কুরান অনসারে, চাঁদ সূর্যকে অনুসরন করে কিন্তু বাস্তবিক ভাবে তা কখনোই সম্ভব না যেহেতু চাঁদ এবং সূর্যের মধ্যবর্তি দুরুত্ব প্রায় ১৪৯ million কিলোমিটার এবং চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে ....
নাস্তিকদের আপত্তি : কুরান অনসারে, চাঁদ সূর্যকে অনুসরন করে (Quran 91:1-2) [Talaahaa (means it follows it) as used in this verse, literally means that the Moon is following the Sun]! কিন্তু বাস্তবিক ভাবে তা কখনোই সম্ভব না যেহেতু চাঁদ এবং সূর্যের মধ্যবর্তি দুরুত্ব প্রায় ১৪৯ million কিলোমিটার এবং চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে (follows the Earth)! এগুলো কি মুহম্মদের অজ্ঞতার ফল নয়?
খণ্ডণ : “অনুসরণ” করে বললেই কি পিছনে পিছনে চলে বুঝায়? মূর্খতার একটি সীমা থাকা দরকার।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَالشَّمْسِ وَضُحَاهَا. وَالْقَمَرِ اِذَا تَلَاهَا.
অর্থ : “কসম! সূর্য ও তার রশ্মির। কসম! চাঁদের যখন তা সূর্যের পশ্চাদগামী হয়।” (পবিত্র সূরা শামস্ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১-২)
বস্তুত অত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে تَلَاهَا শব্দ মুবারক দ্বারা সূর্যের পিছনে পিছনে চলা বুঝায় না। কেননা পূর্ববর্তী আয়াত শরীফ উনার মধ্যে সূর্য ও সূর্যের রশ্মি বা কিরণের বিষয় উল্লেখ রয়েছে। যার ফলে এর অর্থ দাঁড়ায় সূর্য অস্তমিত হওয়ার পর চাঁদ উদ্ভাসিত হয়। এমনকি এখানে সূর্য ও সূর্যের রশ্মি একসাথে আসার কারণে এটাও বুঝাচ্ছে যে, প্রতিফলিত রশ্মির কারণে পূর্ণিমার চাঁদ সূর্যের মতো উজ্জল ও গোলাকার রূপ লাভ করে।
অত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে تَلَاهَا শব্দ মুবারক দ্বারা যে সূর্যের পিছনে পিছনে চলা বুঝায়নি তার একটি প্রমাণ নিম্নরুপ-
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَهُوَ الَّذِي خَلَقَ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ ۖ كُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ.
অর্থ : “তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত্রি ও দিন এবং সূর্য ও চাঁদ। সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে।” (পবিত্র সূরা আম্বিয়া শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৩)
যেহেতু সূর্য ও চাঁদ প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে, তাই চাঁদের জন্য সূর্যের পিছনে পিছনে চলার কোন সুযোগ নেই। বরং সূর্য চলে সূর্যের কক্ষপথে আর চাঁদ চলে চাঁদের কক্ষপথে। তবে সূর্য অস্তমিত হওয়ার পর চাঁদ উদ্ভাসিত হয় বিধায় সূর্যের আলো দ্বারা চাঁদ আলোকিত হয়।
সত্যিই যদি চাঁদ সূর্যের পিছনে পিছনে চলতো তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি নি¤েœাক্ত আয়াত শরীফ নাযিল করতেন না-
لَا الشَّمْسُ يَنْبَغِي لَـهَا أَن تُدْرِكَ الْقَمَرَ وَلَا اللَّيْلُ سَابِقُ النَّهَارِ ۚ وَكُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ
অর্থ : “সূর্য নাগাল পেতে পারে না চাঁদের এবং রাত অগ্রে চলে না দিনের। প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে।” (পবিত্র সূরা ইয়াসিন শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৪০)
চাঁদ যদি সূর্যকে অনুসরণ করে পিছনে পিছনেই চলতো তাহলে لَا الشَّمْسُ يَنْبَغِي لَـهَا أَن تُدْرِكَ الْقَمَرَ “সূর্য নাগাল পেতে পারে না চাঁদের” বলা অর্থ কি? কেননা এই আয়াত শরীফ দিয়ে তো নাস্তিকদের সূত্র মুতাবিক মনে হচ্ছে সূর্য বুঝি চাঁদকে অনুসরণ করছে!
সুতরাং নাস্তিকদের আপত্তির ধরণ দেখেই বুঝা যাচ্ছে তারা কোন পর্যায়ের মূর্খ। মূর্খ বলেই তারা এ ধরণের কুফরীর অবতারনা করেছে।
তাছাড়াও তাদের আপত্তির মধ্যেই পরস্পর বিরোধী বক্তব্য রয়েছে। যেমন- প্রথমে বলছে যে, “চাঁদ সূর্যকে অনুসরন করেi (Quran 91:1-2) [Talaahaa (means it follows it) as used in this verse, literally means that the Moon is following the Sun]!Ó পরে আবার বলছে- “কিন্তু বাস্তবিক ভাবে তা কখনোই সম্ভব না যেহেতু চাঁদ এবং সূর্যের মধ্যবর্তি দুরুত্ব প্রায় ১৪৯ million কিলোমিটার এবং চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে (follows the Earth)!Ó
এখানে ‘অনুসরণ করা’ এবং ‘প্রদক্ষিণ করা’ উভয় অর্থেই ইংরেজী শব্দ ব্যবহার করেছে ÔfollowsÕ। প্রথমে অনুসরণ অর্থে ÔfollowsÕ শব্দটি ব্যবহার করলেও পরের ÔfollowsÕ শব্দটির অর্থ ‘অনুসরণ’ গ্রহণ না করে ‘প্রদক্ষিণ’ গ্রহণ করলো কেন? তাদের ধোকা কি এখানে স্পষ্ট নয়? নিজেদের বেলায় যথাস্থানে যথার্থ অর্থ বেছে নিলেও পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ক্ষেত্রে যথাস্থানে যথার্থ অর্থ বেছে না নিয়ে নিজেদের মনগড়া অর্থ বেছে নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে।
0 Comments:
Post a Comment