কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান বা শবে বরাত ও তার
সংশ্লিষ্ট
বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া দেয়ার কারণ
সুন্নতের পথিকৃত, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, দ্বীন ইসলামের নির্ভীক সৈনিক, সারা জাহান থেকে কুফর, শিরক ও বিদয়াতের
মুলোৎপাটনকারী, বাতিলের
আতঙ্ক এবং আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদায় বিশ্বাসী একমাত্র দলীলভিত্তিক
তাজদীদী মুখপত্র- æমাসিক আল বাইয়্যিনাত” পত্রিকায় এ যাবৎ যত
লেখা বা ফতওয়াই প্রকাশ বা পত্রস্থ হয়েছে এবং ইনশাআল্লাহ হবে তার প্রতিটিরই
উদ্দেশ্য বা মাকছূদ এক ও অভিন্ন। অর্থাৎ æমাসিক আল বাইয়্যিনাত”-এ এমন সব লেখাই পত্রস্থ
হয় যা মানুষের আক্বীদা ও আমলসমূহ পরিশুদ্ধ ও হিফাযতকরণে বিশেষ সহায়ক।
উলামায়ে ‘ছূ’রা ‘শবে বরাত’ সম্পর্কে সমাজে
বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। উলামায়ে ‘ছূ’ বা ধর্মব্যবসায়ীরা বলে
ও প্রচার করে থাকে যে, শবে বরাত কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এর কোথাও নেই, শবে বরাত পালন করা বিদয়াত, নাজায়িয ও হারাম। নাঊযুবিল্লাহ!
তাদের এ বক্তব্যের কারণে তারা নিজেরা যেরূপ ক্ষতিগ্রস্ত
হচ্ছে, তদ্রুপ
তাদের উক্ত কুফরীমূলক বক্তব্য ও বদ আমলের কারণে সাধারণ মুসলমানগণ ই’তিক্বাদী বা আক্বীদাগত
ও আ’মালী
বা আমলগত উভয় দিক থেকেই বিরাট ক্ষতির সম্মুক্ষীন হচ্ছে। কেননা হাদীছ শরীফে শবে
বরাতের অশেষ ফযীলত বর্ণিত হয়েছে। যেমন এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে-
ان الدعاء
يستجاب فى
خمس ليال
اول ليلة
من رجب
وليلة النصف
من شعبان
وليلة القدر
المباركة وليلتا
العيدين
অর্থ: æনিশ্চয়ই পাঁচ রাত্রিতে দোয়া নিশ্চিতভাবে কবুল হয়ে থাকে।
(১) রজব মাসের প্রথম রাতে, (২) শবে বরাতের রাতে, (৩) ক্বদরের রাতে, (৪) ঈদুল ফিতরের রাতে, (৫) ঈদুল আযহার রাতে।”
হাদীছ শরীফে আরো ইরশাদ হয়েছে-
عن على
رضى الله
تعالى عنه
قال قال
رسول الله
صلى الله
عليه وسلم
اذا كانت
ليلة النصف
من شعبان
فقوموا ليلها
وصوموا يومها
فان الله
تعالى ينزل
فيها لغروب
الشمس الى
السماء الدنيا
فيقول الامن
مستغفر فاغفرله
الا مسترزق
فارزقه الا
مبتلى فاعافيه
الا كذا
الا كذا
حتى يطلع
الفجر.
অর্থ: æহযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত।
তিনি বলেন, আল্লাহ
পাক-উনার রসূল, সাইয়্যিদুল
মুরসালীন, ইমামুল
মুরসালীন, খাতামুন্
নাবিয়্যীন, হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, যখন শা’বানের পনের তারিখ
রাত্রি উপস্থিত হবে তখন তোমরা উক্ত রাত্রিতে নামায আদায় করবে এবং দিনে রোযা রাখবে।
কেননা নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক উক্ত রাত্রিতে সূর্যাস্তের সময় পৃথিবীর আকাশে আসেন
অর্থাৎ রহমতে খাছ নাযিল করেন। অতঃপর ঘোষণা করেন, æকোন ক্ষমা প্র্রার্থনাকারী আছ কি? আমি তাকে ক্ষমা করে
দিব।” æকোন রিযিক প্রার্থনাকারী আছ কি? আমি তাকে রিযিক দান
করব।” æকোন মুছিবতগ্রস্থ ব্যক্তি আছ কি? আমি তার মুছিবত দূর করে
দিব।” এভাবে ফজর পর্যন্ত ঘোষণা করতে থাকেন।” (ইবনে
মাজাহ্, মিশকাত)
এ ধরনের আরো অসংখ্য হাদীছ শরীফ রয়েছে, যাতে শবে বরাত-এর
ফযীলতের কথা বলা হয়েছে অর্থাৎ যারা শবে বরাত পালন করবে তারা মহান আল্লাহ পাক ও
উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনাদের উভয়েরই খাছ রেযামন্দি
বা সন্তুষ্টি লাভ করবে।
অতএব, নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, উলামায়ে æছূ"দের উক্ত বক্তব্য ও বদ আমলের কারণে সাধারণ
মুসলমানগণ ‘শবে
বরাত’ পালন থেকে বিরত থেকে অশেষ ফযীলত থেকে মাহরূম হবে। যা
আমলের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ক্ষতিকর।
কাজেই যারা এ ধরনের কুফরী আক্বীদায় বিশ্বাসী ও কুফরী
বক্তব্য প্রদানকারী, তারা ও হক্ব তালাশী সমঝদার মুসলমানগণ ঈমান ও আমলকে যেন
হিফাযত করতে পারে। অর্থাৎ শবে বরাতসহ সকল বিষয়ে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদার
ন্যায় আক্বীদা পোষণ করতে পারে এবং কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস মোতাবেক আমল করে আল্লাহ পাক-উনার
রেজামন্দী হাছিল করতে পারে। সে জন্যই কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে ‘লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান বা শবে বরাত’-এর
আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত ফতওয়াটি প্রকাশ করা হলো।
অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ দ্বারাও
শবে
বরাত প্রমাণিত
পূর্ব প্রকাশিতের পর
অর্ধ শা’বান তথা শবে বরাত সম্পর্কে আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অসংখ্য হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ করেছেন তা সর্বজনমান্য
ও বিশ্বখ্যাত হাদীছগ্রন্থে রয়েছে, কিতাবের নামসহ তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
æজামিউত্ তিরমিযী শরীফ”-এর ১ম খ-ের ৯২ পৃষ্ঠায়
উল্লেখ আছে-
(১০৪-১০৭)
حدثنا احمد
بن منيع
حدثنا يزيد
بن هرون
اخبرنا الحجاج
بن ارطاة
عنه يحيى
بن ابى
كثير عن
عروة عن
ام المؤمنين
حضرت عائشة
عليها السلام
قالت فقدت
رسول الله
صلى الله
عليه وسلم
ليلة فخرجت
فاذا هو
بالبقيع فقال
اكنت تخافين
ان يحيف
الله عليك
ورسوله فقلت
يا رسول
الله صلى
الله عليه
وسلم انى
ظننت انك
اتيت بعض
نسائك فقال
ان الله
عز وجل
ينزل ليلة
النصف من
شعبان الى
السماء الدنيا
فيغفر لاكثر
من عدد
شعر غنم
كلب.
অর্থ: æহযরত ইমাম তিরমিযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমাদের কাছে বর্ণনা
করেছেন হযরত আহমাদ ইবনু মানী রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে বর্ণনা
করেছেন ইয়াযীদ ইবনু হারুন রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে বর্ণনা
করেন, হযরত
হাজ্জাজ ইবনু আরত্বহ রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ইয়াহ্ইয়া ইবনে আবী কাছীর হযরত উরওয়াহ হযরত উরওয়াহ
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে। হযরত উরওয়াহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
উম্মুল তিনি মু’মিনীন
হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে। উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা
ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, এক রাতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনাকে (আমার ঘরে) না পেয়ে উনার খোঁজে বের হলাম। অতঃপর আমি দেখতে পেলাম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জান্নাতুল বাক্বীতে উনার মাথা মুবারক আকাশের
দিকে উত্তোলন করে আছেন। তখন হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনি আমাদেরকে দেখে বললেন, হে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম! আপনি কি এই
আশঙ্কা করছেন যে, মহান
আল্লাহ পাক এবং উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা আপনার আমানত
খিয়ানত করেছেন?
