২৯৪ নং- সুওয়াল : আজকাল দেখা যায়, কোন কোন পরিবারে স্ত্রী স্বামীর নাম ধরে ডাকে এবং স্ত্রী স্বামীকে তুমি বলে সম্বোধন করে। এটা কতটুকু শরীয়তসম্মত?


সুওয়াল : আজকাল দেখা যায়, কোন কোন পরিবারে স্ত্রী স্বামীর নাম ধরে ডাকে এবং স্ত্রী স্বামীকে তুমি বলে সম্বোধন করে। এটা কতটুকু শরীয়তসম্মত?
জাওয়াব : পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
الرجال قوامون على النساء.
অর্থঃ- পুরুষগণকে মহিলাগণের উপর প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
আর মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি  ইরশাদ মুবারক  করেন, 
لو كنت امر احدا ان يسجد لا حد لا مرت المرأة ان تسجد لزوحها.
অর্থঃ- আমি যদি কাউকে আদেশ মুবারক করতাম সিজদা করার জন্য অর্থাৎ কোন মানুষকে মানুষ সিজদা করার জন্য, তাহলে আদেশ মুবারক করতাম স্ত্রীগণকে তাদের স্বামীদেরকে সিজদা করার জন্য।  উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারা স্বামীর শ্রেষ্ঠত্ব ও ফযীলত বুঝানো হয়েছে। কাজেই প্রত্যেক স্ত্রীর উচিৎ তাদের স্বামীদেরকে সম্মানসূচক শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা। অর্থাৎ তুমি বলে সম্বোধন না করে আপনি বলে সম্বোধন করা এবং নাম ধরে না ডাকা। কারণ, সাধারণতঃ স্বামীগণ স্ত্রীদের থেকে বয়সে বড় হয়ে থাকেন। এর চেয়েও বড় কথা হলো- স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক। স্ত্রীর নিকট স্বামীর মর্তবা ও মর্যাদা যে কত বেশী, তা আমরা উপরোল্লেখিত সিজদা সম্পর্কীত  পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা বুঝতে পারি। কারণ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো উল্লেখ করা হয়েছে,
من لم يرحم صغيرنا ولم يوقر كبيرنا فليس منا.
অর্থঃ- যে ছোটদেরকে স্নেহ করেনা এবং বড়দের সম্মান করেনা, সে আমার উম্মত নয়। স্ত্রীরা যেমন স্বামীদেরকে তা’যীম, তাকরীম করবে, অনুরূপ স্বামীরাও স্ত্রীদেরকে স্নেহ করবে।কারণ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক মুবারক করেন,
خير كم خير كم خير لنسائهم وانا خير ليسائى. 
অর্থঃ- তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি উত্তম, যে তার স্ত্রীর নিকট উত্তম। আর আমি আমার স্ত্রীর নিকট উত্তম।
          আর কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে,
بے ادب محروم گشت از لطف رب-
অর্থঃ- বেয়াদব মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত থেকে বঞ্চিত।
এবং কিতাবে আরো আছে,
االادب خير من اللهب والفضة.
অর্থঃ- আদব স্বর্ণ ও রৌপ্যের থেকে উত্তম।       কাজেই প্রত্যেক স্ত্রীর দায়িত্ব স্বামীর আদব রক্ষা করে চলা এবং স্বামীরও দায়িত্ব তার স্ত্রীর হক্ব যথাযথ আদায় করা।
আবা-২১

0 Comments: