সুওয়াল : অনেকেই নামায পড়েনা কিন্তু রমজান মাসে রোযা রাখে,
এই রোজার কি কোন ফযীলত পাওয়া যাবে? জানাবেন।
জাওয়াব : মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কালামুল্লাহ
শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন,
فمن
يعمل مثقال ذرة خيرايره ومن يعمل مثقال ذرة شرايره.
অর্থ : “যদি কেউ
একবিন্দু নেকী করে, তার প্রতিদান সে পাবে। আর একবিন্দু বদী করলেও তার বদলা তাকে
গ্রহণ করতে হবে।”
আরো
অন্যত্র ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
انى لا اضيع عمل عامل منكم من ذكر او انثى.
অর্থ : “নিশ্চয়ই আমি তোমাদের মধ্যে কোন
আমলকারী পুরুষ ও মহিলার আমলকে নষ্ট করিনা।”
কাজেই যে
নেক কাজ করবে,
সে নেকীর বদলা পাবে। আর যে বদ কাজ বা গুণাহের কাজ করবে, সে তারও বদলা পাবে।
রমজান
শরীফে রোযা রাখা ফরয এবং নামায পড়াও ফরয। যে
উভয়টি করবে,
সে পূর্ণ ফায়দা হাসিল করবে। আর যদি কেউ শুধু রমজান শরীফে রোযা রাখে, নামায না পড়ে, তবে তার
রোযা রাখার ফরয আদায় হবে কিন্তু নামায না পড়ার গুণাহ তার উপর বর্তাবে। কারণ মহান আল্লাহ পাক অন্য পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে বলেন,
من
عمل صا لحا فلنفسه ومن اساء فعليها وما ربك بظلام للعبيد.
অর্থ : “যে নেক
কাজ করে,
সে তার নিজের জন্য করে। অর্থাৎ সে তার সওয়াব পাবে, আর যে পাপ কাজ করে, সেটা তার উপর বর্তাবে। অর্থাৎ
গুণাহর শাস্তি তাকে ভোগ করতে হবে। আর আপনার
রব বা প্রতিপালক বান্দার প্রতি জুলুম করেন না। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক কোন বান্দার প্রতি
জুলুম করেন না।”
সুতরাং
যে ব্যক্তি নামায আদায়
করা ব্যতীত শুধু রমজান শরীফে রোযা রাখবে,
সে রোজা রাখার সওয়াব পাবে এবং অবশ্যই সে নামাজ তরক করার
গুণাহে গুণাহগার হবে।
(সমূহ তাফসীরের কিতাব)
আবা-৪১
0 Comments:
Post a Comment