পৃথিবী এবং চন্দ্রের আবর্তনের কারনে গ্রহন ঘটে থাকে! কিন্তু হাদিস অনুসারে, চন্দ্র-সূর্যের গ্রহন ঘটে আল্লাহ কতৃক মানুষকে ভয় পাওয়ানোর উদ্দেশ্যে এ ধরনের কুসংস্কারাচ্ছন্ন ধর্ম কোন কোন সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত বলে এখনো আপনার মনে হয়?
নাস্তিকদের আপত্তি : পৃথিবী এবং চন্দ্রের আবর্তনের কারনে গ্রহন ঘটে থাকে! কিন্তু হাদিস অনুসারে, চন্দ্র-সূর্যের গ্রহন ঘটে আল্লাহ কতৃক মানুষকে ভয় পাওয়ানোর উদ্দেশ্যে (Sahih Bukhari 2:18:158)! এ ধরনের কুসংস্কারাচ্ছন্ন ধর্ম কোন কোন সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত বলে এখনো আপনার মনে হয়?
খণ্ডণ : যেহেতু নাস্তিকরা মূর্খ। তাই তাদের সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ জ্ঞানের অভাব রয়েছে। আর এজন্যই এ ধরণের আপত্তির অবতারণা করেছে।
সাধারণতঃ অমাবস্যার সময় সূর্যগ্রহণ হয় আর পূর্ণ জ্যোৎস্নার সময় হয় চন্দ্রগ্রহণ।
অমাবস্যার সময় চাঁদ থাকে সূর্য এবং পৃথিবীর মাঝখানে। এ সময় যদি চাঁদ, পৃথিবী ও সূর্যের কেন্দ্রগুলি একই সরল রেখায় অবস্থান করে তখন চাঁদ সূর্যকে ঢেকে ফেলে এবং একটি সূর্যগ্রহণ পরিলক্ষিত হয়।
একইভাবে পূর্ণ জ্যোৎস্নার সময় বা পূর্ণিমায় পৃথিবী থাকে চাঁদ আর সূর্যের মাঝখানে। তখন পৃথিবী, সূর্য ও চন্দ্র যদি একই সরল রেখায় থাকে। তাহলে পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর পড়ে। এটিই চন্দ্রগ্রহণ।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, অমাবস্যা সময় তো চাঁদ পৃথিবী এবং সূর্যের মাঝখানে আসে, তবে প্রত্যেক অমাবস্যায় সূর্যগ্রহণ হয় না কেন? তেমনি করে প্রতি জ্যোৎস্নায় তো পৃথিবী সূর্য এবং চাঁদের মাঝখানে আসে তবে প্রতি জ্যোৎস্নায় চন্দ্রগ্রহণ হয় না কেন?
বস্তুত, মাঝখানে আসা আর এক সরল রেখায় আসা তো এক কথা নয়। গ্রহণের জন্য সূর্য, চন্দ্র ও পৃথিবীকে আসতে হবে এক সরলরেখায় বা সরলরেখার খুব কাছাকাছি। এর কারণ হচ্ছে পৃথিবীর কক্ষপথ আর চাঁদের কক্ষপথ একই তলে নেই, প্রায় ৫ক্ক হেলান অবস্থান আছে। তাই সামনাসামনি হলেও পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর না পড়েই জ্যোৎস্না চলে যেতে পারে, কোন চন্দ্রগ্রহণ হবে না। একইভাবে চাঁদের পৃষ্ঠ অমাবস্যায় সূর্যকে না ঢেকেও আপন পথে চলে যেতে পারে। তাই সব অমাবস্যায় সূর্য গ্রহণ হয় না।
আর এই জন্যই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বলা হয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ اَبِي بَكْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ اٰيَتَانِ مِنْ اٰيَاتِ اللهِ لَا يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ اَحَدٍ وَلَكِنَّ اللهَ تَعَالَى يُـخَوِّفُ بِـهَا عِبَادَهُ.
অর্থ : “হযরত আবূ বাকারাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার নিদর্শন সমূহের মধ্যে দু’টি নিদর্শন হচ্ছে সূর্য ও চাঁদ। কারো মৃত্যুর কারণে এ দু’টির গ্রহণ হয় না। তবে গ্রহণের মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার বান্দাদের সতর্ক করে থাকেন।” (বুখারী শরীফ : কিতাবুল কুসুফ : হাদীছ শরীফ নং ১০৪৮)
বস্তুত মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার বান্দাদেরকে সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণ দ্বারা ভীতি প্রদর্শন করেন, যাতে মানুষ ঈমান ও আমলমুখী হয় এবং পাপাচার বন্ধ করে। কেননা, যখন মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দাদেরকে সতর্ক করতে চান তখনই গ্রহণ সংঘটিত হয় অর্থাৎ চাঁদ, পৃথিবী ও সূর্যের কেন্দ্রগুলি তখন একই সরল রেখায় অবস্থান করে।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এ প্রসঙ্গে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ كَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ مَاتَ حَضْرَتْ اِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلَامَ فَقَالَ النَّاسُ كَسَفَتِ الشَّمْسُ لِمَوْتِ حَضْرَتْ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامَ. فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لَا يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ اَحَدٍ وَلَا لِـحَيَاتِهِ فَاِذَا رَاَيْتُمْ فَصَلُّوا وَادْعُوا اللهَ.
