সুওয়াল : আমরা জানি যে, তারাবীহর নামায ২০ রাকায়াত এবং তা আদায় করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। অথচ কেউ কেউ
বলে, ৮ রাকায়াত পড়াই সুন্নত। আবার কেউ কেউ বলে, ১২
রাকায়াত পড়াই সুন্নত।
এখন আমরা
কোন মতের উপর আমল করবো এবং কোন মতটি সহীহ্।
জাওয়াব : আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের
ফতওয়া মোতাবেক তারাবীহর নামায ২০ রাকায়াত পড়াই সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। অতএব
কেউ যদি ২০ রাকায়াত থেকে এক রাকায়াতও কম পড়ে, তবে তার
সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ তরক করার গুণাহ হবে। অর্থাৎ তারাবীহর নামায ২০ রাকায়াতই পড়তে হবে এবং এর উপরই ইজমা হয়েছে।
যারা
তারাবীহর নামায ৮
রাকায়াত বলে থাকে, তারা বুখারী শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত-
হযরত আয়শা ছিদ্দীকা আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র হাদীছ শরীফখানা দলীল স্বরূপ পেশ
করে থাকে। যাতে বর্ণিত আছে যে, মহান আল্লাহ পাক উনার রাসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজান মাসে এবং রমজান ব্যতীত
অন্যান্য মাসে (বিতর সহ) ১১
রাকায়াত নামায আদায় করতেন। মূলত এটি হচ্ছে তাহাজ্জুদ
নামাজের বর্ণনা,
তারাবীহর নামাজের বর্ণনা নয়। কারণ তারাবীহর নামায শুধু
রমজান মাসের জন্যই নির্দিষ্ট। রমজান ব্যতীত অন্যান্য মাসে তারাবীহর নামায নেই। আর তাহাজ্জুদ নামায সারা বৎসরেই পড়তে হয়। (মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বা, সুনানুল
কোবরা লিল বায়হাক্বী, আল কবীর লিত তিবরানী, আল
জাওহারুন্নাকী,
নাইনুল আওতার, ইরশাদুস সারী, মিরকাত শরীফ, আওজাজুল মাসালিক, মা’আরেফে মাদানীয়া, ফতহুল বারী, উমদাদুল ক্বারী, বজলুল মাজহুদ, ফিক্হুস সুনান ওয়াল আছার, নছবুর
রাইয়াহ,
আইনী শরহে বোখারী, আত তা’লীকুল
হাছানাহ,
মোজাহেরে হক্ব, আশয়াতুল লুময়াত, এলাউস সুনান, ফতওয়ায়ে আলমগিরী, খোলাসাতুল ফতওয়া, মজমুয়াতুল ফতওয়া, বাহরুর রায়েক, মারাকিউল ফালাহ, ইহইয়াউ উলুমুদ্দীন, গুনইয়াতুৎ
ত্বলেবীন)
এ
সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আমাদের প্রকাশিত মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকার
২৫-৩০তম সংখ্যা পাঠ করুন। সেখানে ৩০৪ খানা অকাট্য ও নির্ভরযোগ্য দলীলের ভিত্তিতে
ছাবেত করা হয়েছে যে, তারাবীহর নামায ২০ রাকায়াত
পড়াই সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ এবং এটাই গ্রহণযোগ্য ও সহীহ মত।
আবা-৪১
0 Comments:
Post a Comment