মালিক বিধর্মী হয়, (যেমন- কাদিয়ানী, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান, ইহুদী, বাহাই ইত্যাদি) তবে তার সাথে ব্যবসা করা জায়িয কিনা? তাদের উৎপাদিত খাদ্য-সামগ্রী খাওয়া জায়িয হবে কি?
জাওয়াব ঃ- মহান আল্লাহ্ পাক তিনি সূরা মুম্তাহেনাহ্-এর শুরুতে বলেন,
ياايها الذين امنول لا تتخذوا عدوى وعدو كم اولياء. অর্থঃ- “হে ঈমানদারগণ! তোমরা আমার শত্রূ এবং তোমাদের শত্রূ অর্থাৎ কাফিরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করোনা।” অর্থাৎ বিধর্মী বা কাফিরদের সাথে বাহ্যিকভাবে দুনিয়াবী ক্ষেত্রে সম্পর্ক রক্ষা করা যেতে পারে কিন্তু আন্তরিকভাবে তাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা জায়িয নেই। কাজেই কাফির বা বিধর্মীদের সাথে শরীয়তের দৃষ্টিতে ব্যবসা করা জায়িয রয়েছে, তবে অন্তর থেকে মহব্বত করা যাবেনা। হ্যাঁ, যদি কোন মুসলমানের সাথে ব্যবসা করা সম্ভব হয়, তাহলে কাফিরদের সাথে ব্যবসা করা ঠিক হবেনা, অন্যথায় জায়িয আছে। কাফিরদের উৎপাদিত দ্রব্য ও খাদ্য সামগ্রী ব্যবহার করা জায়িয রয়েছে। যদি কোন মুসলমানের মাধ্যমে উৎপাদিত দ্রব্য ও খাদ্য সামগ্রী পাওয়া যায়, তাহলে সেটাই ব্যবহার করতে হবে। আর মুসলমানের উৎপাদিত দ্রব্য ও খাদ্য সামগ্রী না পাওয়া গেলে তখনই বিধর্মীদের উৎপাদিত খাদ্য ও দ্রব্য সামগ্রী ব্যবহার করা জায়িয রয়েছে। জানা আবশ্যক যে, মুসলমানগণ কাফিরদের মাধ্যমে তৈরি ঐ সমস্ত খাদ্য ও দ্রব্য সামগ্রী ব্যবহার করতে পারবেন, যেগুলি শরীয়তে খাওয়া ও ব্যবহার করা জায়িয রয়েছে। আরো লক্ষনীয় যে, শরীয়তের দৃষ্টিতে মুসলমানদের জন্য যে সকল খাদ্য সামগ্রী খাওয়া জায়িয রয়েছে, সে সমস্ত খাদ্য সামগ্রী যদি বিধর্মীদের মাধ্যমে তৈরি হয়, আর তার মধ্যে যদি নাপাকী (যা মুসলমাদের জন্য খাওয়া জায়িয নেই, যেমন- গবর, চনা, শুকরের চর্বি ইত্যাদি) থাকার সম্ভাবনা থাকে, তবে তা খাওয়া জায়িয নেই। আর যদি নাও থাকে, তথাপিও তা খাওয়া তাক্ওয়ার খেলাফ। মহান আল্লাহ্ পাক অনেক জায়গায় কাফিরদের সাথে মহব্বত করতে নিষেধ করেছেন। যেমন সূরা মায়েদার ৫১নং আয়াত শরীফে এরশাদ করেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইহুদী-নাসারাদেরকে (বিধর্মীদের) বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না। তারা পরস্পর পরস্পরের বন্ধু। তোমাদের মধ্য থেকে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভূক্ত হবে।” অতএব প্রত্যেক মুসলমানের উচিৎ সে যেন তাহ্ক্বীক করে চলে।
আবা-২৫
0 Comments:
Post a Comment