অতঃপর উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বললেন, আমি জবাবে বললাম, এটাতো আদৌ আমার পক্ষে
সমীচীন নয় ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। বরং
আমি মনে করেছি, হয়তোবা
আপনি আপনার অন্য কোন উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম উনার কাছে তাশরীফ নিয়েছেন। তখন নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা
ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনাকে লক্ষ্য করে বললেন, (আজকের এই শবে বরাতে) মহান আল্লাহ পাক ১৫ই শা’বান তথা বরাতের রাতে
নিকটস্থ আকাশে অবতরণ করেন এবং কালব গোত্রের বকরীর পশমের চেয়েও অধিক সংখ্যক লোককে
ক্ষমা করে থাকেন।” হযরত আবু ঈসা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, উক্ত অনুচ্ছেদে হযরত
আবু বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-উনার থেকে অনুরূপ হাদীছ শরীফ বর্ণিত
আছে। (উরফুশ্ শাযী, তুহফাতুল আহওয়াযীহ, আরীদাতুল আহওয়াযীহ)
æআরীদাতুল আহওয়াযী” কিতাবের ৩য় খ-ের ২৭৫
পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
(১০৮)
حدثنا احمد
بن منيع
حدثنا يزيد
بن هرون
اخبرنا الحجاج
بن ارطاة
عنه يحيى
بن ابى
كثير عن
عروة عن
ام المؤمنين
حضرت عائشة
عليها السلام
قالت فقدت
رسول الله
صلى الله
عليه وسلم
ليلة فخرجت
فاذا هو
بالبقيع فقال
اكنت تخافين
ان يحيف
الله عليك
ورسوله فقلت
يا رسول
الله صلى
الله عليه
وسلم انى
ظننت انك
اتيت بعض
نسائك فقال
ان الله
عز وجل
ينزل ليلة
النصف من
شعبان الى
السماء الدنيا
فيغفر لاكثر
من عدد
شعر غنم
كلب. وفى
الباب عن
ابى بكر
الصديق قال
ابو عيسى
حديث عائشة
عليها السلام.
অর্থ: æহযরত ইমাম তিরমিযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমাদের কাছে বর্ণনা
করেছেন হযরত আহমাদ ইবনু মানী রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে বর্ণনা
করেছেন ইয়াযীদ ইবনু হারুন রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে বর্ণনা
করেন, হযরত
হাজ্জাজ ইবনু আরত্বহ রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ইয়াহ্ইয়া ইবনে আবী কাছীর হযরত উরওয়াহ হযরত উরওয়াহ
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে। হযরত উরওয়াহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি
উম্মুল মু’মিনীন
হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে। উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা
ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, এক রাতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনাকে (আমার ঘরে) না পেয়ে উনার খোঁজে বের হলাম। অতঃপর আমি দেখতে পেলাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জান্নাতুল বাক্বীতে উনার মাথা মুবারক আকাশের
দিকে উত্তোলন করে আছেন। তখন হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনি আমাকে দেখে বললেন, হে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম! আপনি কি এই
আশঙ্কা করছেন যে, মহান
আল্লাহ পাক এবং উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনার আমানত খিয়ানত
করেছেন?
