২৯১ নং- সুওয়াল : অনেকেই নামায পড়েনা কিন্তু রমযান মাসে রোজা রাখে, এই রোজার কি কোন ফযীলত পাওয়া যাবে? জানাবেন।


সুওয়াল : অনেকেই নামায পড়েনা কিন্তু রমযান মাসে রোজা রাখে, এই রোজার কি কোন ফযীলত পাওয়া যাবেজানাবেন।
জাওয়াব : মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন,
فمن يعمل مثقال ذرة خيرايره ومن يعمل مشقال ذرة شرايره.
অর্থঃ- যদি কেউ একবিন্দু নেকী করে, তার প্রতিদান সে পাবে। আর একবিন্দু বদী করলেও তার বদলা তাকে গ্রহণ করতে হবে।
আরো অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে-
انى لا اضيع عمل عامل منكم من ذكر او انشى.
অর্থঃ- নিশ্চয়ই আমি তোমাদের মধ্যে কোন আমলকারী পুরুষ ও মহিলার আমলকে নষ্ট করিনা।
কাজেই যে নেক কাজ করবে, সে নেকীর বদলা পাবে। আর যে বদ কাজ বা গুণাহের কাজ করবে, সে তারও বদলা পাবে। পবিত্র রমযান শরীফ উনার মধ্যে রোজা রাখা ফরজ এবং নামায পড়াও ফরজ। যে উভয়টি করবে, সে পূর্ণ ফায়দা হাসিল করবে। আর যদি কেউ শুধু রমযান শরীফ উনার মধ্যে রোজা রাখে, নামায না পড়ে, তবে তার রোজা রাখার ফরজ আদায় হবে কিন্তু নামায না পড়ার গুণাহ্ তার উপর বর্তাবে। কারণ মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্য পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
من عمل صا لحا فلنفسه ومن اساء فعليها- وما ربك بظلام للعبيد.      
অর্থঃ- যে নেক কাজ করে, সে তার নিজের জন্য করে। অর্থাৎ সে তার সওয়াব পাবে, আর যে পাপকাজ করে, সেটা তার উপর বর্তাবে। অর্থাৎ গুণাহ শাস্তি তাকে ভোগ করতে হবে। আর আপনার রব বা প্রতিপালক বান্দার প্রতি জুলুম করেন না। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক কোন বান্দার প্রতি জুলুম করেন না।  সুতরাং যে নামায আদায় করা ব্যতীত শুধু রমযান শরীফ উনার মধ্যে রোজা রাখবে, সে রোজা রাখার সওয়াব পাবে এবং অবশ্যই সে নামায তরক করার গুণাহে গুণাহগার হবে।
আবা-২১

0 Comments: