بومنذ تحدث اخبارها.
অর্থাৎ- সেদিন সে তার
সংবাদসমূহ বর্ণনা করবে?
জাওয়াবঃ হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম বর্ণনা করেন, একদিন নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “যমীন কি
খবর দিবে তোমরা কি জান?”
তখন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনিই ভাল জানেন। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “যমীন ইহাই খবর দিবে যে, বান্দা
এবং বান্দীরা তার উপর কি করেছে এবং সাক্ষী দিবে ও বলবে, মহান আল্লাহ
পাক অমুক অমুক বান্দা আমার উপর এরূপ এরূপ করেছে”। (আহমদ, নাসায়ী,
বায়হাক্বী, তিরমীযী, ইবনে হারান)
তিবরানী
শরীফ উনার পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে হযরত রবীয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম
হতে বর্ণিত আছে- তিনি বলেছেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “তোমরা মাটির থেকে সতর্ক থাকো, কেননা
তোমরা ভাল-মন্দ যা করবে,
মাটি তার সবকিছু বলে দিবে।”
মূলত এই পবিত্র
আয়াত শরীফ উনার মধ্যে যমীন সম্পর্কে বলা হয়েছে, মানুষ যা নেকীবদী করবে, যমীন তার
সাক্ষী হবে। আর শুধু মাটিই নয়, যমীনের সমস্ত গাছপালা, লতাপাতা এমনকি অঙ্গপ্রত্যঙ্গও
মানুষের কাজকর্মের সাক্ষ্য দিবে, যা অন্যান্য আয়াত শরীফে এবং হাদীছ শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে।
সুতরাং প্রতিটি মানুষ তার আমলের ব্যাপারে সে যেন পাপ কাজ থেকে বিরত থাকে এবং নেক
কাজে মশগুল থাকে ও ইস্তেগ্ফারে কায়েম থাকে, সে বিষয়ে শতর্ক থাকতে হবে। (তফসীরে
মাযহারী ও অন্যান্য তফসীর গ্রন্থ)
আবা-১৩
0 Comments:
Post a Comment