অতঃপর হযরত উম্মুল মু’মিনীন আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বললেন, আমি জবাবে বললাম, এটাতো আদৌ আমার পক্ষে
সমীচীন নয় ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। বরং
আমি মনে করেছি, হয়তো
বা আপনি আপনার অন্য কোন উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম উনার কাছে তাশরীফ নিয়েছেন। তখন
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা
ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনাকে লক্ষ্য করে বললেন, (আজকের এই শবে বরাতে) মহান আল্লাহ পাক ১৫ই শা’বান তথা বরাতের রাতে
নিকটস্থ আকাশে অবতরণ করেন এবং কালব গোত্রের বকরীর পশমের চেয়েও অধিক সংখ্যক লোককে
ক্ষমা করে থাকেন।”
উপরোল্লিখিত হাদীছ শরীফ-এর ব্যাখ্যায় উক্ত কিতাবের ৩য়
খ-ের ২৭৫ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
(১০৯)
وقد ذكر
بعض المفسرين
ان قوله
تعالى انا
انزلناه انها
فى ليلة
النصف من
شعبان
অর্থ: æমুফাস্সিরীনদের অনেকেই উল্লেখ করেছেন যে, মহান আল্লাহ পাক-উনার
বাণী
انزلناه فى ليلة مباركة
‘নিশ্চয়ই আমি এটা অবতীর্ণ করেছি, বরকতের রাত্রিতে। উক্ত
লফয মুবারক দ্বারা অর্ধ শা’বানের রাত তথা বরাতের রাতকেই বুঝিয়েছেন।” এটা
ছাড়াও উপরোক্ত আয়াত শরীফ দ্বারা শবে বরাতকে বুঝানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে æআরীদাতুল আহওয়াযী” কিতাবের
৪র্থ খ-ের ৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
(১১০)
القدر بمعنى
التقدير قال
الله تعالى
فيها يفرق
كل امر
حكيم قال
علماؤنا يلقى
الله فيها
الى الملائكة
ديوان العام
... قيل لليلة
النصف من
شعبان
অর্থ: æক্বদর অর্থ হচ্ছে তাক্বদীর তথা ভাগ্যবণ্টন। আর
ভাগ্যবণ্টন সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক কালামে পাক ইরশাদ করেন-
فيها يفرق كل امر حكيم
æসেই শবে বরাতে প্রত্যেক হিক্বমতপূর্ণ বিষয়ের ফায়ছালা করা
হয়।’
আর আমাদের উলামাগণ বলেন, সেই বৎসরের ভাগ্যলিপিসহ মহান আল্লাহ পাক শবে ক্বদরে
ফেরেশতাদের কাছে পেশ করেন। আর অনেকেই বলেছেন, উক্ত আয়াত শরীফ-এ লাইলাতুল মুবারাকা দ্বারা অর্ধ শা’বানের রাত তথা শবে
বরাতকেই বুঝানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিখ্যাত কিতাব হাম্বলী মাযহাবের ইমাম
হযরত আহমদ ইবনে হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার æমুসনাদ”-এর ২য় খ-ের ১৭৬ পৃষ্ঠায়
উল্লেখ আছে-
(১১১)
حدثنا عبد الله حدثنا ابى ثنا حسن ثنا ابن لهيعة ثنا يحيى ابن عبد الله عن ابى عبد الرحمن الحبلى عن عبد الله بن عمرو ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال يطلع الله عز وجل الى خلقه ليلة النصف من شعبان فيغفر لعباده الا لاثنين مشاحن وقاتل نفس
অর্থ: æহযরত আব্দুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন, আমার কাছে বর্ণনা করেন
আমার পিতা। তিনি বলেন, আমাদের কাছে বর্ণনা করেন, হযরত হাসান রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে বর্ণনা
করেন, হযরত
ইবনু লাহীয়াহ রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেুন, আমাদের কাছে বর্ণনা করেন, ইয়াহ্ইয়া ইবনে আব্দুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি আবী
আব্দুর রহমান হাবলী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে, তিনি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহুমা উনার থেকে। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই হযরত রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনি ইরশাদ করেন, মহান
আল্লাহ পাক অর্ধ শা’বানের রাতে তথা শবে বরাতে সৃষ্টির জন্য অবতরণ করেন
নিকটস্থ আকাশে। অতঃপর হিংসুক এবং মানুষ হত্যাকারীদের ব্যতীত সকল মানুষকে ক্ষমা করে
দিয়ে থাকেন।
উল্লেখ্য,
ليلة النصف من شعبان
তথা ১৫ই শা’বানের রাত বা শবে বরাত কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ সম্মত তা
অসংখ্য বিশ্বখ্যাত তাফসীর গ্রন্থের আলোকে এবং বিশ্ববিখ্যাত হাদীছ শরীফ-এর কিতাব
থেকেও সুস্পষ্টভাবে প্রমানিত আছে। নিম্নে তা ধারাবাহিকভাবে উল্লেখ করা হল। কেননা
কুরআন শরীফ-এ
ليلة مباركة
অর্থ: বরকতপূর্ণ রাত এবং فيها يفرق كل امر حكيم
ওই রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয়সমূহ ফায়সালা করা হয়।
এ আয়াত শরীফ-এর মাধ্যমে ও অর্ধ শা’বানের রাত তথা শবে বরাতকে বুঝানো হয়েছে। এ ব্যাপারে
অসংখ্য তাফসীরের আলোকে ধারাবাহিকভাবে পূর্বে আলোচনা করা হয়েছে। এবং হাদীছ শরীফ
দ্বারা ও প্রমাণ করা হয়েছে। যারা নাদান মূর্খ, বক্বদরে নিছাব, কমজ্ঞান কমবুঝের অধিকারী বদ আক্বীদা ও বদ মাযহাবের
অধিকারী শুধুমাত্র তারা অর্ধশা’বানের রাত্রি তথা শবে বরাত সম্পর্কে এলোমেলো কথাবার্তা
বলতে পারে। অথচ অসংখ্য ও অগণিত তাফসীর ও হাদীছ শরীফ-এর কিতাবে ১৫ই শা’বানের রাতে তথা শবে
বরাতে ইবাদত বন্দেগী করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিশ্ব বিখ্যাত
হাদীছ শরীফ-এর কিতাব হযরত ইমাম বায়হাক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার শুয়াবুল ঈমান” নামক
কিতাবের ৩য় খ-ের ৩৭৮ ও ৩৭৯ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
(১১২)
حدثنا عبد
الله بن
يوسف الاصبهانى
انا ابو
اسحاق ابراهيم
بن احمد
بن فراس
مكى نا
محمد بن
على بن
زيد الصائغ
نا الحسن
بن على
بن عبد
الرزاق نا
ابن ابى
سبرة عن
ابراهيم بن
محمد عن
معاوية بن
عبدالله بن
جعفر عن
ابيه عن
على بن
ابى طالب
قال رسول
الله صلى
الله عليه
وسلم اذا
كانت ليلة
النصف من
شعبان فقوموا
ليلتها وصوموا
يومها فان
الله تعالى
يقول الا
من مستغفر
فاغفرله الا
من مسترزق
فأرزقه الا
من سائل
فاعطيه الا
كذا حتى
يطلع الفجر.
