
জাওয়াবঃ হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম তিনি বলেছেন, নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার গুণাবলী ও নুবুওতের
সংবাদ তাওরাত শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখিত ছিল। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এই জগতে আগমনের পূর্বে তারা এই সংবাদ জনসমাজে
প্রচার করতো, কিন্তু তিনি জগতে আগমন করলে তারা লোকের নিকট হতে যে টাকা-কড়ি উপঢৌকন প্রাপ্ত
হতো, তার গতিরোধ ও তাদের প্রভুত্ব বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় তারা শেষ পয়গম্বরের নবুওতের
কথা গোপন করতে লাগলো। তাদের সম্বন্ধে মহান আল্লাহ মহান পাক তিনি বলেছেন, যারা
মহান আল্লাহ তাআলা উনার প্রেরিত কিতাবের কথা গোপন করে এবং ওটার পরিবর্তে সামান্য
অর্থ ও নশ্বর মর্যাদা লাভ করে, তারা দোযখের অগ্নি উদরস্থ করছে। অর্থাৎ ওটা অগ্নিরূপ ধারণ
করতঃ দোযখে তাদের উদরে প্রবেশ করবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি ক্বিয়ামতে তাদের দিকে
কৃপাদৃষ্টি করবেন না,
তারা মহা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তিতে নিক্ষিপ্ত হবে। (তাফসীরে
আমিনিয়া, ইবনে কাসীর,
রুহুল মা’আনী)
মূলতঃ
পবিত্র এই আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইহুদী এবং খ্রীষ্টানদের মধ্যে যে সমস্ত আলেমরা
সামান্য পয়সা বা দুনিয়ার বিণিময়ে মনগড়া ফতওয়া দিত এবং জায়গা বিশেষ তাওরাত-ইঞ্জিল
কিতাব পরিবর্তন করতে দ্বিধাবোধ করতো না, তাদের সম্পর্কে নাজিল হয়েছে। তাই
যারা পবিত্র কুরআন শরীফ শিক্ষা দিয়ে টাকা নেয়, তারা এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার
অন্তর্ভূক্ত হবে না। অবশ্য বর্তমান বিশ্বে এমন অনেক আলেম নামধারী ব্যক্তি রয়েছে
অর্থাৎ ওলামায়ে ‘ছু’, যারা সামান্য পয়সা বা দুনিয়ার বিণিময়ে হালালকে হারাম বা হারামকে হালাল করতে
দ্বিধাবোধ করে না,
তারা এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার অন্তর্ভূক্ত হবে।
আবা-১৩
0 Comments:
Post a Comment