অর্থ : “হযরত মুগীরা ইব্নু শু’বাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত নূরুর রাবি আলাইহিস সালাম তিনি যেদিন পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন, সেদিন সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা তখন বলতে লাগলেন, সাইয়্যিদুনা হযরত নূরুর রাবি আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশের কারণেই সূর্যগ্রহণ হয়েছে। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, কারো ইন্তিকাল বা বিলাদতের কারণে সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণ হয় না। আপনারা যখন তা দেখবেন, তখন নামায আদায় করবেন এবং মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট দু’আ করবেন।” (বুখারী শরীফ : কিতাবুল কুসুফ : হাদীছ শরীফ নং ১০৪৩)
এভাবে আরো অনেক পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে বিভিন্ন ইবাদতের নির্দেশ মুবারক প্রদান করা হয়েছে।
যেহেতু আপাতদৃষ্টিতে সূর্য গ্রহণ বা চন্দ্র গ্রহণের সময় মহাকাশের ব্যাপক পরিবর্তনের বিষয়টি বুঝা যায় না। তাই এ সময় ইবাদতের বিষয়টিকে কুসংস্কার বলে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ! অথচ আধুনিক সৌর বিজ্ঞানীদের মতে, মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহ দু’টির কক্ষপথের মধ্যবলয়ে রয়েছে এস্টিরয়েড (অংঃবৎড়রফ), মিটিওরিট (গবঃবড়ৎরঃব) ও উল্কাপিন্ড প্রভৃতি ভাসমান পাথরের এক সুবিশাল বেল্ট (ইবষঃ), এগুলোকে এককথায় গ্রহাণুপুঞ্জ বলা হয়। গ্রহানুপুঞ্জের এই বেল্ট আবিষ্কৃত হয় ১৮০১ সালে। বেল্টের এক একটি ঝুলন্ত পাথরের ব্যাস ১২০ মাইল থেকে ৪৫০ মাইল। বিজ্ঞানীরা পাথরের এই ঝুলন্ত বেল্ট নিয়ে শঙ্কিত। কখন জানি এ বেল্ট থেকে কোন পাথর নিক্ষিপ্ত হয়ে পৃথিবীর বুকে আঘাত হানে, যা পৃথিবীর জন্য ধ্বংসের কারণ হয় কিনা? গ্রহাণুপুঞ্জের পাথরখন্ডগুলোর মাঝে সংঘর্ষের ফলে অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাথরখন্ড প্রতিনিয়তই পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে। কিন্তু সেগুলো পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে এসে জ্বলে ভস্ম হয়ে যায়। বৃহদাকার পাথরখন্ডগুলো যদি পৃথিবীতে আঘাত করে তাহলে কি হবে?
বিজ্ঞানীরা বলে, সূর্য অথবা চন্দ্রগ্রহণের সময় ঝুলন্ত পাথরগুলো পৃথিবীতে ছুটে এসে আঘাত হানার আশংকা বেশী থাকে। কারণ হচ্ছে, এসময় সূর্য, চন্দ্র ও পৃথিবী একই সমান্তরালে, একই অক্ষ বরাবর থাকে। আগন্তুক গ্রহাণু সূর্য, চন্দ্র ও পৃথিবী ত্রয়ের সমান্তরাল অক্ষ বরাবর স্বল্প কৌণিক মান সৃষ্টি করে ধাবমান হওয়ার সময় ত্রয়ী বিন্দু শক্তি রেখা দ্বারা বিচ্যুত হয়ে সোজাসুজি পৃথিবীর দিকে তীব্র গতিতে ছুটে আসবে। পৃথিবীর ইতিহাসে সমাপ্তি রেখা টেনে দেবার জন্য এমন একটি ঘটনা যথেষ্ট! সূর্য কিংবা চন্দ্রগ্রহণ মূলতঃ আগন্তুক জ্যোতিষ্ক কর্তৃক পৃথিবীকে আঘাত করার সম্ভাব্যতা উদ্বেগজনকভাবে বাড়িয়ে দেয়। ফলে তিনটির মধ্যাকর্ষণ শক্তি একত্রিত হয়ে ত্রিশক্তিতে রূপান্তরিত হয়। এমনি মুহূর্তে যদি কোন পাথর বেল্ট থেকে নিক্ষিপ্ত হয় তখন এই ত্রিশক্তির আকর্ষণের ফলে সেই পাথর প্রচন্ড শক্তিতে, প্রবল বেগে পৃথিবীর দিকে আসবে, এ প্রচন্ড শক্তি নিয়ে আসা পাথরটিকে প্রতিহত করা তখন পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। ফলে পৃথিবীর একমাত্র পরিণতি হবে ধ্বংস।
একজন বিবেকবান মানুষ যদি মহাশূন্যের এ তত্ব জানে, সূর্যগ্রহণের সময় তার শঙ্কিত হবারই কথা। এই দৃষ্টিকোণ থেকে সূর্য কিংবা চন্দ্রগ্রহণের সময় নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সেজদাবনত হওয়ার মাধ্যমে উম্মতকে তা’লিম প্রদান এবং সৃষ্টিকুলের জন্য পানাহ চাওয়ার মধ্যে একটি নিখুঁত বাস্তবতার সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায় ।
অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এ আমলটি ছিল যুক্তিসঙ্গত ও একান্ত বিজ্ঞানসম্মত।
আর যারা এরকম নাজুক মুহূর্তে আনন্দ উল্লাসে মত্ত থাকে, মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে স্বীয় কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে না তারাই মূলত কুসংস্কারাচ্ছন্নতার অন্ধকারে নিমজ্জিত।
এছাড়াও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যখন মানুষের মধ্যে গুনাহের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে হুকুম করেন, সেখানে চাঁদের বা সূর্যের আলো কিছুক্ষণের জন্য ঢেকে দেয়ার জন্য, যাতে সৃষ্টি সাবধান হয়। এরপর ইরশাদ মুবারক করেন, যখন মুহররমুল হারাম মাসে সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ হয় সে বছর অনেক বালা (দুঃখ) অবতীর্ণ হয়, ফিতনা (বিশৃঙ্খলা) বৃদ্ধি পায়, বুজুর্গদের উপরে বিনা কারণে অপবাদ ঘটে। ছফর মাসে সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ হলে বৃষ্টি কম হবে, নদী শুকিয়ে যাবে। পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসে সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ হলে কঠিন আকাল (দুর্ভিক্ষ) পড়বে, যার ফলে অসংখ্য মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে। রবীউছ ছানী মাসে সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ হলে দেশের শস্যভান্ডার ভরে উঠবে কিন্তু বুজুর্গদের মৃত্যু অধিক হবে। জুমাদাল ঊলা মাসে সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ হলে ঝড়, বৃষ্টি ও তুফান হবে এবং আকস্মিক মৃত্যুর হার বেড়ে যাবে। জুমাদাল উখরা মাসে সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ হলে সুফল ফলবে। সে বছর ফসল খুব ভাল হবে এবং দ্রব্যমূল্য হ্রাস পাবে ও ঐশ্বর্য বেড়ে যাবে। পবিত্র রজবুল হারাম মাসে যদি সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ, মাসের প্রথম জুমুয়াবারে হয়, তাহলে দু”খ-দুর্ভিক্ষ মানুষের প্রতি অত্যাধিক বেড়ে যাবে। আকাশ হকে বিকট আওয়াজ শোনা যাবে। শা’বান মাসে সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ হলে মানুষ সুখ-শান্তিতে থাকবে। এরপর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যদি পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসের প্রথম জুমুয়াবার দিনে অথবা রাতে সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ হয় তাহলে দেশে বিপদাপদ নেমে আসবে এবং অনেক লোক মারা যাবে। শাওওয়াল মাসে গ্রহণ হলে বাতাসের গতি অত্যাধিক বেড়ে গিয়ে অনেক গাছ উপড়িয়ে ফেলবে। পবিত্র যিলক্বদ মাসে গ্রহণ হলে অনেক রোগ অবতীর্ণ হবে। পবিত্র যিলহজ্জ মাসে গ্রহণ হলে মনে করবে দুনিয়ার আয়ু শেষ হয়ে এসেছে, ফিতনা প্রতিষ্ঠিত হবে,আয়েব (দোষ-ত্রুটি) ঢেকে রাখার লোক মরে যাবে, অপরের দোষ বলে বেড়ানোর লোক অধিক হবে, বাইরের সাজসজ্জা বেড়ে যাবে, তাদের আখিরাতের সুফল বিনষ্ট হবে। দুনিয়ার প্রতি মুহব্বত বেড়ে যাবে। অর্থাৎ মানুষ পরকালের চিন্তা পর্যন্ত ছেড়ে দিবে। মানুষ মুনাফিকদের সম্মান করবে, দরবেশদেরকে দীন-দুঃখী মনে করে ঘৃণা করবে। সে সময় তাদের প্রতি মহান আল্লাহ পাক তিনি এমন একটি বিপদ প্রতিষ্টিত করবেন যার কারণে তাদের সুখ বিনষ্ট হবে।” (আনিসুল আরওয়াহ : দ্বিতীয় মজলিস)
সুতরাং পবিত্র হাদীছ শরীফ অনুযায়ী চন্দ্র-সূর্যের গ্রহণ ঘটে মহান আল্লাহ পাক উনার কর্তৃক মানুষকে সতর্ক করার জন্য, এটা কোন কুসংস্কার নয়। শিশুতূল্য বিজ্ঞানও তা স্বীকার করেছে।
0 Comments:
Post a Comment