অর্থ: হযরত ইমাম বায়হাক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমাদের কাছে হাদীছ শরীফ
বর্ণনা করেন, হযরত
আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ আছবাহানী রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে বর্ণনা
করেন হযরত আবু ইসহাক্ব ইব্রাহিম ইবনে আহমদ ইবনে ফারাস মক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি।
তিনি বলেন, আমাদের
কাছে বর্ণনা করেন, হযরত
মুহম্মদ ইবনে আলী ইবনে যায়িদ ছয়িগ রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে বর্ণনা
করেন হযরত হাসান ইবনে আলী ইবনে আব্দুর রাযযাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে বর্ণনা
করেন ইবনু আবী সাবরাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত ইবরাহীম ইবনে মুহম্মদ রহমতুল্লাহি
আলাইহি উনার থেকে। তিনি হযরত মুয়াবিয়া ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে জাফর রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু উনার থেকে। তিনি হযরত আলী ইবনে আবু তালিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
উনার থেকে। হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন যে, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আরাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন। যখন অর্ধ শা’বানের রাত তথা শবে বরাত
আগমন করে, তখন
তোমরা ওই শবে বরাতের রাতে জেগে জেগে ইবাদত করবে এবং ওই দিনে রোযা পালন করবে। কেননা
(ওই রাতে) মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, কে আছো ক্ষমা প্রার্থী? আমি তাকে ক্ষমা করে দিবো। কে আছো রিযিক্ব তলবকারী? আমি তার রিযিক্ব পুরা
করে দিবো এবং কে আছো প্রার্থনাকারী তথা অভাবী? আমি তার অভাব মিটিয়ে দিবো। সাবধান! এভাবেই মহান আল্লাহ
তায়ালা তিনি ফজর পর্যন্ত বান্দাদেরকে আহ্বান করতে থাকেন।
অনুরুপভাবে শুয়াবুল ঈমান কিতাবের ৩য় খ-ের ৩৭৯ পৃষ্ঠায়
আরো উল্লেখ আছে-
(১১৩)
اخبرنا ابو
عبد الله
الحافظ حدثنى
ابو بكر
محمد بن
احمد بن
حمد ان
المروزى نا
ابو سعيد
مكى بن
خالد بن
الفضل السرخسى
نا سعيد
بن يقوب
الطالقانى نا
عبد الله
بن المبارك
عن يقوب
بن القعقاع
عن الحجاج
عن يحيى
بن ابى
كثير عن
عروة عن
ام المؤمنين
حضرت عائشة
عليها السلام
قالت قال
رسول الله
صلى الله
عليه وسلم
اذا كانت
ليلة النصف
من شعبان
يغفر الله
من الذنوب
اكثر من
عدد شعر
غنم كلب.
অর্থ: হযরত ইমাম বায়হাক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমাদের কাছে হাদীছ
শরীফখানা বর্ণনা করেন হযরত আবু আব্দুল্লাহ হাফিয রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, আমার কাছে বর্ণনা করেন
হযরত আবু বকর মুহম্মদ ইবনে আহমদ ইবনে হামদান মারুযী রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে বর্ণনা
করেন হযরত আবু সাঈদ মক্কী ইবনে খালিদ ইবনে ফযল সারাখ্সী রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি
বলেন, আমাদের
কাছে বর্ণনা করেন হযরত সাঈদ ইবনে ইয়াকুব ত্বালিক্বানী রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি
বলেন, আমাদের
কাছে বর্ণনা করেন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে বর্ণনা
করেন হযরত ইয়াকুব ইবনে ক্বাক্বা রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি হযরত হাজ্জাজ
রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে। তিনি হযরত ইয়াহইয়া ইবনে আবী কাছীর রহমতুল্লাহি
আলাইহি উনার থেকে। তিনি হযরত উরয়াহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে। হযরত
উরওয়াহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে।
উম্মুল মু’মিনীন
হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনি ইরশাদ করেন, যখন
অর্ধ শা’বানের
রাত তথা শবে বরাত আসে, তখন মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি বনী কালব গোত্রের বকরীর
পশমের চেয়েও অধিক সংখ্যক গুনাহগার বান্দাদেরকে ক্ষমা করে থাকেন। (সুবহানাল্লাহ)
উক্ত কিতাবের ৩৭৯ পৃষ্ঠায় আরো উল্লেখ আছে-
(১১৪)
اخبرنا ابو
عبد الله
الحافظ نا
احمد بن
اسحاق الفقيه
نا محمد
بن رمح
انا يزيد
بن هارون
انا الحجاج
بن ارطاة
عن يحيى
بن ابى
كثير قال
خرج رسول
الله صلى
الله عليه
وسلم ذات
ليلة وخرجت
ام المؤمنين
حضرت عائشة
عليها السلام
تطلبه فى
البقيع فرأته
رافعا رأسه
الى السماء
فقال اكنت
تخافين ان
يحيف الله
عليك ورسوله
قالت قلت
يا رسول
الله صلى
الله عليه
وسلم ظننت
انك اتيت
بعض نسائك
فقال ان
الله يغفر
ليلة النصف
من شعبان
لاكثر من
عدد شعر
غنم كلب.
অর্থ: হযরত ইমাম বায়হাক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমাদের কাছে বর্ণনা
করেন, হযরত
আব্দুল্লাহ হাফিয রহমতুল্লাহি আলাইহি।
তিনি বলেন, আমাদের
কাছে বর্ণনা করেন হযরত আহমদ ইবনে ইসহাক্ব ফক্বীহ রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে বর্ণনা
করেন হযরত মুহম্মদ ইবনে রমাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে বর্ণনা
করেন হযরত ইয়াযিদ ইবনে হারুন রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে বর্ণনা
করেন হযরত হাজ্জাজ ইবনে আরত্বহ রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি হযরত ইয়াহইয়া ইবনে আবী
কাছীর রদ্বিয়াল্লাহু তায়লা আনহু উনার
থেকে। তিনি বলেন, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এক রাত্রে বের হলেন। এবং উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা
ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে
খোঁজার জন্য জান্নাতুল বাক্বী-এর মধ্যে গমন করলেন। অতঃপর উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা
ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনাকে তথা উনার মাথা মুবারক আকাশের দিকে উত্তোলন করা অবস্থায় দেখতে পেলেন।
অতঃপর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা
আলাইহাস সালাম উনাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম! আপনি কি মনে
করছেন যে, মহান
আল্লাহ পাক এবং উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা আপনার সাথে
আমানতের খিয়ানত করেছেন? তখন উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, আমি জবাবে বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি মনে করেছিলোাম হয়তোবা আপনি আপনার অন্য কোন
উম্মুল মু’মিনীন
আলাইহাস সালাম উনার কোন হুজরা শরীফ-এ তাশরীফ নিয়েছেন। অতঃপর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এই অর্ধ শা’বানের রাতে তথা শবে
বরাতে কালব গোত্রের বকরীর পশমের চেয়েও অধিক সংখ্যক লোককে ক্ষমা করে থাকেন।
সুবহানাল্লাহ! (শরহে সুন্নাহ লিল বাগবী, ৪র্থ খ-)
উক্ত কিতাবের ৩৮০ পৃষ্ঠায় আরো উল্লেখ আছে-
(১১৫)
اخبرنا ابو
زكريا بن
ابى اسحاق
انا احمد
بن سلمان
الفقيه نا
محمد بن
مسلمة نا
يزيد بن
هارون انا
احجاج عن
يحيى بن
ابى كثير
عن عروة
عن ام
المؤمنين حضرت
عائشة عليها
السلام قالت
فقدت النبى
صلى الله
عليه وسلم
ذات ليلة
فخرجت اطلبه
فاذا هو
بالبقيع راقعا
رأسه الى
السماء. فقال
يا ام
المؤمنين حضرت
عائشة عليها
السلام اكنت
تخافين ان
يحيف الله
عليك ورسوله
قالت ومابى
من ذلك
ولكننى ظننت
انك اتيت
بعض نسائك
فقال ان
الله عز
وجل ينزل
ليلة النصف
من شعبان
الى السماء
الدنيا فيغفر
لاكثر من
عدد شعر
غنم كلب
... اخبرنا ابو
عبد الله
الحافظ ومحمد
بن موسى
قالا: نا
أبو العباس
هو الاصم
نا محمد
بن اسحاق
انا خالد
بن خراش
واصبغ بن الفرج
قالا نا
ابن وهب
عن عمرو
بن الحارث
عن عبد
الملك بن
عبد الملك
ان مصعب
بن ابى
ذئب حدثه
عن ا
لقاسم بن
محمد بن
ابى بكر
عن ابيه
عن عمه
عن جده
عن النبى
صلى الله
عليه وسلم
قال (ينزل
الله الى
السماء الدنيا
ليلة النصف
من شعبان
فيغفر لكل
شيى الا
رجل مشرك
او رجل
فى قلبه
شحناء.
অর্থ: হযরত ইমাম বায়হাক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমাদের কাছে বর্ণনা
করেন হযরত আবু যাকারিয়া ইবনে আবু ইসহাক রহমতুল্লাহি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে বর্ণনা
করেন হযরত আহমদ ইবনে সালমান ফক্বীহ রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে বর্ণনা
করেন হযরত মুহম্মদ ইবনে মুসাল্লামাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে বর্ণনা
করেন হযরত ইয়াযিদ ইবনে হারুন রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে বর্ণনা
করেন হযরত হাজ্জাজ রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি হযরত ইয়াহইয়া ইবনে আবু কাছীর
রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে। তিনি হযরত উরওয়াহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার
থেকে। তিনি উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে।
তিনি বলেন, আমি
এক রাতে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে না পেয়ে খোঁজার জন্য
বেরিয়ে গেলাম। অতঃপর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘জান্নাতুল বাক্বী’-এর
মধ্যে উনার মাথা মুবারক আকাশের দিকে উত্তোলন অবস্থায় দেখতে পেলাম। অতঃপর হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালামকে লক্ষ্য করে
বললেন, হে
উম্মুল মু’মিনীন
হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম! আপনি কি আশঙ্কা করেছেন যে, মহান আল্লাহ পাক এবং
উনার রসূল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনার আমানতের খিয়ানত করেছেন? তখন উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা
ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি জবাবে বললেন, ইহা আমার পক্ষে কখনই সম্ভব নয়। ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তবে আমি মনে করেছিলোাম হয়তোবা আপনি আপনার অন্য
কোন উম্মুল মু’মিনীন
আলাইহাস সালাম-উনার হুজরা শরীফ-এ তাশরীফ নিয়েছেন।
অতঃপর হুযূর পাক পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনি বললেন, নিশ্চয়ই
মহান আল্লাহ পাক তিনি এই অর্ধ শা’বানের রাতে তথা শবে বরাতে দুনিয়ার নিকটস্থ আকাশে অবতরণ
করেন এবং কালব গোত্রের বকরীর সম পরিমাণের চেয়েও অধিক সংখ্যক লোককে ক্ষমা করে
থাকেন।
হযরত ইমাম বায়হাক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমাদের কাছে বর্ণনা করেন
হযরত আবু আব্দুল্লাহ হাফিয রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং হযরত মুহম্মদ ইবনে মুসা
রহমতুল্লাহি আলাইহি। উনারা দু’জনই বলেন, আমাদের কাছে বর্ণনা করেন হযরত আবুল আব্বাস আছম
রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে বর্ণনা করেন হযরত মুহম্মদ ইবনে ইসহাক্ব
রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে বর্ণনা করেন হযরত খালিদ ইবনে খাররাশ
রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং হযরত আছবাগ ইবনে ফারয রহমতুল্লাহি আলাইহি। উনারা দু’জনই বলেন, আমাদের কাছে বর্ণনা
করেন, হযরত
ইবনু ওয়াহাব রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি হযরত আমর ইবনে হারিছ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার
থেকে। তিনি হযরত আব্দুল মালিক ইবনে আব্দুল মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে।
তিনি হযরত মুছয়াব ইবনে আবু যিব রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে। তিনি হযরত কাছিম ইবনে
মুহম্মদ ইবনে আবু বকর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি উনার পিতা
থেকে। উনার পিতা উনার চাচা থেকে। উনার চাচা উনার দাদা থেকে। উনার দাদা
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হযরত নবী পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করেন। হযরত নবী পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি অর্ধ শা’বানের রাতে তথা শবে বরাতে
দুনিয়ার আকাশে নাযিল হন। অতঃপর ওই শবে বরাতে মুশরিক এবং হিংসুক ব্যতীত সমস্ত লোককে
ক্ষমা করে থাকেন।
(অসমাপ্ত)
পরবর্তী সংখ্যার অপেক্ষায় থাকুন
আবা-২০২
0 Comments:
Post a Comment